📚উচ্চমাধ্যমিক সংস্কৃত সাজেশন-২০২৫(উত্তরসহ):১০০% কমন আসবেই📚
✍️প্রশ্নের মান-৫:
গদ্যাংশ
1. ত্রিবিক্রমভট্ট বিরচিত ‘আর্যাবর্তবর্ণনম্’ অনুসারে আর্যাবর্তের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের বর্ণনা দাও।
উঃ কবি ত্রিবিক্রম ভট্ট তার নলচম্পু কাব্যের প্রথমোচ্ছ্বাসে আর্যাবর্তের প্রশংসা করেছেন, আর্যদের অন্যতম শ্রেষ্ঠ জনপদ হিসাবে। তিনি হিমালয়ের দক্ষিণ থেকে বিন্ধ্যাচলের উত্তর এবং দুই প্রান্তে সাগরের মাঝে অবস্থিত এই অঞ্চলের মহিমা ও বৈশিষ্ট্য তুলে ধরেছেন।
আর্যাবর্তকে তিনি এক বিস্ময়কর ভারত ভূমি হিসাবে চিত্রিত করেছেন, যা সমগ্র পৃথিবীর মধ্যে অন্যতম সেরা এবং স্বর্গের তুল্য মনোমুগ্ধকর ও সমৃদ্ধ। ধন, সাহস, এবং বর্ণাশ্রমের নিয়ম মেনে চলা এই জনপদে অধিবাসীরা শান্তিতে জীবনযাপন করে। ভাগীরথী গঙ্গার সুশীতল স্পর্শে এই স্থান আরও পবিত্র হয়ে উঠেছে, যা পুণ্যবান ও শিক্ষিত লোকেদের আবাসভূমি। এখানকার সামাজিক আচার-অনুষ্ঠান এবং মূল্যবোধ আধ্যাত্মিক সৌন্দর্য ও শান্তির প্রতীক।
ত্রিবিক্রম ভট্টের বর্ণনায় আরও পাওয়া যায়, এখানে রোগের প্রকোপ নেই; অধিবাসীরা শতায়ু হয়। সংগীত ও জ্যোতিষশাস্ত্র চর্চা এখানে বিদ্যমান, কিন্তু গ্রহদোষ বা কোনো ভোগান্তির জন্য এদের কষ্ট পেতে হয় না। চারদিকে বৃক্ষ, লতাগুল্ম, উদ্যানের শোভা ছড়ায় এবং পাহাড়ে প্রাণীদের উল্লাস দেখা যায়। যদিও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও সমৃদ্ধিতে পূর্ণ, এখানে কোনো অশান্তি বা অবাধ্যতা নেই।
নারীরা সতীত্বের আদর্শে অবিচল, নিষ্কলঙ্ক জীবনযাপন করে। রাজা এই ভূমিকে শাসন করেন ইন্দ্রের মতো, তবে তিনি সুরাপান থেকে বিরত। এই অঙ্গনে শান্তি ও শৃঙ্খলা বিরাজমান, যা প্রাচুর্য ও সৌন্দর্যের প্রতীক।
ত্রিবিক্রম ভট্টের এই বর্ণনায় আর্যাবর্তের প্রতি এক অসাধারণ দেশপ্রেম ও আধ্যাত্মিক ভাবনা প্রকাশিত হয়েছে, যা কেবল কল্পনার মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে।
আর্যাবর্তকে তিনি এক বিস্ময়কর ভারত ভূমি হিসাবে চিত্রিত করেছেন, যা সমগ্র পৃথিবীর মধ্যে অন্যতম সেরা এবং স্বর্গের তুল্য মনোমুগ্ধকর ও সমৃদ্ধ। ধন, সাহস, এবং বর্ণাশ্রমের নিয়ম মেনে চলা এই জনপদে অধিবাসীরা শান্তিতে জীবনযাপন করে। ভাগীরথী গঙ্গার সুশীতল স্পর্শে এই স্থান আরও পবিত্র হয়ে উঠেছে, যা পুণ্যবান ও শিক্ষিত লোকেদের আবাসভূমি। এখানকার সামাজিক আচার-অনুষ্ঠান এবং মূল্যবোধ আধ্যাত্মিক সৌন্দর্য ও শান্তির প্রতীক।
ত্রিবিক্রম ভট্টের বর্ণনায় আরও পাওয়া যায়, এখানে রোগের প্রকোপ নেই; অধিবাসীরা শতায়ু হয়। সংগীত ও জ্যোতিষশাস্ত্র চর্চা এখানে বিদ্যমান, কিন্তু গ্রহদোষ বা কোনো ভোগান্তির জন্য এদের কষ্ট পেতে হয় না। চারদিকে বৃক্ষ, লতাগুল্ম, উদ্যানের শোভা ছড়ায় এবং পাহাড়ে প্রাণীদের উল্লাস দেখা যায়। যদিও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও সমৃদ্ধিতে পূর্ণ, এখানে কোনো অশান্তি বা অবাধ্যতা নেই।
নারীরা সতীত্বের আদর্শে অবিচল, নিষ্কলঙ্ক জীবনযাপন করে। রাজা এই ভূমিকে শাসন করেন ইন্দ্রের মতো, তবে তিনি সুরাপান থেকে বিরত। এই অঙ্গনে শান্তি ও শৃঙ্খলা বিরাজমান, যা প্রাচুর্য ও সৌন্দর্যের প্রতীক।
ত্রিবিক্রম ভট্টের এই বর্ণনায় আর্যাবর্তের প্রতি এক অসাধারণ দেশপ্রেম ও আধ্যাত্মিক ভাবনা প্রকাশিত হয়েছে, যা কেবল কল্পনার মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে।
2.আর্যাবর্ত ও স্বর্গের তুলনা যেভাবে ত্রিবিক্রমভট্ট করেছেন, তা বর্ণনা করো।
উঃ ভূমিকা: চম্পূকাব্যের জগতে কবি ত্রিবিক্রমভট্ট একটি অনন্য সৃষ্টিশীলতা প্রদর্শন করেছেন। তাঁর ‘নলচম্পূ’ কাব্যের প্রথম অংশে, আর্যাবর্তের বর্ণনায় শ্লেষ অলংকারের মাধ্যমে আর্যাবর্তকে স্বর্গের চেয়েও শ্রেষ্ঠ বলে উপস্থাপন করা হয়েছে।
আর্যাবর্তকে কেন শ্রেষ্ঠ হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে, তার কারণসমূহ এখানে তুলে ধরা হলো:
১। গৌর্যঃ স্ক্রিয়ঃ:
স্বর্গে একজন মাত্র গৌরি, অর্থাৎ দেবী পার্বতী অবস্থান করছেন। কিন্তু আর্যাবর্তে প্রতিটি গৃহে গৌরবর্ণা নারীর উপস্থিতি রয়েছে।
২। মহেশ্বরো লোক:
স্বর্গে কেবল একজন মহেশ্বর, অর্থাৎ মহাদেব রয়েছেন। কিন্তু আর্যাবর্তে ঘরে ঘরে এমন মানুষ রয়েছেন, যারা মহান এবং সমৃদ্ধ।
৩। সশ্রীকা হরয়ঃ:
স্বর্গে হরি (বিষ্ণু) একজন মাত্র, কিন্তু আর্যাবর্তে প্রতিটি গৃহে সুশোভিত ঘোড়ার উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।
৪। ধনদা:
স্বর্গে ধনদা অর্থাৎ কুবের একমাত্র ধনপতি। কিন্তু আর্যাবর্তে অসংখ্য ধনী ব্যক্তি আছেন, যারা দানে উদার।
৫। সুরাধিপ:
স্বর্গে সুরাধিপ বলতে দেবরাজ ইন্দ্রকে বোঝানো হয়। কিন্তু আর্যাবর্তে এমন কোনো মদ্যপ রাজা নেই।
৬। বিনায়ক:
স্বর্গে বিনায়ক অর্থাৎ সিদ্ধিদাতা গণেশ রয়েছেন, কিন্তু আর্যাবর্তে এমন কোনো বিরোধী শত্রু বা বিরুদ্ধ নায়ক নেই।
মূল্যায়ন:
এই যুক্তিগুলি প্রমাণ করে যে আর্যাবর্ত একটি পবিত্র স্থান, যা স্বর্গের তুলনায় শ্রেষ্ঠত্বের অধিকারী।
আর্যাবর্তকে কেন শ্রেষ্ঠ হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে, তার কারণসমূহ এখানে তুলে ধরা হলো:
১। গৌর্যঃ স্ক্রিয়ঃ:
স্বর্গে একজন মাত্র গৌরি, অর্থাৎ দেবী পার্বতী অবস্থান করছেন। কিন্তু আর্যাবর্তে প্রতিটি গৃহে গৌরবর্ণা নারীর উপস্থিতি রয়েছে।
২। মহেশ্বরো লোক:
স্বর্গে কেবল একজন মহেশ্বর, অর্থাৎ মহাদেব রয়েছেন। কিন্তু আর্যাবর্তে ঘরে ঘরে এমন মানুষ রয়েছেন, যারা মহান এবং সমৃদ্ধ।
৩। সশ্রীকা হরয়ঃ:
স্বর্গে হরি (বিষ্ণু) একজন মাত্র, কিন্তু আর্যাবর্তে প্রতিটি গৃহে সুশোভিত ঘোড়ার উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।
৪। ধনদা:
স্বর্গে ধনদা অর্থাৎ কুবের একমাত্র ধনপতি। কিন্তু আর্যাবর্তে অসংখ্য ধনী ব্যক্তি আছেন, যারা দানে উদার।
৫। সুরাধিপ:
স্বর্গে সুরাধিপ বলতে দেবরাজ ইন্দ্রকে বোঝানো হয়। কিন্তু আর্যাবর্তে এমন কোনো মদ্যপ রাজা নেই।
৬। বিনায়ক:
স্বর্গে বিনায়ক অর্থাৎ সিদ্ধিদাতা গণেশ রয়েছেন, কিন্তু আর্যাবর্তে এমন কোনো বিরোধী শত্রু বা বিরুদ্ধ নায়ক নেই।
মূল্যায়ন:
এই যুক্তিগুলি প্রমাণ করে যে আর্যাবর্ত একটি পবিত্র স্থান, যা স্বর্গের তুলনায় শ্রেষ্ঠত্বের অধিকারী।
3. বনগতা গুহা গদ্যাংশের নামকরণের সার্থকতা বিচার করো।
উঃ “বনগতা গুহা” পাঠ্যাংশের কাহিনি মূলত অলিপর্বা ও একটি বনের গুহাকে ঘিরে আবর্তিত। অলিপৰ্বা একজন দরিদ্র শ্রমজীবী মানুষ, যার পরিবারে রয়েছে স্ত্রী ও এক পুত্র। প্রতিদিন সে বনে গিয়ে কাঠ সংগ্রহ করে তা বিক্রি করে পরিবার চালায়। সৎপথে বাঁচতে গিয়ে তাকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গভীর বনে জ্বালানি কাঠ সংগ্রহ করতে হয়।
একদিন অলিপৰ্বা বনের গভীরে এক রহস্যময় গুহার সন্ধান পায়। গুহার ভেতর ছিল লুট করা মূল্যবান রত্নের ভাণ্ডার, যা চল্লিশ চোর সংগ্রহ করেছিল। তার মনে ভয় ও কৌতূহল কাজ করলেও সে দস্যুদের উচ্চারিত মন্ত্রটি মনে রেখে গুহায় প্রবেশ করে। ভেতরে বিপুল পরিমাণ সোনা-রুপা ও রত্ন দেখে তার বিস্ময় হয়। পরে, ভেবেচিন্তে সে কিছু রত্ন সংগ্রহ করে গাধার পিঠে করে শহরে নিয়ে আসে। এই গল্পে, গুহাটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে, কারণ অলিপৰ্বা ও চোরদের সমস্ত কার্যকলাপ এই গুহাকে ঘিরেই আবর্তিত হয়েছে।
মূল্যায়ন:
“বনগতা গুহা” পাঠ্যাংশের কাহিনি বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, গল্পটি মূলত বনের গুহাকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হওয়ায় এর নামকরণ অত্যন্ত সার্থক। গুহাটি চরিত্রগুলির জীবন ও কর্মকাণ্ডে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে, যা পাঠককে গভীর তাৎপর্য বোঝাতে সাহায্য করে।
একদিন অলিপৰ্বা বনের গভীরে এক রহস্যময় গুহার সন্ধান পায়। গুহার ভেতর ছিল লুট করা মূল্যবান রত্নের ভাণ্ডার, যা চল্লিশ চোর সংগ্রহ করেছিল। তার মনে ভয় ও কৌতূহল কাজ করলেও সে দস্যুদের উচ্চারিত মন্ত্রটি মনে রেখে গুহায় প্রবেশ করে। ভেতরে বিপুল পরিমাণ সোনা-রুপা ও রত্ন দেখে তার বিস্ময় হয়। পরে, ভেবেচিন্তে সে কিছু রত্ন সংগ্রহ করে গাধার পিঠে করে শহরে নিয়ে আসে। এই গল্পে, গুহাটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে, কারণ অলিপৰ্বা ও চোরদের সমস্ত কার্যকলাপ এই গুহাকে ঘিরেই আবর্তিত হয়েছে।
মূল্যায়ন:
“বনগতা গুহা” পাঠ্যাংশের কাহিনি বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, গল্পটি মূলত বনের গুহাকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হওয়ায় এর নামকরণ অত্যন্ত সার্থক। গুহাটি চরিত্রগুলির জীবন ও কর্মকাণ্ডে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে, যা পাঠককে গভীর তাৎপর্য বোঝাতে সাহায্য করে।
4. ‘বনগতা গুহা' গল্পাংশ অবলম্বনে কশ্যপ ও
অলিপর্বার আর্থিক অবস্থা নিজের ভাষায় লেখো।
উঃ ভূমিকা: আধুনিক যুগের বিখ্যাত সংস্কৃত কবি শ্রীগোবিন্দকৃষণমোদক রচিত আখ্যান ‘চোরচত্বারিংশীকথা’র ‘বনগতাগুহা’ অংশে কশ্যপ ও অলিপর্বার আর্থিক পরিস্থিতির চিত্রণ উঠে এসেছে। এই গল্পে কশ্যপ ও অলিপর্বা দুই সহোদর ভাই হিসেবে অল্প সম্পত্তিতে বড় হয়েছেন। তাদের পিতার সম্পদ সীমিত ছিল, ফলে দারিদ্র্যই তাদের জীবনের অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। পিতা বৃদ্ধ বয়সে এসে নিজের অল্প সম্পত্তি দুই সন্তানের মধ্যে সমানভাবে ভাগ করে দেন, যাতে দুজনের আর্থিক অবস্থাও সমান থাকে। কিন্তু এই সাম্যাবস্থা বেশিদিন টিকল না।
কশ্যপের আর্থিক অবস্থা:
কশ্যপ এক ধনী ব্যক্তির কন্যাকে বিয়ে করেন এবং তার ফলে দ্রুত ধনবান হয়ে উঠেন। ধনসম্পদে সমৃদ্ধ কশ্যপ বিলাসিতায় সময় কাটাতে থাকেন এবং শ্রেষ্ঠ বণিকদের মতো আর্থিকভাবে স্বচ্ছল হয়ে ওঠেন। ধনসম্পত্তির প্রাচুর্যের কারণে তিনি যা চাইতেন, তার প্রাপ্তিতে কোনো বাধা ছিল না।
অলিপর্বার আর্থিক অবস্থা:
অন্যদিকে অলিপর্বার পিতৃপ্রাপ্ত সম্পদ ছিল সামান্য, এবং তিনি একজন দরিদ্র নারীর সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। ফলে তার জীবন থেকে দারিদ্র্য বিদায় নেয়নি। অলিপর্বা একটি পর্ণকুটিরে স্ত্রী-সন্তানসহ অতি কষ্টে জীবনযাপন করতেন। প্রতিদিন ভোরে তিনি বনে গিয়ে জ্বালানি কাঠ সংগ্রহ করতেন এবং তা বিক্রি করে সামান্য উপার্জনে সংসার চালাতেন। গল্পের শেষে, দৈবক্রমে অলিপর্বার আর্থিক অবস্থার উল্লেখযোগ্য উন্নতি ঘটে।
কশ্যপের আর্থিক অবস্থা:
কশ্যপ এক ধনী ব্যক্তির কন্যাকে বিয়ে করেন এবং তার ফলে দ্রুত ধনবান হয়ে উঠেন। ধনসম্পদে সমৃদ্ধ কশ্যপ বিলাসিতায় সময় কাটাতে থাকেন এবং শ্রেষ্ঠ বণিকদের মতো আর্থিকভাবে স্বচ্ছল হয়ে ওঠেন। ধনসম্পত্তির প্রাচুর্যের কারণে তিনি যা চাইতেন, তার প্রাপ্তিতে কোনো বাধা ছিল না।
অলিপর্বার আর্থিক অবস্থা:
অন্যদিকে অলিপর্বার পিতৃপ্রাপ্ত সম্পদ ছিল সামান্য, এবং তিনি একজন দরিদ্র নারীর সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। ফলে তার জীবন থেকে দারিদ্র্য বিদায় নেয়নি। অলিপর্বা একটি পর্ণকুটিরে স্ত্রী-সন্তানসহ অতি কষ্টে জীবনযাপন করতেন। প্রতিদিন ভোরে তিনি বনে গিয়ে জ্বালানি কাঠ সংগ্রহ করতেন এবং তা বিক্রি করে সামান্য উপার্জনে সংসার চালাতেন। গল্পের শেষে, দৈবক্রমে অলিপর্বার আর্থিক অবস্থার উল্লেখযোগ্য উন্নতি ঘটে।