🌹বি.এ সেমিষ্টার-৪::মাইনর রাষ্ট্রবিজ্ঞান সাজেশন(PART-1)🌹

 

✍️প্রশ্নের মান-২: 

📝 1. লোকপালের এখতিয়ার কী?
✍️ উত্তর: লোকপালের এখতিয়ার প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, সংসদ সদস্য এবং গ্রুপ A এবং B-এর অধীনে কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মকর্তাদের পর্যন্ত বিস্তৃত। লোকপাল তদন্ত পরিচালনা করতে পারেন, দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করতে পারেন এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে মামলা দায়েরের সুপারিশ করতে পারেন। তথ্য এবং নথিপত্র তলব করার ক্ষমতাও তাদের রয়েছে, এমনকি প্রয়োজনে সিবিআই কর্তৃক তদন্তের নির্দেশও দিতে পারেন।

📝 2. লোকপাল-এর গঠনতন্ত্র কী?
✍️ উত্তর: লোকপাল একজন চেয়ারপারসন এবং সর্বোচ্চ আটজন সদস্য নিয়ে গঠিত, যার চেয়ারপারসন এবং কমপক্ষে অর্ধেক সদস্য সুপ্রিম কোর্ট বা হাইকোর্টের বর্তমান বা প্রাক্তন বিচারপতি।

📝 3. লোকায়ুক্ত কী?
✍️ উত্তর: লোকায়ুক্ত হল একটি রাজ্য-স্তরের ন্যায়পাল বা দুর্নীতি বিরোধী নজরদারি সংস্থা, যা রাজ্য সরকার আইনের মাধ্যমে সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত এবং সমাধানের জন্য প্রতিষ্ঠিত করে। এই সংস্থাগুলি সরকারি পদক্ষেপ এবং সিদ্ধান্তগুলি যাচাই করার জন্য একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ কর্তৃপক্ষ হিসেবে কাজ করে।

📝 4. লোকায়ুক্ত কীভাবে গঠিত হয়?
✍️ উত্তর: রাজ্যপাল রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলের প্রধান এবং রাজ্য হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির সাথে পরামর্শ করার পর লোকায়ুক্ত নিয়োগ করেন।

📝 5. লোকায়ুক্ত-এর অধিকার কত দূর বিস্তৃত?
✍️ উত্তর: লোকায়ুক্তদের অভিযোগ তদন্ত, তদন্ত পরিচালনা এবং দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করার ক্ষমতা রয়েছে, যার মধ্যে ফৌজদারি মামলাও অন্তর্ভুক্ত। রাজ্য পর্যায়ে সরকারি কর্মচারী এবং মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে অভিযোগের উপর লোকায়ুক্তদের এখতিয়ার রয়েছে।

📝 6. আরটিআই বলতে কী বোঝায়?
✍️ উত্তর: আরটিআই মানে তথ্য-এর অধিকার। এটি ভারতের একটি মৌলিক অধিকার যা নাগরিকদের সরকারি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে তথ্য পেতে সক্ষম করে।

📝 7. আরটিআই-এর পিছনে কোন আইনের ভূমিকা রয়েছে?
✍️ উত্তর: ২০০৫ সালের তথ্য অধিকার আইন নাগরিকদের সরকারি সংস্থাগুলির কাছ থেকে তথ্য চাওয়ার আইনি অধিকার প্রদান করে। এটি সরকারি কার্যক্রম স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা বৃদ্ধি করে।

📝 8. আরটিআই-এর অধিকার কতদূর বিস্তৃত?
✍️ উত্তর: আরটিআই বা তথ্য অধিকার আইন সকল সরকারি কর্তৃপক্ষের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, যার মধ্যে রয়েছে সরকারি বিভাগ, মন্ত্রণালয় এবং সরকার কর্তৃক অর্থায়িত সংস্থা। নাগরিকরা সরকারি কর্তৃপক্ষের কাছে থাকা তথ্য, যেমন রেকর্ড, নথি, নীতি এবং সিদ্ধান্তের জন্য অনুরোধ করতে পারেন।

📝 9. আরটিআই আইনে আপীল করার কী সুযোগ প্রদান করা হয়েছে?
✍️ উত্তর: যদি তথ্য সরবরাহ না করা হয় অথবা পিআইও-এর সিদ্ধান্ত সন্তোষজনক না হয়, তাহলে নাগরিক আপিল কর্তৃপক্ষের কাছে আপিল করতে পারবেন। যদি আপিলের নিষ্পত্তি না হয়, তাহলে নাগরিক কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশন (সিআইসি) অথবা রাজ্য তথ্য কমিশন (এসআইসি)-এর কাছে অভিযোগ দায়ের করতে পারবেন, যারা তদন্ত পরিচালনা করতে পারে এবং সংশোধনমূলক ব্যবস্থা নিতে পারে।

📝 10. লোকপাল কী?
✍️ উত্তর: লোকপাল হল ভারতের একটি জাতীয় স্তরের, আইনসম্মত দুর্নীতি বিরোধী সংস্থা যা কিছু সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের জন্য প্রতিষ্ঠিত।

📝 11. লোকপাল কী ভূমিকা পালন করে?
✍️ উত্তর: লোকপাল একজন ন্যায়পাল হিসেবে কাজ করেন, মন্ত্রী, শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তা এবং অন্যান্য কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পরিচালনা করেন। দুর্নীতির মামলায় তদন্ত, তদন্ত পরিচালনা এবং মামলার সুপারিশ করার ক্ষমতা লোকপালের রয়েছে।

📝 12. একজন এসপিকে কী দায়িত্ব পালন করতে হয়?
✍️ উত্তর: পুলিশ মহাপরিচালকের (ডিজিপি) নির্দেশনায় কর্মরত এসপি একটি নির্দিষ্ট পুলিশ জেলার মধ্যে পুলিশ বাহিনীর প্রশাসনিক বিষয়গুলির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এর মধ্যে রয়েছে আর্থিক ও কর্মী প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখা, অপরাধ প্রতিরোধ ও সনাক্তকরণ, নজরদারি ও গোয়েন্দা কার্যক্রম, মন্ত্রীদের বাসভবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, অভিযোগ সমাধান, পুলিশ কর্মীদের প্রশিক্ষণ প্রদান, পুলিশের মধ্যে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা, সমাজবিরোধী কার্যকলাপ পরীক্ষা করা এবং অধস্তন থানা ও অফিসগুলির নিয়মিত পরিদর্শন ও পরিচালনা করা।

📝 13. একজন এসপি কার অধীনে কাজ করেন?
✍️ উত্তর: কমিশনারেট ব্যবস্থার অধীনে শহরগুলিতে, একজন এসপি পুলিশ কমিশনারের অধীনে ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ (ডিসিপি) হিসেবে কাজ করতে পারেন। জেলাগুলিতে, একজন পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট (এসপি) জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (ডিএম)-এর কর্তৃত্বে কাজ করেন, যিনি জেলা কালেক্টর নামেও পরিচিত।

📝 14. এসডিও বলতে কোন প্রশাসনিক পদকে বোঝায়?
✍️ উত্তর: ভারত সরকারের প্রেক্ষাপটে, SDO মানে হল Sub-Divisional Officer। এটি একজন সরকারি কর্মকর্তা যিনি একটি জেলার মধ্যে একটি মহকুমার প্রশাসনিক বিষয় তত্ত্বাবধানে দায়ী।

📝 15. একজন SDO কে কী ভূমিকা পালন করতে হয়?
✍️ উত্তর: এসডিও মূলত একটি মহকুমার প্রধান বেসামরিক কর্মকর্তা, যিনি তাদের অধিক্ষেত্রের মধ্যে দৈনন্দিন প্রশাসন এবং সরকারি নীতি বাস্তবায়নের জন্য দায়ী। তারা স্থানীয় মহকুমা পর্যায়ে সরকারি নীতি ও কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য দায়ী। এসডিওরা তহসিলদার এবং তাদের কর্মীদের কাজও তদারকি করেন।

📝 16. জেলাশাসক কীভাবে নিযুক্ত হন?
✍️ উত্তর: রাজ্য সরকার সাধারণত সর্বভারতীয় রাষ্ট্রকৃত্যক (I.A.S) থেকে জেলাশাসককে নিযুক্ত করেন। রাজ্যের রাষ্ট্রকৃত্যক (W.B.C.S.) থেকেও জেলাশাসককে পদোন্নতির মাধ্যমে নিযুক্ত করা হয়। জেলাশাসক রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত থাকেন, কিন্তু তাদের চাকরির শর্তাবলী কেন্দ্রীয় সরকারের দ্বারা নির্ধারিত হয়।

📝 17. জেলাশাসকদের দুটি প্রধান দায়িত্বের কথা উল্লেখ কর।
✍️ উত্তর: জেলাশাসককে বহুমুখী কাজ করতে হয়। তবু তাঁর প্রধান দায়িত্ব মূলত দুটি—(১) তিনি হলেন জেলার মুখ্য প্রশাসক এবং (২) তিনি হলেন জেলার মুখ্য রাজস্ব আদায়কারী।

📝 18. জেলা শাসকদের কাজ কী? তার দুটি কাজের কথা উল্লেখ কর।
✍️ উত্তর: (১) ম্যাজিস্ট্রেট হিসাবে জেলাশাসকের প্রধান কাজ হল জেলার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করা। (২) রাজস্ব কর্মকর্তারূপে তিনি জেলা রাজস্ব আদায়, জমি সংরক্ষণ এবং জমি সংক্রান্ত বিরোধ মীমাংসায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

📝 19. জেলার মুখ্য প্রশাসনিক অধিকর্তা হিসাবে জেলাশাসকের দুটি কাজের কথা উল্লেখ কর।
✍️ উত্তর: (১) জেলার শাসন পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় কর্মীদের নিয়োগ, বদলি, ছুটি প্রভৃতি বিষয়গুলি নির্ধারণ। (২) কাজের শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য কর্মী ও আধিকারিকদের আচরণবিধি প্রণয়ন ও কাজে গাফিলতি বা শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগের তদন্ত ও উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ।

📝 20. সমন্বয়কারী হিসাবে জেলাশাসকের দুটি কাজের উল্লেখ কর।
✍️ উত্তর: (১) জেলার উন্নয়ন সংক্রান্ত বিভাগের অধিকর্তাদের নেতা হিসাবে জেলা পরিকল্পনা সমন্বয়কারী হিসেবে জেলাশাসকের ভূমিকা পালন করতে হয়। (২) জেলায় জনস্বাস্থ্য, কৃষি, সেচ, পূর্ত প্রভৃতি বিভাগের মাধ্যমে উন্নয়নের কাজ করা হয়। এসব বিভাগের অধিকর্তারা জেলাশাসকের কাছে দায়বদ্ধ। এক্ষেত্রে সমন্বয়কারী হিসাবে জেলাশাসকের অনন্য ভূমিকা আছে।

📝 21. সংকটকালীন প্রশাসক হিসাবে জেলাশাসকের ভূমিকার বিষয়ে আলোকপাত কর।
✍️ উত্তর: বন্যা, খরা, সাইক্লোনের মত প্রাকৃতিক বিপর্যয় অথবা দাঙ্গা, বহিরাক্রমণের মত অবাঞ্ছিত সঙ্কটকালে জেলা শাসককে পরিত্রাতার ভূমিকা পালন করতে হয়। বর্তমানের রাজনৈতিক পরিবেশ জেলাশাসকের স্বাধীনতা কিছুটা ক্ষুণ্ণ করলেও, এখনো তাকে বহুমুখী দায়িত্ব পালন করতে হয়।

📝 22. জেলা সমাহর্তা হিসাবে জেলাশাসকের যে কোন দুটি কাজ উল্লেখ কর।
✍️ উত্তর: সরকারের রাজস্ব সংগ্রহ করা জেলাশাসকের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব। এজন্য (১) ভূমি রাজস্ব নির্ধারণ ও সময়মত সেটা সংগ্রহ করা তাঁর কাজ। সেচকর, কৃষি, আয়কর, ভূমি রাজস্ব, বিক্রয় কর, স্ট্যাম্প ডিউটি ইত্যাদির মাধ্যমে এসব আদায় করা হয়। (২) সরকারী ঋণ, প্রাপ্য টাকা উদ্ধার, দুর্যোগ জনিত কারণে ঋণদান, পুনর্বাসন, সরকারী সম্পত্তি ও কোষাগার পরিচালনা ইত্যাদি তার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।

📝 23. জেলার উন্নয়নের সঙ্গে জেলাশাসক কীভাবে জড়িত?
✍️ উত্তর: জেলার উন্নয়নমূলক পরিকল্পনা ও তার বাস্তব রূপায়ণের সঙ্গে জেলাশাসকের প্রত্যক্ষ যোগ রয়েছে। সমষ্টি উন্নয়ন প্রকল্প (CDP) থেকে গ্রামীণ উন্নয়ন প্রকল্প, অবকাঠামো নির্মাণ, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা কার্যক্রম পর্যন্ত জেলাশাসক সমন্বয় ও তদারকি করেন। তিনি নিশ্চিত করেন যে সরকারি প্রকল্পগুলি সঠিক সময়ে এবং কার্যকরভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে।

📝 24. যুগ্ম তালিকার অন্তর্ভুক্ত বিষয়গুলি কি কি?
✍️ উত্তর: দেওয়ানী ও ফৌজদারী আইন, বিদ্যুৎ, সংবাদপত্র, শিক্ষা, বিবাহ ও বিবাহবিচ্ছেদ, পুস্তক ও প্রেস, শ্রমিক কল্যাণ ইত্যাদি।

📝 25. রাজস্ব সংক্রান্ত কেন্দ্র তালিকাভুক্ত ও রাজ্য তালিকাভুক্ত কয়েকটি বিষয় উল্লেখ কর।
✍️ উত্তর: রাজস্ব সংক্রান্ত কেন্দ্র তালিকাভুক্ত বিষয়গুলি হল – আমদানি-রপ্তানি শুল্ক, কোম্পানি কর, উৎপাদন কর, রেলওয়ে ও রিজার্ভ ব্যাঙ্ক থেকে আয় ইত্যাদি। রাজস্ব সংক্রান্ত রাজ্য তালিকাভুক্ত বিষয়গুলি হল – ভূমি রাজস্ব, ভূমি কর, কৃষি কর, প্রমোদ কর, পেশা কর ইত্যাদি।

📝 26. সংসদীয় ব্যবস্থা বলতে কি বোঝ?
✍️ উত্তর: সংসদীয় ব্যবস্থা হল এমন একটি সরকার ব্যবস্থা যেখানে সরকার প্রধান আইনসভার সংখ্যাগরিষ্ঠ সমর্থন থেকে বৈধতা লাভ করে এবং আইনসভার কাছে তার জবাবদিহি থাকে।

📝 27. বিচার বিভাগের স্বাধীনতা বলতে কী বোঝ?
✍️ উত্তর: বিচার বিভাগের স্বাধীনতা হল এই ধারণা যে বিচার বিভাগকে সরকারের অন্যান্য শাখা থেকে স্বাধীন হতে হবে। অর্থাৎ আদালতগুলি সরকারের অন্যান্য শাখা বা ব্যক্তিগত বা দলীয় স্বার্থের অনুপযুক্ত প্রভাবের অধীন হওয়া উচিত নয়।

📝 28. বিচার বিভাগীয় সক্রিয়তা বলতে কী বোঝ?
✍️ উত্তর: বিচার বিভাগীয় সক্রিয়তা বলতে বোঝায় বিচার বিভাগের এমন একটি ভূমিকা যেখানে তারা শুধুমাত্র আইনানুগ বিচারিক কাজ করার পরিবর্তে জনগণের অধিকার ও সুবিচারের জন্য সক্রিয়ভাবে পদক্ষেপ নেয়।

📝 29. বিচার বিভাগীয় সমীক্ষা বলতে কী বোঝ?
✍️ উত্তর: বিচার বিভাগীয় সমীক্ষা বলতে বোঝায় বিচার বিভাগের ক্ষমতা, যেখানে আদালত আইন বা সরকারের নির্বাহী বা প্রশাসনিক পদক্ষেপগুলিকে সংবিধানের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ কিনা তা যাচাই করে।

📝 30. ভারতীয় সংবিধানের বৈশিষ্ট্য লেখ।
✍️ উত্তর: (১) বৃহত্তম লিখিত সংবিধান, (২) প্রস্তাবনার সংযোজন, (৩) যুক্তরাষ্ট্রীয় ও এককেন্দ্রিক ব্যবস্থার সংমিশ্রণ, (৪) সংসদীয় শাসন ব্যবস্থা, (৫) কতকগুলি মৌলিক অধিকার ও কর্তব্যের সংযোজন, (৬) রাষ্ট্র পরিচালনার নির্দেশমূলক নীতির সংযোজন, (৭) ধর্ম নিরপেক্ষতা, (৮) সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য বিশেষ সংরক্ষণ ব্যবস্থা ইত্যাদি।

📝 31. ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্রের মৌলিক বৈশিষ্ট্যগুলি কি?
✍️ উত্তর: ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্রে মৌলিক বৈশিষ্ট্য হল – (১) দু-ধরনের সরকার যথা—কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের উপস্থিতি, (২) একটি লিখিত ও দুষ্পরিবর্তনীয় সংবিধান, (৩) দু-ধরনের সরকারের মধ্যে ক্ষমতার বিভাজন, (৪) যুক্তরাষ্ট্রীয় আদালতের উপস্থিতি প্রভৃতি।

📝 32. যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা বলতে কী বোঝ?
✍️ উত্তর: যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা বলতে বোঝায় এমন একটি সরকার ব্যবস্থা যেখানে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে সংবিধানের মাধ্যমে ভাগ করা হয়।

📝 33. ভারতে কেন্দ্র ও অঙ্গরাজ্যগুলির মধ্যে কিভাবে ক্ষমতা বন্টন করা হয়েছে?
✍️ উত্তর: ভারতীয় সংবিধানে সপ্তম তপশীলে কেন্দ্র ও অঙ্গরাজ্যের মধ্যে ক্ষমতা বন্টন তিন ধরনের যথা—কেন্দ্রীয় তালিকা; রাজ্য তালিকা ও যুগ্ম তালিকা। কেন্দ্ৰ তালিকা: এই তালিকার অন্তর্ভুক্ত বিষয়গুলিতে আইন প্রণয়নের অধিকারী কেন্দ্র। রাজ্য তালিকা: এই তালিকার আইন প্রণয়নের অধিকারী রাজ্য আইনসভাগুলি। যুগ্ম তালিকা: এই তালিকাভুক্ত বিষয়গুলিতে কেন্দ্র ও রাজ্য আইনসভা উভয়েই আইন প্রণয়নের অধিকারী। এই তিন তালিকার বাইরে অবশিষ্ট বিষয়গুলি কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণাধীন।

📝 34. কেন্দ্রীয় তালিকার অন্তর্ভুক্ত বিষয়গুলির মধ্যে কয়েকটি উল্লেখ কর।
✍️ উত্তর: কেন্দ্রীয় তালিকার অন্তর্ভুক্ত বিষয়গুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল—প্রতিরক্ষা, পররাষ্ট্র, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, মুদ্রাব্যবস্থা, রেল, ডাক ও তার, যুদ্ধ ও শান্তি, নির্বাচন, লোকগণনা ইত্যাদি।

📝 35. রাজ্য তালিকার অন্তর্ভুক্ত কয়েকটি বিষয় উল্লেখ কর।
✍️ উত্তর: রাজ্য তালিকার অন্তর্ভুক্ত বিষয়গুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল—পুলিশ, জনশৃঙ্খলা, স্থানীয় সরকার, কৃষি, স্বাস্থ্য, ভূমি, সেচ, বাজার ও মেলা, অন্ত্যেষ্টি প্রভৃতি।

📝 36. জেলাশাসকের কয়েকটি অতিরিক্ত কাজের কথা উল্লেখ কর।
✍️ উত্তর: জেলাশাসককে জেলা প্রশাসন ও উন্নয়নের কাজ ছাড়াও নানা ধরনের কাজ করতে হয়। যেমন—
১. ১০ বছর অন্তর জনগণনা পরিচালনা।
২. নির্বাচনী আধিকারিক হিসাবে দায়িত্ব পালন।
৩. বন্টন ও সরবরাহ ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ।
৪. কর্মীদের প্রশিক্ষণ ও জনগণের অভিযোগ গ্রহণ।

📝 37. জেলার মুখ্য প্রশাসনিক অধিকর্তা হিসাবে জেলাশাসকের দুটি কাজের কথা উল্লেখ কর।
✍️ উত্তর:
১. জেলার শাসন পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় কর্মীদের নিয়োগ, বদলি ও ছুটি নির্ধারণ।
২. কর্মী ও আধিকারিকদের আচরণবিধি প্রণয়ন এবং শৃঙ্খলাভঙ্গ বা গাফিলতির তদন্ত ও ব্যবস্থা গ্রহণ।

📝 38. সমন্বয়কারী হিসাবে জেলাশাসকের দুটি কাজের উল্লেখ কর।
✍️ উত্তর:
১. জেলার উন্নয়ন সংক্রান্ত বিভাগের অধিকর্তাদের নেতা হিসাবে জেলা পরিকল্পনা সমন্বয়কারীর ভূমিকা পালন।
২. জনস্বাস্থ্য, কৃষি, সেচ, পূর্ত প্রভৃতি বিভাগের কাজ তদারকি করে উন্নয়নে সমন্বয় রক্ষা।

📝 39. সংকটকালীন প্রশাসক হিসাবে জেলাশাসকের ভূমিকার বিষয়ে আলোকপাত কর।
✍️ উত্তর:
বন্যা, খরা, সাইক্লোন, দাঙ্গা কিংবা বহিরাক্রমণের মতো সংকটকালে জেলাশাসক পরিত্রাতার ভূমিকা পালন করেন। রাজনৈতিক পরিবেশ কিছুটা স্বাধীনতা সীমিত করলেও তিনি এখনো বহুমুখী দায়িত্ব পালন করেন।

📝 40. জেলা সমাহর্তা হিসাবে জেলাশাসকের যে কোন দুটি কাজ উল্লেখ কর।
✍️ উত্তর:
১. ভূমি রাজস্ব নির্ধারণ ও সময়মতো সংগ্রহ করা।
২. সরকারী ঋণ আদায়, প্রাপ্য টাকা উদ্ধার, দুর্যোগে ঋণদান, পুনর্বাসন ও কোষাগার পরিচালনা।

📝 41. জেলার উন্নয়নের সঙ্গে জেলাশাসক কীভাবে জড়িত?
✍️ উত্তর:
জেলার উন্নয়নমূলক পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তব রূপায়ণে জেলাশাসকের প্রত্যক্ষ ভূমিকা রয়েছে। সমষ্টি উন্নয়ন প্রকল্প (CDP) থেকে গ্রামীণ উন্নয়নের নানা কর্মসূচি পরিচালনায় তিনি মুখ্য ভূমিকা পালন করেন।

📝 42. জেলাশাসক কীভাবে নিযুক্ত হন?
✍️ উত্তর:
রাজ্য সরকার সাধারণত সর্বভারতীয় রাষ্ট্রকৃত্যক (I.A.S) থেকে জেলাশাসককে নিযুক্ত করেন। এছাড়াও রাজ্যের রাষ্ট্রকৃত্যক (W.B.C.S.) থেকেও পদোন্নতির মাধ্যমে জেলাশাসক নিযুক্ত হতে পারেন। তিনি রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও চাকরির শর্তাবলী কেন্দ্রীয় সরকার নির্ধারণ করে।

📝 43. জেলাশাসকদের দুটি প্রধান দায়িত্বের কথা উল্লেখ কর।
✍️ উত্তর:
১. জেলার মুখ্য প্রশাসক হিসাবে সমস্ত শাসনিক কাজ পরিচালনা করা।
২. জেলার মুখ্য রাজস্ব আদায়কারী হিসাবে সরকারের আয় সুনিশ্চিত করা।

📝 44. জেলা শাসকদের কাজ কী? তার দুটি কাজের কথা উল্লেখ কর।
✍️ উত্তর:
১. ম্যাজিস্ট্রেট হিসাবে জেলার আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখা।
২. প্রশাসনিক কাজের পাশাপাশি উন্নয়নমূলক কর্মসূচি তদারকি করা।

📝 45. কাকে সরকারের স্নায়ুকেন্দ্র বলা হয় এবং কেন?
✍️ উত্তর:
কেন্দ্রীয় সচিবালয়কে সরকারের স্নায়ুকেন্দ্র বলা হয়। কারণ এটি প্রশাসনিক যন্ত্রের এক অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। সচিবালয় নীতি নির্ধারণ ও বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। একে কর্মযজ্ঞের পুরোহিতও বলা হয়। দেশ পরিচালনা ও উন্নত প্রশাসন গড়ে তুলতে এর ভূমিকা অনস্বীকার্য।

📝 46. কেন্দ্রীয় সচিবালয়ের দুটি মূল নীতির বিষয় উল্লেখ কর।
✍️ উত্তর:
১. নীতি প্রণয়ন ও নীতি প্রয়োগের মধ্যে সুস্পষ্ট পার্থক্য করা।
২. প্রশাসনিক কাঠামো সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য দক্ষ আধিকারিক নিয়োগ ও তাদের হাতে দায়িত্ব অর্পণ করা।

📝 47. কেন্দ্রীয় সচিবালয়ের গঠনের বিষয়ে উল্লেখ কর।
✍️ উত্তর:
স্বাধীনতার পর নতুনভাবে সচিবালয় গঠিত হয়। এর সর্বোচ্চ পদে থাকেন সচিব, যিনি বিভাগের প্রধান। সচিবকে সাহায্য করেন অতিরিক্ত সচিব। এরপর আছেন যুগ্ম সচিব, নির্দেশক, সহকারী সচিব ও অধস্তন সচিব। গঠনটি পিরামিডের মতো, যেখানে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ নিম্নস্তরের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যোগাযোগ রক্ষা করেন।

📝 48. কেন্দ্রীয় সচিবালয়ের মুখ্য উদ্দেশ্য বা লক্ষ্য বিবৃত কর।
✍️ উত্তর:
১. বিভিন্ন মন্ত্রককে নীতি প্রণয়নে সাহায্য করা ও সূত্র আকারে রচনা করা।
২. আইন বিষয়ক চিন্তাভাবনা ও খসড়া তৈরিতে মন্ত্রীদের সহায়তা করা।
৩. প্রশাসনিক কার্যাবলীর সঠিক তথ্য সরবরাহ করা।
৪. মন্ত্রীদের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করা।

📝 49. ক্যাবিনেট সচিবালয়ের ভূমিকা আলোচনা কর।
✍️ উত্তর:
সংসদীয় গণতন্ত্রে সরকার মূলত ক্যাবিনেটের দ্বারা পরিচালিত হয়। তাই ক্যাবিনেট সচিবালয়ের গুরুত্ব ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এটি সরকারের প্রশাসনিক দায়িত্ব ও জনকল্যাণমূলক কার্যসূচী বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ক্যাবিনেটকে সক্রিয়ভাবে সাহায্য করা এবং নীতি বাস্তবায়নে সহযোগিতা করা এর প্রধান কাজ।

📝 50. ক্যাবিনেট সচিবালয়ের কয়েকটি কাজের উল্লেখ কর।
✍️ উত্তর:
১. ক্যাবিনেট মিটিং-এর কর্মসূচী প্রস্তুত করা।
২. প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করে ক্যাবিনেট বৈঠকে উপস্থাপন করা।
৩. গৃহীত সিদ্ধান্ত নথিভুক্ত ও বাস্তবায়ন করা।
৪. সরকারি কাজের বিধি ও নিয়ম প্রণয়ন করা।

📝 51. ক্যাবিনেট সচিবের পদের গুরুত্ব আলোচনা কর।
✍️ উত্তর:
ক্যাবিনেট সচিব আমলাতন্ত্রের সর্বোচ্চ পদে অধিষ্ঠিত হন। তিনি প্রধানমন্ত্রী, ক্যাবিনেট ও কমিটিগুলির মুখ্য উপদেষ্টা। তাঁর দায়িত্বের মধ্যে রয়েছে সিদ্ধান্ত নথিভুক্ত করা, তা সর্বত্র জানানো এবং কার্যকরী করা। দায়িত্বের ব্যাপকতা ও গুরুত্বের কারণে এই পদ প্রশাসনিক স্তরে বিশেষ মর্যাদাসম্পন্ন।

📝 52. ক্যাবিনেট সচিবালয়ের তিনটি স্থায়ী কমিটির কথা উল্লেখ কর।
✍️ উত্তর:
ক্যাবিনেট সচিবালয় বিভাগীয় সচিবদের নিয়ে তিনটি স্থায়ী কমিটি গঠন করে—
১. অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত কমিটি।
২. বৈদেশিক বিষয় সংক্রান্ত সচিব কমিটি।
৩. প্রশাসনিক বিষয় সংক্রান্ত কমিটি।

📝 53. কেন্দ্রীয় সচিবালয় বলতে কী বোঝ?
✍️ উত্তর:
কেন্দ্রীয় সচিবালয় বলতে বোঝ কেন্দ্রীয় সরকারের প্রশাসনিক দায়িত্ব পালনকারী মন্ত্রক ও বিভাগগুলির সমষ্টিকে। এটি নীতি প্রণয়ন, আইন রচনা, এবং প্রশাসনিক কার্যাবলী পরিচালনার কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে কাজ করে।

📝 54. যুগ্ম তালিকার অন্তর্ভুক্ত বিষয়গুলি কি কি?
✍️ উত্তর: যুগ্ম তালিকার অন্তর্ভুক্ত বিষয়গুলি হল— দেওয়ানী ও ফৌজদারী আইন, বিদ্যুৎ, সংবাদপত্র, শিক্ষা, বিবাহ ও বিবাহবিচ্ছেদ, পুস্তক ও প্রেস, শ্রমিক কল্যাণ ইত্যাদি।

📝 55. রাজস্ব সংক্রান্ত কেন্দ্র তালিকাভুক্ত ও রাজ্য তালিকাভুক্ত কয়েকটি বিষয় উল্লেখ কর।
✍️ উত্তর: রাজস্ব সংক্রান্ত কেন্দ্র তালিকাভুক্ত বিষয়গুলি হল—আমদানি-রপ্তানি শুল্ক, কোম্পানি কর, উৎপাদন কর, রেলওয়ে ও রিজার্ভ ব্যাঙ্ক থেকে আয় ইত্যাদি। রাজস্ব সংক্রান্ত রাজ্য তালিকাভুক্ত বিষয়গুলি হল— ভূমি রাজস্ব, ভূমি কর, কৃষি কর, প্রমোদ কর, পেশা কর ইত্যাদি।

📝 56. সংসদীয় ব্যবস্থা বলতে কি বোঝ?
✍️ উত্তর: সংসদীয় ব্যবস্থা হল এমন একটি সরকার ব্যবস্থা যেখানে সরকার প্রধান আইনসভার সংখ্যাগরিষ্ঠ সমর্থন থেকে বৈধতা লাভ করে এবং আইনসভার কাছে তার জবাবদিহি থাকে।

📝 57. বিচার বিভাগের স্বাধীনতা বলতে কী বোঝ?
✍️ উত্তর: বিচার বিভাগের স্বাধীনতা হল এই ধারণা যে বিচার বিভাগকে সরকারের অন্যান্য শাখা থেকে স্বাধীন হতে হবে। অর্থাৎ আদালতগুলি সরকারের অন্যান্য শাখা বা ব্যক্তিগত বা দলীয় স্বার্থের অনুপযুক্ত প্রভাবের অধীন হওয়া উচিত নয়।

📝 58. বিচার বিভাগীয় সক্রিয়তা বলতে কী বোঝ?
✍️ উত্তর: বিচার বিভাগীয় সক্রিয়তা বলতে বোঝায় বিচার বিভাগের এমন একটি ভূমিকা যেখানে তারা শুধুমাত্র আইনানুগ বিচারিক কাজ করার পরিবর্তে জনগণের অধিকার ও সুবিচারের জন্য সক্রিয়ভাবে পদক্ষেপ নেয়।

📝 59. বিচার বিভাগীয় সমীক্ষা বলতে কী বোঝ?
✍️ উত্তর: বিচার বিভাগীয় সমীক্ষা বলতে বোঝায় বিচার বিভাগের সেই ক্ষমতা, যেখানে আদালত আইন বা সরকারের নির্বাহী বা প্রশাসনিক পদক্ষেপগুলিকে সংবিধানের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ কিনা তা যাচাই করে।

📝 60. ভারতীয় সংবিধানের বৈশিষ্ট্য লেখ।
✍️ উত্তর: ভারতীয় সংবিধানের বৈশিষ্ট্যগুলি হল—(১) বৃহত্তম লিখিত সংবিধান, (২) প্রস্তাবনার সংযোজন, (৩) যুক্তরাষ্ট্রীয় ও এককেন্দ্রিক ব্যবস্থার সংমিশ্রণ, (৪) সংসদীয় শাসন ব্যবস্থা, (৫) কতকগুলি মৌলিক অধিকার ও কর্তব্যের সংযোজন, (৬) রাষ্ট্র পরিচালনার নির্দেশমূলক নীতির সংযোজন, (৭) ধর্ম নিরপেক্ষতা, (৮) সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য বিশেষ সংরক্ষণ ব্যবস্থা ইত্যাদি।

📝 61. ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্রের মৌলিক বৈশিষ্ট্যগুলি কি?
✍️ উত্তর: ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্রে মৌলিক বৈশিষ্ট্যগুলি হল—(১) দু-ধরনের সরকার যথা—কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের উপস্থিতি, (২) একটি লিখিত ও দুষ্পরিবর্তনীয় সংবিধান, (৩) দু-ধরনের সরকারের মধ্যে ক্ষমতার বিভাজন, (৪) যুক্তরাষ্ট্রীয় আদালতের উপস্থিতি প্রভৃতি।

📝 62. যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা বলতে কী বোঝ?
✍️ উত্তর: যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা বলতে বোঝায় এমন একটি সরকার ব্যবস্থা যেখানে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে সংবিধানের মাধ্যমে ভাগ করা হয়।

📝 63. ভারতে কেন্দ্র ও অঙ্গরাজ্যগুলির মধ্যে কিভাবে ক্ষমতা বন্টন করা হয়েছে?
✍️ উত্তর: ভারতীয় সংবিধানের সপ্তম তফসিলে কেন্দ্র ও অঙ্গরাজ্যের মধ্যে ক্ষমতা বন্টন তিন ধরনের—কেন্দ্রীয় তালিকা, রাজ্য তালিকা ও যুগ্ম তালিকা। কেন্দ্রীয় তালিকার অন্তর্ভুক্ত বিষয়গুলিতে আইন প্রণয়নের অধিকার কেন্দ্রে থাকে। রাজ্য তালিকার অন্তর্ভুক্ত বিষয়গুলিতে আইন প্রণয়নের অধিকার রাজ্য আইনসভাগুলির। যুগ্ম তালিকায় কেন্দ্র ও রাজ্য উভয়ই আইন প্রণয়ন করতে পারে। এই তিন তালিকার বাইরে থাকা বিষয়গুলি সাধারণত কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণাধীন।

📝 64. কেন্দ্রীয় তালিকার অন্তর্ভুক্ত কয়েকটি বিষয় উল্লেখ কর।
✍️ উত্তর: কেন্দ্রীয় তালিকার অন্তর্ভুক্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলির মধ্যে রয়েছে—প্রতিরক্ষা, পররাষ্ট্র, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, মুদ্রাব্যবস্থা, রেল, ডাক ও তার, যুদ্ধ ও শান্তি, নির্বাচন, লোকগণনা ইত্যাদি।

📝 65. রাজ্য তালিকার অন্তর্ভুক্ত কয়েকটি বিষয় উল্লেখ কর।
✍️ উত্তর: রাজ্য তালিকার অন্তর্ভুক্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলির মধ্যে রয়েছে—পুলিশ, জনশৃঙ্খলা, স্থানীয় সরকার, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি, ভূমি, বাজার ও মেলা, সেচ ইত্যাদি।

<<<<<<<<<<<<<<<<🌹সমাপ্ত🌹>>>>>>>>>>> 

👉For pdf whatsapp-8250978714