✍️রচনাধর্মী প্রশ্নগুলির উত্তর দাও(প্রশ্নের মান:৩+২=৫):
১. নিউক্লিয়াসের ছবি আঁকো ও প্রধান চারটি অংশ চিহ্নিত করো।
উত্তর:
নিচে একটি নিউক্লিয়াসের চিত্র দেওয়া হলো, যেখানে এর প্রধান চারটি অংশ চিহ্নিত করা হয়েছে।
প্রধান চারটি অংশ:
প্রথমত, নিউক্লিয়ার মেমব্রেন (Nuclear Membrane)।
দ্বিতীয়ত, নিউক্লিওলাস (Nucleolus)।
তৃতীয়ত, ক্রোমাটিন (Chromatin)।
চতুর্থত, নিউক্লিয়োপ্লাজম (Nucleoplasm)।
২. অ্যানিলিডার তিনটি বৈশিষ্ট্য ও দুটি উদাহরণ দাও।
উত্তর:
প্রথমত, অ্যানিলিডা পর্বের প্রাণীদের দেহ অনেকগুলি রিং আকৃতির খণ্ড বা সেগমেন্ট নিয়ে গঠিত।
দ্বিতীয়ত, এদের দেহে স্বেচ্ছাসেচ্ছা কোষ (Setae) বা কাইটিনাস ব্রিস্টল থাকে যা চলাচলে সাহায্য করে।
তৃতীয়ত, এদের বন্ধ পরিপাকতন্ত্র ও একটি উন্নত স্নায়ুতন্ত্র থাকে।
উদাহরণ:
প্রথমত, কেঁচো (Earthworm)।
দ্বিতীয়ত, জোঁক (Leech)।
৩. প্যারেনকাইমা কলার তিনটি বৈশিষ্ট্য লেখো এবং দুটি কাজ লেখো।
উত্তর:
প্রথমত, প্যারেনকাইমা কলা পাতলা কোষ প্রাচীর বিশিষ্ট ও জীবিত কোষ নিয়ে গঠিত।
দ্বিতীয়ত, কোষগুলির মধ্যে যথেষ্ট ফাঁকা জায়গা থাকে, যা গ্যাস ও জল চলাচলে সাহায্য করে।
তৃতীয়ত, এটি মূলত উদ্ভিদের বৃদ্ধি ও পুষ্টি সঞ্চয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
কাজ:
প্রথমত, খাদ্য সঞ্চয় করা।
দ্বিতীয়ত, ফটোসিন্থেসিস প্রক্রিয়ায় সহায়তা করা।
৪. ট্যাক্সোনমির উপাদানগুলি আলোচনা করো। ধান ও আরশোলার বিজ্ঞানসম্মত নাম লেখো।
উত্তর:
ট্যাক্সোনমি হল জীবজগৎকে শ্রেণিবদ্ধ করার বিজ্ঞান। এর প্রধান উপাদানগুলি হলো—
প্রথমত, শ্রেণিবিন্যাস (Classification): জীবদের বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে বিভিন্ন শ্রেণিতে বিভক্ত করা হয়।
দ্বিতীয়ত, সনাক্তকরণ (Identification): নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে জীবকে চিহ্নিত করা হয়।
তৃতীয়ত, নামকরণ (Nomenclature): আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী জীবদের বিজ্ঞানসম্মত নামকরণ করা হয়।
চতুর্থত, বিবর্তনীয় সম্পর্ক (Phylogeny): জীবদের পূর্বপুরুষ ও বিবর্তনীয় ইতিহাস বিশ্লেষণ করা হয়।
ধানের বিজ্ঞানসম্মত নাম: Oryza sativa।
আরশোলার বিজ্ঞানসম্মত নাম: Periplaneta americana।
৫. নিউক্লিয়াসের গঠন চিত্রসহ চিহ্নিত করে আলোচনা করো।
উত্তর:
নিউক্লিয়াস হল ইউক্যারিওটিক কোষের নিয়ন্ত্রণকেন্দ্র, যেখানে জিনগত উপাদান সংরক্ষিত থাকে।
নিউক্লিয়াসের গঠন ও অংশ:
প্রথমত, নিউক্লিয়ার মেমব্রেন দ্বিস্তরযুক্ত গঠন, যা কোষের নিউক্লিয়াসকে আলাদা করে।
দ্বিতীয়ত, নিউক্লিয়োপ্লাজম একধরনের জেলি সদৃশ তরল পদার্থ, যেখানে নিউক্লিয়াসের অভ্যন্তরীণ অংশ থাকে।
তৃতীয়ত, ক্রোমাটিন ডিএনএ এবং প্রোটিন দিয়ে গঠিত, যা কোষ বিভাজনের সময় ক্রোমোসোম তৈরি করে।
চতুর্থত, নিউক্লিওলাস আরএনএ ও প্রোটিন দ্বারা গঠিত, যা রাইবোসোম গঠনে সাহায্য করে।
নিচের চিত্রে নিউক্লিয়াসের গঠন ও অংশগুলি চিহ্নিত করা হয়েছে।
৬. মাইটোকন্ড্রিয়ার গঠন বর্ণনা করো। ম্যাক্রোমলিকিউল ও মাইক্রোমলিকিউল-এর পার্থক্য লেখো।
উত্তর:
মাইটোকন্ড্রিয়া কোষের শক্তিকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত এবং এটি দ্বিস্তরযুক্ত ঝিল্লি দ্বারা আবৃত। এর গঠন নিম্নরূপ—
প্রথমত, বাইরের ঝিল্লি (Outer Membrane): এটি মাইটোকন্ড্রিয়াকে ঘিরে রাখে এবং বিভিন্ন এনজাইম ও প্রোটিন ধারণ করে।
দ্বিতীয়ত, ভিতরের ঝিল্লি (Inner Membrane): এটি ভাঁজযুক্ত (Cristae), যা এডেনোসিন ট্রাইফসফেট (ATP) উৎপাদনে সাহায্য করে।
তৃতীয়ত, ম্যাট্রিক্স (Matrix): এটি তরল পদার্থ, যেখানে ডিএনএ, রাইবোসোম ও এনজাইম থাকে।
ম্যাক্রোমলিকিউল ও মাইক্রোমলিকিউল-এর পার্থক্য:
প্রথমত, ম্যাক্রোমলিকিউল বড় আকারের জৈব অণু, যেমন প্রোটিন, নিউক্লিক অ্যাসিড, কার্বোহাইড্রেট ও লিপিড।
দ্বিতীয়ত, মাইক্রোমলিকিউল ক্ষুদ্র আকারের জৈব বা অজৈব অণু, যেমন অ্যামিনো অ্যাসিড, গ্লুকোজ, জল ও খনিজ পদার্থ।
৭. প্রোটোসেলের উৎপত্তি বর্ণনা করো। পেপটাইড বন্ধনী কাকে বলে ?
উত্তর:
প্রথমত, প্রোটোসেল হলো জীবনের শুরুর দিকে গঠিত প্রাথমিক কোষীয় গঠন, যা রাসায়নিক বিবর্তনের ফলে তৈরি হয়েছিল।
দ্বিতীয়ত, অপারিন ও হ্যালডেনের তত্ত্ব অনুসারে, প্রাথমিক পৃথিবীর মহাসাগরে জৈব অণুগুলি একত্রিত হয়ে প্রোটোবায়োন্ট তৈরি করেছিল, যা জীবনের সূচনা করেছিল।
পেপটাইড বন্ধনী:
পেপটাইড বন্ধনী হলো অ্যামিনো অ্যাসিডগুলোর মধ্যে উপস্থিত কোভ্যালেন্ট বন্ধন, যা প্রোটিন গঠনের জন্য দায়ী। এটি অ্যামিনো গ্রুপ (-NH₂) ও কার্বক্সিল গ্রুপ (-COOH) এর মধ্যে জল অপসারণের মাধ্যমে তৈরি হয়।
৮. নিউক্লিওটাইড কী? ভিটামিনের বৈশিষ্ট্য লেখো। কোন্ অ্যামাইনো অ্যাসিড থেকে ত্বকের মেলানিন রঞ্জক তৈরি হয় ?
উত্তর:
প্রথমত, নিউক্লিওটাইড হলো নিউক্লিক অ্যাসিড (DNA ও RNA)-এর গঠন একক, যা নাইট্রোজেনযুক্ত ক্ষারক, ফসফেট গ্রুপ ও পেন্টোজ সুগার নিয়ে গঠিত।
ভিটামিনের বৈশিষ্ট্য:
প্রথমত, ভিটামিন ক্ষুদ্র পরিমাণে প্রয়োজন হয়, কিন্তু শরীরের বিপাকীয় ক্রিয়াগুলিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
দ্বিতীয়ত, এগুলো শরীরে শক্তি উৎপন্ন করে না, তবে এনজাইমের সহকারী হিসেবে কাজ করে।
ত্বকের মেলানিন রঞ্জক তৈরি হয় যে অ্যামিনো অ্যাসিড থেকে:
টাইরোসিন (Tyrosine)।
৯. হেমিকর্ডাটার দুটি বৈশিষ্ট্য লেখো। জীবন কাকে বলে? ট্রাইগ্লিসারাইড কাকে বলে?
উত্তর:
হেমিকর্ডাটার বৈশিষ্ট্য:
প্রথমত, এদের দেহ তিন ভাগে বিভক্ত—প্রোসোমা, মেসোসোমা ও মেটাসোমা।
দ্বিতীয়ত, এদের স্টোমোকর্ড নামে একটি কাঠামো থাকে, যা কর্ডাটা পর্বের নটোকর্ডের সদৃশ।
জীবন:
জীবন হলো এমন এক অবস্থা, যেখানে কোষীয় সংগঠনের মাধ্যমে বিপাক, বৃদ্ধি, প্রজনন ও অভিযোজন ঘটে।
ট্রাইগ্লিসারাইড:
ট্রাইগ্লিসারাইড হলো একটি লিপিড, যা গ্লিসেরল ও তিনটি ফ্যাটি অ্যাসিড দ্বারা গঠিত। এটি শরীরে শক্তি সংরক্ষণের প্রধান উৎস।
১০. অগ্ন্যাশয়কে ‘মিশ্রগ্রন্থি' বলে কেন? বৃক্কের কাজ কী? নিউরাল ক্যানাল কোথায় থাকে?
উত্তর:
অগ্ন্যাশয়কে ‘মিশ্রগ্রন্থি' বলা হয় কারণ এটি একসঙ্গে বহিঃক্ষরগ্রন্থি ও অন্তঃক্ষরগ্রন্থি উভয় হিসেবে কাজ করে। এটি ইনসুলিন ও গ্লুকাগন নামক হরমোন নিঃসরণ করে (অন্তঃক্ষরগ্রন্থি) এবং পাচক রস উৎপন্ন করে (বহিঃক্ষরগ্রন্থি)।
বৃক্কের কাজ:
প্রথমত, রক্ত থেকে অতিরিক্ত জল, ইউরিয়া ও বর্জ্য পদার্থ অপসারণ করে প্রস্রাব তৈরি করে।
দ্বিতীয়ত, শরীরের জল ও ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্য রক্ষা করে।
নিউরাল ক্যানাল কোথায় থাকে:
নিউরাল ক্যানাল মেরুদণ্ডের অভ্যন্তরে অবস্থিত, যেখানে স্নায়ুরজ্জু (Spinal Cord) থাকে।
১১. ইডিওব্লাস্ট কাকে বলে? ইন্টারক্যালেটেড ডিস্ক কী? জটিল স্থায়ী কলা কাকে বলে?
উত্তর:
ইডিওব্লাস্ট: বিশেষ ধরনের কোষ, যা সাধারণ টিস্যুর ভেতরে স্বতন্ত্রভাবে অবস্থান করে এবং নির্দিষ্ট পদার্থ (যেমন ট্যানিন, ক্যালসিয়াম অক্সালেট) সংরক্ষণ করে।
ইন্টারক্যালেটেড ডিস্ক: হৃদযন্ত্রের পেশি কোষগুলোর মধ্যে অবস্থিত বিশেষ সংযোগ, যা সংকোচন প্রক্রিয়াকে সমন্বিত করে।
জটিল স্থায়ী কলা: একাধিক প্রকারের কোষ নিয়ে গঠিত স্থায়ী কলাকে জটিল স্থায়ী কলা বলে, যেমন জাইলেম ও ফ্লোএম।
১২. নিউক্লিয়াসের গঠন লেখো। সেন্ট্রিওলের কাজ কী?
উত্তর:
নিউক্লিয়াসের গঠন:
প্রথমত, নিউক্লিয়ার মেমব্রেন (Nuclear Membrane): এটি নিউক্লিয়াসকে ঘিরে রাখে এবং নিউক্লিওপ্লাজমের সুরক্ষা দেয়।
দ্বিতীয়ত, নিউক্লিওপ্লাজম (Nucleoplasm): এতে নিউক্লিওটাইড, এনজাইম ও ক্রোমাটিন উপস্থিত থাকে।
তৃতীয়ত, নিউক্লিওলাস (Nucleolus): এটি RNA ও রাইবোসোম সংশ্লেষণে সহায়ক।
চতুর্থত, ক্রোমাটিন (Chromatin): এটি DNA ও প্রোটিন দ্বারা গঠিত, যা কোষ বিভাজনের সময় ক্রোমোসোমে পরিণত হয়।
সেন্ট্রিওলের কাজ:
প্রথমত, কোষ বিভাজনের সময় স্পিন্ডল তন্তুর গঠন সৃষ্টি করা।
দ্বিতীয়ত, সিলিয়া ও ফ্ল্যাজেলা গঠনে সহায়তা করা।
১৩. ভিটামিনের বৈশিষ্ট্য লেখো। রাইবো নিউক্লিওটাইড কাকে বলে?
উত্তর:
ভিটামিনের বৈশিষ্ট্য:
প্রথমত, এটি শরীরের বিপাকীয় ক্রিয়াগুলিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
দ্বিতীয়ত, শক্তি উৎপাদন করে না কিন্তু এনজাইমের সহকারী হিসেবে কাজ করে।
রাইবো নিউক্লিওটাইড:
রাইবো নিউক্লিওটাইড হলো RNA-এর মৌলিক একক, যা নাইট্রোজেনযুক্ত ক্ষারক, রাইবোজ সুগার ও ফসফেট গ্রুপ নিয়ে গঠিত।
১৪. কনড্রিকথিস শ্রেণিকে অস্টিথিস থেকে কীভাবে পৃথক করবে? মোলাস্কা পর্বের তিনটি বৈশিষ্ট্য লেখো।
উত্তর:
কনড্রিকথিস ও অস্টিথিস-এর পার্থক্য:
প্রথমত, কনড্রিকথিস (Cartilaginous Fish) এর কঙ্কাল মূলত তরুণাস্থি (Cartilage) দ্বারা গঠিত, যেমন হাঙ্গর।
দ্বিতীয়ত, অস্টিথিস (Bony Fish) এর কঙ্কাল হাড় দ্বারা গঠিত, যেমন রুই মাছ।
মোলাস্কা পর্বের বৈশিষ্ট্য:
প্রথমত, নরম শরীরযুক্ত ও সাধারণত খোলকের দ্বারা আবৃত।
দ্বিতীয়ত, এদের দেহ তিনটি ভাগে বিভক্ত—মাথা, পা ও ভিসারাল মাস।
তৃতীয়ত, শ্বসনের জন্য গিল বা ম্যান্টল ক্যাভিটি থাকে।
১৫. মোনেরার শনাক্তকারী বৈশিষ্ট্য লেখো। বায়োমেট্রি কাকে বলে?
উত্তর:
মোনেরার শনাক্তকারী বৈশিষ্ট্য:
প্রথমত, এককোষী প্রোক্যারিওটিক জীব, যেমন ব্যাকটেরিয়া।
দ্বিতীয়ত, নিউক্লিয়াস অনুপস্থিত এবং DNA নিউক্লিওয়েড অঞ্চলে থাকে।
বায়োমেট্রি:
বায়োমেট্রি হলো জীবদেহের শারীরিক বা আচরণগত বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণের মাধ্যমে ব্যক্তিগত পরিচয় শনাক্ত করার প্রযুক্তি, যেমন ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা আইরিস স্ক্যান।
১৬. টেরিডোফাইটার বৈশিষ্ট্য লেখো। ব্যক্তবীজী ও গুপ্তবীজীর মধ্যে পার্থক্য লেখো।
উত্তর:
টেরিডোফাইটার বৈশিষ্ট্য:
১. এটি বৃক্ষহীন ভাস্কুলার উদ্ভিদ, যার সত্যিকারের মূল, কান্ড ও পাতার উপস্থিতি দেখা যায়।
২. এদের জীবচক্রে স্পোরোফাইট প্রভাবশালী পর্ব।
৩. স্পোর দ্বারা বংশবিস্তার করে এবং ফুল বা ফল তৈরি করে না।
ব্যক্তবীজী ও গুপ্তবীজীর মধ্যে পার্থক্য:
১. ব্যক্তবীজী (Gymnosperm)-এর বীজ খোলার মধ্যে আবৃত থাকে না, যেমন দেবদারু।
২. গুপ্তবীজী (Angiosperm)-এর বীজ ফলের অভ্যন্তরে সুরক্ষিত থাকে, যেমন আমগাছ।
১৭. ‘কোশের মস্তিষ্ক’ কোন্ কোশ অঙ্গাণুকে বলা হয়? এর গঠন ও কাজ লেখো।
উত্তর:
‘কোশের মস্তিষ্ক’ মাইটোকনড্রিয়াকে বলা হয়, কারণ এটি কোষের শক্তি উৎপাদনের কেন্দ্র।
গঠন:
১. ডাবল মেমব্রেন দ্বারা আবৃত, যার বাইরের মেমব্রেন মসৃণ এবং ভেতরের মেমব্রেন ক্রিস্টে নামে ভাঁজযুক্ত।
২. ভিতরে ম্যাট্রিক্স থাকে, যেখানে এনজাইম, DNA ও রাইবোসোম থাকে।
কাজ:
১. এটিপি (ATP) উৎপন্ন করে, যা কোষের শক্তির প্রধান উৎস।
২. কোষের বিপাকীয় কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
১৮. দ্বিপদ নামকরণের নিয়মগুলি লেখো। প্রোটোসেল ও হট্ ডাইল্যুট তরল কী?
উত্তর:
দ্বিপদ নামকরণের নিয়ম:
১. প্রতিটি জীবের বৈজ্ঞানিক নাম দুই অংশের হয়—প্রথমটি গণের (Genus) নাম ও দ্বিতীয়টি প্রজাতির (Species) নাম।
২. বৈজ্ঞানিক নাম ল্যাটিন ভাষায় হয় এবং এটি ইটালিক বা আন্ডারলাইন করা হয়।
প্রোটোসেল:
আদিম কোষীয় গঠন, যা রাসায়নিক বিবর্তনের মাধ্যমে জীবনের সূচনা ঘটাতে পারে।
হট্ ডাইল্যুট তরল:
প্রাচীন পৃথিবীতে সমুদ্রের উষ্ণ তরল, যেখানে বিভিন্ন জৈব অণুর সংশ্লেষ ঘটেছিল।
১৯. জাইলেম ও ফ্লোয়েমের মধ্যে পার্থক্য লেখো। পেপটাইড বন্ধন কী? GERL তন্ত্র কী?
উত্তর:
জাইলেম ও ফ্লোয়েমের পার্থক্য:
১. জাইলেম পানির পরিবহন করে, আর ফ্লোয়েম খাদ্য পরিবহন করে।
২. জাইলেম মৃত কোষ নিয়ে গঠিত, আর ফ্লোয়েম জীবিত কোষ নিয়ে গঠিত।
পেপটাইড বন্ধন:
দুই অ্যামিনো অ্যাসিডের অ্যামিনো গ্রুপ ও কার্বক্সিল গ্রুপের মধ্যে গঠিত কোভ্যালেন্ট বন্ধন।
GERL তন্ত্র:
গলগি বডি (Golgi Apparatus), এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকুলাম (ER) এবং লাইসোসোমের সম্মিলিত কাঠামো।
২০. মস্তিষ্ক ও সুষুম্নাকাণ্ডের মধ্যে পার্থক্য লেখো। টেস্টোস্টেরন ও প্রোজেস্টেরনের উৎস লেখো।
উত্তর:
মস্তিষ্ক ও সুষুম্নাকাণ্ডের পার্থক্য:
১. মস্তিষ্ক কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের প্রধান নিয়ন্ত্রণকেন্দ্র, আর সুষুম্নাকাণ্ড রিফ্লেক্স ক্রিয়ার জন্য দায়ী।
২. মস্তিষ্ক মাথার খুলি দ্বারা সুরক্ষিত, আর সুষুম্নাকাণ্ড মেরুদণ্ডের ভিতরে অবস্থিত।
টেস্টোস্টেরন ও প্রোজেস্টেরনের উৎস:
টেস্টোস্টেরন উৎপন্ন হয় শুক্রাশয়ে (Testes), এবং প্রোজেস্টেরন উৎপন্ন হয় ডিম্বাশয়ে (Ovaries)।
২১. কোশপর্দার ‘তরল মোজেইক মডেল'-টি বর্ণনা করো। কোশপর্দার সঙ্গে কোশপ্রাচীরের চারটি পার্থক্য উল্লেখ করো।
উত্তর:
তরল মোজেইক মডেল:
১. ১৯৭২ সালে সিঙ্গার ও নিকোলসন কোশপর্দার গঠন ব্যাখ্যা করতে ‘Fluid Mosaic Model’ প্রস্তাব করেন।
২. কোশপর্দাটি প্রধানত ফসফোলিপিড দ্বিস্তর দ্বারা গঠিত, যা তরল প্রকৃতির এবং এতে বিভিন্ন প্রোটিন ছড়িয়ে থাকে।
৩. লিপিড অণুগুলি গতিশীল এবং প্রোটিন অণুগুলি ম্যানোজেইকের মতো বিন্যস্ত থাকে।
কোশপর্দা ও কোশপ্রাচীরের মধ্যে পার্থক্য:
১. কোশপর্দা নমনীয়, আর কোশপ্রাচীর দৃঢ়।
২. কোশপর্দা প্রতিটি কোষে থাকে, কিন্তু কোশপ্রাচীর শুধুমাত্র উদ্ভিদ, ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাকে পাওয়া যায়।
৩. কোশপর্দা আধা-পারগম্য, কিন্তু কোশপ্রাচীর সম্পূর্ণভাবে পারগম্য।
৪. কোশপর্দার মূল উপাদান ফসফোলিপিড ও প্রোটিন, কিন্তু কোশপ্রাচীর প্রধানত সেলুলোজ ও পেকটিন দ্বারা গঠিত।
২২. মিশ্রগ্রন্থি হিসেবে অগ্ন্যাশয়ের কাজ উল্লেখ করো। মানুষের ক্ষেত্রে গুরুমস্তিষ্ক কী কী কাজ করে?
উত্তর:
অগ্ন্যাশয়ের মিশ্রগ্রন্থির কাজ:
১. এক্সোক্রাইন কাজ: পাচক এনজাইম (অ্যামিলেজ, লাইপেজ, ট্রিপসিন) উৎপন্ন করে।
২. এন্ডোক্রাইন কাজ: ইনসুলিন ও গ্লুকাগন নামক হরমোন উৎপন্ন করে, যা রক্তের গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণ করে।
গুরুমস্তিষ্কের কাজ:
১. বুদ্ধি, চিন্তা ও স্মৃতি নিয়ন্ত্রণ করা।
২. ইন্দ্রিয় অঙ্গগুলির সংকেত গ্রহণ ও প্রতিক্রিয়া তৈরি করা।
৩. চলাচল ও ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করা।
৪. আবেগ ও অনুভূতির প্রকাশ ঘটানো।
২৩. স্তন্যপায়ী প্রাণীদের চারটি বৈশিষ্ট্য লেখো। স্টোমোকর্ড কোন্ পর্বের বৈশিষ্ট্য? উদাহরণ দাও।
উত্তর:
স্তন্যপায়ী প্রাণীদের বৈশিষ্ট্য:
১. দুধ উৎপাদনের জন্য স্তন্যগ্রন্থি থাকে।
২. দেহ লোম বা চুল দ্বারা আবৃত থাকে।
৩. হৃদপিণ্ড চারকোঠরবিশিষ্ট।
৪. উষ্ণ রক্তবিশিষ্ট এবং উন্নত স্নায়ুতন্ত্র থাকে।
স্টোমোকর্ড:
হেমিকর্ডাটা (Hemichordata) পর্বের বৈশিষ্ট্য, যা অন্ত্রের ছাদ থেকে গঠিত একটি কাঠামো।
উদাহরণ:
ব্যালানোগ্লসাস (Balanoglossus) ও স্যাকোগ্লসাস (Saccoglossus)।
২৪. সালোকসংশ্লেষকারী কোশ অঙ্গাণুটির অন্তর্গঠনের চিত্র অঙ্কন করে চারটি অংশ চিহ্নিত করো।
উত্তর:
সালোকসংশ্লেষকারী কোশ অঙ্গাণু হলো ক্লোরোপ্লাস্ট। এর প্রধান চারটি অংশ:
১. গ্রানাম
২. স্ট্রোমা
৩. থাইলাকয়েড
৪. বাইরের ও ভেতরের মেমব্রেন
২৫. স্তন্যপায়ী শ্রেণির তিনটি প্রধান বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো। 'সব কর্ডাটা মেরুদণ্ডী নয়” কেন?
উত্তর:
স্তন্যপায়ী শ্রেণির বৈশিষ্ট্য:
১. স্তন্যগ্রন্থি দ্বারা দুধ উৎপন্ন করে।
২. হৃদপিণ্ড চারকোঠরবিশিষ্ট ও উষ্ণ রক্তবিশিষ্ট।
৩. লোম বা চুল দ্বারা আবৃত দেহ।
'সব কর্ডাটা মেরুদণ্ডী নয়' কারণ:
কর্ডাটা পর্বের সকল প্রাণীর নটোকর্ড থাকে, তবে এটি সবসময় মেরুদণ্ডে রূপান্তরিত হয় না। উদাহরণস্বরূপ, টিউনিকেট ও ব্যালানোগ্লসাস কর্ডাটা পর্বের হলেও মেরুদণ্ডী নয়।
২৬. একটি ইউক্যারিওটিক নিউক্লিয়াসের পরিচ্ছন্ন চিত্র অঙ্কন করে চারটি অংশ চিহ্নিত করো।
উত্তর:
ইউক্যারিওটিক নিউক্লিয়াসের প্রধান চারটি অংশ:
১. নিউক্লিয়ার মেমব্রেন
২. নিউক্লিওলাস
৩. ক্রোমাটিন
৪. নিউক্লিয়ার পোর
২৭. দ্বিপদ নামকরণ কাকে বলে? দ্বিপদ নামকরণের চারটি নিয়ম লেখো। দ্বিপদ নামকরণের গুরুত্ব কী?
উত্তর:
দ্বিপদ নামকরণ:
প্রত্যেক জীবের একটি বৈজ্ঞানিক নাম থাকে, যা দুটি অংশ নিয়ে গঠিত—প্রথমটি গণ (Genus) ও দ্বিতীয়টি প্রজাতি (Species)। এটি কার্ল লিনিয়াস প্রস্তাব করেন।
চারটি নিয়ম:
১. নামকরণ ল্যাটিন ভাষায় হয়।
২. প্রথম শব্দের প্রথম অক্ষর বড় হাতের, দ্বিতীয় শব্দের অক্ষর ছোট হাতের হয়।
৩. এটি ইটালিক বা আন্ডারলাইন করে লেখা হয়।
৪. একই নাম বিশ্বের সকল জীববিজ্ঞানীরা স্বীকৃতি দেন।
গুরুত্ব:
১. বৈজ্ঞানিক নাম দ্বারা বিশ্বব্যাপী একক পদ্ধতিতে জীব শনাক্ত করা যায়।
২. একই প্রাণীর জন্য বিভিন্ন অঞ্চলে ভিন্ন ভিন্ন নামের সমস্যা দূর হয়।
৩. জীবের শ্রেণিবিন্যাস সহজ হয়।
৪. বিবর্তনগত সম্পর্ক বোঝা যায়।
২৮. রুইমাছকে কি কনড্রিকথিস শ্রেণিভুক্ত করা যায়—যুক্তিসহ ব্যাখ্যা করো। দ্বিপদ নামকরণ কাকে বলে ও এর নিয়মাবলি লেখো।
উত্তর:
রুইমাছ কনড্রিকথিস শ্রেণিভুক্ত নয়:
১. কনড্রিকথিস শ্রেণির মাছের কঙ্কাল প্রধানত cartilage (উপাস্থি) দ্বারা গঠিত, যেমন হাঙর ও রে মাছ।
২. রুইমাছ (Labeo rohita) একটি অস্টিকথিস শ্রেণির মাছ, যার কঙ্কাল হাড় দ্বারা গঠিত।
৩. কনড্রিকথিস শ্রেণির মাছের গিলস্লিট ঢাকা থাকে না, কিন্তু রুইমাছের থাকে।
৪. তাই, রুইমাছ কনড্রিকথিস নয়, এটি অস্টিকথিস শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত।
দ্বিপদ নামকরণ:
প্রত্যেক জীবের একটি বৈজ্ঞানিক নাম থাকে, যা দুটি অংশ নিয়ে গঠিত—প্রথমটি গণ (Genus) ও দ্বিতীয়টি প্রজাতি (Species)। এটি কার্ল লিনিয়াস প্রস্তাব করেন।
নিয়মাবলি:
১. নাম ল্যাটিন ভাষায় হয়।
২. প্রথম শব্দের প্রথম অক্ষর বড় হাতের, দ্বিতীয় শব্দ ছোট হাতের হয়।
৩. নামটি ইটালিক বা আন্ডারলাইন করে লেখা হয়।
৪. একই নাম সকল বিজ্ঞানীর স্বীকৃত।
২৯. মনেরার উদাহরণসহ বৈশিষ্ট্য লেখো। ব্যক্তবীজী ও গুপ্তবীজীর মধ্যে পার্থক্য লেখো।
উত্তর:
মনেরার বৈশিষ্ট্য:
১. এককোষী ও প্রোক্যারিওটিক প্রাণী।
২. নিউক্লিয়াসের আবরণ থাকে না।
৩. অঙ্গাণুগুলি অনুপস্থিত।
৪. কিছু অটোট্রফিক, কিছু হেটেরোট্রফিক।
৫. উদাহরণ: ব্যাকটেরিয়া (E. coli), নীল-সবুজ শৈবাল (Nostoc)।
ব্যক্তবীজী ও গুপ্তবীজীর মধ্যে পার্থক্য:
১. ব্যক্তবীজীর বীজ নগ্ন অবস্থায় থাকে, কিন্তু গুপ্তবীজীর বীজ ফলের অভ্যন্তরে থাকে।
২. ব্যক্তবীজীদের ফুল ও ফল হয় না, কিন্তু গুপ্তবীজীদের হয়।
৩. ব্যক্তবীজী উদ্ভিদের সাধারণত সূঁচাকার পাতা থাকে, কিন্তু গুপ্তবীজীদের বিভিন্ন ধরনের পাতা থাকে।
৪. ব্যক্তবীজী উদাহরণ: সাইপ্রাস, দেবদারু। গুপ্তবীজী উদাহরণ: আম, ধান।
৩০. প্রোক্যারিওটিক ও ইউক্যারিওটিক কোশের মধ্যে পার্থক্য লেখো। উদ্ভিদের কোন্ কলাকে মৃতকলা বলে এবং কেন?
উত্তর:
প্রোক্যারিওটিক ও ইউক্যারিওটিক কোশের পার্থক্য:
১. প্রোক্যারিওটিক কোষে সুগঠিত নিউক্লিয়াস নেই, কিন্তু ইউক্যারিওটিক কোষে নিউক্লিয়ার মেমব্রেন দ্বারা আবৃত নিউক্লিয়াস থাকে।
২. প্রোক্যারিওটিক কোষ ছোট (১-১০ মাইক্রোমিটার), ইউক্যারিওটিক কোষ বড় (১০-১০০ মাইক্রোমিটার)।
৩. প্রোক্যারিওটিক কোষে ঝিল্লিবদ্ধ অঙ্গাণু থাকে না, কিন্তু ইউক্যারিওটিক কোষে মাইটোকন্ড্রিয়া, গলগি বডি ইত্যাদি থাকে।
৪. প্রোক্যারিওটিক কোষের উদাহরণ: ব্যাকটেরিয়া, সায়ানোব্যাকটেরিয়া। ইউক্যারিওটিক কোষের উদাহরণ: প্রাণী ও উদ্ভিদ কোষ।
মৃতকলা:
১. স্ক্লেরেনকাইমা কলাকে মৃতকলা বলা হয়।
২. এটি উদ্ভিদকে কাঠিন্য ও শক্তি প্রদান করে।
৩. কোষগুলির সাইটোপ্লাজম থাকে না, এবং কোষপ্রাচীর লিগনিনযুক্ত হয়।
৩১. চিহ্নিত চিত্রের সাহায্যে কোশপর্দার ফ্লুইড মোজেইক মডেলটির গঠন বর্ণনা করো।
উত্তর:
ফ্লুইড মোজেইক মডেলটি ১৯৭২ সালে সিঙ্গার ও নিকোলসন দ্বারা প্রস্তাবিত হয়।
১. এটি প্রধানত ফসফোলিপিড দ্বিস্তর দ্বারা গঠিত, যা তরল প্রকৃতির।
2. লিপিড অণুগুলি চলাচল করতে পারে, ফলে কোশপর্দা নমনীয় হয়।
3. প্রোটিন অণুগুলি মোজেইকের মতো ছড়িয়ে থাকে এবং পরিবহন, সংকেত গ্রহণ, ও গঠনগত সহায়তা দেয়।
4. কোলেস্টেরল কোশপর্দার স্থিতিশীলতা বজায় রাখে।
5. গ্লাইকোলিপিড ও গ্লাইকোপ্রোটিন কোশের সনাক্তকরণে সাহায্য করে।
৩২. কোলেনকাইমা ও স্ক্লেরেনকাইমা কলার বৈশিষ্ট্য ও কাজ লেখো।
উত্তর:
কোলেনকাইমা কলার বৈশিষ্ট্য:
১. এটি একটি জীবিত স্থায়ী কলা।
২. কোষপ্রাচীর প্রধানত সেলুলোজ ও পেকটিন দ্বারা গঠিত।
৩. কোষগুলি লম্বাটে ও ঘনসন্নিবিষ্ট থাকে।
৪. এটি উদ্ভিদের নমনীয়তা ও যান্ত্রিক শক্তি প্রদান করে।
কাজ:
১. কান্ড ও পাতায় কাঠিন্য ও শক্তি প্রদান করে।
২. তরুণ কান্ড ও পাতার বৃদ্ধি ও নমনীয়তা বজায় রাখে।
স্ক্লেরেনকাইমা কলার বৈশিষ্ট্য:
১. এটি একটি মৃত স্থায়ী কলা।
২. কোষপ্রাচীর পুরু ও লিগনিনযুক্ত।
৩. কোষগুলি সাধারণত দীর্ঘ ও সংকীর্ণ হয়।
৪. এটি প্রধানত যান্ত্রিক শক্তি প্রদান করে।
কাজ:
১. উদ্ভিদের কাঠিন্য ও শক্তি প্রদান করে।
২. জল পরিবহনে সাহায্য করে (স্ক্লেরেনকাইমার ট্রাকেইড ও ফাইবার)।
৩৩. ক্লোরোপ্লাসটিডের চিহ্নিত চিত্রসহ বর্ণনা করো।
উত্তর:
ক্লোরোপ্লাস্ট উদ্ভিদ কোষের সালোকসংশ্লেষী অঙ্গাণু।
বৈশিষ্ট্য:
১. এটি দ্বিস্তরযুক্ত ঝিল্লি দ্বারা আবৃত।
২. ভেতরে থাইলাকয়েড নামক স্তরযুক্ত গঠন থাকে, যা গ্রানাম গঠন করে।
৩. স্ট্রোমা অংশে সালোকসংশ্লেষণকারী এনজাইম থাকে।
৪. এতে ক্লোরোফিল পিগমেন্ট থাকে, যা আলোর শক্তি গ্রহণ করে।
কাজ:
১. সালোকসংশ্লেষণের মাধ্যমে খাদ্য তৈরি করে।
২. অক্সিজেন উৎপাদন ও পরিবেশের গ্যাসীয় ভারসাম্য বজায় রাখে।
৩৪. মোলাস্কা পর্বের প্রাণীদের দুটি সাধারণ শনাক্তকারী বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো। অ্যানিলিডা ও আর্থ্রোপোডা পর্বের মধ্যে পার্থক্য লেখো।
উত্তর:
মোলাস্কা পর্বের শনাক্তকারী বৈশিষ্ট্য:
১. দেহ নরম ও সাধারণত শামুকের মতো খোলকযুক্ত।
২. দেহে ম্যান্টল, ফুট ও ভিসেরাল মাস থাকে।
অ্যানিলিডা ও আর্থ্রোপোডা পর্বের পার্থক্য:
বৈশিষ্ট্য | অ্যানিলিডা | আর্থ্রোপোডা |
---|---|---|
দেহের গঠন | নরম ও বিভক্ত খণ্ডযুক্ত | বহিঃকঙ্কল যুক্ত ও খণ্ডযুক্ত |
চলনের অঙ্গ | ব্রিস্টল বা প্যারাপোডিয়া | যুগ্ম পদ (Jointed appendages) |
রক্ত সংবহন | খোলা নয়, বন্ধ সংবহনতন্ত্র | সাধারণত খোলা সংবহনতন্ত্র |
উদাহরণ | কেঁচো, জোঁক | পোকামাকড়, কাঁকড়া |
<<<<<<<<<<<<<<🌹 সমাপ্ত 🌹>>>>>>>>>>>>