🌹বি.এ সেমিষ্টার-৪::মেজর বাংলা(পেপার-২)সাজেশন(PART-1)🌹

✍️প্রশ্নের মান-২:

📝 ১. সূর্পণখা লক্ষ্মণকে কোন্ কোন্ দেবতার সঙ্গে সাদৃশ্য সম্পর্ক উল্লেখ করেছে?

✅ উত্তর: সূর্পণখা লক্ষ্মণকে বৈশ্বানর, মৈনাক ও কন্দর্পের সঙ্গে সাদৃশ্য সম্পর্ক উল্লেখ করেছে।

---

📝 ২. সূর্পণখার পরিচয় কী?
✅ উত্তর: সূর্পণখা মহর্ষি বিশ্বশ্রবা ও নিকষার কন্যা, লঙ্কেশ্বর রাবণের ভগিনী।

---

📝 ৩. সূর্পণখা লক্ষ্মণকে তুষ্ট করতে কী কী প্রতিশ্রুতি দিয়েছে?
✅ উত্তর: সূর্পণখা লক্ষ্মণকে তুষ্ট করতে তাঁর যে কোনো মনোবাসনা পূর্ণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। হৃতরাজ্য জয় করতে চাইলে বিজয়িনী সেনা দিতে চেয়েছিল। প্রেমে ব্যর্থ হলে মনোদুঃখে সেবা করার কথাও বলেছিল। এমনকি রাজভোগ, অট্টালিকা ও বনবাসিনীর পোশাকের ব্যবস্থার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিল।

---

📝 ৪. সূর্পণখা পত্রিকায় উল্লিখিত মৈনাক কে?
✅ উত্তর: মৈনাক হিমালয় ও মেনকার একমাত্র পুত্র। মেনকার পুত্র হওয়ায় তাঁর নাম মৈনাক।

---

📝 ৫. ‘বীরাঙ্গনা কাব্যে’র একাদশ পত্রিকার নাম কী?
✅ উত্তর: ‘বীরাঙ্গনা কাব্যের’ একাদশ পত্রিকার নাম ‘নীলধ্বজের প্রতি জনা’।

---

📝 ৬. জনা কে? কোন্ কাব্যে জনার বৃত্তান্ত আছে?
✅ উত্তর: জনা মাহেশ্বরীপুরীর রানী, রাজা নীলধ্বজের স্ত্রী ও যুবরাজ প্রবীরের জননী। মহাভারতের অশ্বমেধ পর্বে জনার বৃত্তান্ত উল্লেখ রয়েছে।

---

📝 ৭. মধুসূদন কোন্ উৎস থেকে জনা কাহিনী গ্রহণ করেন?
✅ উত্তর: মধুসূদন জৈমিনি ভারত ও কাশীরাম দাসের মহাভারত থেকে জনার কাহিনী গ্রহণ করেছেন।

---

📝 ৮. জনা কেন নীলধ্বজকে পত্র লেখেন?
✅ উত্তর: অর্জুনের সঙ্গে যুদ্ধে পুত্র প্রবীর নিহত হলেও নীলধ্বজ অর্জুনকে দণ্ড না দিয়ে তাঁর সঙ্গে সন্ধি করেছিলেন বলে ক্ষুব্ধ জনা স্বামীকে পত্র লেখেন।

---

📝 ৯. নীলধ্বজের প্রতি জনার ক্ষোভ কেন?
✅ উত্তর: নীলধ্বজ ক্ষত্রিয় হয়েও ক্ষত্রিয় ধর্ম পালন না করে পুত্রহন্তা অর্জুনকে অতিথি হিসেবে বরণ করেছেন, তাই জনার ক্ষোভ তাঁর প্রতি।

---

📝 ১০. জনা তাঁর পত্রিকায় কার কার চরিত্র নিয়ে কুৎসিত ইঙ্গিত করেছেন?
✅ উত্তর: জনা তাঁর পত্রিকায় কুন্তীকে কুলটা, ব্যাসকে ভ্রাতৃবধূগামী, দ্রৌপদীকে ভ্রষ্টা রমণী ও অর্জুনকে দুর্মতি কপটাচারী বলে কুৎসিত ইঙ্গিত করেছেন।

---

📝 ১১. পত্রিকার শেষে জনা কোন্ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন?
✅ উত্তর: পত্রিকার শেষে জনা জানিয়েছেন, তিনি জাহ্নবীর জলে প্রাণ বিসর্জন দেবেন—এটাই ছিল রাজার প্রতি তাঁর শেষ বিদায় বার্তা।

📝 ১২. 'কি লজ্জা! কেমনে তুই, রে পোড়া লেখনি, / লিখিলি এ পাপ কথা.....' — কোন পত্রিকার অংশ? ‘পাপ কথা’ কী?
✅ উত্তর: এই উক্তিটি ‘সোমের প্রতি তারা’ পত্রিকার অংশ। ‘পাপ কথা’ বলতে বোঝানো হয়েছে, গুরুপত্নী হয়েও তারা-দেবী সন্তানতুল্য সোমের পদসেবা ও প্রণয় প্রকাশের কথা।

---

📝 ১৩. ‘দশরথের প্রতি কেকয়ী’ পত্রিকাটি ‘বীরাঙ্গনা কাব্যে’র কত নম্বর সর্গ?
✅ উত্তর: ‘দশরথের প্রতি কেকয়ী’ পত্রিকাটি ‘বীরাঙ্গনা কাব্যে’র চতুর্থ সর্গ।

---

📝 ১৪. রাজর্ষি দশরথ কেকয়ী দেবীর কাছে কোন্ প্রতিজ্ঞা করেছিলেন?
✅ উত্তর: রাজর্ষি দশরথ কেকয়ী দেবীকে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যে, তাঁর গর্ভজাত পুত্রকেই যুবরাজ পদে অভিষিক্ত করবেন।

---

📝 ১৫. রামায়ণের কৈকেয়ীর তুলনায় মধুসূদনের কেকয়ীর অভিনবত্ব কোথায়?
✅ উত্তর: মধুসূদনের কেকয়ী রামায়ণের কৈকেয়ীর তুলনায় অধিক যুক্তিবাদী, ব্যক্তিত্বসম্পন্ন ও আত্মসচেতন। তাঁর মধ্যে রাজনৈতিক বুদ্ধি, আত্মমর্যাদা এবং রাজাকে ‘ব্ল্যাকমেইল’ করার মানসিকতা স্পষ্ট।

---

📝 ১৬. ‘এ কি কথা শুনি আজ মন্থরার মুখে, / রঘুরাজ?’ — কে, কথাটা কী? মন্থরা কে? রঘুরাজ কে?
✅ উত্তর: ‘মন্থরা’ কেকয়ীর দাসীর নাম, আর ‘রঘুরাজ’ হলেন রাজা দশরথ। কথাটি যুবরাজ পদে রামচন্দ্রের অভিষেকের আয়োজনের সংবাদ।

---

📝 ১৭. কৈকয়ী দশরথের পুরী ছাড়তে চেয়ে নিজপুত্র ভরতের লালন-পালনের জন্য কোন্ ব্যবস্থা করতে চেয়েছেন?
✅ উত্তর: কৈকয়ী দশরথের রাজপুরী ত্যাগ করতে চেয়ে নিজের পুত্র ভরতকে তাঁর পিতামাতার আলয়ে রেখে লালন-পালনের ব্যবস্থা করতে চেয়েছেন।

---

📝 ১৮. কৈকয়ী দশরথের রাজপুরী ত্যাগ করে গিয়ে কী করতে চেয়েছেন?
✅ উত্তর: কৈকয়ী দশরথের রাজপুরী ত্যাগ করে গিয়ে সর্বত্র প্রচার করতে চেয়েছেন যে—‘পরম অধর্মাচারী রঘুকুলপতি’। অর্থাৎ, তিনি দশরথের অন্যায় কর্মকাণ্ড সবার কাছে প্রকাশ করতে চেয়েছেন।

---

📝 ১৯. ‘পরম অধর্মাচারী রঘুকুল পতি।’ — চরণটি পত্রিকায় কতবার ব্যবহৃত হয়েছে?
✅ উত্তর: ‘পরম অধর্মাচারী রঘুকুল পতি।’ — এই চরণটি পত্রিকায় মোট ছয়বার ব্যবহৃত হয়েছে।

---

📝 ২০. ‘বীরাঙ্গনা কাব্যে’র পঞ্চম সর্গে কার পত্রিকা স্থান পেয়েছে?
✅ উত্তর: ‘বীরাঙ্গনা কাব্যে’র পঞ্চম সর্গে সূর্পণখার পত্রিকা স্থান পেয়েছে।

---

📝 ২১. ‘লক্ষণের প্রতি সূর্পণখা’ পত্রিকার বিষয় কী?
✅ উত্তর: ‘লক্ষণের প্রতি সূর্পণখা’ পত্রিকার বিষয় প্রেম, প্রণয়ের নিবেদন ও ব্যাকুলতার প্রকাশ।

---

📝 ২২. দাসী রাজভোগ যোগালে সূর্পণখা মুখ ফিরিয়ে কাঁদে কেন?
✅ উত্তর: সূর্পণখা যার প্রেমে পড়েছে, সেই লক্ষ্মণ অরণ্যে বাস করেন, ফলমূল আহার করেন—এই চিন্তায় রাজভোগ মুখে তুলতে পারে না, তাই মুখ ফিরিয়ে কেঁদে ওঠে।

📝 ২৩. ‘বীরাঙ্গনা কাব্য’ কত সালে প্রকাশিত হয়েছিল?
✅ উত্তর: ‘বীরাঙ্গনা কাব্য’ ১৮৬২ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত হয়।

---

📝 ২৪. ‘বীরাঙ্গনা কাব্য’ কী জাতীয় কাব্য?
✅ উত্তর: ‘বীরাঙ্গনা কাব্য’ একটি পত্র কাব্য, অর্থাৎ চিঠির আকারে রচিত কাব্য। এই ধরণের কাব্য রচনার প্রবর্তক ছিলেন মধুসূদন।

---

📝 ২৫. ‘বীরাঙ্গনা কাব্য’ কাকে উৎসর্গ করা হয়েছিল?
✅ উত্তর: ‘বীরাঙ্গনা কাব্য’ উৎসর্গ করা হয়েছিল বিদ্যাসাগর মহাশয়কে—যিনি মধুসূদনের সাহিত্যজীবনের প্রেরণাস্বরূপ।

---

📝 ২৬. কোন পাশ্চাত্য কবির কোন্ কাব্যের প্রভাবে ‘বীরাঙ্গনা কাব্য’ রচিত?
✅ উত্তর: গ্রীক কবি ওভিদ (Ovid)-এর ‘Heroides’ বা ‘Heroic Epistles’ কাব্যের প্রভাবে মধুসূদন ‘বীরাঙ্গনা কাব্য’ রচনা করেন।

---

📝 ২৭. মধুসূদন কোন্ কোন্ পত্রিকার খসড়া করলেও সম্পূর্ণ করতে পারেননি?
✅ উত্তর: মধুসূদন ‘ধৃতরাষ্ট্রের প্রতি গান্ধারী’, ‘অনিরুদ্ধের প্রতি ঊষা’, ‘যযাতির প্রতি শর্মিষ্ঠা’, ‘নারায়ণের প্রতি লক্ষ্মী’ ও ‘নলের প্রতি দময়ন্তী’ পত্রিকার খসড়া করেছিলেন, কিন্তু অসম্পূর্ণ রেখেছিলেন।

---

📝 ২৮. ‘বীরাঙ্গনা কাব্যের’ প্রথম পত্রিকাটির নাম কী?
✅ উত্তর: ‘বীরাঙ্গনা কাব্যের’ প্রথম পত্রিকাটির নাম ‘দুষ্মন্তের প্রতি শকুন্তলা’।

---

📝 ২৯. শকুন্তলা কার দ্বারা প্রতিপালিতা হয়েছিল?
✅ উত্তর: শকুন্তলা ঋষি কণ্বমুনি ও তাঁর পত্নী গৌতমী পিসির স্নেহে প্রতিপালিত হয়েছিলেন।

---

📝 ৩০. শকুন্তলার সাথে কার, কীভাবে বিবাহ হয়েছিল?
✅ উত্তর: মৃগয়া করতে গিয়ে রাজা দুষ্মন্ত শকুন্তলার সঙ্গে পরিচিত হয়ে গন্ধর্ব মতে গোপনে বিবাহ করেন।

---

📝 ৩১. “নিন্দে অনসূয়া যবে মন্দ কথা কয়, / অপবাদে প্রিয়ংবদা তোমায়—” — অনসূয়া ও প্রিয়ংবদা কারা, এবং কাকে নিন্দা করে?
✅ উত্তর: অনসূয়া ও প্রিয়ংবদা শকুন্তলার দুই প্রিয় সখী। তাঁরা দুষ্মন্তকে নিন্দা করেন, কারণ তিনি শকুন্তলাকে বিবাহ করে বহুদিন পরেও খোঁজ নেননি।

---

📝 ৩২. ‘বীরাঙ্গনা কাব্যের’ দ্বিতীয় পত্রিকাটির নাম কী?
✅ উত্তর: ‘বীরাঙ্গনা কাব্যের’ দ্বিতীয় পত্রিকাটির নাম ‘সোমের প্রতি তারা’।

---

📝 ৩৩. ‘সোমের প্রতি তারা’ পত্রিকার সোম ও তারার পরিচয় কী?
✅ উত্তর: এই পত্রিকায় সোম হলেন চন্দ্রদেব (সোমদেব), আর তারা হলেন দেবগুরু বৃহস্পতির পত্নী, যিনি চন্দ্রের প্রতি প্রেম নিবেদন করেছেন।

📝 ৩৪. ‘বীরাঙ্গনা কাব্যে’ কোন্ ছন্দ ব্যবহৃত হয়েছে?
✅ উত্তর: ‘বীরাঙ্গনা কাব্যে’ অমিত্রাক্ষর ছন্দ ব্যবহৃত হয়েছে, যেখানে ছন্দ, গতি ও ভাষার মাধুর্যে মধুসূদন চূড়ান্ত সার্থকতা অর্জন করেছেন।

---

📝 ৩৫. ‘বীরাঙ্গনা কাব্যে’র কোন্ কোন্ পত্রে নায়কের প্রতি নায়িকার তীব্র ও মর্মান্তিক ব্যঙ্গ ও তিরস্কার প্রকাশ পেয়েছে?
✅ উত্তর: ‘বীরাঙ্গনা কাব্যে’র ‘নীলধ্বজের প্রতি জনা’ ও ‘দশরথের প্রতি কেকয়ী’ পত্রে স্বামী ও রাজার প্রতি স্ত্রীর তীব্র ব্যঙ্গ ও কঠোর তিরস্কার প্রকাশ পেয়েছে।

---

📝 ৩৬. ‘বীরাঙ্গনা কাব্যে’র কোন্ কোন্ পত্রিকায় নায়কের প্রতি নায়িকার তীব্র অনুগত্য, প্রেম ও নিষ্ঠা প্রকাশ পেয়েছে?
✅ উত্তর: ‘বীরাঙ্গনা কাব্যে’র ‘দুষ্মন্তের প্রতি শকুন্তলা’ ও ‘দুর্যোধনের প্রতি ভানুমতী’ পত্রিকায় স্বামীর প্রতি গভীর প্রেম, ভক্তি ও নিষ্ঠার প্রকাশ ঘটেছে।

---

📝 ৩৭. ‘বীরাঙ্গনা কাব্যে’র নায়িকাদের উৎস কী?
✅ উত্তর: ‘বীরাঙ্গনা কাব্যে’র নায়িকাদের উৎস দুটি মহাকাব্য— রামায়ণ ও মহাভারত। এই দুই কাব্যের নারীনায়িকাদের কণ্ঠেই মধুসূদন তাঁর কাব্যের প্রাণ সঞ্চার করেছেন।

---

📝 ৩৮. ‘বীরাঙ্গনা কাব্যে’র কোন্ কোন্ নায়িকার উৎস মহাভারত?
✅ উত্তর: শকুন্তলা, রুক্মিণী, দ্রৌপদী, ভানুমতী, দুঃশলা, জাহ্নবী ও জনা— এই নায়িকাদের উৎস মহাভারত।

---

📝 ৩৯. কবি মধুসূদন তাঁর ‘বীরাঙ্গনা কাব্যে’র কবিতাগুলিকে কী হিসেবে উল্লেখ করেছেন?
✅ উত্তর: মধুসূদন তাঁর ‘বীরাঙ্গনা কাব্যে’র প্রতিটি কবিতাকে এক একটি পত্রিকা এবং কাব্যের এক একটি সর্গ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

---

📝 ৪০. ‘বীরাঙ্গনা কাব্যে’র কোন্ কোন্ পত্রিকায় কুমারীর প্রেম বর্ণিত হয়েছে?
✅ উত্তর: ‘বীরাঙ্গনা কাব্যে’র ‘লক্ষণের প্রতি সূর্পণখা’ ও ‘দ্বারকানাথের প্রতি রুক্মিণী’ পত্রিকায় কুমারীর প্রেম চিত্রিত হয়েছে।

---

📝 ৪১. কোন্ পত্রিকায় বীরাঙ্গনার প্রেম চিত্রিত হয়েছে?
✅ উত্তর: ‘পুরুরবার প্রতি ঊর্বশী’ পত্রিকায় বীরাঙ্গনার প্রেম গভীর আবেগে চিত্রিত হয়েছে।

---

📝 ৪২. ‘বীরাঙ্গনা কাব্যে’র পরিকল্পনা ও রচনার কথা জানিয়ে মধুসূদন কাকে কতটি পত্র লিখেছিলেন?
✅ উত্তর: মধুসূদন তাঁর ‘বীরাঙ্গনা কাব্যে’র পরিকল্পনা ও রচনার কথা জানিয়ে বন্ধু রাজনারায়ণ বসুকে দুটি পত্র লিখেছিলেন।

---

📝 ৪৩. ‘বীরাঙ্গনা কাব্যে’র উৎসর্গপত্রে মধুসূদন বিদ্যাসাগরকে কোন্ বিশেষণে ভূষিত করেছেন?
✅ উত্তর: ‘বীরাঙ্গনা কাব্যে’র উৎসর্গপত্রে মধুসূদন বিদ্যাসাগরকে ‘বঙ্গকুলচূড়া’ বিশেষণে ভূষিত করেছেন।

📝 ৪৪. ‘বীরাঙ্গনা কাব্যে’র কোন্ কোন্ পত্রিকাকে প্রেম পত্রিকা বলা যাবে?
✅ উত্তর: ‘বীরাঙ্গনা কাব্যে’র তারা, সুর্পণখা, ঊর্বশী ও রুক্মিনী পত্রিকাকে প্রেম পত্রিকা বলা যায়।

---

📝 ৪৫. ‘বীরাঙ্গনা কাব্যে’র কোন্ নায়িকার প্রেম অবৈধ? কেন?
✅ উত্তর: ‘বীরাঙ্গনা কাব্যে’র তারার প্রেম অবৈধ। কারণ, তিনি স্বামীর শিষ্যকে সন্তানতুল্য মনে করে প্রেম করেছেন। সধবা রমণীর এরূপ সন্তানতুল্য যুবকের প্রতি প্রণয় নিন্দনীয় ও ঘৃণ্য।

---

📝 ৪৬. ‘বীরাঙ্গনা কাব্যে’র কোন্ পত্রিকাকে প্রত্যাখ্যান পত্রিকা বলা যায়?
✅ উত্তর: ‘বীরাঙ্গনা কাব্যে’র ‘শান্তনুর প্রতি জাহ্নবী’ পত্রিকাটি প্রত্যাখ্যান পত্রিকা হিসেবে গণ্য।

---

📝 ৪৭. কোন্ কোন পত্রিকাকে অনুযোগ পত্রিকা বলা হয়?
✅ উত্তর: ‘দশরথের প্রতি কেকয়ী’ ও ‘নীলধ্বজের প্রতি জনা’ পত্রিকাকে অনুযোগ পত্রিকা বলা যায়।

---

📝 ৪৮. ‘বীরাঙ্গনা কাব্যের কোন্ নায়িকাকে যথার্থ বীরাঙ্গনা বলা যায়?
✅ উত্তর: ‘বীরাঙ্গনা কাব্যে’র জনাকে যথার্থ বীরাঙ্গনা বলা যায়।

---

📝 ৪৯. কোন জাতীয় কবিতাকে পত্রিকা বা পত্রকাব্য বলে?
✅ উত্তর: যে সকল কবিতার বিষয় পত্রের আকারে বা চিঠির ভঙ্গিতে উপস্থাপিত হয়, তাদেরকে পত্রিকা বা পত্রকাব্য বলা হয়। ইংরেজিতে একে বলা হয় Epistolary Verse।

---

📝 ৫০. ইংরেজি 'Epistle' শব্দের উৎস এবং অর্থ কী?
✅ উত্তর: ইংরেজি 'Epistle' শব্দের উৎস হলো ল্যাটিন 'Epistula'। এর অর্থ পত্রকাব্য।

---

📝 ৫১. কে প্রথম সার্থক Epistle বা পত্রকাব্য রচনা করেছেন?
✅ উত্তর: প্রথম সার্থক পত্রকাব্য রচনা করেন গ্রীক বা রোমান কবি ওভিদ (Ovid)।

---

📝 ৫২. ওভিদের পুরো নাম কী?
✅ উত্তর: ওভিদের পুরো নাম Publius Ovidius Naso।

---

📝 ৫৩. ওভিদের কাব্যের নাম কী?
✅ উত্তর: ওভিদের কাব্যের নাম Heroides বা Heroic Epistles।

---

📝 ৫৪. ওভিদের পত্রকাব্যে (Heroides) কতটি পত্র ছিল?
✅ উত্তর: ওভিদের পত্রকাব্যে মোট ২১টি পত্র ছিল।

---

📝 ৫৫. মধুসূদন তাঁর 'বীরাঙ্গনা কাব্যে' ২১টি পত্র রচনা করতে চেয়েছিলেন, এটা কীভাবে জানা যায়?
✅ উত্তর: মধুসূদন বন্ধু রাজনারায়ণ বসুকে লিখেছেন, “There are to be twenty-one Epistles, and I have finished eleven. These are being printed off, for I have no time to finish the remainder.” এই পত্র থেকে জানা যায় তিনি ২১টি পত্র রচনা করতে চেয়েছিলেন।

---

📝 ৫৬. ভাষা ব্যবহারের দিক থেকে ‘বীরাঙ্গনা কাব্যে’র পত্রগুলোকে সমালোচকরা কীভাবে উল্লেখ করেছেন?
✅ উত্তর: ভাষাব্যবহারের দিক থেকে ‘বীরাঙ্গনা কাব্যে’র পত্রগুলোকে সমালোচকরা Dramatic Monologue বলে উল্লেখ করেছেন।

📝 ৫৭. “সহসা ললাটভাগে / জ্যোতির্ময়ী কন্যা জাগো,” — কন্যাটি কে?
✅ উত্তর: এখানে কন্যা হলেন করুণাময়ী সারদা।

---

📝 ৫৮. “যোগীর ধ্যানের ধন ললাটিকা মেয়ে” — ‘ললাটিকা মেয়ে’ কে? কেন তাঁকে ললাটিকা মেয়ে বলা হয়েছে?
✅ উত্তর: ‘ললাটিকা মেয়ে’ হলেন বাল্মীকির কালের সরস্বতী। বাল্মীকির ললাট থেকে তাঁর উদ্ভব ঘটেছিল বলেই তাঁকে ললাটিকা মেয়ে বলা হয়েছে।

---

📝 ৫৯. “সে শোক সংগীত কথা / শুনে কাঁদে তরু-লতা,” — কোন শোক-সংগীতের কথা বলা হয়েছে?
✅ উত্তর: এখানে শোক-সংগীত বলতে বোঝানো হয়েছে শবরের বাণাঘাতে নিহত ক্রৌঞ্চের জন্য ক্রৌঞ্চীর বিলাপ। সেই বিলাপে প্রেরিত হয়ে সরস্বতী বীণায় করুণ সংগীত গেয়েছিলেন — তারই উল্লেখ এখানে।

---

📝 ৬০. কবি বিহারীলাল বাল্মীকির কালের সরস্বতীকে কী বলে আহ্বান জানিয়েছেন?
✅ উত্তর: কবি বিহারীলাল বাল্মীকির কালের সরস্বতীকে আহ্বান জানিয়েছেন “এস মা করুণাময়ী” বলে।

---

📝 ৬১. সরস্বতীকে আহ্বান জানানোর পাশাপাশি কবি কাকে ফিরিয়ে দিয়েছেন?
✅ উত্তর: কবি লক্ষ্মীকে ফিরিয়ে দিয়ে বলেছেন—
“যাও লক্ষ্মী অলকায়,
যাও লক্ষ্মী অমরায়,
এস মা এ যোগি-জন-তপোবন স্থলে।”

---

📝 ৬২. সারদামঙ্গল কাব্যের দ্বিতীয় সর্গের বিষয় কী?
✅ উত্তর: দ্বিতীয় সর্গের বিষয় হলো সারদা-বিরহে কবির ব্যাকুলতা ও বেদনাবোধ।

---

📝 ৬৩. তৃতীয় সর্গের বিষয় কী?
✅ উত্তর: তৃতীয় সর্গের বিষয় হলো সারদার সঙ্গে কবির বিরহ-মিলনজনিত বেদনা ও আনন্দের মিশ্র প্রকাশ।

---

📝 ৬৪. “ভালবাসা তারি ভাল, / সহে যারে চিরকাল;”— একথা বলার তাৎপর্য কী?
✅ উত্তর: কবি সারদাকে ভালোবেসেও তাঁকে কাছে পাননি। বিরহের যন্ত্রণায় দগ্ধ হয়ে মৃত্যুকেও তিনি আশ্রয় হিসেবে দেখেছেন। তাই তিনি বলেছেন— যে ভালোবাসা চিরবিরহ সহ্য করতে পারে, সেই ভালোবাসাই সত্য ও চিরন্তন।

---

📝 ৬৫. চতুর্থ সর্গের বিষয়বস্তু কী?
✅ উত্তর: চতুর্থ সর্গের বিষয়বস্তু হলো প্রকৃতি ও হিমালয়ের সৌন্দর্যের বর্ণনা — যেখানে কবি প্রকৃতির মাঝে সারদার সত্তাকে অনুভব করেছেন।

---

📝 ৬৬. “পুণ্যতোয়া গিরিবালা / জুড়াও প্রাণের জ্বালা!” — ‘গিরিবালা’ কে?
✅ উত্তর: “পুণ্যতোয়া গিরিবালা” হলেন গঙ্গা। কারণ, গিরি অর্থাৎ হিমালয় থেকেই তাঁর উৎপত্তি হয়েছে, তাই তাঁকে গিরিবালা বলা হয়েছে।

---

📝 ৬৭. ‘সারদামঙ্গল’-এর কোন গীতিটি বেহাগ রাগিনীতে গাওয়া হয়েছে?
✅ উত্তর: ‘সারদামঙ্গল’-এর পঞ্চম সর্গের গীতিটি বেহাগ রাগিনীতে গাওয়া হয়েছে।

📝 ৬৮. রবীন্দ্রনাথ বিহারীলালের সরস্বতীকে কার সঙ্গে তুলনা করেছেন?
✅ উত্তর: রবীন্দ্রনাথ পাশ্চাত্য কবি শেলি-র ‘Spirit of Beauty’ নামক বিশ্বব্যাপিনী সৌন্দর্য-লক্ষ্মীর সঙ্গে বিহারীলালের ‘সারদামঙ্গল’ কাব্যের সরস্বতীকে তুলনা করেছেন।

---

📝 ৬৯. ‘সারদামঙ্গল’ কাব্যের সর্গ সংখ্যা কত?
✅ উত্তর: ‘সারদামঙ্গল’ কাব্যের সর্গ সংখ্যা ৫।

---

📝 ৭০. ‘সারদামঙ্গলে’ মোট কটি গীতি আছে? গীতিগুলি কোথায় কোথায় আছে?
✅ উত্তর: ‘সারদামঙ্গলে’ মোট ৭টি গীতি আছে। কাব্যসূচনায় ‘উপহার গীতি’, সমাপ্তিতে ‘শান্তি গীতি’, এবং প্রতিটি সর্গের সূচনায় একটি করে গীতি রয়েছে।

---

📝 ৭১. ‘সারদামঙ্গলে’ গীতিগুলিতে কোন কোন রাগিনীর নামোল্লেখ আছে?
✅ উত্তর: ‘সারদামঙ্গল’ কাব্যের গীতিগুলিতে সিন্ধু-ভৈরব, ভৈরবী, ললিত, কালাংড়া, বিভাস, ও বেহাগ রাগিনীর নামোল্লেখ আছে।

---

📝 ৭২. ‘সারদামঙ্গল’ কাব্যে কোন রাগিনী ও কোন তাল বেশি ব্যবহৃত হয়েছে?
✅ উত্তর: ‘সারদামঙ্গল’ কাব্যে ‘ভৈরবী’ রাগিনী দুইবার এবং ‘আড়ঠেকা’ তাল তিনবার ব্যবহৃত হয়েছে।

---

📝 ৭৩. ‘সারদামঙ্গল’ কাব্যের ত্রিবিধ বিরহ কী?
✅ উত্তর: ‘সারদামঙ্গল’ কাব্যের ত্রিবিধ বিরহ হলো — মৈত্রীবিরহ, প্রীতিবিরহ, ও সরস্বতীবিরহ।

---

📝 ৭৪. ‘সারদামঙ্গল’ কাব্যে ত্রি-কাল বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
✅ উত্তর: ‘সারদামঙ্গল’ কাব্যের ত্রি-কাল হলো — বাল্মীকি-পূর্ববর্তী কাল, বাল্মীকি-কাল, এবং কালিদাসের কাল।

---

📝 ৭৫. ‘সারদামঙ্গল’-এর সারদা প্রথমে কোন রূপে আবির্ভূত?
✅ উত্তর: ‘সারদামঙ্গল’ কাব্যে সারদা প্রথমে ঊষারূপে আবির্ভূত হয়েছেন।

---

📝 ৭৬. ‘সারদামঙ্গল’-এর কোন সর্গে ও কোথায় ঊষার বর্ণনা আছে?
✅ উত্তর: ‘সারদামঙ্গল’ কাব্যের প্রথম সর্গের গীতিঅংশ থেকে সপ্তম শ্লোক পর্যন্ত ঊষার বর্ণনা রয়েছে।

---

📝 ৭৭. ‘সারদামঙ্গল’ কাব্যের প্রথম সর্গে কতগুলি স্তবক বা শ্লোক আছে?
✅ উত্তর: ‘সারদামঙ্গল’ কাব্যের প্রথম সর্গে ৩৫টি স্তবক বা শ্লোক আছে।

---

📝 ৭৮. “ওই কে অমরাবালা দাঁড়ায়ে উদয়াচলে”— কার সম্পর্কে বলা হয়েছে?
✅ উত্তর: “ওই কে অমরাবালা দাঁড়ায়ে উদয়াচলে”— এখানে ঊষা দেবী সম্পর্কে বলা হয়েছে।

---

📝 ৭৯. বাল্মীকি মুনি কে? তিনি কোন নদীর তীরে ভ্রমণ করছিলেন?
✅ উত্তর: বাল্মীকি মুনি ছিলেন রামায়ণ কাব্যের কবি। তিনি তমসা তটিনী নদীর তীরে ভ্রমণ করছিলেন।

---

📝 ৮০. “শাখি-শাখে রস-সুখে / ক্রৌঞ্চ-ক্রৌঞ্চী মুখে মুখে”— এখানে ‘শাখি’ ও ‘ক্রৌঞ্চ’ শব্দের অর্থ কী?

✅ উত্তর:

• ‘শাখি’ অর্থ— শাখা আছে যার, অর্থাৎ বৃক্ষ বা তরু।

• ‘ক্রৌঞ্চ’ অর্থ— একপ্রকার বকজাতীয় পাখি।

❖ ৮১. ‘সারদামঙ্গল কাব্যে’র কবির জন্ম ও মৃত্যু তারিখ উল্লেখ কর।
✔ উত্তর: ‘সারদামঙ্গল কাব্যে’র কবি বিহারীলাল চক্রবর্তী। তাঁর জন্ম ১৮৩৫ খ্রীষ্টাব্দের ২১শে মে, মৃত্যু ১৮৯৪ খ্রীষ্টাব্দের ২৪শে মে।

❖ ৮২. বিহারীলাল চক্রবর্তীর প্রথম প্রকাশিত কাব্যটির নাম কী? কত সালে সেটি প্রকাশিত হয়?
✔ উত্তর: বিহারীলালের প্রথম প্রকাশিত কাব্য ‘স্বপ্নদর্শন’, প্রকাশিত হয় ১৮৫৮ খ্রীষ্টাব্দে।

❖ ৮৩. বিহারীলালের শ্রেষ্ঠ কাব্য কোনটি? সেটি কত সালে প্রকাশিত?
✔ উত্তর: বিহারীলালের শ্রেষ্ঠ কাব্য ‘সারদামঙ্গল’, এটি প্রকাশিত হয় ১৮৭৯ খ্রীষ্টাব্দে।

❖ ৮৪. ‘সারদামঙ্গল’ কোন্ শ্রেণীর কাব্য?
✔ উত্তর: ‘সারদামঙ্গল’ একটি গীতিকাব্য (Lyric-ধর্মী) কাব্য।

❖ ৮৫. 'সারদামঙ্গল' কোন ধরনের গীতিকাব্য?
✔ উত্তর: ‘সারদামঙ্গল’ একটি রোমান্টিক গীতিকাব্য।

❖ ৮৬. ‘সারদামঙ্গল’ কোন্ পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয়?
✔ উত্তর: ‘সারদামঙ্গল’ প্রথম প্রকাশিত হয় ‘আর্যদর্শন’ পত্রিকায়।

❖ ৮৭. কোন্ পত্রিকায় বিহারীলালের কাব্য সাধনা শুরু হয়?
✔ উত্তর: বিহারীলালের কাব্য সাধনা শুরু হয় ‘পূর্ণিমা’ পত্রিকায়।

❖ ৮৮. বিহারীলালের কবিতা কোন্ কোন্ পত্রিকায় প্রকাশ পেত?
✔ উত্তর: বিহারীলালের কবিতা প্রকাশ পেত ‘পূর্ণিমা’, ‘সাহিত্য-সংক্রান্তি’, ‘অবোধবন্ধু’, ‘আর্যদর্শন’ প্রভৃতি পত্রিকায়; এছাড়াও ‘ভারতী’ পত্রিকাতেও তাঁর রচনা প্রকাশিত হয়।

❖ ৮৯. ‘সারদামঙ্গলে’র পূর্ববর্তী ও পরবর্তী কাব্যের নাম লেখ।
✔ উত্তর: ‘সারদামঙ্গলে’র পূর্ববর্তী কাব্য ‘প্রেম প্রবাহিনী’ (১৮৭০) এবং পরবর্তী কাব্য ‘সাধের আসন’ (১৮৮৯)। এছাড়া ‘বাউল বিংশতি’ (১৮৮৭) একটি গীত সংকলন।

❖ ৯০. 'সারদামঙ্গল' কাব্যের রচনা কবে শুরু এবং কবে শেষ হয়?
✔ উত্তর: ‘সারদামঙ্গল’ কাব্যের রচনা শুরু হয় ১৮৭০-এর শেষ দিকে, প্রথমে অসম্পূর্ণ অবস্থায় ১৮৭৪ সালে ‘আর্যদর্শন’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়; পরবর্তীতে ১৮৭৯ সালে সম্পূর্ণ গ্রন্থাকারে প্রকাশ পায়।

❖ ৯১. কার কোন্ রচনার মাধ্যমে বাংলার বিদ্বৎসমাজ বিহারীলালের প্রতিভা সম্পর্কে অবহিত হন?
✔ উত্তর: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘কবি বিহারীলাল’ শীর্ষক প্রবন্ধের মাধ্যমে বাঙালি বিহারীলালের প্রতিভা সম্পর্কে অবহিত হয়।

❖ ৯২. 'সারদামঙ্গল' কাব্যের কোন সর্গে হিমালয়ের সৌন্দর্য বর্ণনা আছে?
✔ উত্তর: 'সারদামঙ্গল' কাব্যের চতুর্থ সর্গে হিমালয়ের সৌন্দর্য বর্ণনা আছে।

❖ ৯৩. 'সারদামঙ্গল' কাব্যের কোন্ কোন্ সর্গে গঙ্গার উল্লেখ আছে?
✔ উত্তর: চতুর্থ সর্গের শেষে এবং পঞ্চম সর্গের একাদশ স্তবকে গঙ্গার উল্লেখ আছে।

❖ ৯৪. কবি গঙ্গাকে কী বলে সম্বোধন করেছেন?
✔ উত্তর: কবি গঙ্গাকে ‘মা’ বলে সম্বোধন করেছেন।

❖ ৯৫. প্রথম সর্গে কবি সারদাকে কার সঙ্গে এক করে ফেলেছেন?
✔ উত্তর: প্রথম সর্গে কবি সারদাকে ঊষার সঙ্গে এক করে ফেলেছেন।

❖ ৯৬. 'সারদামঙ্গল' কাব্যের কোন্ সর্গে চিরবসন্ত বিরাজিত নন্দনকাননের বর্ণনা আছে?
✔ উত্তর: ‘সারদামঙ্গল’ কাব্যের দ্বিতীয় সর্গের সূচনায় চিরবসন্ত বিরাজিত নন্দনকাননের বর্ণনা রয়েছে।

❖ ৯৭. কোন্ সর্গে কবি সারদা-বিরহে প্রাণ বিসর্জন দেবার কথা ভেবেছেন?
✔ উত্তর: তৃতীয় সর্গের শেষে কবি সারদা-বিরহ সইতে না পেরে প্রাণ বিসর্জন দেবার কথা ভেবেছেন।

❖ ৯৮. 'সারদামঙ্গলে'র শুরুতে থাকা পত্রটি কে কাকে লিখেছেন?
✔ উত্তর: 'সারদামঙ্গল' কাব্যের সূচনায় পত্রটি কবি বিহারীলাল চক্রবর্তী লিখেছেন তাঁর বন্ধু অনাথবন্ধু রায় মহাশয়কে।

❖ ৯৯. কোন্ পত্রকে 'সারদামঙ্গল' কাব্যের ভূমিকা বলা যায়?
✔ উত্তর: বন্ধু অনাথবন্ধু রায়কে লেখা বিহারীলালের পত্রটিকেই ‘সারদামঙ্গল’-এর ভূমিকা বলা যায়।

❖ ১০০. 'সারদামঙ্গল' কাব্যে ব্যবহৃত কিছু গ্রাম্য ও লৌকিক শব্দের উল্লেখ কর।
✔ উত্তর: 'সারদামঙ্গল' কাব্যে ব্যবহৃত কিছু লৌকিক শব্দ হলো — বোঁধো, চর্কি, ধুয়ে, ফের, ফরফর, তুপরি, বুকের পাটা, ভুকভুক, ঝল্কা, হল্কা ইত্যাদি।

❖ ১০১. ‘এষা’ কাব্যের কবি কে? কাব্যটি কত সালে প্রথম প্রকাশিত হয়?
✔ উত্তর: ‘এষা’ কাব্যের কবি অক্ষয়কুমার বড়াল। এটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯১২ খ্রিষ্টাব্দে।

❖ ১০২. ‘এষা’ কী ধরনের কাব্য? এটি কখন রচিত হয়?
✔ উত্তর: ‘এষা’ একটি শোককাব্য। পত্নী-বিয়োগের পর শোককাতর কবি অক্ষয়কুমার বড়াল কিছু শোক-কবিতা রচনা করেন, যা পরে ১৯১২ সালে কাব্যরূপে প্রকাশিত হয়।

❖ ১০৩. অক্ষয়কুমার বড়ালের স্ত্রীর নাম কী? তিনি কিভাবে ও কখন মারা যান?
✔ উত্তর: অক্ষয়কুমার বড়ালের স্ত্রীর নাম সৌদামিণী। তিনি বিসূচিকা রোগে আক্রান্ত হয়ে ১৯০৭ খ্রিষ্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেন।

❖ ১০৪. ‘এষা’ কোন্ ভাষার শব্দ? এর অর্থ কী?
✔ উত্তর: ‘এষা’ একটি বৈদিক শব্দ, যার অর্থ — অন্বেষণীয়া, প্রার্থনীয়া, বাঞ্ছনীয়া। এর তাৎপর্য পার্থিব নয়, বরং অধ্যাত্ম সন্ধানমূলক।

❖ ১০৫. ‘এষা’ কাব্যের কবিতাগুলিকে ক’টি পর্বে ভাগ করা হয়েছে? পর্বগুলির নাম কী?
✔ উত্তর: ‘এষা’ কাব্যকে চারটি পর্বে ভাগ করা হয়েছে — ‘মৃত্যু’, ‘অশৌচ’, ‘শোক’ ও ‘সান্ত্বনা’।

❖ ১০৬. ‘এষা’ কাব্যের চারটি পর্বে কতগুলি কবিতা আছে?
✔ উত্তর:

• প্রথম পর্ব ‘মৃত্যু’ — ৭টি কবিতা

• দ্বিতীয় পর্ব ‘অশৌচ’ — ১২টি কবিতা

• তৃতীয় পর্ব ‘শোক’ — ২১টি কবিতা

• চতুর্থ পর্ব ‘সান্ত্বনা’ — ৮টি কবিতা
  সব কবিতার নাম নেই, শুধু সংখ্যা উল্লেখ করা হয়েছে।

❖ ১০৭. এই চারটি পর্ব ছাড়াও ‘এষা’ কাব্যে আর কী কী কবিতা আছে?
✔ উত্তর: এই চারটি পর্ব ছাড়াও ‘এষা’ কাব্যে আরও দু’টি কবিতা আছে — ‘উপহার’ ও ‘নিবেদন’।

❖ ১০৮. “নিমেষে নন্দন বন শ্মশান ভীষণ”— এখানে নন্দনবন কাকে বলা হয়েছে? নিমেষে তা শ্মশান হয়েছে কেন?
✔ উত্তর: কবি নিজের পরিবারকেই ‘নন্দনবন’ বলেছেন। পত্নীর মৃত্যুর ফলে সেই পরিবার শোকে বিধ্বস্ত হয়ে শ্মশানের ন্যায় নিস্তব্ধ ও ভীষণ হয়ে উঠেছে, তাই এ উপমা ব্যবহৃত হয়েছে।

❖ ১০৯. “বলিত আমায় নমিতে তোমায়”— কে, কাকে নমিতে বলতো? কেন?
✔ উত্তর: “বলিত আমায় নমিতে তোমায়”—এখানে কবি অক্ষয়কুমার বড়াল তাঁর স্ত্রীকে স্মরণ করছেন। তাঁর স্ত্রী তাঁকে তুলসী গাছকে প্রণাম করতে বলতেন, কারণ তুলসী দেবীকে সংসারের মঙ্গলের প্রতীক মনে করা হতো।

❖ ১১০. ‘এষা’ কাব্যের ‘মৃত্যু’ পর্যায়ের ৭ নং কবিতায় কোন বিষয়কে তুলে ধরা হয়েছে?
✔ উত্তর: ‘এষা’ কাব্যের ‘মৃত্যু’ পর্যায়ের ৭ নং কবিতায় কবি মৃত পত্নীর কর্মতৎপরতা, গৃহকর্মে দক্ষতা ও স্নেহময়ী স্বভাবের স্মৃতি তুলে ধরেছেন।

❖ ১১১. “কি-শূন্য জীবন আজ করি অনুভব”— কে, কী জন্য শূন্য জীবন অনুভব করেন?
✔ উত্তর: এই পঙক্তিতে কবি অক্ষয়কুমার বড়াল বলেন যে, পত্নী-বিয়োগের পর তাঁর জীবন শূন্য ও নিরর্থক মনে হয়েছে, কারণ তিনি ছিলেন কবির জীবনের অবলম্বন।

❖ ১১২. মা-কে হারিয়ে মাতৃহীন শিশু কী করে?
✔ উত্তর: মা-কে হারিয়ে মাতৃহীন শিশু কোনোদিন মাকে ভুলতে পারে না। পথে কোনো ঘোমটা দেওয়া নারীকে দেখলেই সে ‘মা-মা’ বলে কাঁদতে থাকে, কারণ মায়ের স্নেহশূন্যতা সে সহ্য করতে পারে না।

❖ ১১৩. “বলি তো আমায়, নমিতে তোমায় / দুধ পুষ্প তিল দিয়া”— কে কাকে নমিতে বলতো? কেন?
✔ উত্তর: এই পঙক্তিতে কবি স্মরণ করেছেন যে, তাঁর স্ত্রী তাঁকে তুলসী মাতাকে দুধ, পুষ্প, তিল দিয়ে প্রণাম করতে বলতেন, সংসারের শান্তি ও মঙ্গল কামনায়।

❖ ১১৪. “শিক্ষা দীক্ষা—সব মিথ্যা ভ্রম / অবিশ্বাস সংশয় বিষম,...”— কার এমন মনে হয়েছে? কেন?
✔ উত্তর: এই কথাগুলি কবি অক্ষয়কুমার বড়ালের মনে হয়েছে। পত্নীর মৃত্যুশোকে তিনি জীবনের সমস্ত শিক্ষা, জ্ঞান, দর্শন—সবকিছুকে মিথ্যা ও ব্যর্থ বলে অনুভব করেছেন।

❖ ১১৫. “নাই তবে—আর তবে নাই, যাহা ছিল, যাহা আমি চাই”— কবি কী চান? তা নেই কেন?
✔ উত্তর: কবি ঘরের ঘরণী, জীবনের সাথী, পুত্রের জননী ও শুভাকাঙ্ক্ষিণী স্ত্রীকে চান। কিন্তু স্ত্রীর মৃত্যুর ফলে সেই প্রিয় সঙ্গিনী আর নেই, তাই কবির চাওয়া পূর্ণ হয় না।

❖ ১১৬. কবি অক্ষয়কুমার বড়াল স্ত্রীর শ্রাদ্ধস্থানে কয় সন্তানের উপস্থিতির কথা জানিয়েছেন?
✔ উত্তর: কবি উল্লেখ করেছেন যে, তাঁর পাঁচ সন্তান শ্রাদ্ধস্থানে উপস্থিত ছিল। জ্যেষ্ঠ পুত্র মুন্ডিতমস্তকে কুশাসনে বসে শ্রাদ্ধকর্ম করছিল, বাকিরা পাশে ছিল।

❖ ১১৭. “তাহারি তৃপ্তির তরে দিতেছি যতন ভরে”— কার তৃপ্তির তরে কী দেওয়া হয়েছে? কে সেগুলো পায়?
✔ উত্তর: এখানে মৃত ব্যক্তির তৃপ্তির জন্য শ্রাদ্ধকালে তৈজস, তণ্ডুল, শয্যা, বস্ত্র, ফল, ফুল ইত্যাদি প্রদান করা হয়। এর প্রাপক হন শ্রাদ্ধকারী পুরোহিত, যিনি প্রতীকভাবে মৃতের নামে এসব গ্রহণ করেন।

---

📝 ১১৮. ‘এষা' কাব্যের কোন পর্যায়ে কবিতার সংখ্যা বেশি? ক'টি কবিতা সেই পর্যায়ে আছে?
✅ উত্তর: ‘এষা’ কাব্যের তৃতীয় বা ‘শোক’ পর্যায়ে সর্বাধিক কবিতা রয়েছে। মোট ২০টি কবিতা আছে।

📝 ১১৯. ‘এষা' কাব্যের ছন্দ-রীতি ও ছন্দ-রূপ সম্পর্কে অল্প কথায় বলো।
✅ উত্তর: ‘এষা’ কাব্যে মিশ্রবৃত্ত ছন্দ ব্যবহৃত হয়েছে। ছন্দোরূপে দ্বিপদী, ত্রিপদী ও চৌপদী ব্যবহার করা হয়েছে।

📝 ১২০. “আগে কেন বুঝি নাই, সেও ব্যথা দিতে জানে।”–কে কার সম্পর্কে একথা বলেছেন? কেন?
✅ উত্তর: কবি অক্ষয়কুমার বড়াল পরলোকগত স্ত্রীর সম্পর্কে বলেছেন। মৃত্যুর বহুদিন পরও তাঁর বিরহে ব্যথা অনুভব করছেন।

📝 ১২১. ‘এষা' কাব্যে ক'টি অংশ? শেষ কাব্যাংশের নাম কী? ক'টি কবিতা আছে?
✅ উত্তর: ‘এষা’ কাব্যে চারটি অংশ আছে। শেষ কাব্যাংশ ‘সান্ত্বনা’-তে ৮টি কবিতা রয়েছে।

📝 ১২২. “দূর্গদ্বারে একা সান্ত্রী মত”–দূর্গদ্বারে একা সান্ত্রী কে? কেন?
✅ উত্তর: একা সান্ত্রী কবি নিজেই। স্ত্রীর মৃত্যুতে তিনি নিঃসঙ্গ বোধ করছেন।

📝 ১২৩. “প্রতিপলে, প্রতিশ্বাসে জীবন গুটায়ে আসে”–কবির এমন ভাবনার কারণ কী?
✅ উত্তর: জীবন ক্রমশ কমে আসছে বলে কবি শোকাহত। স্ত্রীর মৃত্যু জীবনকে অর্থহীন করেছে।

📝 ১২৪. “কেন বুদ্ধ ত্যাজিল আবাস কেন নিমাই নিল সন্ন্যাস মৃত্যু যদি শেষ?” – কবি এ প্রশ্নের মাধ্যমে কী বোঝাতে চেয়েছেন?
✅ উত্তর: কবি বোঝাতে চেয়েছেন মৃত্যু শেষ নয়। মৃত্যুর পরও অন্য কিছু আছে।

📝 ১২৫. “স্থাবর, জঙ্গম, জীব” – স্থাবর ও জঙ্গম শব্দের অর্থ কী?
✅ উত্তর: স্থাবর অর্থ স্থিতিশীল। জঙ্গম অর্থ গতিশীল।

📝 ১২৬. “তৈজস, তণ্ডুল, শয্যা, বস্ত্র, ফল, ফুল” – এখানে তৈজস, তণ্ডুল, শয্যার অর্থ কী?
✅ উত্তর: তৈজস মানে সংসারের ব্যবহার্য জিনিস। তণ্ডুল মানে চাউল, শয্যা মানে বিছানা।

---

📝 ১২৭. কবি অক্ষয়কুমার মৃত্যুকে 'সর্বভুক' বলেছেন কেন? বুঝিয়ে দাও।
✅ উত্তর: মৃত্যু সর্বভুক, কারণ এটি সবকিছুকে একদিন গ্রাস করে। সূর্য, চন্দ্রও তার হাত থেকে মুক্তি পাবে না।

📝 ১২৮. “কোথা ‘মা’-তোমার ?” – একথা কে কাকে জিজ্ঞাসা করেছে?
✅ উত্তর: এই প্রশ্নটি কবির বাড়ির দাসী করেছেন। তিনি এটি কবির কনিষ্ঠ পুত্রকে জিজ্ঞাসা করেছেন।

📝 ১২৯. মায়ের মৃত্যুকালে কবির কনিষ্ঠ পুত্রের বয়স কত ছিল? তার নাম কী? কবির আর ক'টি সন্তান ছিল?
✅ উত্তর: কনিষ্ঠ পুত্রের বয়স ছিল বছর খানেক। তার নাম অজয়, এবং কবির আরও চারটি সন্তান ছিল।

📝 ১৩০. “শিশু আজ সন্ধেবেলা দিবে না পড়িতে।” – শিশুটি কে? সে কাকে কী পড়তে দিচ্ছিল না?
✅ উত্তর: শিশুটি হল কবির কনিষ্ঠ সন্তান অজয়। সে কবিকে মহাভারত পড়তে দিচ্ছিল না।

📝 ১৩১. “সে সময়ে দিও দেখা নয়নে যখন ঘনাবে মরণ।” – কে কার উদ্দেশ্যে একথা বলেছেন?
✅ উত্তর: কবি অক্ষয়কুমার বড়াল মৃত পত্নীর উদ্দেশ্যে বলেছেন। শেষ সময়ে একবার স্ত্রীর সান্নিধ্য কাম্য ছিল।

📝 ১৩২. স্ত্রীর মৃত্যুর কত বছর পরে 'এষা' কাব্য প্রকাশিত হয়? এতে মোট কতটি কবিতা আছে?
✅ উত্তর: স্ত্রীর মৃত্যু পাঁচ বছর পরে, ১৯১২ সালে কাব্য প্রকাশিত হয়। এতে মোট ৫০টি কবিতা আছে।

📝 ১৩৩. ‘এষা' কাব্যের কবিতাগুলিকে কয়টি বিভাগে সজ্জিত করা হয়েছে? বিভাগগুলির নাম কী?
✅ উত্তর: চারটি বিভাগে সজ্জিত করা হয়েছে। নামগুলো—মৃত্যু, অশৌচ, শোক এবং সান্ত্বনা।

📝 ১৩৪. 'এষা' ছাড়া অক্ষয়কুমারের অন্য কয়েকটি কাব্যের নাম লেখ।
✅ উত্তর: অক্ষয়কুমারের অন্যান্য কাব্য—‘প্রদীপ’, ‘কণকাগুলি’, ‘ভুল’, এবং ‘শঙ্খ’।

📝 ১৩৫. 'এষা' কাব্যে কবির কয় পুত্র-কন্যার উল্লেখ আছে? পুত্রদের নাম কী?
✅ উত্তর: দুই পুত্র ও তিন কন্যার উল্লেখ আছে। পুত্রদের নাম—জ্যৈষ্ঠ অময়, কনিষ্ঠ অজয়।

📝 ১৩৬. 'এষা' কী জাতীয় পদ? এর অর্থ কী?
✅ উত্তর: ‘এষা’ বিশেষণ পদ। এর অর্থ অন্বেষণ বা অনুসন্ধান।

📝 ১৩৭. 'এষা' কী ধরণের কাব্য? একাব্যের কবির নাম কী?
✅ উত্তর: ‘এষা’ গীতিকাব্য। কবি অক্ষয়কুমার বড়াল।

---

📝 ১৩৮. ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের কোন কবিতাটি তোমাদের পাঠ্য করা হয়েছে? কবিতাটি কত চরণের?
✅ উত্তর: আমাদের পাঠ্য করা হয়েছে ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের ‘কবি’ নামের কবিতা। এতে মোট ২৭টি চরণ রয়েছে।

📝 ১৩৯. ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের জন্ম সাল ও মৃত্যু সাল উল্লেখ করো।
✅ উত্তর: জন্ম ১৮১২ খ্রিষ্টাব্দে এবং মৃত্যু ১৮৫৯ খ্রিষ্টাব্দে।

📝 ১৪০. কবি ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তকে যুগসন্ধিক্ষণের কবি বলা হয় কেন?
✅ উত্তর: মধ্যযুগীয় আখ্যান কাব্যের প্রবণতা হ্রাস পাওয়ার সময় তিনি নতুন ধরনের ক্ষুদ্র কবিতা লেখার সূচনা করেন। তাই তাঁকে যুগসন্ধিক্ষণের কবি বলা হয়।

📝 ১৪১. ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের জন্মস্থান উল্লেখ করো এবং তিনি কী নামে পরিচিত ছিলেন জানাও।
✅ উত্তর: জন্মস্থান ২৪ পরগণার কাঁচড়াপাড়া। তিনি ‘গুপ্ত কবি’ নামে পরিচিত ছিলেন।

📝 ১৪২. আধুনিক যুগের প্রথম কবি বলা হয় কাকে? কেন?
✅ উত্তর: আধুনিক যুগের প্রথম কবি বলা হয় ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তকে। কারণ তিনিই প্রথম আখ্যান ত্যাগ করে ছোট ছোট কবিতা লেখার সূচনা করেন।

📝 ১৪৩. তোমাদের পাঠ্য 'কবি' কবিতার বিষয় কী?
✅ উত্তর: পাঠ্য ‘কবি’ কবিতার বিষয় একজন চিত্রকর ও কবির পার্থক্য এবং কবির মহত্ত্ব।

📝 ১৪৪. ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত চিত্রকরের থেকে কবিকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন কেন?
✅ উত্তর: চিত্রকরের চিত্রে প্রকৃতির প্রকৃত রূপ থাকে না। কবির রচনায় দৃশ্য-অদৃশ্য সবকিছু স্পষ্টভাবে প্রকাশ পায়।

---

📝 ১৪৫. রজনীকান্ত সেনের কোন কবিতাটি তোমাদের পাঠ্য? কবিতাটি কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত?
✅ উত্তর: আমাদের পাঠ্য করা হয়েছে রজনীকান্ত সেনের ‘ব্যাকুলতা’ নামের কবিতা। এটি ‘অভয়া’ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত।

📝 ১৪৬. 'ব্যাকুলতা' কবিতাটি কোন ছন্দে রচিত? এর চরণ সংখ্যা কত?
✅ উত্তর: কবিতাটি দলবৃত্ত বা স্বরবৃত্ত ছন্দে রচিত। এতে মোট ১২টি চরণ আছে।

📝 ১৪৭. রজনীকান্তের জন্ম সাল ও মৃত্যু সাল উল্লেখ করো।
✅ উত্তর: জন্ম ২৬ জুলাই, ১৮৬৫ খ্রীষ্টাব্দে এবং মৃত্যু ১৩ সেপ্টেম্বর, ১৯১০ খ্রীষ্টাব্দে।

📝 ১৪৮. রজনীকান্ত সেনের জন্ম কোথায় হয়? তিনি কী নামে সমাদৃত ছিলেন?
✅ উত্তর: জন্ম হয়েছে অধুনা বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি গ্রামের ভাঙ্গাবাড়িতে। তিনি কবি হিসেবে ‘কান্তকবি’ নামে খ্যাত ছিলেন।

📝 ১৪৯. ‘ব্যাকুলতা’ কবিতায় কোন বিষয়কে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা হয়েছে?
✅ উত্তর: কবিতায় বদ্ধতা থেকে মুক্তির পিপাসা এবং প্রিয়জনকে কাছে পাওয়ার ব্যাকুলতা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

📝 ১৫০. কবিতায় কবি নিজে কার জন্য ব্যাকুলতা অনুভব করেছেন?
✅ উত্তর: কবি নিজের মাতার জন্য ব্যাকুলতা অনুভব করেছেন। তিনি ‘মা’ বলে অধীর হয়ে কাঁদতে চান।

📝 ১৫১. ‘ব্যাকুলতা’ কবিতায় কবি কার কার ব্যাকুলতা ফুটিয়ে তুলতে চেয়েছেন?
✅ উত্তর: কবি রজনীকান্ত গো, বৎস, নদী, পাখি এবং নিজের ব্যাকুলতাকে ফুটিয়ে তুলেছেন।

📝 ১৫২. ‘বর্ষা-সঙ্গীত’ কবিতাটি কার রচনা? তিনি কার সমসাময়িক কবি?
✅ উত্তর: কবিতাটি গিরিন্দ্র মোহিনী দাসীর রচনা। তিনি রবীন্দ্রনাথের সমসাময়িক ছিলেন।

📝 ১৫৩. গিরিন্দ্র মোহিনী দাসীর জন্ম তারিখ ও মৃত্যু তারিখ উল্লেখ করো।
✅ উত্তর: জন্ম ১৮/৮/১৮৫৮ এবং মৃত্যু ১৬/৮/১৯২৪।

📝 ১৫৪. ‘বর্ষা-সঙ্গীত’ কোন কাব্যের কবিতা? কাব্যটি কত সালে প্রকাশিত হয়?
✅ উত্তর: এটি ‘শিখা’ কাব্যের কবিতা। কাব্যটি ১৮৯৬ সালে প্রকাশিত হয়।

📝 ১৫৫. ‘বর্ষা-সঙ্গীত’ কবিতাটি কোন ছন্দে রচিত?
✅ উত্তর: কবিতাটি মিশ্রবৃত্ত বা তালপ্রধান ছন্দে রচিত। কিছু পংক্তি দ্বিপদী এবং কিছু চৌপদী।

---

📝 ১৫৬. 'বর্ষা-সঙ্গীত' কবিতায় দ্বিপদী ও চৌপদীর সংখ্যা নির্দেশ করো।
✅ উত্তর: কবিতায় দ্বিপদী আছে ৭টি এবং চৌপদী আছে ৮টি। কোনও পংক্তিই অসম্পূর্ণ নয়।

📝 ১৫৭. 'বর্ষা-সঙ্গীত' কবিতায় কোন বিষয়কে তুলে ধরা হয়েছে?
✅ উত্তর: বর্ষার মনোহরণকারী পরিবেশকে কবিতায় তুলে ধরা হয়েছে। তবে এতে বিরহের আভাসও রয়েছে।

📝 ১৫৮. 'মা' কবিতার কবি কে? তাঁর জন্ম সাল ও মৃত্যু সাল উল্লেখ করো।
✅ উত্তর: কবি হলেন দেবেন্দ্রনাথ সেন। জন্ম ১৮৮০ খ্রীষ্টাব্দে এবং মৃত্যু ১৯২০ খ্রীষ্টাব্দে।

📝 ১৫৯. দেবেন্দ্রনাথ সেনের 'মা' কবিতাটি কী জাতীয় কবিতা? এটি কোন ছন্দে রচিত?
✅ উত্তর: কবিতাটি চতুর্দশ-বানপ্রধান ছন্দে রচিত। এটি গীতিময় বা লিরিক কবিতা।

📝 ১৬০. 'মা' দেবেন্দ্রনাথ সেনের কোন কাব্যের কবিতা? কাব্যটি কত সালে প্রকাশিত হয়?
✅ উত্তর: কবিতাটি 'অপূর্ণ নৈবেদ্য' কাব্যের অন্তর্গত। কাব্যটি ১৯১১ খ্রীষ্টাব্দে প্রকাশিত হয়।

📝 ১৬১. দেবেন্দ্রনাথ সেন কোন ধরনের কাব্য রচনায় উৎসাহী ছিলেন? তাঁর শ্রেষ্ঠ কয়েকটি কাব্যের নাম লেখো।
✅ উত্তর: তিনি প্রথমে আখ্যানকাব্য রচনায় উৎসাহী ছিলেন এবং পরে গীতিকবিতায় ঝুঁকেছিলেন। শ্রেষ্ঠ কাব্যগুলির মধ্যে রয়েছে 'উর্মিলা' (১৮৮১), 'অশোক স্বচ্ছ', 'গোলাপগুচ্ছ', 'অপূর্ব নৈবেদ্য'।

📝 ১৬২. কী ধরনের বিষয় নিয়ে গীতিকবিতা রচনায় দেবেন্দ্রনাথ সেনের উৎসাহ দেখা যায়? পাঠ্য 'মা' কবিতাটি কোন শ্রেণীতে পড়ে?
✅ উত্তর: প্রকৃতি, প্রেম এবং নারী বিষয়ক গীতিকবিতা রচনায় তাঁর উৎসাহ বেশি। পাঠ্য 'মা' কবিতাটি নারী বিষয়ক কবিতা।

---

📝 ১৬৩. 'মাইকেল মধুসূদন দত্ত' কবিতাটি নবীনচন্দ্রের কোন কাব্যে স্থান পেয়েছে? কাব্যটি কত সালে প্রকাশিত হয়?
✅ উত্তর: কবিতাটি নবীনচন্দ্রের 'অবকাশরঞ্জিনী' কাব্যে স্থান পেয়েছে। প্রথম খন্ড ১৮৭১ খ্রীষ্টাব্দে এবং দ্বিতীয় খন্ড ১৮৭৮ খ্রীষ্টাব্দে প্রকাশিত হয়।

📝 ১৬৪. মধুসূদন দত্ত নবীনচন্দ্রের থেকে কত বছরের বড়ো? নবীনচন্দ্র কেন মধুসূদনকে নিয়ে কবিতা লিখতে অনুপ্রাণীত হন?
✅ উত্তর: মধুসূদন দত্ত নবীনচন্দ্রের থেকে ২৩ বছরের বড়ো। গুরুভক্তির কারণে নবীনচন্দ্র মধুসূদনকে নিয়ে কবিতা লিখতে অনুপ্রাণীত হন।

📝 ১৬৫. ‘মাইকেল মধুসূদন দত্ত' কবিতায় কবি কোন বিষয়কে উপস্থাপিত করতে চেয়েছেন? কেন?
✅ উত্তর: কবি মধুসূদন দত্তের শেষ জীবনের একাকিত্ব ও সমকালের বাঙালীর কাছের তেমন আদর-সম্মান না পাওয়ার কষ্টকে উপস্থাপন করেছেন। এই মনোকষ্ট অনুভব করেই কবিতা রচিত হয়েছে।

📝 ১৬৬. ‘মাইকেল মধুসূদন দত্ত' কবিতাটি কোন ছন্দরীতি ও ছন্দ-রূপে রচিত?
✅ উত্তর: কবিতাটি মিশ্রবৃত্ত বা অক্ষরবৃত্ত (তানপ্রধান) ছন্দরীতিতে রচিত। ছন্দ-রূপ হিসেবে এটি সপ্তপদী।

📝 ১৬৭. 'মাইকেল মধুসূদন দত্ত' কবিতায় কী ধরনের এবং কতগুলি স্তবক আছে?
✅ উত্তর: কবিতাটি সপ্তপদী ছন্দের। এতে মোট পাঁচটি স্তবক রয়েছে।

📝 ১৬৮. তোমাদের পাঠ্য ‘ডেকে আন' কবিতার কবি কে? তাঁর জন্ম সন কত?
✅ উত্তর: কবি কামিনী রায়। তিনি জন্মগ্রহণ করেন ১৮৬৪ খ্রীষ্টাব্দে।

---

📝 ১৬৯. কামিনী রায়ের ‘ডেকে আন্’ কবিতাটি কোন কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত? কাব্যটি কত সালে প্রকাশিত হয়?
✅ উত্তর: কবিতাটি 'আলো ও ছায়া' কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত। এটি ১৮৮৯ সালে প্রকাশিত হয়।

📝 ১৭০. কামিনী রায়ের ‘ডেকে আন্’ কবিতাটি কোন ছন্দে রচিত? এতে কতটি স্তবক ও চরণ আছে?
✅ উত্তর: কবিতাটি মিশ্রবৃত্ত বা অক্ষরবৃত্ত ছন্দে রচিত। এতে চারটি স্তবক এবং মোট ষোলটি চরণ আছে।

📝 ১৭১. কামিনী রায় কোন্ কোন্ দিক থেকে বাঙালির মধ্যে বিখ্যাত?
✅ উত্তর: তিনি ব্রিটিশ ভারতের প্রথম মহিলা স্নাতক ও অধ্যাপিকা। এছাড়া বাঙালি মহিলা কবি, নারীবাদী লেখিকা ও সমাজকর্মী হিসেবেও বিখ্যাত।

📝 ১৭২. পাঠ্য ‘ডেকে আন্’ কবিতার মূল বিষয় কী? দুই বাক্যে বোঝাও।
✅ উত্তর: কবিতার মূল বিষয় প্রেম ও অন্তরের আকাঙ্ক্ষা। কবি প্রিয়জনকে ফেরত আনতে চাওয়া এবং তার শূন্যতা অনুভবকে ফুটিয়েছেন।

📝 ১৭৩. ‘ডেকে আন্’ কবিতায় প্রকৃতির কোন উপাদানগুলোর বর্ণনা এসেছে?
✅ উত্তর: কবিতায় বায়ু, ঝড়, বৃক্ষ ও নৈসর্গিক পরিবেশের বর্ণনা এসেছে। এগুলো প্রিয়জনের আবির্ভাবের সঙ্গে সম্পর্কিত।

📝 ১৭৪. কামিনী রায়ের ‘ডেকে আন্’ কবিতায় কবির অন্তরের কোন আবেগ প্রধান?
✅ উত্তর: কবির অন্তরের প্রধান আবেগ হলো প্রিয়জনের প্রতি ব্যাকুলতা ও কাতর আকাঙ্ক্ষা। এই অনুভূতি পুরো কবিতায় বিরাজমান।

---

📝 ১৭৫. ‘ডেকে আন' কবিতার মধ্যে দিয়ে কবি কী বলতে চেয়েছেন?
✅ উত্তর: কবি কামিনী রায় 'ডেকে আন' কবিতার মাধ্যমে মানুষকে কাছে টেনে আনার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি এটিকে সমৃদ্ধি ও প্রেরণার উৎস হিসেবেও দেখিয়েছেন।

📝 ১৭৬. “কাছে গিয়ে, হাত ধরে, ওরে তারে আন্ ডাকি।”–কে কাকে ডেকে আনবার কথা বলছেন? কেন?
✅ উত্তর: কবি সকল পাঠকের উদ্দেশ্যে বলছেন। মানুষকে কাছে ডেকে নিলে মন শান্ত হয়, মানসিক শক্তি বাড়ে এবং সমস্যার সহজ সমাধান হয়।

📝 ১৭৭. “তোরা কি জীবন দিবি? উপেক্ষা যে বিষবাণ।” – একথার তাৎপর্য কী?
✅ উত্তর: কবি মানুষকে উপেক্ষা না করতে বলেছেন। উপেক্ষা করলে সে বিষবাণের মতো ক্ষতিকর হতে পারে এবং শত্রু হয়ে জীবনে প্রভাব ফেলতে পারে।

📝 ১৭৮. তোমাদের পাঠ্য 'বিরহ' কবিতাটি কার রচনা? তিনি কোন সময়ের কবি ছিলেন?
✅ উত্তর: পাঠ্য 'বিরহ' কবিতার রচয়িতা প্রিয়ম্বদা দেবী। তিনি রবীন্দ্রনাথের সমসাময়িক কবি ছিলেন।

📝 ১৭৯. 'বিরহ' কবিতাটি কোন কাব্যের অন্তর্গত? কাব্যটির প্রকাশকাল উল্লেখ করো।
✅ উত্তর: কবিতাটি প্রিয়ম্বদা দেবীর 'রেণু' কাব্যের অন্তর্গত। এটি ১৯০০ খ্রীষ্টাব্দে প্রকাশিত হয়।

📝 ১৮০. ‘বিরহ' কবিতার কবি কে? তাঁর জন্মসাল ও মৃত্যু সাল উল্লেখ করো।
✅ উত্তর: কবি প্রিয়ম্বদা দেবী। জন্ম ১৮৭১ খ্রীষ্টাব্দে, মৃত্যু ১৯৩৫ খ্রীষ্টাব্দে।

📝 ১৮১. প্রিয়ম্বদাদেবী কোন ধরনের কবিতা লিখতে আগ্রহী ছিলেন? পাঠ্য ‘বিরহ’ কোন ধরনের কবিতা?
✅ উত্তর: তিনি সনেট বা চতুর্দশপদী কবিতা লিখতে উৎসাহী ছিলেন। পাঠ্য 'বিরহ' একটি সনেট বা চতুর্দশপদী কবিতা।

📝 ১৮২. প্রিয়ম্বদা দেবীর কবিতার বিশেষত্ব কী?
✅ উত্তর: তিনি সংক্ষিপ্ত, সংযত ভাষার সনেট লিখতেন। কবিতায় ভাব ছিল গম্ভীর ও গভীর।

📝 ১৮৩. প্রিয়ম্বদা দেবী ক'টি কাব্য রচনা করেছেন? তাদের নাম উল্লেখ করো।
✅ উত্তর: তিনি মোট পাঁচটি কাব্য রচনা করেছেন। নামগুলি হল—'রেণু', 'তারা', 'পত্রলেখা', 'অংশ', 'চম্পা ও পাটল'।

📝 ১৮৪. প্রিয়ম্বদা দেবী 'বিরহ' কবিতায় কী প্রধান আবেগ ফুটিয়েছেন?
✅ উত্তর: কবিতায় প্রধান আবেগ হলো বিরহ ও শূন্যতার অনুভূতি। প্রিয়জনের অভাব কবিতার কেন্দ্রবিন্দু।

📝 ১৮৫. প্রিয়ম্বদা দেবীর কবিতায় ছন্দ ও আকার কেমন?
✅ উত্তর: কবিতা সনেট বা চতুর্দশপদী আকারের। ছন্দ সংযত এবং নিয়মমাফিক।

---

📝 ১৮৬. কামিনী রায়ের ‘ডেকে আন’ কবিতায় প্রধান বার্তা কী?
✅ উত্তর: কবি মানুষকে কাছে টেনে আনার মাধ্যমে সমৃদ্ধি ও সহযোগিতার বার্তা দিয়েছেন। এটি মানবসম্পর্ক ও মানসিক শক্তি বৃদ্ধির আহ্বানও।

📝 ১৮৭. “হাত ধরো, ওরে তারে আন”–এই পংক্তিতে কী বোঝানো হয়েছে?
✅ উত্তর: মানুষকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানানো ও পাশে রাখা বোঝানো হয়েছে। এটি সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে সমাধান এবং শান্তি দেয়।

📝 ১৮৮. প্রিয়ম্বদা দেবীর 'বিরহ' কবিতায় কোন আবেগ প্রধান?
✅ উত্তর: প্রধান আবেগ হলো বিরহ ও প্রিয়জনের অভাবজনিত শূন্যতা। কবিতা গভীর দুঃখ ও মনের কষ্ট ফুটিয়েছে।

📝 ১৮৯. প্রিয়ম্বদা দেবীর কবিতায় ছন্দ ও আকারের বৈশিষ্ট্য কী?
✅ উত্তর: কবিতা সনেট বা চতুর্দশপদী আকারে রচিত। ছন্দ সংযত এবং ভাব গভীর ও নিয়মমাফিক।

📝 ১৯০. কামিনী রায় ও প্রিয়ম্বদা দেবীর কবিতা পড়ার মূল উদ্দেশ্য কী?
✅ উত্তর: পাঠকের মধ্যে মানসিক সমৃদ্ধি, মানবিক মূল্যবোধ ও সম্পর্কের গুরুত্ব বোঝানো। একই সঙ্গে সাহিত্যিক সৌন্দর্য ও গভীর অনুভূতির প্রশংসা।

---

<<<<<<<<<<<<<<<<🌹সমাপ্ত🌹>>>>>>>>>>> 

👉For pdf whatsapp-8250978714

---