✍️সংক্ষিপ্ত প্রশ্নগুলির উত্তর দাও(প্রশ্নের মান-২):
📝1. কোনো মানচিত্রে RF = 1 : 1500000 হলে ওই মানচিত্রে 2 সেমি দূরত্ব ভূমিতে কত হবে?
✅উত্তর:
RF = 1 : 1500000 অর্থাৎ মানচিত্রের ১ সেমি = ভূমিতে ১৫,০০,০০০ সেমি।
তাহলে মানচিত্রের ২ সেমি = ২ × ১৫,০০,০০০ = ৩০,০০,০০০ সেমি = ৩০ কিমি ভূমিতে।
📝2. চা চাষের উন্নতিকল্পে সরকারি স্তরে গৃহীত দুটি পদক্ষেপ লেখো।
✅উত্তর:
সরকার চা বোর্ড (Tea Board of India) গঠন করেছে যা গবেষণা, উৎপাদন ও রপ্তানিতে সহায়তা করে।
এছাড়াও, চা গবেষণা সংস্থা (Tocklai Tea Research Institute) গঠন করে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে গাছের মানোন্নয়ন ঘটানো হয়েছে।
📝3. স্কেলের দুটি ব্যবহার লেখো।
✅উত্তর:
স্কেলের সাহায্যে মানচিত্রে দুটি স্থানের প্রকৃত দূরত্ব নির্ণয় করা যায়।
এছাড়াও, স্কেল দ্বারা মানচিত্রে ক্ষুদ্র অঞ্চলকে বড় আকারে বা বড় অঞ্চলকে ছোট আকারে উপস্থাপন করা যায়।
📝4. ‘সুনামি’ কী?
✅উত্তর:
সুনামি হলো সমুদ্রতলের ভূমিকম্প, অগ্ন্যুৎপাত বা ভূমিধসের ফলে সৃষ্ট বিশাল জলতরঙ্গ।
এটি উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হেনে ব্যাপক প্রাণহানি ও ধ্বংস সাধন করে।
📝5. অগ্ন্যুৎপাতের দুটি উপকারী প্রভাব লেখো।
✅উত্তর:
অগ্ন্যুৎপাতের ফলে নির্গত লাভা ঠান্ডা হয়ে উর্বর আগ্নেয় মাটি তৈরি করে যা কৃষির জন্য উপযোগী।
এছাড়া এটি ভূগর্ভস্থ খনিজ পদার্থ যেমন তামা, লোহা, নিকেল ইত্যাদি উন্মোচিত করে।
📝6. ‘ডেকান ট্র্যাপ’ কী?
✅উত্তর:
ডেকান ট্র্যাপ হলো ভারতের মধ্য ও পশ্চিমাঞ্চলে বিস্তৃত প্রাচীন লাভার স্তরবিশিষ্ট মালভূমি অঞ্চল।
এটি বহু লক্ষ বছর আগে অগ্ন্যুৎপাতের ফলে সৃষ্টি হয় এবং কৃষির জন্য অত্যন্ত উর্বর।
📝7. শস্যাবর্তন কী?
✅উত্তর:
একই জমিতে পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন প্রজাতির ফসল চাষ করাকে শস্যাবর্তন বলে।
এর ফলে জমির উর্বরতা রক্ষা হয় এবং পোকামাকড়ের প্রাদুর্ভাব কমে।
📝8. দুর্যোগ ও বিপর্যয়ের মধ্যে দুটি পার্থক্য লেখো।
✅উত্তর:
| বিষয় | দুর্যোগ | বিপর্যয় |
|---|---|---|
| সংজ্ঞা | প্রাকৃতিক বা মানবসৃষ্ট ক্ষতিকর ঘটনা যা সমাজে অস্থায়ী ক্ষতি ঘটায়। | দুর্যোগ যখন মানুষের জীবনে স্থায়ী ও ব্যাপক ক্ষতি আনে, তখন তা বিপর্যয় হয়। |
| পরিসর | স্থানীয় বা সীমিত পরিসরে প্রভাব ফেলে। | বৃহত্তর অঞ্চল ও দীর্ঘমেয়াদি ক্ষয়ক্ষতি ঘটায়। |
📝9. ফেরেলের সূত্র কী? অথবা, কোরিওলিস বল কী?
✅উত্তর: পৃথিবীর আবর্তনের ফলে বায়ু ও সাগরস্রোত উত্তর গোলার্ধে ডানদিকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে বাঁদিকে বাঁকে। এই প্রভাবকেই কোরিওলিস বল বা ফেরেলের সূত্র বলে।
📝10. হড়পা বান কী?
✅উত্তর: স্বল্প সময়ে প্রবল বৃষ্টিতে হঠাৎ সৃষ্ট তীব্র বন্যাকে হড়পা বান বলে। এটি সাধারণত পাহাড়ি নদী অঞ্চলে দেখা যায়।
📝11. ভূমিধস কেন হয়?
✅উত্তর: প্রবল বৃষ্টি, ভূকম্পন ও বনচ্ছেদের ফলে ঢালু জমির মাটি সরে গেলে ভূমিধস ঘটে। মানবসৃষ্ট কর্মকাণ্ডও এর ঝুঁকি বাড়ায়।
📝12. সম্পদ সৃষ্টির উপাদানগুলি কী কী?
✅উত্তর: ভূমি, জল, শ্রম, পুঁজি ও প্রযুক্তি সম্পদ সৃষ্টির প্রধান উপাদান। মানবশক্তি প্রাকৃতিক উপাদানকে ব্যবহারযোগ্য করে তোলে।
📝13. সম্পদ কী?
✅উত্তর: মানুষের প্রয়োজন মেটাতে ব্যবহৃত প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট উপাদানই সম্পদ। সমাজ ও অর্থনীতির ভিত্তি সম্পদের উপর নির্ভর করে।
📝14. মানচিত্র অভিক্ষেপ কী?
✅উত্তর: পৃথিবীর গোলাকার পৃষ্ঠকে সমতলে চিত্রায়নের পদ্ধতিকে মানচিত্র অভিক্ষেপ বলে। এতে স্থানগুলির অবস্থান সঠিকভাবে প্রদর্শিত হয়।
📝15. রেখা জালক কী?
✅উত্তর: অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশের রেখার ছেদে গঠিত জালককে রেখা জালক বলে। এটি পৃথিবীর স্থান নির্ধারণে সাহায্য করে।
📝16. শিল্ড মালভূমি কী?
✅উত্তর: প্রাচীন ও স্থিতিশীল শিলাস্তর দ্বারা গঠিত মালভূমিকে শিল্ড মালভূমি বলে। এতে প্রচুর খনিজ সম্পদ মজুত থাকে।
📝17. বিদার অগ্ন্যুদ্গম কাকে বলে?
✅উত্তর: দক্ষিণ ভারতের প্রাচীন লাভা প্রবাহ থেকে গঠিত অঞ্চলে বিদার অগ্ন্যুদ্গম বলা হয়। এটি ডেকান ট্র্যাপের অংশ।
📝18. ডায়াগোনাল স্কেল কী?
✅উত্তর: ক্ষুদ্র ভগ্নাংশসহ দূরত্ব পরিমাপের সূক্ষ্ম স্কেলকে ডায়াগোনাল স্কেল বলে। এটি মানচিত্রে নিখুঁত পরিমাপে ব্যবহৃত হয়।
📝19. বিষয়ানুগ মানচিত্র কী?
✅উত্তর: নির্দিষ্ট বিষয়ভিত্তিক তথ্য প্রদর্শনকারী মানচিত্রকে বিষয়ানুগ মানচিত্র বলে। যেমন— জনসংখ্যা বা বৃষ্টিপাতের মানচিত্র।
📝20. পৃথিবীর আবর্তনের চারটি ফলাফল উল্লেখ করো।
✅উত্তর: পৃথিবীর আবর্তনে দিন-রাত্রির পরিবর্তন ও সময়ভেদ ঘটে। এছাড়া বায়ু ও সাগরস্রোতের দিক পরিবর্তিত হয়।
📝21. সমাক্ষরেখার চারটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো।
✅উত্তর: সমাক্ষরেখাগুলি একই উচ্চতার স্থানগুলিকে যুক্ত করে। রেখাগুলি যত ঘন, ঢাল তত খাড়া বোঝায়।
📝22. পৃথিবীর পরিক্রমণ গতি কী?
✅উত্তর: পৃথিবী সূর্যের চারদিকে একটি উপবৃত্তাকার পথে ঘোরে, একবার ঘুরতে ৩৬৫ দিন লাগে। এই গতিকেই পরিক্রমণ গতি বলে।
📝23. ভঙ্গিল পর্বত কাকে বলে?
✅উত্তর: ভূত্বকের ভাঁজের ফলে যে পর্বত গঠিত হয় তাকে ভঙ্গিল পর্বত বলে। হিমালয় একটি ভঙ্গিল পর্বতের উদাহরণ।
📝24. প্রশান্ত মহাসাগরীয় আগ্নেয় মেখলা কী?
✅উত্তর: প্রশান্ত মহাসাগরের চারদিকে আগ্নেয়গিরির বলয়কে আগ্নেয় মেখলা বলে। এটি পৃথিবীর সর্বাধিক সক্রিয় আগ্নেয় অঞ্চল।
📝25. প্লাবন সমভূমি কাকে বলে?
✅উত্তর: নদীর বন্যা বা পলিসঞ্চয়ের ফলে গঠিত সমভূমিকে প্লাবন সমভূমি বলে। গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র উপত্যকা এর উদাহরণ।
📝26. বিপর্যয় কাকে বলে?
✅উত্তর: আকস্মিক প্রাকৃতিক বা মানবসৃষ্ট ক্ষতিকর ঘটনার নাম বিপর্যয়। যেমন—ভূমিকম্প, বন্যা, সাইক্লোন ইত্যাদি।
📝27. সুনামি কী?
✅উত্তর: সমুদ্রতলের ভূমিকম্প বা অগ্ন্যুত্পাতের ফলে সৃষ্ট বিশাল ঢেউকে সুনামি বলে। এটি উপকূলবর্তী অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষতি ঘটায়।
📝28. অচিরাচরিত শক্তির উৎসগুলি উল্লেখ করো।
✅উত্তর: সৌর, বায়ু, জৈব ও জলবিদ্যুৎ শক্তি অচিরাচরিত উৎস। এগুলি পুনর্নবীকরণযোগ্য ও পরিবেশবান্ধব।
📝29. পশ্চিমবঙ্গের ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চলের চারটি গাছের নাম লেখো।
✅উত্তর: সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভে গেওয়া, গরান, সুন্দরী ও কেওড়া গাছ প্রধান। এই গাছগুলির শ্বাসমূল মাটির উপরে দেখা যায়।
📝30. পশ্চিমবঙ্গের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের সমস্যাগুলি কী কী?
✅উত্তর: পর্যাপ্ত কাঁচামালের অভাব ও বিদ্যুতের ঘাটতি বড় সমস্যা। এছাড়া সংরক্ষণ ও পরিবহনের ব্যবস্থাও দুর্বল।
📝31. দ্রাঘিমারেখার দুটি বৈশিষ্ট্য লেখো।
✅উত্তর: দ্রাঘিমারেখাগুলি উত্তর ও দক্ষিণ মেরুকে সংযোগ করে। এগুলির দৈর্ঘ্য সমান এবং মূল মধ্যরেখা ০° দ্রাঘিমা হিসেবে ধরা হয়।
📝32. ডেকান ট্র্যাপ কী?
✅উত্তর: ডেকান ট্র্যাপ হল দক্ষিণ ভারতের একটি বৃহৎ আগ্নেয় মালভূমি। এটি প্রাচীন লাভার স্তরবিন্যাসে গঠিত এবং কৃষির জন্য উর্বর।
📝33. পারিবেশিক চাপ কাকে বলে?
✅উত্তর: মানব ক্রিয়াকলাপের ফলে পরিবেশে যে ক্ষতিকর প্রভাব সৃষ্টি হয় তাকে পারিবেশিক চাপ বলে। যেমন—দূষণ, বননিধন, নগরায়ণ ইত্যাদি।
📝34. সম্পদ সংরক্ষণ বলতে কী বোঝো?
✅উত্তর: ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার ও সংরক্ষণকেই সম্পদ সংরক্ষণ বলে। এটি টেকসই উন্নয়নের মূল ভিত্তি।
📝35. রাসায়নিক আবহবিকারে শিলার কী কী পরিবর্তন ঘটে?
✅উত্তর: রাসায়নিক আবহবিকার ফলে শিলার খনিজ গঠন পরিবর্তিত হয়। শিলা ভেঙে নতুন খনিজ বা মৃত্তিকা তৈরি হয়।
📝36. মৌজা মানচিত্রের স্কেল কত? কী কাজে সবচেয়ে বেশি এটি ব্যবহৃত হয়?
✅উত্তর: মৌজা মানচিত্রের স্কেল সাধারণত ১৬ ইঞ্চি = ১ মাইল বা তারও বড় হয়। এটি ভূমি মাপজোখ ও জমির সীমারেখা নির্ধারণে ব্যবহৃত হয়।
📝37. পৃথিবীর আকৃতি অভিগত গোলক হল কেন?
✅উত্তর: পৃথিবী মেরু অঞ্চলে কিছুটা চ্যাপ্টা ও বিষুব অঞ্চলে ফোলা। নিজের অক্ষের উপর ঘূর্ণনের ফলে পৃথিবীর এই অভিগত গোলাকার আকৃতি সৃষ্টি হয়েছে।
📝38. টীকা লেখো : কুলীন গ্রহ।
✅উত্তর: সূর্যকে কেন্দ্র করে পরিভ্রমণকারী গ্রহগুলির মধ্যে যেগুলির নিজস্ব আলো নেই, তাদের কুলীন গ্রহ বলা হয়। যেমন—পৃথিবী, মঙ্গল, বৃহস্পতি ইত্যাদি।
📝39. জিওসিনক্লাইন কী?
✅উত্তর: পৃথিবীর ভূত্বকে যে দীর্ঘ নিম্নভূমি অংশে সঞ্চিত পদার্থ পরে ভাঁজ হয়ে পর্বত গঠন করে, তাকে জিওসিনক্লাইন বলে। যেমন—হিমালয় অঞ্চলের উৎপত্তি এইভাবে।
📝40. মালভূমিকে ‘টেবিলল্যান্ড’ বলা হয় কেন?
✅উত্তর: মালভূমি উঁচু সমতল ভূমি যার শীর্ষ সমতল টেবিলের মতো। এজন্যই একে ‘টেবিলল্যান্ড’ বলা হয়।
📝41. বিদার অগ্ন্যুদ্গম সম্পর্কে আলোচনা করো।
✅উত্তর: বিদার মালভূমি দক্ষিণ ভারতের একটি প্রাচীন লাভাময় এলাকা। এখানে প্রাচীন আগ্নেয়গিরির উদ্গীরণ থেকে গঠিত কালো মাটি পাওয়া যায়।
📝42. লোয়েস সমভূমি কীভাবে গড়ে ওঠে?
✅উত্তর: লোয়েস সমভূমি সূক্ষ্ম ধূলিকণা ও বালির বায়ুবাহিত স্তর জমে গঠিত হয়। এটি চীনের উত্তরাঞ্চলে বিশেষভাবে দেখা যায়।
📝43. বিপর্যয় নির্ধারণের মানদণ্ডগুলি লেখো।
✅উত্তর: প্রাণহানি, সম্পত্তিনাশ ও সামাজিক ব্যাঘাতের মাত্রা অনুযায়ী বিপর্যয় নির্ধারিত হয়। এর তীব্রতা, পরিধি ও প্রভাবই এর মানদণ্ড।
📝44. টীকা লেখো : কালবৈশাখি।
✅উত্তর: কালবৈশাখি হল গ্রীষ্মকালে পশ্চিমবঙ্গ ও পূর্ব ভারতে সংঘটিত বজ্রসহ প্রবল ঝড়। এটি মূলত বায়ুচাপের পার্থক্যজনিত একটি মৌসুমি ঝড়।
📝45. RF স্কেল কাকে বলে?
✅উত্তর: মানচিত্রে পরিমাপিত দূরত্ব ও ভূমিতে প্রকৃত দূরত্বের অনুপাতকে RF স্কেল বলে। যেমন—১:৫০,০০০ মানে মানচিত্রের ১ একক দূরত্ব ভূমিতে ৫০,০০০ একক।
📝46. পৃথিবীর কক্ষতল কাকে বলে?
✅উত্তর: পৃথিবী সূর্যের চারদিকে যে কাল্পনিক সমতলে পরিক্রমণ করে, তাকে কক্ষতল বলে। একে ইকলিপটিক প্লেনও বলা হয়।
📝47. ভূপৃষ্ঠের কোথায় কোথায় কোনো ঋতু পরিবর্তন হয় না?
✅উত্তর: নিরক্ষীয় অঞ্চলে সারা বছর সূর্যের কিরণ প্রায় সমানভাবে পড়ে। তাই সেখানে গ্রীষ্ম, বর্ষা বা শীত ঋতুর পার্থক্য নেই।
📝48. অক্ষরেখার দুটি বৈশিষ্ট্য লেখো।
✅উত্তর: অক্ষরেখাগুলি পূর্ব-পশ্চিমে বৃত্তাকার এবং একে অপরের সমান্তরাল। সব অক্ষরেখা সূর্যের কিরণপ্রাপ্তির ভিন্নতা নির্ধারণে সাহায্য করে।
📝49. গাগনিক মধ্যরেখা কাকে বলে?
✅উত্তর: পৃথিবীর শূন্য ডিগ্রি দ্রাঘিমা রেখাকে গাগনিক মধ্যরেখা বলা হয়। এটি ইংল্যান্ডের গ্রিনিচ মানমন্দির দিয়ে অতিক্রম করেছে।
📝50. ভূতাত্ত্বিক বয়স অনুসারে ভারতে প্রধানত কটি সময়ের কয়লা পাওয়া যায় এবং সেগুলি কী কী?
✅উত্তর: ভারতে প্রধানত দুটি সময়ের কয়লা পাওয়া যায়—গন্ডোয়ানা যুগের ও টারশিয়ারি যুগের। গন্ডোয়ানা কয়লা শ্রেষ্ঠমানের ও বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত।
📝51. আকরিক লোহাকে কটি শ্রেণিতে ভাগ করা হয় এবং সেগুলি কী কী?
✅উত্তর: আকরিক লোহা প্রধানত দুটি শ্রেণির—হেমাটাইট ও ম্যাগনেটাইট। হেমাটাইটে লোহার পরিমাণ বেশি থাকায় এটি শিল্পে বেশি ব্যবহৃত হয়।
📝52. পশ্চিমবঙ্গের দুটি প্রতিবেশী রাষ্ট্রের নাম লেখো।
✅উত্তর: পশ্চিমবঙ্গের প্রতিবেশী রাষ্ট্র দুটি হল—বিহার ও ওড়িশা। এছাড়াও আসাম, সিকিম ও ঝাড়খণ্ডের সঙ্গেও এর সীমানা রয়েছে।
📝53. পশ্চিমবঙ্গের দুটি মৎস্য বন্দরের নাম লেখো।
✅উত্তর: পশ্চিমবঙ্গের প্রধান দুটি মৎস্য বন্দর হল—ডায়মন্ড হারবার ও দিঘা। এখান থেকে সামুদ্রিক মাছ রপ্তানি করা হয়।
📝54. অর্থকরী ফসল কাকে বলে?
✅উত্তর: যে ফসল থেকে অর্থনৈতিক লাভ হয়, তাকে অর্থকরী ফসল বলে। যেমন—চা, তুলো, আখ, পাট ইত্যাদি।
📝55. শিল্পের একদেশীভবন কাকে বলে?
✅উত্তর: কোনো নির্দিষ্ট অঞ্চলে শিল্পের একত্রে বিকাশকে শিল্পের একদেশীভবন বলা হয়। এতে শ্রম, পরিবহন ও কাঁচামালের সুবিধা পাওয়া যায়।
📝56. হড়পা বান কাকে বলে?
✅উত্তর: হঠাৎ অতি বৃষ্টির ফলে স্বল্পসময়ে নদীর জলস্তর হু-হু করে বেড়ে যাওয়াকে হড়পা বান বলে। এটি পাহাড়ি অঞ্চলে বেশি দেখা যায়।
📝57. নদী অববাহিকা কাকে বলে?
✅উত্তর: কোনো নদী ও তার উপনদীগুলি যে অঞ্চলের জল সংগ্রহ করে, তাকে নদী অববাহিকা বলা হয়। যেমন—গঙ্গা নদীর অববাহিকা ভারতের বৃহত্তম।
📝58. ‘Geoid’ সম্পর্কে লেখো।
✅উত্তর: পৃথিবীর আসল আকৃতি পুরোপুরি গোল নয়, সামান্য চ্যাপ্টা ও অনিয়মিত — একে ‘Geoid’ বলা হয়। এটি পৃথিবীর বাস্তব মাপের সবচেয়ে নিকটতম রূপ।
📝59. ছায়াবৃত্ত কাকে বলে?
✅উত্তর: পৃথিবী সূর্যের চারদিকে পরিক্রমণ করার সময় তার কক্ষতলের উপর যে কাল্পনিক বৃত্ত দেখা যায়, তাকে ছায়াবৃত্ত বলে। সূর্যগ্রহণ ও চন্দ্রগ্রহণ বোঝাতে এটি গুরুত্বপূর্ণ।
📝60. স্থানীয় সময় কী?
✅উত্তর: কোনো স্থানে সূর্য যখন মধ্যগগনে থাকে, তখন সেই স্থানের সময়কে স্থানীয় সময় বলে। পৃথিবীর ঘূর্ণনের কারণে প্রতিটি দ্রাঘিমারেখার স্থানীয় সময় ভিন্ন।
📝61. স্তূপ পর্বত কাকে বলে?
✅উত্তর: ভাঁজ পর্বতের ক্ষয় হয়ে যখন মধ্যভাগ নিচু ও প্রান্তভাগ উঁচু হয়ে যায়, তখন স্তূপ পর্বত গঠিত হয়। উদাহরণ—জার্মানির হার্জ পর্বত।
📝62. কার্বোনেশন কাকে বলে?
✅উত্তর: বায়ুর কার্বন ডাই-অক্সাইড বৃষ্টির জলের সঙ্গে মিশে কার্বনিক অ্যাসিড সৃষ্টি করে এবং তা চুনাপাথর দ্রবীভূত করে—এই প্রক্রিয়াকে কার্বোনেশন বলে। এটি এক ধরনের রাসায়নিক আবহবিকার।
📝63. রেগোলিথ কী?
✅উত্তর: আবহবিকারজনিত কারণে শিলার উপরিভাগে ভগ্ন শিলাখণ্ড, বালি ও ধুলোর স্তর জমে—তাকে রেগোলিথ বলে। এটি মাটির গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
📝64. সুনামি কী?
✅উত্তর: সমুদ্রতলের ভূমিকম্প, আগ্নেয়গিরি বা ভূমিধসের ফলে সৃষ্ট বিশাল জলোচ্ছ্বাসকে সুনামি বলে। এটি উপকূলবর্তী অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ঘটায়।
📝65. বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা কাকে বলে?
✅উত্তর: প্রাকৃতিক বা মানবসৃষ্ট বিপর্যয়ের পূর্বপ্রস্তুতি, প্রতিরোধ ও পুনর্বাসনের প্রক্রিয়াকে বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা বলে। এর উদ্দেশ্য ক্ষয়ক্ষতি কমানো ও জীবনরক্ষা।
📝66. ভারতের চারটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নাম লেখো।
✅উত্তর: ভারতের প্রধান পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র হল—তারাপুর (মহারাষ্ট্র), কাকরাপাড় (গুজরাট), নারোরা (উত্তরপ্রদেশ) ও কালপাক্কম (তামিলনাড়ু)। এই কেন্দ্রগুলো বিদ্যুৎ উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
📝67. তাল কী?
✅উত্তর: নদীর প্রাক্তন খাত জলে ও বালিতে ভরে সমতল নিম্নভূমি তৈরি হলে তাকে তাল বলে। গঙ্গা সমভূমিতে অনেক তাল অঞ্চল দেখা যায়।
📝68. ভার্নিয়ার স্কেল কাকে বলে?
✅উত্তর: অতি সূক্ষ্ম দৈর্ঘ্য মাপার জন্য প্রধান স্কেলের সঙ্গে যুক্ত ক্ষুদ্র স্কেলটিকে ভার্নিয়ার স্কেল বলে। এটি মানচিত্র ও প্রকৌশল যন্ত্রে ব্যবহৃত হয়।
📝69. ডায়াগোনাল স্কেল কাকে বলে?
✅উত্তর: কোনো রেখা বা চৌকো ঘরে তির্যকভাবে বিভাজন করে যে স্কেল তৈরি হয়, তাকে ডায়াগোনাল স্কেল বলে। এটি অত্যন্ত ক্ষুদ্র দূরত্ব নির্ভুলভাবে মাপতে ব্যবহৃত হয়।
📝70. মানচিত্র কাকে বলে?
✅উত্তর: পৃথিবীর সমগ্র বা অংশবিশেষ এলাকার বৈশিষ্ট্য নির্দিষ্ট অনুপাতে সমতলে অঙ্কিত রূপকে মানচিত্র বলে। এটি ভৌগোলিক তথ্য সহজভাবে উপস্থাপন করে।
📝71. ভৌমজলের অতি ব্যবহারের ফল কী?
✅উত্তর: ভৌমজলের অতিরিক্ত ব্যবহার ভূগর্ভস্থ জলের স্তর নেমে যাওয়া, জমির ধস ও মরুকরণ সৃষ্টি করে। এতে কৃষি ও পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়।
📝72. নিরপেক্ষ বস্তু কাকে বলে?
✅উত্তর: যা না ধনাত্মক, না ঋণাত্মক চার্জযুক্ত, সেই বস্তুকে নিরপেক্ষ বস্তু বলে। উদাহরণস্বরূপ—সাধারণ পানি বা কাঠ।
📝73. বিপর্যয় কাকে বলে?
✅উত্তর: প্রাকৃতিক বা মানবসৃষ্ট আকস্মিক ঘটনা যা ব্যাপক প্রাণহানি ও সম্পত্তির ক্ষতি ঘটায়, তাকে বিপর্যয় বলে। যেমন—ভূমিকম্প, বন্যা, অগ্নিকাণ্ড ইত্যাদি।
📝74. আবহবিকার কাকে বলে?
✅উত্তর: তাপমাত্রা, বায়ু, জল প্রভৃতির প্রভাবে শিলার ভৌত, রাসায়নিক ও জৈব পরিবর্তনকে আবহবিকার বলে। এটি ভূমিরূপ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
📝75. মহীখাত কাকে বলে?
✅উত্তর: মহাদেশের প্রান্তে সমুদ্রের নিচে ধীরে ধীরে ঢালু ভূমিকে মহীখাত বলে। এটি মহাদেশীয় প্রান্তভূমি ও গভীর সমুদ্রতলের মধ্যবর্তী অংশ।
📝76. উয়ুমণ্ডলের অবস্থান লেখো।
✅উত্তর: উয়ুমণ্ডল বা ওজোনস্তর বায়ুমণ্ডলের স্ট্রাটোস্ফিয়ারে অবস্থিত, পৃথিবীর প্রায় ১৫–৩৫ কিমি উচ্চতায়। এটি সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি শোষণ করে জীবজগৎকে রক্ষা করে।
📝77. সম্পদ সৃষ্টির উপাদানগুলি কী কী?
✅উত্তর: সম্পদ সৃষ্টির প্রধান উপাদান হল—প্রকৃতি, মানব শ্রম, প্রযুক্তি ও মূলধন। এই উপাদানগুলির সমন্বয়ে উৎপাদন ও উন্নয়ন সম্ভব হয়।
📝78. বেডফোর্ড লেবেল পরীক্ষাটি বুঝিয়ে দাও।
✅উত্তর: ১৮৩৮ সালে স্যামুয়েল রোবোথাম "বেডফোর্ড লেভেল এক্সপেরিমেন্ট"-এর মাধ্যমে পৃথিবীকে সমতল প্রমাণ করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত হয় যে পৃথিবী অভিগত গোলাকার।
📝79. পৃথিবীর অভিগত গোলাকৃতির ওপর জাঁ রিচার (1620–1682)-এর মতবাদ উল্লেখ করো।
✅উত্তর: জাঁ রিচার লক্ষ করেন যে নিরক্ষরেখার কাছে দোলকের সময়কাল কমে যায়, যা পৃথিবীর সামান্য চ্যাপ্টা আকৃতি প্রমাণ করে। তাঁর পর্যবেক্ষণ থেকেই পৃথিবীর অভিগত গোলাকৃতির ধারণা শক্তিশালী হয়।
📝80. অক্ষরেখাগুলি পূর্ণবৃত্ত ও দ্রাঘিমারেখাগুলি অর্ধবৃত্ত প্রমাণ করো।
✅উত্তর: অক্ষরেখাগুলি নিরক্ষরেখার সমান্তরাল হয়ে পৃথিবীকে সম্পূর্ণভাবে ঘিরে থাকে, তাই এগুলি পূর্ণবৃত্ত। অন্যদিকে দ্রাঘিমারেখা মেরু থেকে মেরু পর্যন্ত প্রসারিত, তাই এগুলি অর্ধবৃত্ত।
📝81. রবিমার্গ নিরক্ষরেখাকে দু’বার ও ক্রান্তিবৃত্তকে একবার করে ছেদ করেছে — কীভাবে বুঝিয়ে দাও।
✅উত্তর: সূর্য পৃথিবীর চারপাশে ঘুরছে বলে মনে হলেও পৃথিবীর কক্ষপথ বরাবর সূর্যের আপাত অবস্থান বছরে দুইবার নিরক্ষরেখা ছেদ করে। এছাড়া সূর্য কর্কট ও মকর ক্রান্তিবৃত্তে বছরে একবার করে অবস্থান করে।
📝82. কর্কট সংক্রান্তি ও মকর সংক্রান্তির মধ্যে তিনটি পার্থক্য নির্দেশ করো।
✅উত্তর: কর্কট সংক্রান্তি ঘটে ২১ জুনে, যখন সূর্য উত্তর গোলার্ধে সর্বোচ্চ অবস্থানে থাকে, আর মকর সংক্রান্তি ঘটে ২২ ডিসেম্বর, দক্ষিণ গোলার্ধে সূর্যের অবস্থানে। কর্কট সংক্রান্তিতে উত্তর গোলার্ধে গ্রীষ্ম, মকর সংক্রান্তিতে শীত থাকে।
📝83. যান্ত্রিক ও রাসায়নিক আবহবিকারের মধ্যে চারটি পার্থক্য নির্ণয় করো।
✅উত্তর: যান্ত্রিক আবহবিকার শারীরিক প্রভাবে ঘটে, যেমন তাপ বা হিমায়ন; রাসায়নিক আবহবিকার রাসায়নিক বিক্রিয়ায় ঘটে। যান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় শিলা ভাঙে, রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় শিলার গঠন বদলে যায়।
📝84. আন্তর্জাতিক তারিখরেখা কোথায় 180° দ্রাঘিমাকে অনুসরণ করেনি?
✅উত্তর: প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপপুঞ্জের মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় আন্তর্জাতিক তারিখরেখা ১৮০° দ্রাঘিমা থেকে বাঁক নিয়েছে। এটি রাশিয়া ও আলাস্কা, ফিজি ও সামোয়া প্রভৃতি দ্বীপ আলাদা রাখতে পরিবর্তিত হয়েছে।
📝85. ধসের তিনটি কারণ উল্লেখ করো।
✅উত্তর: অতিবৃষ্টি, ভূমিকম্প এবং অতিরিক্ত বনচ্ছেদ ভূমিধসের প্রধান কারণ। এ ছাড়া অতিরিক্ত নির্মাণকাজ ও ভূমিক্ষয়ও ভূমিধস বাড়ায়।
📝86. GPS কী?
✅উত্তর: GPS বা Global Positioning System হলো একটি উপগ্রহ-ভিত্তিক ন্যাভিগেশন ব্যবস্থা। এটি পৃথিবীর যেকোনো স্থানের সঠিক অবস্থান, দিক ও দূরত্ব নির্ণয়ে সাহায্য করে।
📝87. ছায়াবৃত্ত কী?
✅উত্তর: পৃথিবীর ছায়া সূর্যের আলোয় গঠিত একটি কালো শঙ্কু আকৃতির অংশকে ছায়াবৃত্ত বলে। চন্দ্রগ্রহণের সময় চাঁদ এই ছায়াবৃত্তে প্রবেশ করলে গ্রহণ ঘটে।
📝88. মহাবৃত্ত কী?
✅উত্তর: পৃথিবীর কেন্দ্রে দিয়ে অঙ্কিত এমন সব বৃত্ত, যা পৃথিবীকে সমান দুই ভাগে বিভক্ত করে, তাকে মহাবৃত্ত বলে। নিরক্ষরেখা ও যে কোনো মেরু-সংযুক্ত দ্রাঘিমারেখা মহাবৃত্তের উদাহরণ।
📝89. পাত সীমান্ত কাকে বলে?
✅উত্তর: পৃথিবীর অভ্যন্তরস্থ টেকটোনিক পাতগুলির সংযোগস্থলকে পাত সীমান্ত বলা হয়। এখানে ভূমিকম্প, আগ্নেয়গিরি বা পর্বতগঠন প্রক্রিয়া বেশি ঘটে।
📝90. ক্ষয়ীভবন কাকে বলে?
✅উত্তর: প্রাকৃতিক উপাদান যেমন বায়ু, জল, বরফ ইত্যাদির দ্বারা ভূমির উপাদান অপসারিত হওয়ার প্রক্রিয়াকে ক্ষয়ীভবন বলে। এটি ভূমিরূপ পরিবর্তনের অন্যতম প্রক্রিয়া।
📝91. রেগোলিথ কাকে বলে?
✅উত্তর: কঠিন শিলার উপর জমে থাকা ভাঙা পাথর, মাটি ও ধূলিকণার স্তরকে রেগোলিথ বলে। এটি আবহবিকার ও ক্ষয়ের ফলে সৃষ্টি হয়।
📝92. IMD নির্দেশিত খরার সংজ্ঞা লেখো।
✅উত্তর: ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তর (IMD)-এর মতে, কোনো অঞ্চলে গড় বৃষ্টিপাতের ৭৫% বা তার কম বৃষ্টি হলে সেটি খরা হিসেবে গণ্য হয়। এটি কৃষি ও জলসম্পদে মারাত্মক প্রভাব ফেলে।
📝93. বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা কাকে বলে?
✅উত্তর: প্রাকৃতিক বা মানবসৃষ্ট বিপর্যয়ের আগে, চলাকালীন ও পরে ক্ষতি কমানোর জন্য গৃহীত সব ব্যবস্থা বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা। এর মূল উদ্দেশ্য হলো মানুষের জীবন ও সম্পদ রক্ষা করা।
📝94. আন্তর্জাতিক তারিখরেখার গুরুত্ব কী?
✅উত্তর: আন্তর্জাতিক তারিখরেখা পৃথিবীর সময় গণনায় দিন পরিবর্তনের সীমারেখা হিসেবে কাজ করে। এটি এক পাশ থেকে অন্য পাশে অতিক্রম করলে তারিখ এক দিন বাড়ে বা কমে।
📝95. বেনিয়ফ জোন বলতে কী বোঝো?
✅উত্তর: পৃথিবীর অভ্যন্তরে যেখানে একটি মহাসাগরীয় পাত মহাদেশীয় পাতে সরে গিয়ে নিচের দিকে নেমে যায়, সেই ঢালু অঞ্চলে ভূমিকম্প উৎপন্ন হয়, সেটিই বেনিয়ফ জোন। এটি ভূমিকম্প প্রবণ অঞ্চল হিসেবে পরিচিত।
📝96. আবহবিকারে উদ্ভিদের ভূমিকা কতখানি?
✅উত্তর: উদ্ভিদের মূল শিলাকে ভেঙে দেয় ও জৈব পদার্থ উৎপন্ন করে রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটায়। ফলে শিলার আবহবিকার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হয়।
📝97. প্রমাণ সময় কাকে বলে?
✅উত্তর: কোনো নির্দিষ্ট দ্রাঘিমারেখার মধ্যাহ্নে সূর্যের অবস্থানকে ভিত্তি করে নির্ধারিত সময়কে প্রমাণ সময় বলে। এটি স্থানীয় সময় নির্ধারণের মানদণ্ড হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
📝98. উত্তরবঙ্গে বেশি বন্যা হয় কেন?
✅উত্তর: উত্তরবঙ্গে পাহাড়ি নদীগুলি অতিবৃষ্টিতে হঠাৎ ফুলে ওঠে। সমতল নিম্নভূমি ও দুর্বল নিষ্কাশন ব্যবস্থার কারণে বন্যা ঘন ঘন ঘটে।
📝99. অপ্রচলিত শক্তি ব্যবহারের সুবিধাগুলি লেখো।
✅উত্তর: অপ্রচলিত শক্তি যেমন সৌর, বায়ু, জৈবগ্যাস ইত্যাদি নবায়নযোগ্য ও পরিবেশবান্ধব। এগুলি দূষণহীন এবং সীমাহীনভাবে ব্যবহারযোগ্য।
📝100. সুন্দরবন অঞ্চলের নদীগুলি লবণাক্ত কেন?
✅উত্তর: সুন্দরবন অঞ্চলের নদীগুলি জোয়ার-ভাটার প্রভাবে সমুদ্রের লবণাক্ত জল বহন করে। এর ফলে নদীর পানি লবণাক্ত হয়।
📝101. খোয়াই কী?
✅উত্তর: শুষ্ক অঞ্চলে বৃষ্টির ক্ষয়প্রভাবে তৈরি গভীর খাদ বা ছোট উপত্যকাকে খোয়াই বলে। এটি সাধারণত লালমাটির এলাকায় দেখা যায়।
📝102. খাদ্যপ্রক্রিয়াকরণ শিল্প কী?
✅উত্তর: কৃষিজ পণ্যকে সংরক্ষণ, প্যাকেটজাত বা নতুন পণ্য তৈরির মাধ্যমে প্রক্রিয়াকরণ করাই খাদ্যপ্রক্রিয়াকরণ শিল্প। এটি কৃষির সঙ্গে শিল্পের একটি সংযোগস্থল।
📝103. স্কেল কাকে বলে?
✅উত্তর: মানচিত্রে প্রদর্শিত দূরত্ব ও ভূমির প্রকৃত দূরত্বের অনুপাতকে স্কেল বলে। এটি মানচিত্রে মাপ ও স্থান নির্ধারণে সাহায্য করে।
📝104. উষা ও গোধূলি কী?
✅উত্তর: সূর্যোদয়ের ঠিক আগে ও সূর্যাস্তের ঠিক পরে আকাশে যে লালচে আলো দেখা যায়, সেটিই উষা ও গোধূলি। এটি সূর্যের কিরণ বায়ুমণ্ডলে বিকিরণের ফলে সৃষ্টি হয়।
📝105. পৃথিবীর কক্ষপথের বৈশিষ্ট্যগুলি লেখো।
✅উত্তর: পৃথিবীর কক্ষপথ উপবৃত্তাকার বা এলিপটিক্যাল এবং সূর্য এক ফোকাসে অবস্থিত। এর কারণে পৃথিবী ও সূর্যের দূরত্ব সারা বছর একরকম থাকে না।
📝106. ‘একদিন আর এক রাত-বছর শেষ’ কথাটির অর্থ কী?
✅উত্তর: এই কথাটি সূর্যের চারপাশে পৃথিবীর একবার পরিক্রমণ বোঝায়। অর্থাৎ, পৃথিবী একবার পরিক্রমণ করলে এক বছর সম্পূর্ণ হয়।
📝107. প্রতিপাদস্থান কী?
✅উত্তর: পৃথিবীর যেকোনো স্থানের বিপরীত অর্ধগোলকে যে বিন্দুটি ঠিক বিপরীতে অবস্থান করে, তাকে প্রতিপাদস্থান বলে। এটি দ্রাঘিমা ও অক্ষাংশের বিপরীত মান দ্বারা নির্ধারিত হয়।
📝108. অন্তর্জাত প্রক্রিয়া কী?
✅উত্তর: পৃথিবীর অভ্যন্তরের শক্তির প্রভাবে ভূপৃষ্ঠে যে পরিবর্তন ঘটে তাকে অন্তর্জাত প্রক্রিয়া বলে। যেমন — ভূমিকম্প, আগ্নেয়গিরি, পর্বতগঠন ইত্যাদি।
📝109. সমস্থিতিক আলোড়ন কী?
✅উত্তর: পৃথিবীর ভূত্বক ভারসাম্য রক্ষার জন্য যে উল্লম্ব গতিবিধি ঘটে, তাকে সমস্থিতিক আলোড়ন বলে। এর ফলে ভূপৃষ্ঠের উচ্চ অঞ্চল নিচে নামে ও নিচু অঞ্চল ওপরে ওঠে।
📝110. সূর্যের আপাত বার্ষিক গতি কী?
✅উত্তর: সূর্য পৃথিবীর কক্ষতলে পূর্ব থেকে পশ্চিমে সরে যাচ্ছে বলে যে ধারণা হয়, সেটিই সূর্যের আপাত বার্ষিক গতি। এটি আসলে পৃথিবীর পরিক্রমণের ফল।
📝111. নিশীথ সূর্যের দেশ কী?
✅উত্তর: উত্তর ও দক্ষিণ মেরুর কাছাকাছি অঞ্চলে গ্রীষ্মকালে সূর্য সম্পূর্ণ অস্ত যায় না, তাই একে নিশীথ সূর্যের দেশ বলে। যেমন— নরওয়ে ও সুইডেন।
📝112. পুঞ্জিত ক্ষয় কী?
✅উত্তর: নদীর জলে পলি জমে যে ক্ষয়িত পদার্থ ভূপৃষ্ঠে সঞ্চিত হয়, তাকে পুঞ্জিত ক্ষয় বলে। এটি ভূমির উর্বরতা বৃদ্ধিতে সহায়ক।
📝113. র্যাভাইন ক্ষয় কী?
✅উত্তর: অতিবৃষ্টির ফলে ঢালু জমিতে গভীর খাত তৈরি হয়ে মাটির ক্ষতি হলে তাকে র্যাভাইন ক্ষয় বলে। এটি কৃষিজমির মারাত্মক ক্ষয় সাধন করে।
📝114. কোক কয়লা কী?
✅উত্তর: কোক কয়লা হলো বিশুদ্ধ কার্বনের কঠিন রূপ, যা ধোঁয়াবিহীনভাবে জ্বলে। এটি ইস্পাত তৈরির জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় জ্বালানি।
📝115. নিরপেক্ষ সামগ্রী কী?
✅উত্তর: যেসব পদার্থ প্রকৃতিতে কোনো রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশ নেয় না, তাদের নিরপেক্ষ সামগ্রী বলে। যেমন— বালি, পাথর ইত্যাদি।
📝116. আশ্বিনের ঝড় কী?
✅উত্তর: আশ্বিন মাসে বঙ্গোপসাগর ও উপকূলীয় অঞ্চলে যে হঠাৎ ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয়, তাকে আশ্বিনের ঝড় বলে। এটি প্রায়ই সেপ্টেম্বর–অক্টোবর মাসে হয়।
📝117. পশ্চিমি ঝামেলা কী?
✅উত্তর: পশ্চিমি ঝামেলা হলো ইউরোপ ও পশ্চিম থেকে আসা বাতাসের ধারা, যা ভারতে শীতকালে বৃষ্টি আনে। এটি পাহাড় ও সমতল এলাকায় জলবায়ুর পরিবর্তন ঘটায়।
📝118. SAIL কী?
✅উত্তর: SAIL অর্থাৎ Steel Authority of India Limited, ভারতের অন্যতম প্রধান লৌহ ও ইস্পাত সংস্থা। এটি দেশীয় ইস্পাত উৎপাদন ও শিল্প বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
📝119. আউটসোর্সিং কী?
✅উত্তর: আউটসোর্সিং হলো কোনো সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের কাজ বা সেবা বাইরের কোনো বিশেষজ্ঞ প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া। এটি উৎপাদন খরচ কমাতে ও দক্ষতা বাড়াতে ব্যবহৃত হয়।
📝120. আয়তন স্কেল কী?
✅উত্তর: আয়তন স্কেল হলো মানচিত্রে প্রদর্শিত স্থানীয় এলাকা ও প্রকৃত এলাকার অনুপাত। এটি মূলত কোনো স্থানের আকার নিরূপণে ব্যবহৃত হয়।
📝121. রৈখিক স্কেল কী?
✅উত্তর: রৈখিক স্কেল হলো মানচিত্রে দূরত্ব মাপার সরাসরি রেখা যা বাস্তব দূরত্বের সাথে সম্পর্কিত। এটি সাধারণত সেন্টিমিটার বা ইঞ্চিতে প্রকাশ করা হয়।
📝122. মূলমধ্যরেখা কী?
✅উত্তর: পৃথিবীর ০° দ্রাঘিমারেখাকে মূলমধ্যরেখা বলে। এটি ইংল্যান্ডের গ্রিনউইচ পর্যবেক্ষণাগারের মধ্য দিয়ে গেছে।
📝123. আন্তর্জাতিক তারিখরেখা কী?
✅উত্তর: ১৮০° দ্রাঘিমারেখার নিকটে অবস্থিত রেখাটিকে আন্তর্জাতিক তারিখরেখা বলে। এটি এক পাশের দিন ও অপর পাশের তারিখ নির্ধারণ করে।
📝124. ছায়াবৃত্ত কী?
✅উত্তর: পৃথিবীর সূর্যালোকিত অংশ ও অন্ধকার অংশের বিভাজনরেখাকে ছায়াবৃত্ত বলে। এটি দিন ও রাতের সীমারেখা নির্দেশ করে।
📝125. জলবিষুব কী?
✅উত্তর: বছরে দুইবার সূর্য যখন নিরক্ষরেখার ওপর অবস্থান করে, তখন দিন ও রাত সমান হয়, একে জলবিষুব বলে। এটি মার্চ ও সেপ্টেম্বর মাসে ঘটে।
📝126. মহীখাত কী?
✅উত্তর: সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে নিচু ও প্রশস্ত ভূভাগকে মহীখাত বলে। এটি মহাদেশগুলির নিচে বিস্তৃত থাকে।
📝127. ক্যালডেরা কী?
✅উত্তর: আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণে শীর্ষভাগ ধ্বসে যে বিশাল গহ্বর তৈরি হয়, তাকে ক্যালডেরা বলে। এটি প্রায়ই আগ্নেয়গিরির ক্রিয়ার চিহ্ন বহন করে।
📝128. এলুভিয়েশন কী?
✅উত্তর: মাটির উপরের স্তর থেকে খনিজ ও কণার নিচের স্তরে সরে যাওয়ার প্রক্রিয়াকে এলুভিয়েশন বলে। এটি মাটির গঠন পরিবর্তন ঘটায়।
📝129. রেগোলিথ কী?
✅উত্তর: শিলার উপরে থাকা আবহবিকারজনিত খোয়া ও মাটি স্তরকে রেগোলিথ বলে। এটি আবহবিকার প্রক্রিয়ার ফলাফল।
📝130. দামোদর পরিকল্পনার দুটি জলাধারের নাম লেখো।
✅উত্তর: দামোদর পরিকল্পনার দুটি প্রধান জলাধার হলো মাইথন ও পান্চেত। এগুলি বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও সেচের কাজে ব্যবহৃত হয়।
📝131. মিলিয়ন শহর কী?
✅উত্তর: যে শহরের জনসংখ্যা দশ লক্ষ বা তার বেশি, তাকে মিলিয়ন শহর বলে। ভারতে কলকাতা, মুম্বাই ইত্যাদি শহর এ ধরনের।
📝132. মালভূমি অঞ্চলের দুটি পাহাড়ের নাম লেখো।
✅উত্তর: মালভূমি অঞ্চলের দুটি প্রধান পাহাড় হলো রাজমহল পাহাড় ও মিকির পাহাড়। এরা পূর্ব ও দক্ষিণ ভারতে অবস্থিত।
📝133. জোয়ারের জলে পুষ্ট পশ্চিমবঙ্গের দুটি নদীর নাম লেখো।
✅উত্তর: হুগলি ও মাতলা নদী পশ্চিমবঙ্গের জোয়ারের জলে পুষ্ট নদী। এরা উপকূল অঞ্চলের লবণাক্ত জলের প্রভাব বহন করে।
📝134. পূর্ব ভারতে অধিক সংখ্যক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র গড়ে উঠেছে কেন?
✅উত্তর: পূর্ব ভারতে কয়লার প্রাচুর্যের কারণে তাপবিদ্যুৎ উৎপাদনের কাঁচামাল সহজলভ্য। এছাড়া শিল্প ও পরিবহন ব্যবস্থার উন্নতি বিদ্যুৎ উৎপাদনে সহায়ক হয়েছে।
📝135. পশ্চিমবঙ্গের উত্তরের পার্বত্য অঞ্চলের ভূপ্রকৃতির সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও।
✅উত্তর: পশ্চিমবঙ্গের উত্তর অংশে দার্জিলিং ও কালিম্পং অঞ্চলে হিমালয়ের পর্বতমালা বিস্তৃত। এখানে উচ্চ পাহাড়, গভীর উপত্যকা ও ঢালু ভূখণ্ডের প্রাধান্য দেখা যায়।
📝136. দুর্গাপুর লৌহ-ইস্পাত কেন্দ্র গড়ে ওঠার ভৌগোলিক কারণগুলি লেখো।
✅উত্তর: দুর্গাপুরে চিত্তরঞ্জন, রানিগঞ্জ প্রভৃতি এলাকা থেকে কয়লা ও ঝাড়খণ্ড থেকে লোহা সহজে পাওয়া যায়। পাশাপাশি জল, বিদ্যুৎ, শ্রমশক্তি ও পরিবহনের সুবিধাও এই কেন্দ্র গড়ে তোলার পক্ষে সহায়ক হয়েছে।
📝137. দুর্যোগ কী?
✅উত্তর: দুর্যোগ হলো এমন এক প্রাকৃতিক বা মানবসৃষ্ট বিপর্যয় যা মানুষের জীবন, সম্পদ ও পরিবেশে ক্ষতি ঘটায়। যেমন— ভূমিকম্প, বন্যা, ঘূর্ণিঝড় ইত্যাদি।
📝138. ভূমিকম্পের দুটি ফলাফল লেখো।
✅উত্তর: ভূমিকম্পে ভূমি ফাটল সৃষ্টি হয় এবং স্থাপনা ধ্বংস হয়ে যায়। পাশাপাশি প্রাণহানি ও ভূমির গঠন পরিবর্তন ঘটে।
📝139. টেরাসিং পদ্ধতি কী?
✅উত্তর: পাহাড়ি ঢালে ধাপে ধাপে চাষের জন্য জমি তৈরি করাকে টেরাসিং বলে। এতে মাটি ক্ষয় রোধ ও জল সংরক্ষণ সম্ভব হয়।
📝140. নালিক্ষয় কাকে বলে?
✅উত্তর: প্রবল বৃষ্টির জলে ছোট খাঁজ ক্রমে গভীর খাত বা নালীতে পরিণত হলে তাকে নালিক্ষয় বলে। এটি মাটি ক্ষয়ের এক প্রধান রূপ।
📝141. নগ্নীভবন কী?
✅উত্তর: শিলাস্তরের উপরের মাটি ও নরম স্তর ক্ষয়ে উন্মুক্ত হলে তাকে নগ্নীভবন বলে। এতে শিলার অভ্যন্তরীণ অংশ প্রকাশ পায়।
📝142. আবহবিকার কাকে বলে?
✅উত্তর: প্রাকৃতিক উপাদানের প্রভাবে শিলার ভৌত, রাসায়নিক ও জৈব পরিবর্তন ঘটাকে আবহবিকার বলে। এটি ভূমিরূপ পরিবর্তনের সূচনা করে।
📝143. সময় অঞ্চল কী?
✅উত্তর: পৃথিবীর দ্রাঘিমারেখা অনুযায়ী নির্দিষ্ট স্থানের সময় নির্ধারণের জন্য পৃথিবীকে ২৪টি অংশে ভাগ করা হয়েছে, যেগুলোই সময় অঞ্চল। প্রতিটি অঞ্চলের সময় পার্থক্য এক ঘণ্টা।
📝144. মূলমধ্যরেখার গুরুত্ব লেখো।
✅উত্তর: মূলমধ্যরেখা (Prime Meridian) দ্বারা বিশ্বের মান সময় বা গ্রিনিচ মান সময় নির্ধারণ করা হয়। এটি পৃথিবীকে পূর্ব ও পশ্চিম গোলার্ধে বিভক্ত করে।
📝145. আগ্নেয় পর্বতকে সঞ্চয়জাত পর্বত বলে কেন?
✅উত্তর: আগ্নেয়গিরি থেকে নির্গত লাভা ও ছাই স্তরে স্তরে জমে উঁচু ভূমি গঠন করে। তাই একে সঞ্চয়জাত পর্বত বলা হয়।
📝146. পর্বতবেষ্টিত মালভূমি কাকে বলে?
✅উত্তর: চারদিকে পর্বত দ্বারা পরিবেষ্টিত মালভূমিকে পর্বতবেষ্টিত মালভূমি বলে। উদাহরণ— তিব্বত মালভূমি।
📝147. যান্ত্রিক আবহবিকার কাকে বলে?
✅উত্তর: তাপ, বরফ, বায়ু বা জলের প্রভাবে শিলার ভৌত পরিবর্তন ঘটলে তাকে যান্ত্রিক আবহবিকার বলে। এতে রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটে না।
📝148. শল্কমোচন কী?
✅উত্তর: তাপমাত্রার পরিবর্তনে শিলার বাইরের স্তর ফুলে ওঠে ও খসে পড়ে গেলে তাকে শল্কমোচন বলে। এটি শিলার পৃষ্ঠে পেঁয়াজের খোসার মতো স্তর তৈরি করে।
📝149. বন্যার কারণগুলি লেখো।
✅উত্তর: অতিবৃষ্টি, নদীর তলদেশ ভরাট হওয়া ও বননিধন বন্যার প্রধান কারণ। বাঁধ ভাঙা ও নিষ্কাশনের অভাবেও বন্যা ঘটে।
📝150. 'Quick Response Team' কাকে বলে?
✅উত্তর: দুর্যোগের সময় দ্রুত উদ্ধার ও ত্রাণ কার্য পরিচালনার জন্য গঠিত বিশেষ দলকে 'Quick Response Team' বলা হয়। তারা তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত স্থানে কাজ শুরু করে।
📝151. নিরপেক্ষ সম্পদ কাকে বলে?
✅উত্তর: যে সম্পদ মানুষের ব্যবহারে পরিবেশের ক্ষতি ঘটায় না, তাকে নিরপেক্ষ সম্পদ বলে। যেমন— সূর্যালোক, বায়ু ইত্যাদি।
📝152. GTA কী?
✅উত্তর: GTA বা Gorkhaland Territorial Administration হলো দার্জিলিং অঞ্চলের স্বশাসিত প্রশাসনিক সংস্থা। এটি পাহাড়ি এলাকার উন্নয়নের জন্য গঠিত হয়।
📝153. ম্যাপ-এর সংজ্ঞা লেখো।
✅উত্তর: পৃথিবীর পৃষ্ঠের সম্পূর্ণ বা আংশিক চিত্রকে স্কেলের অনুপাতে সমতল কাগজে অঙ্কিত রূপকেই মানচিত্র বা ম্যাপ বলে। এটি ভূতাত্ত্বিক তথ্য জানার উপায়।
📝154. স্কেলের সংজ্ঞা দাও।
✅উত্তর: মানচিত্রে দূরত্ব ও বাস্তব ভূখণ্ডের দূরত্বের অনুপাতকেই স্কেল বলে। এটি মানচিত্রের মাপ নির্ধারণে সাহায্য করে।
✍️সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যামূলক প্রশ্নগুলির উত্তর দাও(প্রশ্নের মান-৩):
📝 1. বন্যা ও খরার তিনটি পার্থক্য লেখো।
| বিষয় | বন্যা (Flood) | খরা (Drought) |
|---|---|---|
| কারণ | অতিবৃষ্টি বা নদীর উপচে পড়ায় ভূমি প্লাবিত হয় | দীর্ঘদিন বৃষ্টিহীনতার ফলে জলের অভাব দেখা দেয় |
| সময় | সাধারণত বর্ষাকালে ঘটে | গ্রীষ্ম বা শুষ্ক মৌসুমে ঘটে |
| প্রভাব | জনজীবন ও কৃষিক্ষেত্রে বিপর্যয় আনে | খাদ্য ও পানীয় জলের সংকট সৃষ্টি করে |
📝 2. আগ্নেয় পর্বত ও ভঙ্গিল পর্বতের পার্থক্য লেখো।
| বিষয় | আগ্নেয় পর্বত (Volcanic Mountain) | ভঙ্গিল পর্বত (Fold Mountain) |
|---|---|---|
| গঠন | আগ্নেয়গিরির লাভা জমে তৈরি হয় | ভূত্বকের ভাঁজ পড়ে তৈরি হয় |
| আকৃতি | শঙ্কু আকৃতি | দীর্ঘ শৃঙ্খলাকার |
| উদাহরণ | ফুজি, ভেসুভিয়াস | হিমালয়, আল্পস |
📝 3. স্থানীয় সময় ও প্রমাণ সময়ের পার্থক্য লেখো।
| বিষয় | স্থানীয় সময় (Local Time) | প্রমাণ সময় (Standard Time) |
|---|---|---|
| নির্ভরতা | সূর্যের অবস্থানের উপর নির্ভরশীল | নির্দিষ্ট দ্রাঘিমারেখার উপর নির্ভরশীল |
| পার্থক্য | এক স্থান থেকে অন্য স্থানে ভিন্ন | গোটা দেশে একই থাকে |
| উদাহরণ | কলকাতার স্থানীয় সময় ও দিল্লির ভিন্ন | ভারতের প্রমাণ সময় ৮২°৩০′ পূ. দ্রাঘিমা |
📝 4. এরাটোথেনিসের পৃথিবীর পরিধি নির্ণয় পদ্ধতি সম্পর্কে লেখো।
✅ উত্তর:
এরাটোথেনিস সূর্যের ছায়া পর্যবেক্ষণ করে পৃথিবীর পরিধি নির্ধারণ করেন। তিনি সায়েন ও আলেক্সান্দ্রিয়ায় সূর্যের কোণ মেপে দেখেন, সায়েনে সূর্য মস্তকে থাকলেও আলেক্সান্দ্রিয়ায় ছায়া পড়ে। দুই স্থানের দূরত্ব ও কোণীয় পার্থক্য থেকে পৃথিবীর মোট পরিধি নির্ণয় করেন। এই পরীক্ষার মাধ্যমে পৃথিবী গোলাকার তা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত হয়।
📝 5. পশ্চিমবঙ্গের মালভূমি অঞ্চলের মাটি ও পার্বত্য অঞ্চলের মাটির বৈশিষ্ট্য কী?
| বিষয় | মালভূমি অঞ্চলের মাটি | পার্বত্য অঞ্চলের মাটি |
|---|---|---|
| রং | লালচে বা বাদামি | ধূসর বা কালচে বাদামি |
| গঠন | শুষ্ক ও লোহার আধিক্যযুক্ত | হিউমাস ও জৈব পদার্থসমৃদ্ধ |
| উর্বরতা | কম | বেশি |
| উৎপাদনযোগ্য ফসল | ডাল, তেলবীজ, আলু | চা, আদা, কমলা |
📝 6. তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের গুরুত্ব কী?
✅ উত্তর:
তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প আধুনিক অর্থনীতির মূল ভিত্তি। এটি দেশের আয় বৃদ্ধি করে, বিপুল কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে। শিক্ষাক্ষেত্র, ব্যবসা ও প্রশাসনে প্রযুক্তির ব্যবহারকে সহজ করেছে। এর ফলে দেশ বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় সক্ষমতা অর্জন করেছে।
📝 7. স্কেলের ব্যবহার ও গুরুত্ব কী?
✅ উত্তর:
মানচিত্রে বাস্তব দূরত্বকে অনুপাত আকারে প্রকাশ করার পদ্ধতিই স্কেল। এটি ব্যবহার করে মানচিত্রে এক স্থান থেকে অন্য স্থানের দূরত্ব নির্ণয় করা যায়। স্কেল মানচিত্রের নির্ভুলতা ও পাঠযোগ্যতা বৃদ্ধি করে। পরিকল্পনা, জরিপ ও গবেষণায় এর বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে।
📝 8. মানচিত্রের ব্যবহার ও গুরুত্ব কী?
✅ উত্তর:
মানচিত্র পৃথিবীর ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য চিত্ররূপে প্রকাশ করে। এটি শিক্ষা, প্রশাসন, পরিবহন, প্রতিরক্ষা ও পরিকল্পনায় অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে। গবেষণা ও জরিপে মানচিত্র অত্যন্ত কার্যকর। ফলে মানচিত্র মানবসভ্যতার জ্ঞানভাণ্ডারে এক অপরিহার্য মাধ্যম।
📝 9. অনুসূর কী?
✅ উত্তর:
সূর্য, পৃথিবী ও চাঁদ এক সরলরেখায় অবস্থান করলে এবং পৃথিবীর ছায়া চাঁদের উপর পড়লে তাকে অনুসূর বা চন্দ্রগ্রহণ বলে। এটি পূর্ণিমা তিথিতে ঘটে। চাঁদের উজ্জ্বলতা আংশিক বা সম্পূর্ণ বিলুপ্ত হয়।
📝 10. প্রতিপাদস্থান কাকে বলে?
✅ উত্তর:
পৃথিবীর যেকোনো স্থানের বিপরীত দিকে পৃথিবীর কেন্দ্রমাধ্যমে টানা একটি সরলরেখার অপরপ্রান্তের স্থানে যে বিন্দু অবস্থান করে তাকে প্রতিপাদস্থান বলে। উদাহরণস্বরূপ, ভারতের প্রতিপাদস্থান দক্ষিণ আমেরিকার ব্রাজিল অঞ্চলের কাছে।
📝 11. ভঙ্গিল পর্বতের বৈশিষ্ট্য লেখো
✅ উত্তর:
ভঙ্গিল পর্বত ভূত্বকের স্তরগুলো পরস্পরের চাপে ভাঁজ পড়ে গঠিত হয়। এই পর্বতগুলো দীর্ঘ, শৃঙ্খলাকার ও উচ্চতা অসমান হয়। এর শীর্ষে অ্যান্টিক্লাইন ও নিম্নভাগে সিনক্লাইন গঠিত হয়। হিমালয়, আল্পস ইত্যাদি ভঙ্গিল পর্বতের উৎকৃষ্ট উদাহরণ।
📝 12. যান্ত্রিক আবহবিকার ও রাসায়নিক আবহবিকারের পার্থক্য
| বিষয় | যান্ত্রিক আবহবিকার | রাসায়নিক আবহবিকারা |
|---|---|---|
| প্রক্রিয়া | শারীরিক কারণে শিলার ভাঙন | রাসায়নিক বিক্রিয়ায় শিলার পরিবর্তন |
| প্রধান কারণ | তাপমাত্রা, হিমায়ন, জলচাপ | জল, বায়ু, অম্ল ও লবণের বিক্রিয়া |
| ফলাফল | শিলা ছোট ছোট খণ্ডে বিভক্ত হয় | শিলার উপাদান রাসায়নিকভাবে রূপান্তরিত হয় |
| উদাহরণ | মরুভূমির শিলা ফাটল | চুনাপাথরের কার্বোনেশন |
📝 13. দাবানল কী?
✅ উত্তর:
প্রাকৃতিক বা মানবসৃষ্ট কারণে বনাঞ্চলে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়লে তাকে দাবানল বলে। এটি শুষ্ক অঞ্চলে ও গ্রীষ্মকালে বেশি ঘটে। দাবানলে বৃক্ষরাজি ধ্বংস হয় এবং বায়ুমণ্ডলে দূষণ বৃদ্ধি পায়।
📝 14. হিমালয় অঞ্চল কেন ভূমিকম্পপ্রবণ?
✅ উত্তর:
হিমালয় অঞ্চল পৃথিবীর নবীন ভঙ্গিল পর্বতমালা। এই অঞ্চলটি ইন্দো-অস্ট্রেলিয়ান ও ইউরেশিয়ান প্লেটের সংঘর্ষস্থলে অবস্থিত। প্লেটগুলির ক্রমাগত চাপ ও সঞ্চিত শক্তি ভূকম্পন সৃষ্টি করে।
📝 15. ‘অপ্রচলিত শক্তি আমাদের ভবিষ্যৎ’ – বিষয়টি ব্যাখ্যা করো
✅ উত্তর:
অপ্রচলিত শক্তি যেমন সৌরশক্তি, বায়ুশক্তি, জৈবগ্যাস, ভূতাপীয় শক্তি ইত্যাদি নবীকরণযোগ্য। এগুলি পরিবেশবান্ধব ও চিরস্থায়ী শক্তির উৎস। প্রচলিত শক্তির মজুত সীমিত এবং দূষণ সৃষ্টি করে। তাই অপ্রচলিত শক্তি টেকসই উন্নয়নের মূল ভিত্তি।
📝 16. পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন শিল্প সম্পর্কে লেখো
✅ উত্তর:
পশ্চিমবঙ্গ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিতে সমৃদ্ধ রাজ্য। দার্জিলিং, সুন্দরবন, শান্তিনিকেতন, দিঘা, মুর্শিদাবাদ প্রভৃতি স্থানে দেশি-বিদেশি পর্যটক আকর্ষিত হন। পর্যটন শিল্প এখানকার অর্থনীতির অন্যতম আয়ভিত্তি। এটি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে এবং রাজ্যের সংস্কৃতিকে বিশ্বদরবারে প্রচার করে।
📝 17. মাটিক্ষয় প্রতিরোধের তিনটি উপায়
✅ উত্তর:
মাটিক্ষয় রোধের জন্য তির্যক চাষ ও ধনুকাকৃতি চাষ করা হয়, যা পানি ও মাটির ক্ষয় কমায়। মাটির স্তর সংরক্ষণের জন্য পলি বা চুন ছড়ানো হয়। পাহাড়ি অঞ্চলে গাছ লাগানো বা বেল্ট তৈরি করা হয়। এসব পদ্ধতি মাটিকে ক্ষয় থেকে রক্ষা করে এবং কৃষিজমির উর্বরতা বজায় রাখে।
📝 18. এলুভিয়েশন ও ইলুভিয়েশন কীভাবে হয়?
✅ উত্তর:
এলুভিয়েশন হলো মাটি বা ক্ষুদ্র কণার স্থানান্তর যা বৃষ্টির পানি বা বাতাসের মাধ্যমে ঘটে। ইলুভিয়েশন হলো সেই স্থানান্তরিত কণার জমা হওয়া অন্য কোনো স্থানে। এই প্রক্রিয়ায় মাটির স্তর ও গঠন পরিবর্তিত হয়। ফলে উর্বর মাটি ও মাটির বিভিন্ন স্তর তৈরি হয়।
📝 19. খরার তিনটি কারণ
✅ উত্তর:
খরার প্রধান কারণ হলো পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত না হওয়া। নদী বা জলাধারের পানির অভাবও খরার কারণ। দীর্ঘ সময় শুষ্ক আবহও তীব্র খরার সৃষ্টি করে। মাটি ক্ষয় ও অতিরিক্ত জলচলাচলও খরার তীব্রতা বাড়ায়।
📝 20. সুনামির আগে ও পরে কীভাবে পরিকল্পনা গ্রহণ করা যেতে পারে
✅ উত্তর:
সুনামির আগে সতর্কতা সংকেত স্থাপন ও জরুরি পরিকল্পনা গ্রহণ জরুরি। সুরক্ষা বাঁধ ও নির্মাণ নিয়ন্ত্রণ মাটির ক্ষয় ও সুনামি থেকে রক্ষা করে। সুনামির পরে দ্রুত উদ্ধারকাজ করতে হয়। ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন ও পুনর্নির্মাণ কার্যক্রম অবিলম্বে শুরু করতে হয়।
📝 21. ভূমিকম্পের কারণগুলি ব্যাখ্যা করো
✅ উত্তর:
ভূমিকম্প প্রধানত পৃথিবীর অভ্যন্তরে শিলাস্তরের ভাঙন বা ফাটল সৃষ্টির কারণে হয়। টেকটোনিক ফল্ট লাইনের ঘর্ষণ বা হঠাৎ সঞ্চিত শক্তির মুক্তি এর প্রধান কারণ। আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত বা ভূগর্ভস্থ বিস্ফোরণেও কম্পন ঘটে। এই প্রক্রিয়ায় ভূ-পৃষ্ঠ কেঁপে ওঠে এবং কখনও ভয়াবহ ধ্বংসের সৃষ্টি করে।
📝 22. প্লাবন সমভূমির গঠনের প্রক্রিয়া লেখো
✅ উত্তর:
প্লাবন সমভূমি নদীর বারবার বন্যা ও পলি সঞ্চয়ের ফলে গঠিত হয়। বন্যার জল পলি ও কাদা নিয়ে আসে এবং তা নদীতীর ও নিম্নভূমিতে জমা হয়। ধীরে ধীরে সমতল অঞ্চল তৈরি হয় যা কৃষির জন্য অত্যন্ত উপযোগী। এই প্রক্রিয়ায় নদী অববাহিকায় উর্বর জমির সৃষ্টি হয়।
📝 23. পশ্চিমবঙ্গে বন্যার প্রধান কারণগুলি লেখো
✅ উত্তর:
পশ্চিমবঙ্গে বন্যার প্রধান কারণ অতিবৃষ্টিপাত ও মৌসুমি বর্ষার আধিক্য। নদীগুলির তলদেশে অতিরিক্ত পলি জমে যাওয়ায় পানি ধারণক্ষমতা কমে যায়। নিকাশি ব্যবস্থার দুর্বলতা ও অবৈজ্ঞানিক বাঁধ নির্মাণও দায়ী। ফলে নিয়মিতভাবে গঙ্গা, দামোদর ও তোরসা অববাহিকায় বন্যা দেখা দেয়।
📝 24. দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার ধাপগুলি লেখো
✅ উত্তর:
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সাধারণত চারটি পর্যায়ে সম্পন্ন হয়— প্রতিরোধ, প্রস্তুতি, প্রতিক্রিয়া ও পুনর্বাসন। প্রতিরোধ পর্যায়ে দুর্যোগের ক্ষতি রোধের পরিকল্পনা করা হয়। প্রস্তুতি পর্যায়ে মানুষকে সচেতন ও প্রশিক্ষিত করা হয়। প্রতিক্রিয়া ও পুনর্বাসন পর্যায়ে উদ্ধারকাজ ও ক্ষয়ক্ষতি পূরণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
📝 25. আহ্নিক গতি ও বার্ষিক গতির পার্থক্য লেখো
| বিষয় | আহ্নিক গতি | বার্ষিক গতি |
|---|---|---|
| সংজ্ঞা | পৃথিবীর নিজ অক্ষে পশ্চিম থেকে পূর্বে ঘূর্ণন আহ্নিক গতি। | পৃথিবীর সূর্যকে কেন্দ্র করে আবর্তন বার্ষিক গতি। |
| সময়কাল | সম্পূর্ণ একবার ঘূর্ণন করতে ২৪ ঘণ্টা লাগে। | সম্পূর্ণ একবার পরিক্রমণ করতে ৩৬৫ দিন লাগে। |
| ফলাফল | দিন ও রাতের সৃষ্টি হয়। | ঋতু পরিবর্তন ও সৌর বছরের সৃষ্টি হয়। |
| প্রভাব | সময় অঞ্চল ও স্থানীয় সময় নির্ধারিত হয়। | সূর্যের আপাত অবস্থান পরিবর্তন দেখা যায়। |
📝 26. অক্ষরেখা ও দ্রাঘিমারেখার পার্থক্য লেখো
| বিষয় | অক্ষরেখা | দ্রাঘিমারেখা |
|---|---|---|
| দিক | পূর্ব-পশ্চিমে প্রসারিত। | উত্তর-দক্ষিণে প্রসারিত। |
| সংখ্যা | মোট ১৮১টি (০° থেকে ৯০° উভয় দিকে)। | মোট ৩৬০টি (০° থেকে ১৮০° উভয় দিকে)। |
| দৈর্ঘ্য | সব অক্ষরেখার দৈর্ঘ্য সমান নয়। | সব দ্রাঘিমারেখার দৈর্ঘ্য সমান। |
| ব্যবহার | জলবায়ু ও তাপমাত্রা নির্ণয়ে ব্যবহৃত। | সময় ও স্থান নির্ণয়ে ব্যবহৃত। |
📝 27. কর্কটসংক্রান্তি ও মকরসংক্রান্তির পার্থক্য লেখো
| বিষয় | কর্কটসংক্রান্তি | মকরসংক্রান্তি |
|---|---|---|
| সূর্যের অবস্থান | সূর্য উত্তর গোলার্ধের কর্কটক্রান্তি রেখার উপর অবস্থান করে। | সূর্য দক্ষিণ গোলার্ধের মকরক্রান্তি রেখার উপর অবস্থান করে। |
| সময় | প্রতি বছর প্রায় ২১ জুনে ঘটে। | প্রতি বছর প্রায় ২২ ডিসেম্বর ঘটে। |
| দিন-রাত্রি | উত্তর গোলার্ধে দিন দীর্ঘ ও রাত সংক্ষিপ্ত হয়। | উত্তর গোলার্ধে রাত দীর্ঘ ও দিন সংক্ষিপ্ত হয়। |
| সূর্যরশ্মির প্রভাব | উত্তর গোলার্ধে গ্রীষ্ম ঋতুর তীব্রতা বৃদ্ধি পায়। | দক্ষিণ গোলার্ধে গ্রীষ্ম ও উত্তর গোলার্ধে শীত বৃদ্ধি পায়। |
📝 28. পুনর্ভব ও অপুনর্ভব সম্পদের পার্থক্য লেখো
| বিষয় | পুনর্ভব সম্পদ | অপুনর্ভব সম্পদ |
|---|---|---|
| অর্থ | স্বল্প সময়ে পুনরায় সৃষ্টি করা যায়। | পুনরায় সৃষ্টি সম্ভব নয় বা দীর্ঘ সময় লাগে। |
| উদাহরণ | সূর্যশক্তি, জল, বায়ু, বন ইত্যাদি। | কয়লা, তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস ইত্যাদি। |
| স্থায়িত্ব | দীর্ঘস্থায়ী ও টেকসই সম্পদ। | সীমিত ও নিঃশেষযোগ্য সম্পদ। |
| পরিবেশ প্রভাব | পরিবেশবান্ধব ও দূষণহীন। | পরিবেশ দূষণ ও ক্ষয় সৃষ্টি করে। |
📝 29. উত্তর ভারত ও দক্ষিণ ভারতের জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের ভৌগোলিক পরিবেশের তুলনা করো
✅ উত্তর:
উত্তর ভারতে প্রধানত হিমালয় ও তার উপনদীগুলিতে জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের সম্ভাবনা বেশি। গঙ্গা, যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র নদীর পাহাড়ি অংশে জলপ্রপাত ও তীব্র ঢাল রয়েছে। অন্যদিকে দক্ষিণ ভারতে গোদাবরী, কাবেরী ও মহানদীর মতো উপদ্রুম নদীগুলি জলবিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়। দক্ষিণে স্থায়ী নদীপ্রবাহ কম হলেও পাথুরে গিরি অঞ্চলে বাঁধ নির্মাণ করে বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হয়েছে।
📝 30. RF 1:50,000 বিবৃতিমূলক স্কেলে পরিণত করো
✅ উত্তর:
RF 1:50,000 অর্থ ১ সেমি মানচিত্রে ভূমিতে ৫০,০০০ সেমি নির্দেশ করে। ৫০,০০০ সেমি = ৫০০ মিটার = ০.৫ কিলোমিটার।
অতএব, বিবৃতিমূলক স্কেল হবে —
👉 ১ সেমি = ০.৫ কিলোমিটার (অথবা ১ সেমি = ৫০০ মিটার)।
📝 31. উষা ও গোধূলির পার্থক্য লেখো
| বিষয় | উষা | গোধূলি |
|---|---|---|
| অর্থ | সূর্যোদয়ের আগে আকাশে আলোর আভা দেখা যায়। | সূর্যাস্তের পর আকাশে ম্লান আলোর আভা থাকে। |
| সময় | ভোরবেলায় সূর্য ওঠার পূর্ব মুহূর্তে ঘটে। | সন্ধ্যাবেলায় সূর্য অস্ত যাওয়ার পর মুহূর্তে ঘটে। |
| রঙ | আকাশে হালকা লালচে বা গোলাপি আভা দেখা যায়। | আকাশে নীলচে-কমলা আভা দেখা যায়। |
| প্রতীক | নতুন দিনের সূচনা নির্দেশ করে। | দিনের সমাপ্তি ও রাতের সূচনা নির্দেশ করে। |
📝 32. 180° দ্রাঘিমারেখাকেই আন্তর্জাতিক তারিখরেখা ধরা হয় কেন?
✅ উত্তর:
১৮০° দ্রাঘিমারেখা পৃথিবীর বিপরীত অর্ধগোলকে প্রধান মধ্যরেখার সরাসরি বিপরীতে অবস্থিত। এই রেখা অতিক্রম করলে এক দিনের তারিখ পরিবর্তন ঘটে। পৃথিবীর আবর্তনের ফলে পূর্ব দিকে গেলে এক দিন বাড়ে এবং পশ্চিম দিকে গেলে এক দিন কমে যায়। তাই ১৮০° দ্রাঘিমারেখাকে আন্তর্জাতিক তারিখরেখা হিসাবে গ্রহণ করা হয়েছে।
📝 33. ধৌত প্রক্রিয়া ও কৈশিক প্রক্রিয়ার পার্থক্য লেখো
| বিষয় | ধৌত প্রক্রিয়া | কৈশিক প্রক্রিয়া |
|---|---|---|
| অর্থ | মাটির দ্রবণীয় পদার্থ নিচের দিকে সরে যায়। | জল মাটির কণিকার ফাঁক দিয়ে উপরের দিকে ওঠে। |
| দিক | গমন নিম্নমুখী। | গমন ঊর্ধ্বমুখী। |
| কারণ | অতিবৃষ্টি বা অতিরিক্ত সেচের ফলে ঘটে। | শুষ্ক আবহাওয়া ও উচ্চ বাষ্পীভবনের ফলে ঘটে। |
| ফলাফল | উর্বর পদার্থ নিচে নেমে যায় ও উপরের মাটি দরিদ্র হয়। | লবণ উপরে জমে গিয়ে মাটির গুণ নষ্ট করে। |
📝 34. অঙ্গারযোজন ও জারণের পার্থক্য লেখো
| বিষয় | অঙ্গারযোজন | জারণ |
|---|---|---|
| অর্থ | অক্সিজেনের সঙ্গে কোনো পদার্থের সংযোজন। | কোনো পদার্থ থেকে অক্সিজেনের বিচ্ছেদ। |
| ফল | শক্তি উৎপন্ন হয়। | শক্তি ক্ষয় হয় বা মুক্তি পায়। |
| উদাহরণ | জ্বালানি পোড়ানো বা দহন। | ধাতু মরিচা ধরা বা লোহার অক্সিডেশন। |
| প্রভাব | রাসায়নিক শক্তি তাপ ও আলোর শক্তিতে রূপান্তরিত হয়। | পদার্থের গুণগত পরিবর্তন ঘটে। |
📝 35. উত্তরবঙ্গের নদনদী ও সক্রিয় বদ্বীপ অঞ্চলের নদনদীর পার্থক্য লেখো
| বিষয় | উত্তরবঙ্গের নদনদী | সক্রিয় বদ্বীপ অঞ্চলের নদনদী |
|---|---|---|
| উৎপত্তি | হিমালয় পর্বত থেকে উৎপন্ন। | সমভূমি অঞ্চলে বয়ে চলে ও মোহনায় শেষ হয়। |
| প্রবাহ | প্রবল গতিতে প্রবাহিত হয়। | ধীর গতিতে প্রবাহিত হয়। |
| প্রকৃতি | তরঙ্গিত, অস্থির ও বন্যাপ্রবণ। | প্রশস্ত ও বালুকাবাহী। |
| উদাহরণ | তিস্তা, তোর্সা, রায়ডাক। | হুগলি, রূপনারায়ণ, মাতলা। |
📝 36. উত্তরবঙ্গ চা চাষে উন্নত কেন?
✅ উত্তর:
উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি ও কোচবিহার অঞ্চলে চা চাষের জন্য অনুকূল প্রাকৃতিক পরিবেশ বিদ্যমান। এখানে উচ্চতা, শীতল ও আর্দ্র আবহাওয়া এবং ঢালু ভূমি চা গাছের জন্য উপযোগী। প্রচুর বৃষ্টিপাত ও ভালো নিষ্কাশন ব্যবস্থাও চা উৎপাদন বৃদ্ধি করে। তাই এই অঞ্চল ভারতের অন্যতম প্রধান চা উৎপাদক অঞ্চল।
📝 37. বৃহৎ স্কেল ও ক্ষুদ্র স্কেলের পার্থক্য লেখো
| বিষয় | বৃহৎ স্কেল | ক্ষুদ্র স্কেল |
|---|---|---|
| অর্থ | মানচিত্রে কম এলাকা বিস্তারিতভাবে দেখানো হয়। | মানচিত্রে বেশি এলাকা সংক্ষিপ্তভাবে দেখানো হয়। |
| RF মান | RF মান বড়ো (যেমন ১:১০,০০০)। | RF মান ছোট (যেমন ১:১০,০০,০০০)। |
| ব্যবহার | গ্রাম বা শহরের বিস্তারিত মানচিত্রে ব্যবহৃত। | দেশ বা বিশ্বের মানচিত্রে ব্যবহৃত। |
| নিখুঁততা | অত্যন্ত সূক্ষ্ম ও স্পষ্ট। | তুলনামূলকভাবে কম বিস্তারিত। |
📝 38. টোপোগ্রাফিক্যাল মানচিত্র গুরুত্বপূর্ণ কেন?
✅ উত্তর:
টোপোগ্রাফিক্যাল মানচিত্র কোনো এলাকার ভূপ্রকৃতি, উচ্চতা, ঢাল, নদী, বসতি, রাস্তা ইত্যাদির বিশদ বিবরণ দেয়। এটি সৈনিক, ভূগোলবিদ, প্রকৌশলী ও পরিকল্পনাকারীদের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। এই মানচিত্রের সাহায্যে রাস্তা, বাঁধ, বা জলাধার নির্মাণের উপযুক্ত স্থান নির্ধারণ করা যায়। তাই ভৌগোলিক ও উন্নয়নমূলক কাজে টোপোগ্রাফিক্যাল মানচিত্র অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
📝 39. সক্রিয় বদ্বীপ অঞ্চলের নদীগুলির বৈশিষ্ট্য লেখো
✅ উত্তর:
সক্রিয় বদ্বীপ অঞ্চলের নদীগুলি সাধারণত প্রশস্ত, বালুকাবাহী ও ধীর গতিসম্পন্ন। এই নদীগুলি জোয়ার-ভাটার প্রভাবে লবণাক্ত জল বহন করে। বর্ষাকালে নদীগুলির বন্যা ও তলানি জমার প্রবণতা প্রবল থাকে। এসব নদী যেমন—হুগলি, রূপনারায়ণ ও মাতলা নদী—সমুদ্রের জোয়ার-ভাটার প্রভাবে মুখ পরিবর্তন করে।
📝 40. পুনর্ভব ও অপুনর্ভব সম্পদের পার্থক্য লেখো
| বিষয় | পুনর্ভব সম্পদ | অপুনর্ভব সম্পদ |
|---|---|---|
| অর্থ | যা স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় পুনরায় সৃষ্টি হয়। | যা ব্যবহারে নিঃশেষ হয়ে যায় ও পুনরায় সৃষ্টি হয় না। |
| উদাহরণ | সূর্যশক্তি, বায়ু, জল, বন। | কয়লা, পেট্রোলিয়াম, প্রাকৃতিক গ্যাস। |
| স্থায়িত্ব | দীর্ঘস্থায়ী ও টেকসই। | সীমিত ও অল্পকাল স্থায়ী। |
| ব্যবহারের ধরণ | পরিবেশবান্ধব ও পুনরুজ্জীবনযোগ্য। | পরিবেশদূষণ ঘটায় ও সংরক্ষণ প্রয়োজন। |
📝 41. প্রচলিত ও অপ্রচলিত শক্তির তিনটি পার্থক্য লেখো
| বিষয় | প্রচলিত শক্তি | অপ্রচলিত শক্তি |
|---|---|---|
| উৎস | প্রাকৃতিক জ্বালানি যেমন কয়লা, তেল, গ্যাস। | সূর্য, বায়ু, জোয়ার, ভূ-তাপ প্রভৃতি। |
| পুনর্নবীকরণ | অপুনর্ভব, নিঃশেষযোগ্য। | পুনর্ভব, অনন্তকাল ব্যবহৃত হতে পারে। |
| পরিবেশ প্রভাব | দূষণ ও উষ্ণতা বৃদ্ধি ঘটায়। | পরিবেশবান্ধব ও স্বচ্ছ শক্তির উৎস। |
📝 42. দুর্যোগ ও বিপর্যয়ের পার্থক্য লেখো
| বিষয় | দুর্যোগ | বিপর্যয় |
|---|---|---|
| অর্থ | প্রাকৃতিক বা মানবসৃষ্ট ক্ষতিকর ঘটনা। | দুর্যোগের পরিণতি বা তার ফলশ্রুত ক্ষতি। |
| প্রকৃতি | এটি হঠাৎ ঘটে যায়। | এটি দুর্যোগের ফলে সৃষ্ট অবস্থা। |
| উদাহরণ | ভূমিকম্প, বন্যা, সাইক্লোন। | জীবন, সম্পদ ও পরিবেশের ক্ষতি। |
| প্রতিকার | আগাম সতর্কতা ও প্রস্তুতি। | উদ্ধার, পুনর্বাসন ও পুনর্গঠন। |
📝 43. মৃত্তিকা সংরক্ষণের তিনটি পদ্ধতি আলোচনা করো
✅ উত্তর:
মৃত্তিকা সংরক্ষণের জন্য প্রথমত টেরাসিং বা ধাপচাষ পদ্ধতি পাহাড়ি অঞ্চলে ব্যবহৃত হয়। দ্বিতীয়ত, বৃক্ষরোপণ মাটির বাঁধন দৃঢ় করে ও ক্ষয় রোধ করে। তৃতীয়ত, নদীর পাড়ে বেড়া বা বাঁধ নির্মাণে ভূমিক্ষয় রোধ হয়। এইভাবে মাটির উর্বরতা ও উৎপাদনশক্তি দীর্ঘস্থায়ী রাখা যায়।
📝 44. প্রশান্ত মহাসাগরীয় আগ্নেয় মেখলা কী?
✅ উত্তর:
প্রশান্ত মহাসাগরের চারপাশে অবস্থিত ভূমিকম্পপ্রবণ ও আগ্নেয়গিরি অঞ্চলকে প্রশান্ত মহাসাগরীয় আগ্নেয় মেখলা বলা হয়। এটি "Ring of Fire" নামেও পরিচিত। এখানে পৃথিবীর ভূত্বকের ফলকগুলির সংঘর্ষের কারণে ঘন ঘন ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত ঘটে। জাপান, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, চিলি প্রভৃতি দেশ এই অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত।
📝 45. মানবজীবনে পর্বতের তিনটি প্রভাব লেখো
✅ উত্তর:
পর্বত মানবজীবনে জলবায়ু, জীবিকা ও সংস্কৃতির ওপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে। এগুলি নদীর উৎস ও জলসম্পদের প্রধান ভাণ্ডার। পর্বতের বনাঞ্চল কাঠ, ভেষজ ও পশুপালনের জন্য উপকারী। তাছাড়া, পর্বত অঞ্চলে পর্যটন, চা চাষ ও জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের উন্নত সুযোগ রয়েছে।
📝 46. অন্তর্জাত প্রক্রিয়া ও বহির্জাত প্রক্রিয়ার পার্থক্য লেখো
| বিষয় | অন্তর্জাত প্রক্রিয়া | বহির্জাত প্রক্রিয়া |
|---|---|---|
| অর্থ | পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ শক্তির কারণে ঘটে। | বাহ্যিক শক্তি যেমন বাতাস, জল, বরফ দ্বারা ঘটে। |
| উদাহরণ | ভূমিকম্প, আগ্নেয়গিরি, ভূপৃষ্ঠের ভাঁজ সৃষ্টি। | ক্ষয়, পরিবহন, সঞ্চয় প্রভৃতি। |
| ফলাফল | ভূমির উচ্চতা ও ভাঁজ সৃষ্টি করে। | ভূমি সমতল বা নিচু করে দেয়। |
| কার্যধারা | গঠনমূলক প্রকৃতি (Constructive)। | ধ্বংসাত্মক প্রকৃতি (Destructive)। |
📝 47. মরুভূমিতে রাত্রিবেলায় বন্দুকের গুলির আওয়াজ শোনা যায় কেন?
✅ উত্তর:
মরুভূমিতে দিনের বেলায় তাপমাত্রা অত্যন্ত বেশি থাকে, কিন্তু রাতে দ্রুত ঠান্ডা হয়ে যায়। শুষ্ক বাতাসে আর্দ্রতার অভাব থাকায় শব্দতরঙ্গ সহজে বাধাবিহীনভাবে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে রাত্রিবেলায় শব্দের প্রতিধ্বনি দূর পর্যন্ত শোনা যায়। তাই বন্দুকের আওয়াজ অনেক দূর অবধি শ্রবণযোগ্য হয়।
📝 48. দুর্যোগ ও বিপর্যয়ের মধ্যে পার্থক্য নিরূপণ করো
| বিষয় | দুর্যোগ | বিপর্যয় |
|---|---|---|
| অর্থ | প্রাকৃতিক বা মানবসৃষ্ট ক্ষতিকর ঘটনা। | দুর্যোগের ফলে সৃষ্ট প্রাণ ও সম্পদের ক্ষতি। |
| প্রকৃতি | এটি হঠাৎ ঘটে যায়। | এটি দুর্যোগের পরিণতি। |
| উদাহরণ | বন্যা, ভূমিকম্প, ঝড়। | ঘরবাড়ি ধ্বংস, প্রাণহানি, অর্থনৈতিক ক্ষতি। |
| প্রতিকার | পূর্বপ্রস্তুতি ও সতর্কতা প্রয়োজন। | উদ্ধার, পুনর্গঠন ও পুনর্বাসন জরুরি। |
📝 49. ভূমিকম্পের প্রভাব সম্বন্ধে লেখো
✅ উত্তর:
ভূমিকম্পে মানুষের প্রাণহানি ও সম্পদের বিপুল ক্ষতি হয়। মাটির ফাটল, ভবন ধ্বংস ও সেতু-রাস্তাঘাটের ভেঙে পড়া ঘটে। সমুদ্রতটে সুনামির সৃষ্টি হতে পারে যা উপকূল অঞ্চল ধ্বংস করে দেয়। ভূমিকম্প-পরবর্তী সময়ে অগ্নিকাণ্ড, মহামারি ও স্থানচ্যুতি ঘটে, যা সমাজ ও অর্থনীতিকে বিপর্যস্ত করে তোলে।
📝 50. প্রতিপাদস্থান কাকে বলে? তার বৈশিষ্ট্যগুলি লেখো
✅ উত্তর:
পৃথিবীর কোনো স্থানের বিপরীতে অবস্থিত স্থলবিন্দুকে প্রতিপাদস্থান বলে। এটি মূল বিন্দুর বিপরীতে পৃথিবীর কেন্দ্র দিয়ে টানা রেখার অপর প্রান্তে অবস্থান করে। এক স্থানের অক্ষাংশ অপর স্থানের বিপরীত অক্ষাংশে থাকে। দ্রাঘিমারেখার পার্থক্য থাকে ১৮০° এবং দিন-রাত্রির অবস্থাও বিপরীত হয়।
📝 51. ডাইক ও সিলের মধ্যে পার্থক্য লেখো
| বিষয় | ডাইক | সিল |
|---|---|---|
| অর্থ | আগ্নেয়গলিত পদার্থ শিলাস্তরের লম্বভাবে প্রবেশ করে। | আগ্নেয়গলিত পদার্থ শিলাস্তরের সমান্তরালে প্রবেশ করে। |
| গঠনরীতি | চাপ সৃষ্টির ফলে ফাটল দিয়ে উপরে উঠে জমে। | শিলাস্তরের ফাঁকে অনুভূমিকভাবে জমে। |
| আকৃতি | লম্বা প্রাচীরের মতো উল্লম্ব গঠন। | স্তরিত বা অনুভূমিক পাতের মতো। |
| উদাহরণ | স্কটল্যান্ড ও ডেকান ট্র্যাপ অঞ্চলে দেখা যায়। | দক্ষিণ ভারতের কিছু স্থানে পাওয়া যায়। |
📝 52. পশ্চিমবঙ্গের পার্বত্য ও শুষ্ক অঞ্চলের উদ্ভিদের তুলনা করো
| বিষয় | পার্বত্য অঞ্চল | শুষ্ক অঞ্চল |
|---|---|---|
| জলবায়ু | শীতল ও আর্দ্র। | উষ্ণ ও শুষ্ক। |
| উদ্ভিদ | পাইন, ওক, বাঁশ, রডোডেনড্রন ইত্যাদি। | বাবলা, খেজুর, তাল, অ্যাকাসিয়া প্রভৃতি। |
| মাটির প্রকৃতি | অম্লীয় ও আর্দ্র মাটি। | ক্ষারীয় ও অনুর্বর মাটি। |
| ঘনত্ব | ঘন বনাঞ্চল ও সবুজ প্রকৃতি। | বিরল ঝোপঝাড় ও তৃণভূমি। |
📝 53. পশ্চিমবঙ্গের কৃষির কয়েকটি সমস্যা লেখো
✅ উত্তর:
পশ্চিমবঙ্গে কৃষিজমি ছোট ছোট খণ্ডে বিভক্ত হওয়ায় উৎপাদন কমে যায়। বন্যা ও খরার প্রকোপ কৃষিজ ফলনকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। অতিরিক্ত জনসংখ্যা ও নগরায়ণ কৃষিজমি হ্রাস করছে। এছাড়া আধুনিক যন্ত্রপাতি ও সেচব্যবস্থার অভাব কৃষি উন্নয়নের পথে বাধা সৃষ্টি করছে।
📝 54. আমরা পৃথিবীর আবর্তনের গতিবেগ বুঝতে পারি না কেন?
✅ উত্তর:
পৃথিবী নিজের অক্ষে ঘূর্ণায়মান হলেও আমরা তার গতি অনুভব করতে পারি না, কারণ আমরা ও আমাদের চারপাশের সমস্ত কিছুই পৃথিবীর সঙ্গে একসঙ্গে ঘুরছে। এই ঘূর্ণন সমবেগে ঘটায় কোনো আপেক্ষিক গতি অনুভূত হয় না। তাছাড়া পৃথিবীর বিশাল আয়তন ও মাধ্যাকর্ষণ শক্তি আমাদের স্থিতিশীলতা বজায় রাখে। তাই পৃথিবীর আবর্তনগতির কোনো অভিঘাত আমরা টের পাই না।
📝 55. পৃথিবীপৃষ্ঠে কোনো স্থানের অবস্থান নির্ণয়ের প্রয়োজনীয়তা লেখো
✅ উত্তর:
পৃথিবীর যেকোনো স্থানের অবস্থান নির্ণয় করলে মানচিত্রে সেই স্থান সহজে চিহ্নিত করা যায়। এটি ভৌগোলিক গবেষণা, নৌ-পরিবহন, বিমান চলাচল ও আবহাওয়া পূর্বাভাসের ক্ষেত্রে অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। দ্রাঘিমা ও অক্ষরেখার সাহায্যে স্থানাঙ্ক নির্ধারণ করা যায়। এতে পৃথিবীর প্রতিটি বিন্দুকে নির্দিষ্টভাবে সনাক্ত করা সম্ভব হয়।
📝 56. ক্ষয়জাত পর্বত সৃষ্টির কারণ লেখো
✅ উত্তর:
প্রাকৃতিক ক্ষয়কারী শক্তি যেমন নদী, বায়ু ও হিমবাহ দীর্ঘকাল ধরে উচ্চভূমিকে ক্ষয় করে ক্ষয়জাত পর্বত গঠন করে। ক্ষয়ের ফলে ভূমি নিচু হয়ে যায় এবং কিছু অংশ তুলনামূলক উঁচু থেকে যায়। এই উঁচু অংশই ক্ষয়জাত পর্বত হিসেবে চিহ্নিত হয়। যেমন ভারতের আরাবল্লি ও আমেরিকার অ্যাপালাশিয়ান পর্বতমালা।
📝 57. যান্ত্রিক ও রাসায়নিক আবহবিকারের পার্থক্য লেখো
| বিষয় | যান্ত্রিক আবহবিকার | রাসায়নিক আবহবিকার |
|---|---|---|
| প্রকৃতি | শারীরিক ভাঙন বা চূর্ণন ঘটে। | রাসায়নিক বিক্রিয়ায় শিলার গঠন পরিবর্তিত হয়। |
| কারণ | তাপমাত্রার তারতম্য, হিম-গলন, চাপ ইত্যাদি। | অক্সিডেশন, কার্বোনেশন, হাইড্রেশন ইত্যাদি। |
| ফলাফল | শিলার আকার ছোট হয়, কিন্তু রাসায়নিক গঠন অপরিবর্তিত থাকে। | শিলার রাসায়নিক গঠন পরিবর্তিত হয়। |
| উদাহরণ | মরুভূমির শিলাভঙ্গ। | চুনাপাথরের গুহা সৃষ্টি। |
📝 58. দুর্যোগ ও বিপর্যয়ের পার্থক্য লেখো
| বিষয় | দুর্যোগ | বিপর্যয় |
|---|---|---|
| অর্থ | প্রাকৃতিক বা মানবসৃষ্ট আকস্মিক ক্ষতিকর ঘটনা। | দুর্যোগের ফলে সৃষ্ট প্রাণ ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি। |
| প্রকৃতি | এটি ঘটনার সূচনা। | এটি ঘটনার ফলাফল। |
| প্রতিকার | সতর্কতা ও পূর্বপ্রস্তুতি প্রয়োজন। | উদ্ধার, পুনর্গঠন ও পুনর্বাসন প্রয়োজন। |
| উদাহরণ | বন্যা, ভূমিকম্প, অগ্নিকাণ্ড। | প্রাণহানি, গৃহহানি, অর্থনৈতিক ক্ষতি। |
📝 59. বিপর্যয় ব্যবস্থাপনায় শিক্ষার্থীদের ভূমিকা লেখো
✅ উত্তর:
শিক্ষার্থীরা বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে সচেতনতা ছড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। তারা স্কুল ও সমাজে সতর্কতা, উদ্ধার ও নিরাপত্তা সম্পর্কিত প্রশিক্ষণ দিতে পারে। জরুরি পরিস্থিতিতে প্রাথমিক চিকিৎসা ও তথ্যসংগ্রহে সাহায্য করতে পারে। পাশাপাশি বৃক্ষরোপণ, জলসংরক্ষণ ও পরিবেশরক্ষায় সক্রিয় ভূমিকা নিয়ে বিপর্যয়ের ঝুঁকি হ্রাস করতে পারে।
📝 60. পুনর্ভব সম্পদ ও অপুনর্ভব সম্পদের মধ্যে পার্থক্য লেখো
| বিষয় | পুনর্ভব সম্পদ | অপুনর্ভব সম্পদ |
|---|---|---|
| অর্থ | যা স্বাভাবিকভাবে পুনর্গঠিত হয়। | যা একবার শেষ হলে সহজে পুনর্গঠিত হয় না। |
| উদাহরণ | সূর্যালোক, বাতাস, জল, জীববস্তু। | কয়লা, পেট্রোলিয়াম, প্রাকৃতিক গ্যাস। |
| স্থায়িত্ব | দীর্ঘমেয়াদি ও টেকসই। | সীমিত ও ক্ষয়িষ্ণু। |
| ব্যবহারের ধরন | সঠিক ব্যবস্থাপনায় চিরস্থায়ীভাবে ব্যবহারযোগ্য। | সংরক্ষণ না করলে দ্রুত নিঃশেষিত হয়। |
📝 61. পশ্চিমবঙ্গের পার্বত্য অঞ্চলের জলবায়ু ও উপকূল অঞ্চলের জলবায়ুর পার্থক্য লেখো
| বিষয় | পার্বত্য অঞ্চল | উপকূল অঞ্চল |
|---|---|---|
| তাপমাত্রা | তুলনামূলক শীতল। | তুলনামূলক উষ্ণ ও আর্দ্র। |
| বৃষ্টিপাত | প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। | মাঝারি থেকে বেশি বৃষ্টিপাত হয়। |
| আর্দ্রতা | আর্দ্রতার পরিমাণ কম। | আর্দ্রতা বেশি। |
| প্রধান বৈশিষ্ট্য | পাহাড়ি জলবায়ু, শীতপ্রধান। | সামুদ্রিক জলবায়ু, আর্দ্র ও লবণাক্ত বাতাস। |
📝 62. মানচিত্রের ব্যবহার ও গুরুত্ব লেখো
✅ উত্তর:
মানচিত্রের মাধ্যমে পৃথিবীর যে কোনো স্থানের ভৌগোলিক অবস্থান ও বৈশিষ্ট্য সহজে জানা যায়। এটি ভ্রমণ, পরিকল্পনা, প্রশাসন ও গবেষণার কাজে অপরিহার্য। মানচিত্রের সাহায্যে ভূপ্রকৃতি, জলবায়ু, জনসংখ্যা ও সম্পদের বণ্টন বোঝা যায়। আধুনিক যুগে ডিজিটাল মানচিত্র (GIS) ভূতাত্ত্বিক ও প্রশাসনিক কাজে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
📝 63. জিয়ড (Geoid)-এর বৈশিষ্ট্যগুলি লেখো
✅ উত্তর:
জিয়ড হলো পৃথিবীর প্রকৃত আকারের একটি কল্পিত রূপ, যা নিখুঁত গোল নয়, আবার সম্পূর্ণ চ্যাপ্টাও নয়। এটি পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ বলের কারণে মেরুপ্রদেশে চাপা এবং বিষুবরেখায় কিছুটা ফোলা। জলের স্তর পৃথিবীজুড়ে একই উচ্চতায় ধরে নিলে যে আকৃতি পাওয়া যায়, সেটিই জিয়ড। এটি পৃথিবীর আকৃতি নির্ণয় ও মানচিত্র প্রণয়নে ব্যবহৃত হয়।
📝 64. এরাটোসথেনিস কীভাবে পৃথিবীর পরিধি নির্ণয় করেছিলেন — ব্যাখ্যা করো
✅ উত্তর:
প্রাচীন গ্রিক বিজ্ঞানী এরাটোসথেনিস (খ্রিঃপূঃ ৩য় শতকে) মিশরের সায়েন ও আলেকজান্দ্রিয়ায় সূর্যের ছায়া পরিমাপ করে পৃথিবীর পরিধি নির্ণয় করেছিলেন।
সায়েনে গ্রীষ্মকালীন অয়নান্তে দুপুরে সূর্যের রশ্মি কূপের তলায় পড়ত, কিন্তু আলেকজান্দ্রিয়ায় তখন ছায়া তৈরি হত।
তিনি দুই শহরের মধ্যবর্তী দূরত্ব (প্রায় ৮০০ কিমি) জানতেন এবং ছায়ার কোণ মেপে পৃথিবীর কেন্দ্রের কোণ (৭°১২’) নির্ণয় করেন।
এই অনুপাতে পৃথিবীর মোট পরিধি প্রায় ৪০,০০০ কিমি বলে তিনি নির্ধারণ করেন — যা আধুনিক মানের সঙ্গে প্রায় সঠিক।
📝 65. প্রতিপাদস্থানের বৈশিষ্ট্য (সংকেত : অক্ষাংশ, দ্রাঘিমা, সময়, দিন-রাত, ঋতু) ব্যাখ্যা করো
✅ উত্তর:
প্রতিপাদস্থান হলো পৃথিবীর কোনো স্থানের ঠিক বিপরীত স্থান। তার কয়েকটি বৈশিষ্ট্য হলো —
-
প্রতিপাদস্থানের অক্ষাংশ সমান, কিন্তু গোলার্ধ বিপরীত (যেমন: ২০°উত্তর ↔ ২০°দক্ষিণ)।
-
দুই স্থানের দ্রাঘিমা পার্থক্য ১৮০° হয়।
-
তাদের স্থানীয় সময়ে পার্থক্য ১২ ঘণ্টা থাকে।
-
এক স্থানে দিন থাকলে অন্য স্থানে রাত হয়।
-
এক স্থানে গ্রীষ্মকাল হলে অন্য স্থানে শীতকাল থাকে।
📝 66. পৃথিবীর মোট অক্ষাংশ 180টি ও দ্রাঘিমা 360টি — ব্যাখ্যা করো
✅ উত্তর:
অক্ষরেখাগুলি নিরক্ষরেখা থেকে মেরু পর্যন্ত অঙ্কিত বৃত্ত, যা উত্তর ও দক্ষিণ দুই দিকেই ৯০° করে বিস্তৃত — অর্থাৎ মোট ১৮০°।
দ্রাঘিমারেখাগুলি উত্তর মেরু থেকে দক্ষিণ মেরু পর্যন্ত অঙ্কিত অর্ধবৃত্ত, যা মোট ৩৬০°— পূর্বে ১৮০° ও পশ্চিমে ১৮০°।
এই দুই সেট রেখাই পৃথিবীর অবস্থান নির্ধারণে ব্যবহৃত স্থানাঙ্ক ব্যবস্থা গঠন করে।
তাই পৃথিবীর অক্ষাংশ ১৮০টি ও দ্রাঘিমা ৩৬০টি বলে ধরা হয়।
📝 67. ব্যবচ্ছিন্ন মালভূমি ও লাভা মালভূমির মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় করো
| বিষয় | ব্যবচ্ছিন্ন মালভূমি | লাভা মালভূমি |
|---|---|---|
| সৃষ্টি কারণ | ক্ষয় ও ভঙ্গন প্রক্রিয়ায় উচ্চভূমি খণ্ডিত হয়ে গঠিত। | আগ্নেয়গিরির লাভা প্রবাহে সৃষ্টি। |
| গঠন | পুরাতন পর্বতের ক্ষয় থেকে উৎপন্ন। | আগ্নেয় শিলার কঠিনীকরণে গঠিত। |
| ভূমিরূপ | অসম, টিলা ও খণ্ডিত। | সমতল ও বিস্তীর্ণ। |
| উদাহরণ | ছোটনাগপুর মালভূমি, আরাবল্লি। | ডেকান মালভূমি, কলাম্বিয়া মালভূমি। |
📝 68. উপগ্রহ চিত্র ও ভূবৈচিত্র্যসূচক মানচিত্রের মধ্যে তুলনামূলক পার্থক্য লেখো
| বিষয় | উপগ্রহ চিত্র | ভূবৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র |
|---|---|---|
| প্রকৃতি | উপগ্রহ থেকে তোলা বাস্তব চিত্র। | মানচিত্রে প্রতীক ও রঙে ভূপ্রকৃতি প্রকাশ। |
| উপাদান | আলোক ও রাডার তরঙ্গ ব্যবহৃত। | মানুষের অঙ্কন ও প্রতীকী উপস্থাপন। |
| তথ্য | তাৎক্ষণিক ও বাস্তবসম্মত তথ্য দেয়। | বিশ্লেষণধর্মী ও ব্যাখ্যামূলক তথ্য দেয়। |
| ব্যবহার | আবহাওয়া, কৃষি, বন, নগর পরিকল্পনায়। | ভূমি ব্যবহার, ভূপ্রকৃতি ও প্রশাসনিক কাজে। |
📝 69. শল্কমোচনের বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করো
✅ উত্তর:
শল্কমোচন হলো এক ধরনের যান্ত্রিক আবহবিকার, যেখানে শিলার বাইরের স্তর তাপ-শীতের প্রভাবে ফেটে গিয়ে আলগা হয়ে খসে পড়ে। এটি সাধারণত শুষ্ক ও উষ্ণ অঞ্চলে দেখা যায়। দিনে সূর্যের তাপে শিলা প্রসারিত হয় ও রাতে ঠান্ডায় সঙ্কুচিত হয়। ক্রমাগত এই পরিবর্তনে বাইরের স্তর খোসার মতো খুলে যায়, যাকে শল্কমোচন বলে।
📝 70. সাম্প্রতিক কয়েক দশকে ভারতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কারণগুলি উদাহরণসহ ব্যাখ্যা করো
✅ উত্তর:
ভারতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির অন্যতম সামাজিক কারণ হলো অল্পবয়সে বিয়ে, নারীশিক্ষার অভাব ও পরিবার পরিকল্পনার অনীহা।
গ্রামীণ অঞ্চলে শ্রমনির্ভর অর্থনীতি এবং সন্তানকে সম্পদ মনে করার প্রবণতাও জন্মহার বাড়ায়।
সাংস্কৃতিকভাবে অনেক সমাজে পুত্রসন্তান কামনা ও বৃহৎ পরিবারের ঐতিহ্য এখনো প্রচলিত।
উদাহরণস্বরূপ, উত্তর ভারতের রাজ্যগুলিতে এই সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রভাবের ফলে জনঘনত্ব দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে।
📝 71. পূর্ব ভারতে তাপবিদ্যুৎ শক্তিকেন্দ্রের আধিক্যের কারণ কী?
✅ উত্তর:
পূর্ব ভারতে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র বেশি, কারণ এখানে কয়লা, জল ও পরিবহন সুবিধা একত্রে বিদ্যমান।
ঝাড়খণ্ড, পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশায় প্রচুর কয়লার খনি বিদ্যুৎ উৎপাদনে সহায়ক।
ডামোদর ও মহানদী উপত্যকায় জল ও পরিবহন সহজলভ্য।
শিল্পাঞ্চলের নিকটবর্তী হওয়ায় উৎপাদিত বিদ্যুৎ সরবরাহ করাও সহজ, ফলে এখানে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের আধিক্য দেখা যায়।
📝 72. বিষয়বস্তুর ভিত্তিতে মানচিত্রের শ্রেণিবিভাগ করো
✅ উত্তর:
মানচিত্রকে বিষয়বস্তুর ভিত্তিতে তিনভাবে ভাগ করা যায় —
১. ভৌগোলিক মানচিত্র (Physical Map): ভূমি, পর্বত, নদী, মালভূমি ইত্যাদি প্রাকৃতিক উপাদান প্রদর্শন করে।
২. রাজনৈতিক মানচিত্র (Political Map): দেশ, রাজ্য, জেলা, সীমানা, রাজধানী ইত্যাদি দেখায়।
৩. বিষয়ভিত্তিক মানচিত্র (Thematic Map): জনসংখ্যা, বৃষ্টিপাত, কৃষি, শিল্প বা মাটি ইত্যাদি বিশেষ বিষয় প্রকাশ করে।
এইভাবে মানচিত্র পৃথিবীর বিভিন্ন দিককে আলাদা আলাদা উদ্দেশ্যে উপস্থাপন করে।
📝 73. পশ্চিমবঙ্গের প্রধান প্রধান খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পজাত পণ্যগুলি কী কী?
✅ উত্তর:
পশ্চিমবঙ্গে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পে ধান, গম, ফল, শাকসবজি, মাছ ও দুধজাত পণ্য প্রক্রিয়াজাত করা হয়।
এই শিল্প থেকে উৎপাদিত প্রধান পণ্য হলো—চাল, আটা, বিস্কুট, আচার, জ্যাম, জেলি, টিনজাত ফল, মাছের প্রক্রিয়াজাত পণ্য ও দুধজাত খাবার।
কোলাঘাট, হলদিয়া, বর্ধমান, মেদিনীপুর ও উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় এই শিল্পের বিকাশ ঘটেছে।
এটি রাজ্যের কৃষিনির্ভর অর্থনীতিকে বৈচিত্র্যময় করে তুলেছে।
📝 74. পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবন অঞ্চলের নদনদীর বৈশিষ্ট্য কী কী?
✅ উত্তর:
সুন্দরবনের নদনদীগুলি জোয়ারের প্রভাবে ভাটা ও জোয়ারের সময় দিক পরিবর্তন করে।
এদের গতিপথ খুবই প্যাঁচানো ও জটিল, এবং অনেক শাখা-প্রশাখায় বিভক্ত।
এই নদীগুলি বালু ও পলি বহন করে গিয়ে বদ্বীপ অঞ্চল গঠন করে।
জল লবণাক্ত হওয়ায় নৌপরিবহন ও কৃষিকাজে সীমিত ব্যবহার সম্ভব।
📝 75. ভূমিকম্পের তিনটি কারণ উল্লেখ করো
✅ উত্তর:
ভূমিকম্পের প্রধান কারণ হলো—
১. ভূত্বকীয় ফলক চলন: পৃথিবীর অভ্যন্তরে টেকটোনিক প্লেটের সংঘর্ষ, সরে যাওয়া বা ঘর্ষণ।
২. আগ্নেয়গিরি ক্রিয়া: লাভা বিস্ফোরণ বা আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের সময় অভ্যন্তরীণ চাপমুক্তি।
৩. মানবসৃষ্ট কারণ: বাঁধ, খনি বিস্ফোরণ, ড্রিলিং বা পারমাণবিক পরীক্ষা থেকেও ভূমিকম্প হতে পারে।
📝 76. আবহবিকার ও ক্ষয়ীভবনের পার্থক্য লেখো
| বিষয় | আবহবিকার (Weathering) | ক্ষয়ীভবন (Erosion) |
|---|---|---|
| অর্থ | শিলার অবস্থানস্থলে ভেঙে যাওয়া বা গলে যাওয়া প্রক্রিয়া। | শিলার কণা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে সরে যাওয়ার প্রক্রিয়া। |
| প্রভাবকারী উপাদান | তাপ, বায়ু, জল, জীবাণু ইত্যাদি। | প্রবাহমান জল, বায়ু, হিমবাহ ইত্যাদি। |
| অবস্থান | স্থানে স্থানে ঘটে, পরিবহন হয় না। | পরিবহন ও স্থানান্তরিত পদার্থ জড়িত। |
| ফলাফল | শিলার ভাঙন ও মাটি গঠন। | উপত্যকা, গিরিখাত, বদ্বীপ ইত্যাদির সৃষ্টি। |
📝 77. স্তূপ পর্বত কীভাবে সৃষ্টি হয়?
✅ উত্তর:
স্তূপ পর্বত (Block Mountain) সৃষ্টি হয় ভূত্বকের উল্লম্ব ভাঙনের ফলে।
ভূত্বকের কিছু অংশ নিচে নেমে গেলে এবং পাশের অংশ উপরে উঠে গেলে উঁচু অংশটি স্তূপ পর্বত হয়।
এটি সাধারণত ভূত্বকীয় চাপ ও ফল্ট লাইনের কারণে গঠিত হয়।
উদাহরণ—আরাবল্লি পর্বত (ভারত), ভোজ পর্বত (জার্মানি)।
📝 78. প্রচলিত ও অপ্রচলিত শক্তির পার্থক্য লেখো
| বিষয় | প্রচলিত শক্তি | অপ্রচলিত শক্তি |
|---|---|---|
| উৎস | কয়লা, পেট্রোলিয়াম, প্রাকৃতিক গ্যাস ইত্যাদি। | সৌর, বায়ু, জল, জৈব ও পারমাণবিক শক্তি। |
| প্রাপ্যতা | সীমিত ও ক্ষয়প্রাপ্ত। | নবায়নযোগ্য ও অপরিমেয়। |
| পরিবেশ প্রভাব | দূষণ ও তাপমাত্রা বৃদ্ধি ঘটায়। | পরিবেশবান্ধব ও পরিচ্ছন্ন। |
| উদাহরণ | তাপবিদ্যুৎ, কয়লা, তেল। | সৌরবিদ্যুৎ, বায়ুশক্তি, জলবিদ্যুৎ। |
📝 79. পৃথিবীর অক্ষের হেলান অবস্থানের গুরুত্ব লেখো
✅ উত্তর:
পৃথিবীর অক্ষ ২৩½° হেলানো বলে সূর্যরশ্মি পৃথিবীতে অসমভাবে পড়ে।
এর ফলে ঋতুচক্রের সৃষ্টি হয় — গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ, শীত ইত্যাদি।
দিন ও রাতের দৈর্ঘ্য বিভিন্ন স্থানে ভিন্ন হয়।
এতে পৃথিবীতে জলবায়ু, উদ্ভিদ ও প্রাণজগতের বৈচিত্র্য বজায় থাকে।
📝 80. আন্তর্জাতিক তারিখরেখা 180° দ্রাঘিমারেখাকে সর্বত্র অনুসরণ করেনি কেন?
✅ উত্তর:
আন্তর্জাতিক তারিখরেখা 180° দ্রাঘিমাকে কিছু স্থানে এড়িয়ে গেছে যাতে দ্বীপপুঞ্জ বা দেশদ্বয় বিভক্ত না হয়।
বিশেষত প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপগুলিতে একই দেশের বিভিন্ন অংশে তারিখ ভিন্ন না হয় সে জন্য।
এই কারণে রেখাটি কিছু জায়গায় বাঁকানো হয়েছে।
ফলে দেশগুলির সময় ও প্রশাসনিক সমন্বয় রক্ষা করা সম্ভব হয়।
📝 81. প্রশান্ত মহাসাগরীয় আগ্নেয় মেখলা বলতে কী বোঝো?
✅ উত্তর:
প্রশান্ত মহাসাগরের চারপাশে বিস্তৃত সক্রিয় আগ্নেয়গিরি ও ভূমিকম্প অঞ্চলকে প্রশান্ত মহাসাগরীয় আগ্নেয় মেখলা বলা হয়।
এই অঞ্চলটিকে “Ring of Fire” নামেও ডাকা হয়।
এখানে পৃথিবীর টেকটোনিক প্লেটগুলির সংঘর্ষে বারংবার অগ্ন্যুৎপাত ঘটে।
জাপান, ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া, চিলি প্রভৃতি দেশ এই মেখলার অন্তর্ভুক্ত।
📝 82. দুর্যোগ ও বিপর্যয়ের পার্থক্য লেখো
| বিষয় | দুর্যোগ (Hazard) | বিপর্যয় (Disaster) |
|---|---|---|
| অর্থ | প্রকৃতির দ্বারা সৃষ্ট সম্ভাব্য ক্ষতিকর ঘটনা। | যখন দুর্যোগ বাস্তবে প্রাণ ও সম্পদের ব্যাপক ক্ষতি ঘটায়। |
| প্রকার | প্রাকৃতিক বা মানবসৃষ্ট উভয়ই হতে পারে। | এটি দুর্যোগের কার্যকর ফল। |
| উদাহরণ | ভূমিকম্প, বন্যা, খরা। | ভূমিকম্পে ভবন ধস, প্রাণহানি ইত্যাদি। |
| প্রতিরোধ | পরিকল্পনা করে এড়ানো যায়। | প্রতিরোধ কঠিন, পুনর্গঠন প্রয়োজন। |
📝 83. সম্পদ সংরক্ষণের উপায়গুলি লেখো
✅ উত্তর:
সম্পদের ব্যবহার হতে হবে পরিমিত ও পরিকল্পিত।
পুনর্ভব সম্পদের পুনঃব্যবহার ও পুনঃপ্রক্রিয়াকরণ করা উচিত।
বন, জল, মাটি ও শক্তি সংরক্ষণের জন্য পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি প্রয়োগ প্রয়োজন।
মানবজাতির ভবিষ্যৎ টিকিয়ে রাখতে টেকসই উন্নয়নের পথে চলা জরুরি।
📝 84. পশ্চিমবঙ্গের মালভূমি অঞ্চলের নদনদীর বৈশিষ্ট্যগুলি লেখো
✅ উত্তর:
এই অঞ্চলের নদীগুলি সাধারণত স্বল্পজলীয় ও ঋতুভিত্তিক।
নদীর উৎস ছোট পাহাড়ি এলাকা থেকে, এবং গ্রীষ্মে প্রায় শুকিয়ে যায়।
তলদেশে শিলাময় ও অসমতল হওয়ায় প্রবাহ তীব্র হয়।
দামোদর, শিলাবতী, বরাকার ইত্যাদি নদী এর প্রধান উদাহরণ।
📝 85. চিত্র ও মানচিত্রের পার্থক্য লেখো
| বিষয় | চিত্র | মানচিত্র |
|---|---|---|
| অর্থ | কোনো বস্তুর বা অঞ্চলের সরল দৃশ্যরূপ প্রকাশ। | পৃথিবীর পৃষ্ঠের অংশবিশেষের মাপজোকসহ ক্ষুদ্র রূপ। |
| স্কেল | সাধারণত স্কেলবিহীন। | নির্দিষ্ট স্কেলের মাধ্যমে আঁকা হয়। |
| নির্ভুলতা | তুলনামূলকভাবে কম। | খুবই সঠিক ও মাপজোক নির্ভর। |
| ব্যবহার | সাধারণ ধারণা দেওয়ার জন্য। | বৈজ্ঞানিক, ভৌগোলিক ও পরিকল্পনামূলক কাজে ব্যবহৃত। |
📝 86. আবহবিকার ও ক্ষয়ীভবনের মধ্যে পার্থক্য লেখো
| বিষয় | আবহবিকার (Weathering) | ক্ষয়ীভবন (Erosion) |
|---|---|---|
| অর্থ | শিলার স্থানে স্থানে ভাঙন বা গঠন পরিবর্তন। | ভাঙা শিলা ও মৃত্তিকা এক স্থান থেকে অন্যত্র সরে যাওয়া। |
| প্রক্রিয়া | এটি স্থির প্রক্রিয়া—স্থানে ঘটে। | এটি গতিশীল প্রক্রিয়া—জল, বায়ু, বরফের মাধ্যমে ঘটে। |
| উপাদান | তাপমাত্রা, বৃষ্টি, উদ্ভিদ, রাসায়নিক বিক্রিয়া ইত্যাদি। | নদী, বায়ু, সমুদ্র ও হিমবাহ। |
| ফলাফল | শিলার গঠন দুর্বল হয়। | ভূমিরূপ পরিবর্তিত হয়। |
📝 87. দক্ষিণ ভারতে জলবিদ্যুৎ উৎপাদন বেশি হয় কেন?
✅ উত্তর:
দক্ষিণ ভারতে অনেক নদী পশ্চিমঘাট ও পূর্বঘাট পর্বত হতে উৎপন্ন এবং এদের পতন উচ্চ।
উচ্চতার কারণে জলপ্রবাহের বেগ বেশি, যা টারবাইন ঘোরাতে সুবিধাজনক।
এলাকায় বহু বাঁধ ও জলাধার নির্মাণ হয়েছে, যেমন- মেট্টুর, শারাবতী, হিরাকুড ইত্যাদি।
বৃষ্টিপাতও প্রচুর হওয়ায় নদীগুলি প্রায় সারা বছর জলপূর্ণ থাকে।
📝 88. পশ্চিমবঙ্গে শীতকালে মাঝে মাঝে যে ঝড়বৃষ্টি হয় তাকে ‘পশ্চিমি ঝামেলা’ বলে কেন?
✅ উত্তর:
এই ঝড়-বৃষ্টি পশ্চিম এশিয়া থেকে আসা পশ্চিমী বায়ুপ্রবাহ (Western Disturbance)-এর প্রভাবে ঘটে।
এটি শীতকালে ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে সৃষ্টি হয়ে উত্তর ভারতে আর্দ্রতা আনে।
ফলে পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিমাংশে বজ্রসহ বৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টি হয়।
এই বৃষ্টির কারণে শীতকালীন ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাই একে “পশ্চিমি ঝামেলা” বলা হয়।
📝 89. ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসে বিজ্ঞানীরা আন্টার্কটিকা অভিযানে যান কেন?
✅ উত্তর:
ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসে আন্টার্কটিকায় গ্রীষ্মকাল থাকে, তাই আবহাওয়া তুলনামূলকভাবে অনুকূল।
এই সময় সূর্য প্রায় ২৪ ঘণ্টা দিগন্তে অবস্থান করে—আলো থাকে পর্যাপ্ত।
তাপমাত্রা কিছুটা সহনীয় হওয়ায় গবেষণা ও পর্যবেক্ষণ সহজ হয়।
এছাড়াও বরফের স্তর অপেক্ষাকৃত পাতলা হওয়ায় অভিযান পরিচালনা নিরাপদ হয়।
📝 90. ঝুমচাষ কী? এই চাষে মাটির ব্যাপক ক্ষয় হয় কেন?
✅ উত্তর:
ঝুমচাষ বা Shifting Cultivation হলো এক ধরনের আদিম কৃষি ব্যবস্থা, যেখানে বনভূমি পোড়িয়ে সাময়িক চাষ করা হয়।
এই চাষ মূলত উত্তর-পূর্ব ভারতের পাহাড়ি ঢালে প্রচলিত।
বন পোড়ানোর ফলে গাছের শিকড় নষ্ট হয়, যা মাটির বাঁধন দুর্বল করে।
ফলে বৃষ্টির জলে মাটি ধুয়ে যায় এবং ভূমিক্ষয় ঘটে।
📝 91. শস্যাবর্তন পদ্ধতিতে চাষ করলে জমির উর্বরতা অক্ষুণ্ণ থাকে কেন?
✅ উত্তর:
একই জমিতে ধারাবাহিকভাবে এক ফসল করলে জমির বিশেষ পুষ্টি উপাদান নিঃশেষ হয়।
কিন্তু শস্যাবর্তনে একের পর এক ভিন্নধর্মী ফসল চাষে পুষ্টির ভারসাম্য বজায় থাকে।
ডাল জাতীয় ফসল মাটিতে নাইট্রোজেন যোগ করে, যা উর্বরতা বাড়ায়।
তাছাড়া আগাছা ও পোকামাকড়ের প্রকোপও কমে যায়।
📝 92. বেডফোর্ড লেভেল পরীক্ষাটি বর্ণনা করো
✅ উত্তর:
বেডফোর্ড লেভেল পরীক্ষা ১৮৩৮ সালে ইংরেজ বিজ্ঞানী স্যামুয়েল রোবোথাম পরিচালনা করেন।
তিনি ইংল্যান্ডের একটি দীর্ঘ খালের উপর টেলিস্কোপ স্থাপন করে সরলরেখায় কিছু দণ্ড স্থাপন করেন।
দেখা যায়, মধ্যবর্তী দণ্ডটি সামান্য উঁচু দেখায়, যা পৃথিবীর বক্রতা প্রমাণ করে।
এই পরীক্ষার মাধ্যমে পৃথিবী গোলাকার ও বক্র পৃষ্ঠবিশিষ্ট তা নিশ্চিত হয়।
📝 93. কোরিওলিস বলের বৈশিষ্ট্যগুলি লেখো
✅ উত্তর:
কোরিওলিস বল পৃথিবীর আবর্তনের ফলে সৃষ্ট একটি কাল্পনিক বল।
উত্তর গোলার্ধে এটি বায়ু ও জলপ্রবাহকে ডানদিকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে বাঁদিকে বিভ্রান্ত করে।
এই বলের প্রভাব বিষুবরেখায় সর্বনিম্ন ও মেরু অঞ্চলে সর্বাধিক।
বায়ুপ্রবাহ, সমুদ্রস্রোত ও ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ নির্ধারণে এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
📝 94. মহীভাবক আলোড়ন ও গিরিজনি আলোড়নের পার্থক্য লেখো
| বিষয় | মহীভাবক আলোড়ন (Epeirogenic Movement) | গিরিজনি আলোড়ন (Orogenic Movement) |
|---|---|---|
| প্রকৃতি | ধীর, দীর্ঘস্থায়ী, উল্লম্ব গতিসম্পন্ন। | তীব্র, দ্রুত ও আনুভূমিক গতিসম্পন্ন। |
| ফলাফল | মহাদেশ বা সমুদ্রতল উপরে বা নিচে ওঠে বা নামে। | পর্বতমালা গঠিত হয়। |
| এলাকা | বৃহৎ এলাকা জুড়ে ঘটে। | তুলনামূলকভাবে ক্ষুদ্র অঞ্চলে ঘটে। |
| উদাহরণ | দাক্ষিণাত্য মালভূমির উত্তোলন। | হিমালয় পর্বতের সৃষ্টি। |
📝 95. প্রবহমান জল কী কী পদ্ধতিতে মাটি ক্ষয় করে তা আলোচনা করো
✅ উত্তর:
প্রবহমান জল মাটি ক্ষয় করে চারটি প্রধান পদ্ধতিতে— ঘর্ষণ, আঘাত, দ্রবণ ও ভাসানো।
ঘর্ষণে জলপিণ্ড শিলা ও মাটিকে ঘষে ক্ষয় করে।
আঘাতে জলের প্রবল প্রবাহ শিলাকে ভেঙে দেয় ও সরিয়ে নেয়।
দ্রবণে রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে পদার্থ দ্রবীভূত হয় এবং ভাসানোয় সূক্ষ্ম কণাগুলি দূরে বয়ে যায়।
📝 96. পশ্চিমবঙ্গের সীমানা বর্ণনা করো
✅ উত্তর:
পশ্চিমবঙ্গের উত্তরে সিকিম ও ভুটান, দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর অবস্থিত।
পূর্বে বাংলাদেশ এবং পশ্চিমে বিহার, ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশা রাজ্য অবস্থিত।
রাজ্যের দৈর্ঘ্য প্রায় ৭০০ কিমি ও প্রস্থ সর্বাধিক ৩৫০ কিমি।
ভূপ্রাকৃতিক দিক থেকে রাজ্যটি উত্তর থেকে দক্ষিণে পাহাড়, মালভূমি, সমভূমি ও উপকূলভূমিতে বিভক্ত।
📝 97. উত্তরবঙ্গের নদনদীগুলির বৈশিষ্ট্য লেখো
✅ উত্তর:
উত্তরবঙ্গের নদীগুলি মূলত হিমালয় থেকে উৎপন্ন ও বর্ষানির্ভর।
এদের প্রবাহ তীব্র, নালার প্রশস্ততা বেশি এবং তলদেশে পলি জমে।
প্রধান নদীগুলি হলো তিস্তা, তোর্সা, রায়ধাক, জলঢাকা ও মহানন্দা।
বর্ষাকালে এরা প্রবল বন্যা সৃষ্টি করে এবং শুষ্ক মৌসুমে প্রবাহ কমে যায়।
📝 98. পশ্চিমবঙ্গে পর্যটন শিল্পের সমস্যাগুলি লেখো
✅ উত্তর:
অনেক পর্যটনকেন্দ্রে পরিকাঠামোর অভাব রয়েছে, যেমন রাস্তা, হোটেল, নিরাপত্তা ইত্যাদি।
পরিবেশ দূষণ ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অভাবে পর্যটন অঞ্চলগুলির আকর্ষণ নষ্ট হচ্ছে।
যথাযথ প্রচার ও সরকারী পরিকল্পনার ঘাটতি রয়েছে।
এছাড়া মৌসুমি বৃষ্টিপাত ও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ও পর্যটনে বাধা সৃষ্টি করে।
📝 99. মানচিত্রে কোন্ কোন্ বিষয় থাকতে হবে
✅ উত্তর:
একটি মানচিত্রে শিরোনাম, স্কেল, দিকনির্দেশ, প্রতীক ও লেজেন্ড থাকা আবশ্যক।
স্কেল মানচিত্রের অনুপাত বোঝায়, আর দিকনির্দেশ উত্তর নির্দেশ করে।
প্রতীক ও লেজেন্ড মানচিত্রে বিভিন্ন চিহ্নের অর্থ বোঝায়।
এছাড়া মানচিত্রে তারিখ, অঙ্কনকারীর নাম ও সীমানার স্পষ্টতা থাকা জরুরি।
📝 100. দুর্গাপুরকে ভারতের ‘রুঢ়’ বলা হয় কেন?
✅ উত্তর:
দুর্গাপুর পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম প্রধান শিল্পনগরী, যাকে ভারতের ‘রুঢ়’ বলা হয়।
এখানে ভারী শিল্প যেমন লৌহ-ইস্পাত, যন্ত্রাংশ, রসায়ন ও বিদ্যুৎ শিল্প গড়ে উঠেছে।
এই অঞ্চলে প্রচুর শ্রমশক্তি, বিদ্যুৎ, কাঁচামাল ও পরিবহণের সুবিধা রয়েছে।
অতএব, দুর্গাপুর দেশের আধুনিক শিল্পায়নের প্রতীক ও পূর্ব ভারতের শিল্পকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত।
📝 101. ভারতের পাটশিল্পের সমস্যাগুলি আলোচনা করো
✅ উত্তর:
পাটশিল্পের প্রধান সমস্যা হলো কাঁচা পাটের অস্থির দাম ও অপর্যাপ্ত সরবরাহ।
পুরনো যন্ত্রপাতি ও অপ্রতুল প্রযুক্তির কারণে উৎপাদন ব্যয় বেশি হয়।
আন্তর্জাতিক বাজারে সিন্থেটিক তন্তুর প্রতিযোগিতায় চাহিদা হ্রাস পাচ্ছে।
এছাড়া শ্রমবিরোধ, বিদ্যুৎ সংকট ও ব্যবস্থাপনার দুর্বলতাও শিল্পের অবনতি ঘটাচ্ছে।
📝 102. পেডিপ্লেন ও পেনিপ্লেনের পার্থক্য লেখো
| বিষয় | পেডিপ্লেন | পেনিপ্লেন |
|---|---|---|
| সংজ্ঞা | শুষ্ক অঞ্চলে ক্ষয়ের ফলে সৃষ্ট প্রায় সমতল ভূমি। | আর্দ্র অঞ্চলে দীর্ঘ ক্ষয়ে সৃষ্ট নিম্ন সমতল ভূমি। |
| সৃষ্টি প্রক্রিয়া | যান্ত্রিক ক্ষয় ও শুষ্ক আবহাওয়ায় গঠিত। | রাসায়নিক ক্ষয় ও আর্দ্র জলবায়ুতে গঠিত। |
| প্রধান বৈশিষ্ট্য | শিলাস্তর খোলা ও শুষ্ক পরিবেশে অবস্থিত। | উর্বর মাটি ও নদীবাহিত অঞ্চলে অবস্থিত। |
| উদাহরণ | রাজস্থানের মালভূমি অঞ্চল। | দক্ষিণ ভারতের প্রাচীন ক্ষয়জাত সমভূমি। |
📝 103. ক্ষয়জাত ও সঞ্চয়জাত পর্বতের পার্থক্য লেখো
| বিষয় | ক্ষয়জাত পর্বত | সঞ্চয়জাত পর্বত |
|---|---|---|
| উৎপত্তি | ক্ষয় ও আবহবিকারের ফলে পুরনো পর্বত থেকে গঠিত। | ভূপৃষ্ঠের ভাঁজ বা ভরাটে সঞ্চিত পদার্থ থেকে সৃষ্টি। |
| আকার | নিচু, ক্ষয়প্রাপ্ত ও প্রায় সমতল। | উঁচু, তীক্ষ্ণ ও নতুন গঠিত। |
| বৈশিষ্ট্য | পুরনো শিলাস্তরে গঠিত ও খনিজে সমৃদ্ধ। | ভূকম্পন ও আগ্নেয়গিরি ক্রিয়ায় সক্রিয়। |
| উদাহরণ | আরাবল্লী পর্বতমালা। | হিমালয় পর্বতমালা। |
📝 104. তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের উন্নতির কারণসমূহ আলোচনা করো
✅ উত্তর:
তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের বিকাশে দক্ষ মানবসম্পদ ও শিক্ষিত তরুণ প্রজন্মের ভূমিকা বিশেষ।
বিদেশি বিনিয়োগ, সরকারী নীতি ও সফটওয়্যার রপ্তানির সুযোগ এ শিল্পকে সমৃদ্ধ করেছে।
ইন্টারনেট, ডিজিটাল অবকাঠামো ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতিও প্রধান কারণ।
বাংলালোর, হায়দরাবাদ, পুনে ও কলকাতার মতো শহর আজ আইটি হাব হিসেবে বিশ্বখ্যাত।
📝 105. আন্তর্জাতিক তারিখরেখাকে কোথায় কত ডিগ্রি বাঁকানো হয়েছে?
✅ উত্তর:
আন্তর্জাতিক তারিখরেখা মূলত ১৮০° দ্রাঘিমারেখা বরাবর স্থাপিত।
তবে বসতিপূর্ণ দ্বীপপুঞ্জ ও রাজনৈতিক সীমার কারণে একে কয়েক স্থানে বাঁকানো হয়েছে।
উত্তর প্রশান্ত মহাসাগরে বেরিং প্রণালীর কাছে প্রায় ১১° পূর্বদিকে এবং ফিজি ও সামোয়ার কাছে প্রায় ১৮° পশ্চিমদিকে বাঁকানো হয়েছে।
এই বাঁকানো অংশগুলো তারিখের বিভ্রান্তি রোধ ও দেশগুলির সময় একরূপ রাখার জন্য প্রয়োজনীয়।
📝 106. টীকা লেখো : মেরুপ্রভা
✅ উত্তর:
মেরুপ্রভা হলো পৃথিবীর মেরু অঞ্চলের আকাশে দেখা এক ধরনের আলোকচ্ছটা।
সূর্য থেকে আগত আধানযুক্ত কণাগুলি পৃথিবীর চৌম্বকক্ষেত্রের সঙ্গে ক্রিয়া করে এই আলোকরশ্মি সৃষ্টি করে।
উত্তর মেরুতে একে ‘অরোরা বোরিয়ালিস’ এবং দক্ষিণ মেরুতে ‘অরোরা অস্ট্রেলিস’ বলা হয়।
এটি সাধারণত সবুজ, লাল ও বেগুনি রঙের আলোর পর্দা আকারে দৃশ্যমান হয়।
📝 107. পাত সংস্থান তত্ত্বের মূল বক্তব্য কী?
✅ উত্তর:
পাত সংস্থান তত্ত্ব অনুযায়ী পৃথিবীর ভূত্বক কয়েকটি বৃহৎ ও ক্ষুদ্র পাত বা প্লেটে বিভক্ত।
এই পাতগুলি ভূপৃষ্ঠের নীচে আধারিত অ্যাস্থেনোস্ফিয়ারের উপর ধীরে ধীরে সরে চলে।
পাতগুলির সংঘর্ষ, সরে যাওয়া বা দূরে সরে যাওয়ার ফলে ভূমিকম্প, আগ্নেয়গিরি ও পর্বত সৃষ্টি হয়।
এই তত্ত্বটি আধুনিক ভূ-গঠনবিজ্ঞানের মূল ভিত্তি হিসেবে বিবেচিত।
📝 108. দুর্যোগ ও বিপর্যয়ের মধ্যে পার্থক্য লেখো
| বিষয় | দুর্যোগ | বিপর্যয় |
|---|---|---|
| সংজ্ঞা | প্রাকৃতিক বা মানবসৃষ্ট ক্ষতিকর ঘটনা। | দুর্যোগের ফলে সৃষ্ট মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি। |
| প্রভাব | সাময়িক ও সীমিত অঞ্চলে ঘটে। | বৃহত্তর এলাকায় ব্যাপক ধ্বংস সাধন করে। |
| উদাহরণ | ভূমিকম্প, বন্যা, ঘূর্ণিঝড়। | ভয়াবহ বন্যা, সুনামি, ভূমিকম্পজনিত ধস। |
| নিয়ন্ত্রণ | প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়। | পুনর্বাসন ও উদ্ধারকাজের প্রয়োজন হয়। |
📝 109. পশ্চিমবঙ্গে পাট শিল্পের সমস্যাগুলি কী?
✅ উত্তর:
পাট শিল্পের প্রধান সমস্যা হলো কাঁচা পাটের দামের অস্থিরতা ও নিম্নমানের সরবরাহ।
পুরনো যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তির কারণে উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আন্তর্জাতিক বাজারে সিন্থেটিক তন্তুর প্রতিযোগিতা পাটের চাহিদা কমাচ্ছে।
শ্রমবিরোধ, বিদ্যুৎ ঘাটতি ও রপ্তানিনির্ভর বাজার ব্যবস্থাও শিল্পের স্থায়িত্বে বাধা সৃষ্টি করছে।
📝 110. খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পে পশ্চিমবঙ্গের সাম্প্রতিক উন্নতির কারণগুলি কী কী?
✅ উত্তর:
পশ্চিমবঙ্গে কৃষিপণ্য যেমন ধান, মাছ, ফল, শাকসবজির প্রাচুর্য খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের ভিত্তি জুগিয়েছে।
পরিবহণ, বিদ্যুৎ ও ঠান্ডা সংরক্ষণাগারের উন্নতি শিল্পের বিকাশে সহায়ক হয়েছে।
সরকারি নীতি, আর্থিক সহায়তা ও বেসরকারি বিনিয়োগও এই উন্নতিতে ভূমিকা রেখেছে।
বিশেষত হুগলি, মেদিনীপুর ও উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
📝 111. স্থানীয় সময় ও প্রমাণ সময়ের মধ্যে তিনটি পার্থক্য লেখো।
| বিষয় | স্থানীয় সময় | প্রমাণ সময় |
|---|---|---|
| নির্ভরতা | সূর্যের অবস্থান অনুযায়ী নির্ধারিত হয়। | নির্দিষ্ট একটি মধ্যরেখার সময় অনুসারে নির্ধারিত হয়। |
| ভিন্নতা | প্রতিটি দ্রাঘিমারেখায় আলাদা হয়। | একটি দেশ বা অঞ্চলে একটাই থাকে। |
| উদাহরণ | কলকাতার স্থানীয় সময় দিল্লির থেকে আলাদা। | ভারতের প্রমাণ সময় ৮২°৩০′ পূ. দ্রাঘিমা অনুযায়ী। |
📝 112. আবহবিকার ও ক্ষয়ীভবনের তিনটি পার্থক্য লেখো।
| বিষয় | আবহবিকার | ক্ষয়ীভবন |
|---|---|---|
| সংজ্ঞা | শিলার স্থানীয় অবস্থায় ভাঙন বা রূপান্তর। | ভাঙা পদার্থের অপসারণ ও স্থানান্তর। |
| প্রক্রিয়া | রাসায়নিক, যান্ত্রিক বা জৈব প্রভাবের ফল। | প্রবাহিত জল, বায়ু বা হিমবাহের দ্বারা ঘটে। |
| স্থান | স্থির অবস্থায় ঘটে। | চলমান মাধ্যমে ঘটে। |
📝 113. উয় মরু অঞ্চলে কেন যান্ত্রিক আবহবিকার ঘটে?
✅ উত্তর:
উয় মরু অঞ্চলে দিনের তাপমাত্রা অত্যন্ত বেশি ও রাত্রির তাপমাত্রা অত্যন্ত কম থাকে।
এই প্রচণ্ড দৈনিক তাপমাত্রার তারতম্যের ফলে শিলার প্রসারণ ও সংকোচন ঘটে।
ক্রমাগত তাপ-শীতের প্রভাবে শিলা ফেটে গিয়ে ভেঙে যায়।
এই কারণে উয় মরু অঞ্চলে রাসায়নিক নয়, যান্ত্রিক আবহবিকার প্রধানত ঘটে।
📝 114. বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা বলতে কী বোঝো?
✅ উত্তর:
বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা হলো দুর্যোগের আগে, সময়ে ও পরে পরিকল্পিত প্রতিরোধ, উদ্ধার ও পুনর্বাসনের কার্যক্রম।
এতে ঝুঁকি হ্রাস, জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও জরুরি পরিকাঠামো গড়ে তোলা অন্তর্ভুক্ত।
সরকার, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও জনগণের সমন্বিত প্রচেষ্টা এর মূল ভিত্তি।
এর মাধ্যমে প্রাকৃতিক বা মানবসৃষ্ট বিপর্যয়ের ক্ষয়ক্ষতি অনেকাংশে রোধ করা যায়।
📝 115. পূর্ব ভারতে তাপবিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রাধান্যের কারণ কী?
✅ উত্তর:
পূর্ব ভারতে বিশেষ করে ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গে প্রচুর কয়লার ভাণ্ডার রয়েছে।
এই অঞ্চলে জল ও শ্রমশক্তির সহজলভ্যতাও তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে সহায়ক হয়েছে।
পরিবহণ ব্যবস্থা ও কাঁচামালের সরবরাহ ব্যবস্থাও উন্নত।
তাই পূর্ব ভারতকে ভারতের প্রধান তাপবিদ্যুৎ উৎপাদন অঞ্চল বলা হয়।
📝 116. দুর্গাপুরকে ‘ভারতের রূঢ়’ বলা হয় কেন?
✅ উত্তর:
দুর্গাপুর পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম প্রধান শিল্পনগরী, যেখানে ভারী শিল্পের ঘনত্ব বেশি।
এখানে লৌহ–ইস্পাত, যন্ত্রপাতি, রাসায়নিক, অ্যালুমিনিয়াম ইত্যাদি বহু শিল্প গড়ে উঠেছে।
দুর্গাপুর ইন্ডাস্ট্রিয়াল বেল্ট ভারতের অর্থনৈতিক শক্তির প্রতীক হয়ে উঠেছে।
এই কারণেই একে ‘ভারতের রূঢ়’ বা “Ruhr of India” বলা হয়, জার্মানির রূঢ় অঞ্চলের অনুকরণে।
📝 117. পশ্চিমবঙ্গের পাটশিল্পের সমস্যাগুলি আলোচনা করো।
✅ উত্তর:
পাটশিল্পে কাঁচামালের অভাব ও নিম্নমানের পাট একটি বড় সমস্যা।
বিদেশে সিনথেটিক ফাইবারের চাহিদা বৃদ্ধির ফলে পাটজাত দ্রব্যের বাজার সংকুচিত হয়েছে।
পুরনো যন্ত্রপাতি ও শ্রম বিরোধের কারণে উৎপাদন ব্যাহত হয়।
সরকারি সাহায্য, আধুনিক প্রযুক্তি ও নতুন বাজারের বিকাশ এই সমস্যার সমাধানে প্রয়োজন।
📝 118. পেডিপ্লেন ও পেনিপ্লেনের পার্থক্য লেখো।
| বিষয় | পেডিপ্লেন | পেনিপ্লেন |
|---|---|---|
| সংজ্ঞা | ক্ষয়প্রক্রিয়ায় গঠিত সমতলভূমি, যেখানে অবশিষ্ট পাহাড় থাকে। | দীর্ঘ ক্ষয়ের ফলে প্রায় সমান উচ্চতার নিম্নভূমি। |
| গঠনকাল | তুলনামূলকভাবে আধুনিক ভূতাত্ত্বিক সময়ে। | অত্যন্ত দীর্ঘ ভূতাত্ত্বিক সময়ে। |
| গঠনকারী শক্তি | প্রধানত যান্ত্রিক ক্ষয়। | জল ও বায়ুর দীর্ঘমেয়াদি ক্ষয়। |
📝 119. ক্ষয়জাত ও সঞ্চয়জাত পর্বতের পার্থক্য লেখো।
| বিষয় | ক্ষয়জাত পর্বত | সঞ্চয়জাত পর্বত |
|---|---|---|
| উৎপত্তি | ক্ষয় ও ভাঙনের ফলে পুরনো পর্বতের অবশেষ। | ভূপৃষ্ঠের ভাঁজ বা আগ্নেয়গিরি সঞ্চয়ের ফলে। |
| উচ্চতা | অপেক্ষাকৃত কম ও খাঁজখন্দযুক্ত। | সাধারণত উচ্চ ও খাড়া শৃঙ্গবিশিষ্ট। |
| উদাহরণ | আরাবল্লি পর্বত। | হিমালয় পর্বত। |
📝 120. তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের উন্নতির কারণসমূহ আলোচনা করো।
✅ উত্তর:
ভারতে উচ্চমানের মানবসম্পদ ও সস্তা শ্রমশক্তি তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে।
সরকারি নীতি, বিদেশি বিনিয়োগ ও কর সুবিধা এই শিল্পকে উৎসাহ দিয়েছে।
ইন্টারনেট ও যোগাযোগব্যবস্থার উন্নতির ফলে সফটওয়্যার রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
এই কারণে ভারত আজ বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ আইটি শক্তিধর দেশ হিসেবে পরিচিত।
📝 121. গিরিজনি ও মহীভাবক আলোড়নের পার্থক্য নিরূপণ করো।
| বিষয় | গিরিজনি আলোড়ন | মহীভাবক আলোড়ন |
|---|---|---|
| সংজ্ঞা | পর্বত সৃষ্টির উদ্দেশ্যে ভূপৃষ্ঠে শক্তি সঞ্চারিত হলে তাকে গিরিজনি আলোড়ন বলে। | মহাদেশের উত্থান–অবনমন ঘটলে তাকে মহীভাবক আলোড়ন বলে। |
| ফলাফল | ভাঁজ পর্বত ও ভূকম্প সৃষ্টি হয়। | মহাদেশ ও সমুদ্রতল পরিবর্তিত হয়। |
| উদাহরণ | হিমালয় পর্বতের সৃষ্টি। | ভারতের পশ্চিম উপকূলের উত্থান ও অবনমন। |
📝 122. পেনিপ্লেন ও পেডিপ্লেনের পার্থক্য লেখো।
| বিষয় | পেনিপ্লেন | পেডিপ্লেন |
|---|---|---|
| সংজ্ঞা | দীর্ঘমেয়াদি ক্ষয়ের ফলে প্রায় সমান উচ্চতার নিম্নভূমি। | যান্ত্রিক ক্ষয়ের ফলে অবশিষ্ট পাহাড়যুক্ত সমতলভূমি। |
| গঠনকাল | প্রাচীন ভূতাত্ত্বিক সময়ে গঠিত। | অপেক্ষাকৃত নবীন সময়ে গঠিত। |
| উদাহরণ | অস্ট্রেলিয়ার পুরনো সমভূমি। | দক্ষিণ আফ্রিকার মালভূমি। |
📝 123. সমোন্নতি রেখা বরাবর চাষ কীভাবে মাটিক্ষয় নিয়ন্ত্রণ করে?
✅ উত্তর:
সমোন্নতি রেখা বরাবর চাষ মানে ঢালের সঙ্গে সমান্তরালভাবে চাষ করা।
এভাবে জলপ্রবাহ ধীর হয় ও মাটির উপরের স্তর ধুয়ে যায় না।
এই পদ্ধতিতে বৃষ্টির জল নিচে নামতে বাধাপ্রাপ্ত হয়, ফলে পলিসঞ্চয় বৃদ্ধি পায়।
তাই ঢালু জমিতে এই পদ্ধতি মাটিক্ষয় রোধে অত্যন্ত কার্যকর।
📝 124. প্রচলিত শক্তির সুবিধা ও অসুবিধাগুলি লেখো।
✅ উত্তর:
প্রচলিত শক্তি যেমন কয়লা, তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস ইত্যাদি সহজলভ্য ও শক্তিশালী।
এগুলির ব্যবহার শিল্প ও পরিবহনক্ষেত্রে বহুলভাবে কার্যকর।
তবে এগুলি অ-নবায়নযোগ্য এবং দূষণ সৃষ্টি করে পরিবেশের ক্ষতি করে।
তাই আজ অপ্রচলিত শক্তির ব্যবহারকে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে।
📝 125. দার্জিলিং-এ প্রচুর চা-চাষ হয় কেন?
✅ উত্তর:
দার্জিলিং-এর উচ্চতা ৬০০ থেকে ২০০০ মিটার, যা চা গাছের জন্য আদর্শ।
এখানে শীতল ও আর্দ্র জলবায়ু, ঢালু জমি ও নরম অম্লীয় মাটি বিদ্যমান।
বৃষ্টিপাত ও কুয়াশাচ্ছন্ন পরিবেশ পাতার স্বাদ ও গন্ধ উন্নত করে।
এই সব কারণে দার্জিলিং চা সারা বিশ্বে সুবিখ্যাত।
📝 126. পশ্চিমবঙ্গের জলসম্পদের সমস্যাগুলি কী কী?
✅ উত্তর:
পশ্চিমবঙ্গে জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও কৃষিকাজের জন্য জলের চাহিদা ক্রমবর্ধমান।
বৃষ্টিনির্ভর জলসংস্থান অনিয়মিত, ফলে গ্রীষ্মে জলের অভাব দেখা যায়।
নদী ও পুকুরগুলিতে পলি জমা ও দূষণ জলের মান নষ্ট করছে।
এজন্য জলসংরক্ষণ ও পুনর্ব্যবহার আজ অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
📝 127. পৃথিবীর অক্ষের হেলান অবস্থানের গুরুত্ব লেখো।
✅ উত্তর:
পৃথিবীর অক্ষ ২৩½° হেলানো বলে ঋতু পরিবর্তন ঘটে।
এর ফলে এক অংশে গ্রীষ্ম থাকলে অপর অংশে শীত পড়ে।
এই হেলান অবস্থাই দিনের দৈর্ঘ্য ও সূর্যালোকের তারতম্য ঘটায়।
অতএব, পৃথিবীর প্রাণধারণ ও জলবায়ুর ভারসাম্যে এটি অপরিহার্য ভূমিকা রাখে।
📝 128. আন্তর্জাতিক তারিখরেখা 180° দ্রাঘিমারেখাকে সর্বত্র অনুসরণ করেনি কেন?
✅ উত্তর:
আন্তর্জাতিক তারিখরেখা ১৮০° দ্রাঘিমারেখা হলেও কিছু স্থানে বাঁকানো হয়েছে।
এটি করা হয়েছে যেন দ্বীপ ও দেশগুলোকে একদিনের মধ্যে বিভক্ত না করা হয়।
বিশেষত প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপপুঞ্জে অর্থনৈতিক ও প্রশাসনিক সুবিধার জন্য রেখা ঘোরানো হয়েছে।
ফলে স্থানীয় সময় বজায় থাকলেও আন্তর্জাতিক তারিখ নির্ধারণে বিভ্রান্তি হয় না।
📝 129. দুর্যোগ ও বিপর্যয়ের মধ্যে পার্থক্য লেখো।
| বিষয় | দুর্যোগ | বিপর্যয় |
|---|---|---|
| সংজ্ঞা | প্রাকৃতিক বা মানবসৃষ্ট ক্ষতিকর ঘটনা, যা জীবনের স্বাভাবিক ধারা ব্যাহত করে। | দুর্যোগের ফলে ব্যাপক প্রাণহানি ও সম্পত্তিনাশ ঘটলে তা বিপর্যয়। |
| ব্যাপকতা | তুলনামূলকভাবে সীমিত প্রভাব। | বৃহৎ এলাকা ও জনজীবনে গভীর প্রভাব। |
| উদাহরণ | বন্যা, ঝড়, খরা। | ভূমিকম্পে শহর ধ্বংস, সুনামি ইত্যাদি। |
📝 130. সম্পদ সংরক্ষণের উপায়গুলি লেখো।
✅ উত্তর:
প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের জন্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা অপরিহার্য।
বনভূমি সংরক্ষণ, পুনঃবনায়ন ও মাটির ক্ষয় রোধ করা জরুরি।
নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার ও বর্জ্য পুনঃব্যবহার পরিবেশ রক্ষা করে।
মানবজাতির টেকসই উন্নয়নের জন্য সম্পদ সংরক্ষণ একমাত্র পথ।
📝 131. গিরিজনি ও মহীভাবক আলোড়নের মধ্যে পার্থক্য লেখো।
| বিষয় | গিরিজনি আলোড়ন | মহীভাবক আলোড়ন |
|---|---|---|
| প্রকৃতি | পৃথিবীর ভূত্বকের আনুভূমিক চাপজনিত আন্দোলন। | পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ উল্লম্ব চাপজনিত আন্দোলন। |
| ফলাফল | পর্বতশ্রেণি ও ভাঁজ সৃষ্টি হয়। | ভূমির উত্তোলন বা অবনমন ঘটে। |
| উদাহরণ | হিমালয় পর্বতের সৃষ্টি। | ডেকান মালভূমির উত্তোলন। |
📝 132. এলুভিয়েশন ও ইলুভিয়েশনের মধ্যে পার্থক্য লেখো।
| বিষয় | এলুভিয়েশন | ইলুভিয়েশন |
|---|---|---|
| সংজ্ঞা | উপরের স্তর থেকে কণিকা বা দ্রবণ ধুয়ে নীচে যাওয়া। | নীচের স্তরে সেই ধৌত কণিকার সঞ্চয়। |
| ক্রিয়া | ক্ষয় বা অপসারণ প্রক্রিয়া। | সঞ্চয় বা পলিসঞ্চিত প্রক্রিয়া। |
| স্তর | A-স্তরে ঘটে। | B-স্তরে ঘটে। |
📝 133. খরার তিনটি কারণ লেখো।
✅ উত্তর:
খরা মূলত বৃষ্টির ঘাটতির কারণে সৃষ্টি হয়।
অতিরিক্ত তাপমাত্রা ও উচ্চ বাষ্পীভবনের ফলে ভূমি দ্রুত শুকিয়ে যায়।
বননিধন ও অপ্রতুল জলসংরক্ষণও খরার তীব্রতা বাড়ায়।
ফলে কৃষি, পানীয়জল ও জীবজগৎ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
📝 134. পশ্চিমবঙ্গে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পে উন্নতি ঘটেছে কেন?
✅ উত্তর:
রাজ্য সরকার আইটি পার্ক ও হাব গড়ে তুলে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পকে উৎসাহ দিয়েছে।
কোলকাতা ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় উচ্চশিক্ষিত কর্মীবাহিনীর সহজলভ্যতা রয়েছে।
ইন্টারনেট, যোগাযোগব্যবস্থা ও পরিবহন অবকাঠামো শিল্পবিকাশে সহায়ক হয়েছে।
ফলে পশ্চিমবঙ্গ বর্তমানে ভারতের অন্যতম উদীয়মান আইটি কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত।
📝 135. পশ্চিমবঙ্গে মালভূমি অঞ্চলের নদীগুলি অনিত্যবহ কেন?
✅ উত্তর:
মালভূমি অঞ্চলে বৃষ্টিপাত অল্প ও ঋতুভিত্তিক।
শিলাময় ভূমি হওয়ায় নদীগুলি গভীর খাত সৃষ্টি করতে পারে না।
বর্ষাকালে এরা সজীব হলেও শুষ্ক মৌসুমে শুকিয়ে যায়।
তাই পশ্চিমবঙ্গের মালভূমি অঞ্চলের নদীগুলি মৌসুমি ও অনিত্যবহ স্বভাবের।
<<<<<<<<<<<<<<<<🌹সমাপ্ত🌹>>>>>>>>>>>

