🌹বি.এ সেমিষ্টার-৪::মেজর বাংলা(পেপার-১)সাজেশন(PART-1)🌹

✍️প্রশ্নের মান-২:

📝 ১। কংস বসুদেব–দেবকীর অষ্টম সন্তান ভেবে কাকে কিভাবে হত্যা করে?
✅ উত্তর: কংস দৈবকীর অষ্টম সন্তান ভেবে যশোদার কন্যা সন্তানকে শিলার উপর আছাড় দিয়ে হত্যা করে।

📝 ২। শিশু কৃষ্ণকে বধ করবার জন্য কংস প্রথম কাকে নিয়োগ করে? সে কিভাবে কৃষ্ণকে মারতে চায়?
✅ উত্তর: শিশু কৃষ্ণকে বধ করার জন্য কংস প্রথমে পুতনা রাক্ষসীকে নিয়োগ করে। সে বিষাক্ত স্তন্যপান করিয়ে কৃষ্ণকে মারতে চায়।

📝 ৩। কংস শিশু কৃষ্ণকে মারার জন্য কাকে কাকে নিয়োগ করে? তাদের কী পরিণতি হয়?
✅ উত্তর: শিশু কৃষ্ণকে মারার জন্য কংস পুতনা রাক্ষসী, যমল অর্জুন বৃক্ষ ও কেশি নাগকে নিয়োগ করে। কৃষ্ণের হাতে এদের সকলেরই মৃত্যু হয়।

📝 ৪। “ভুজ যুগ করিকর জানুত ললে।” — কথার অর্থ কী?
✅ উত্তর: “ভুজ যুগ করিকর জানুত ললে।” — কথার অর্থ হল, কৃষ্ণের দুটি হাত হাতির শুঁড়ের মতো জানুদেশ পর্যন্ত ঝুলে আছে।

📝 ৫। কৃষ্ণের সাজ–সজ্জার পরিচয় দাও।
✅ উত্তর: কৃষ্ণের শরীরে নানা মণিঅলংকার শোভা পায়, পরিধানে পীত বসন, আর হাতে শোভা পায় বাঁশরী।

📝 ৬। রাধা কে? কেন তিনি মর্তে অবতীর্ণ হন?
✅ উত্তর: রাধা হলেন লক্ষ্মী। দেবগণের আহ্বানে “কাহ্নাঞির সম্ভোগ কারণে” তিনি রাধারূপে মর্ত্যে অবতীর্ণ হন।

📝 ৭। রাধা কাদের সন্তান রূপে মর্ত্যে অবতীর্ণ হন?
✅ উত্তর: রাধা সাগর রাজা ও পদুমা (পদ্মা)-র কন্যা রূপে মর্ত্যে অবতীর্ণ হন।

📝 ৮। রাধার বিবাহ দেওয়া হয় কার সঙ্গে? তার দেখভালের জন্য কাকে নিয়োগ করা হয়?
✅ উত্তর: রাধার বিবাহ দেওয়া হয় নপুংসক আইহন ঘোষের সঙ্গে, আর তার দেখাশোনার জন্য নিয়োগ করা হয় বড়ায়িকে।

📝 ৯। শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের জন্মখণ্ডের পদগুলিতে কী কী রাগ ব্যবহৃত হয়েছে?
✅ উত্তর: শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের জন্মখণ্ডের পদগুলিতে কোড়ারাগ, বরাড়ীরাগ, গুজ্জরীরাগ ও ধানুষী রাগ ব্যবহৃত হয়েছে। তিনটি পদে ব্যবহৃত হয়েছে কোড়ারাগ।

📝 ১০। জন্মখণ্ডে কৃষ্ণজীবনের কোন পর্যায় উপস্থাপিত হয়েছে? এই খণ্ডের পদ-সংখ্যা কত?
✅ উত্তর: শ্রীকৃষ্ণকীর্তনের জন্মখণ্ডে কৃষ্ণের জন্ম থেকে রাধার বিবাহ পর্যন্ত বৃত্তান্ত উপস্থাপিত হয়েছে।

📝 ১১। দৈবকীর পরিচয় কী?
✅ উত্তর: দৈবকী হলেন দেবকের কন্যা ও বসুদেবের স্ত্রী। তিনিই ভগবান শ্রীকৃষ্ণের প্রকৃত জননী। পূর্বজন্মে তিনিই ছিলেন প্রজাপতির কন্যা অদিতি।

📝 ১২। জন্মখণ্ডের কোন পদে নারদের কথা আছে? তাঁর নারদ নাম হয় কেন?
✅ উত্তর: জন্মখণ্ডের তৃতীয় পদে নারদের কথা আছে। ‘নার’ অর্থ জল — তর্পণের জন্য তিনি সর্বদা ‘নার’ বা জল ব্যবহার করতেন বলেই তাঁর নাম হয় ‘নারদ’।

📝 ১৩। দেবতাদের সুমন্ত্রণা শুনে কে কার সামনে যান? তাকে দেখতে কেমন?
✅ উত্তর: দেবতাদের সুমন্ত্রণা শুনে নারদ মুনি কংসের সামনে যান। তাঁর পোশাক-আশাক ও ভঙ্গি দেখে মর্কটের মতো লাগে।

📝 ১৪। নারদকে দেখে সকলের মনে রঙ্গ ও হাসির উদ্রেক হয় কেন?
✅ উত্তর: নারদের পোশাক-আশাক ও আচরণ ছিল হাস্যকর। তাই কংসসহ সকলের মনে রঙ্গ-রসিকতা ও হাস্যোদ্রেক জেগে ওঠে।

📝 ১৫। ‘মাকড়’ শব্দের অর্থ কী? কোন শব্দ থেকে ‘মাকড়’ শব্দের উৎপত্তি?
✅ উত্তর: ‘মাকড়’ শব্দের অর্থ কদাকার বা মর্কটসদৃশ। এটি ‘মর্কট’ শব্দ থেকে উৎপন্ন—মর্কট > মক্কড় > মাকড়।

📝 ১৬। “হেন সব শুনী কংস হৈল সচকীত।”–কংস কার মুখে কী শুনে সচকিত হয়েছে?
✅ উত্তর: কংস নারদের মুখে দৈবকীর অষ্টম গর্ভজাত সন্তানের জন্ম ও নিজের বিনাশের ভবিষ্যদ্বাণী শুনে সচকিত হয়েছে।

📝 ১৭। নারদের মুখে দেবকীর অষ্টম গর্ভজাত সন্তানের হাতে নিজের মৃত্যুর কথা জেনে কংস আত্মরক্ষার জন্য কী ব্যবস্থা নেয়?
✅ উত্তর: কংস আত্মরক্ষার জন্য দৈবকীর গর্ভজাত প্রতিটি সন্তানকেই হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেয়।

📝 ১৮। কংস দেবকীর কতটি সন্তানকে নষ্ট করতে সমর্থ হয়? কোন সন্তানদের মারতে পারে না?
✅ উত্তর: কংস প্রথম থেকে ষষ্ঠ গর্ভজাত সন্তানদের হত্যা করতে সক্ষম হয়। কিন্তু সপ্তম বলরাম ও অষ্টম কৃষ্ণকে মারতে পারে না।

📝 ১৯। দেবকীর সপ্তম গর্ভের সন্তান কে? তিনি কংসের হাত থেকে কীভাবে রক্ষা পান?
✅ উত্তর: দেবকীর সপ্তম গর্ভের সন্তান বলরাম। তিনি গর্ভপাতের ছলে দেবকীর গর্ভ থেকে রোহিনীর গর্ভে স্থানান্তরিত হন বলে রক্ষা পান।

📝 ২০। দেবকীর অষ্টম গর্ভজাত কৃষ্ণ কংসের হাত থেকে কীভাবে রক্ষা পান?
✅ উত্তর: বসুদেব কৃষ্ণকে কোলে নিয়ে যমুনা পার হয়ে নন্দ-যশোদার ঘরে রেখে আসেন। যশোদার কন্যা সন্তানকে বদলে এনে দেবকীর পাশে রাখেন।

📝 ২১। “বসুল চলিলা তবেঁ কাহ্ন করি কোলে।” — ‘বসুল’ কে? তিনি কোথায় চললেন ও কেন?
✅ উত্তর: এখানে ‘বসুল’ মানে বসুদেব। তিনি সদ্যজাত কৃষ্ণকে কোলে নিয়ে গোপাল নন্দের গৃহের দিকে চলেছিলেন, কংসের হাত থেকে রক্ষার জন্য।

📝 ২২। শ্রীকৃষ্ণ কীর্তন কী ধরনের কাব্য? এর কবির নাম কী?
✅ উত্তর: শ্রীকৃষ্ণ কীর্তন একটি আখ্যান কাব্য, যার কবি বড়ু চণ্ডীদাস।

📝 ২৩। বড়ু চণ্ডীদাস কোন শতাব্দীতে ও কোন অঞ্চলে জন্মগ্রহণ করেছিলেন?
✅ উত্তর: বড়ু চণ্ডীদাসের জন্মকাল ও স্থান নির্দিষ্ট নয়। অনুমান করা হয়, তিনি প্রাকচৈতন্য যুগে মধ্যবঙ্গ অঞ্চলে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।

📝 ২৪। শ্রীকৃষ্ণ কীর্তন কাব্যের কতটি খণ্ড আছে? তোমাদের পাঠ্য খণ্ডের নাম কী?
✅ উত্তর: শ্রীকৃষ্ণ কীর্তন কাব্যের ১৩টি খণ্ড রয়েছে। আমাদের পাঠ্য খণ্ডের নাম ‘অথ জন্মখণ্ড’।

📝 ২৫। শ্রীকৃষ্ণ কীর্তন কাব্যের খণ্ডগুলির নাম লেখো।
✅ উত্তর: খণ্ডগুলির নাম—
(১) জন্মখণ্ড (২) তাম্বুল খণ্ড (৩) দান খণ্ড (৪) নৌকা খণ্ড (৫) ভার খণ্ড (৬) ছত্র খণ্ড (৭) কালীয়দমন খণ্ড (৮) যমুনা খণ্ড (৯) হার খণ্ড (১০) কর্ণ খণ্ড (১১) বৃন্দাবন খণ্ড (১২) বংশী খণ্ড (১৩) রাধাবিরহ খণ্ড।

📝 ২৬। তোমাদের পাঠ্য খণ্ডে কতগুলি পদ বা কবিতা আছে?
✅ উত্তর: আমাদের পাঠ্য জন্মখণ্ডে মাত্র একটি পদ বা কবিতা রয়েছে।

📝 ২৭। শ্রীকৃষ্ণ কীর্তন কাব্যটি কে আবিষ্কার করেন এবং কোন সময়ে?
✅ উত্তর: শ্রীকৃষ্ণ কীর্তন কাব্যটি বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভ ১৩১৬ বঙ্গাব্দে (১৯০৯ খ্রিষ্টাব্দে) আবিষ্কার করেন।

📝 ২৮। শ্রীকৃষ্ণ কীর্তনের পুঁথিটি কোথা থেকে আবিষ্কৃত হয়েছিল?
✅ উত্তর: এই পুঁথিটি বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুরের কাছে কাঁকিল্যা গ্রামের এক গৃহস্থের গোয়ালঘরের মাচান থেকে আবিষ্কৃত হয়।

📝 ২৯। শ্রীকৃষ্ণ কীর্তন কাব্যটি কার সম্পাদনায় কত সালে প্রকাশিত হয়?
✅ উত্তর: এটি বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভের সম্পাদনায় ১৯১৬ খ্রিষ্টাব্দে প্রথম প্রকাশিত হয়।

📝 ৩০। শ্রীকৃষ্ণ কীর্তন কাব্যের প্রধান চরিত্র কারা?
✅ উত্তর: প্রধান চরিত্র তিনজন—রাধা, কৃষ্ণ ও বড়াঈ।

📝 ৩১। শ্রীকৃষ্ণ কীর্তনের বিষয় কীভাবে উপস্থাপিত হয়েছে এবং প্রধান চরিত্র কে?
✅ উত্তর: বিষয়টি নাটকীয় সংলাপ আকারে উপস্থাপিত হয়েছে। কাব্যের প্রধান চরিত্র রাধা।

📝 ৩২। রাধা ও কৃষ্ণের সামাজিক সম্পর্ক কী?
✅ উত্তর: সামাজিক সম্পর্কে রাধা কৃষ্ণের মাতুলানী (মামী); কিন্তু কাব্যে তাঁরা প্রেমিক-প্রেমিকা রূপে চিত্রিত।

📝 ৩৩। শ্রীকৃষ্ণ কীর্তনের রাধা-কৃষ্ণ আসলে কারা?
✅ উত্তর: রাধা ও কৃষ্ণ আসলে লক্ষ্মী ও নারায়ণের অবতার, যদিও রাধা তা জানতেন না।

📝 ৩৪। বড়ু চণ্ডীদাস কোন প্রেরণায় শ্রীকৃষ্ণ কীর্তন কাব্যটি রচনা করেন?
✅ উত্তর: বড়ু চণ্ডীদাস অন্তর্গত কবিত্ব প্রকাশের প্রেরণায় বৈষ্ণব প্রভাব ছাড়াই রাধা-কৃষ্ণের প্রেমকথাকে অবলম্বন করে কাব্যটি রচনা করেন।

📝 ৩৫। শ্রীকৃষ্ণ কীর্তনে কোন ছন্দ ব্যবহৃত হয়েছে? উদাহরণসহ লেখো।
✅ উত্তর: অধিকাংশ পদে চার মাত্রার মিশ্রবৃত্ত বা অক্ষরবৃত্ত ছন্দ ব্যবহৃত হয়েছে।
যেমন—

নারদের / মুখে শুনী // কংস মহা : বীর।
এঁকে এঁকে / মাইল ছয় // গর্ব দেব : কীর।

📝 ৩৬। জন্মখণ্ডের দ্বিতীয় পদের বিষয় কী?
✅ উত্তর: দ্বিতীয় পদের বিষয়—দেবতাদের সভায় কংসবধের পরিকল্পনা ও শ্রীহরিকে আহ্বান জানানোর কাহিনি।

📝 ৩৭। দেবতাদের স্তুতিতে তুষ্ট হয়ে শ্রীহরি কাকে কী দেন?
✅ উত্তর: শ্রীহরি দেবতাদের তুষ্ট হয়ে দুটি কেশ—‘ধল’ ও ‘কাল’—নারায়ণকে দেন।

📝 ৩৮। ‘ধল’ ও ‘কাল’ কেশ থেকে কী ঘটে?
✅ উত্তর: ‘ধল’ ও ‘কাল’ কেশ থেকে দৈবকীর গর্ভে হলধর (বলরাম) ও বনমালী (কৃষ্ণ) জন্মগ্রহণ করবেন—এই ভবিষ্যদ্বাণী দেওয়া হয়।

📝 ৩৯। শ্রীকৃষ্ণ কীর্তনের কবি কে ও তিনি কাদের উপাসক ছিলেন?
✅ উত্তর: কবি বড়ু চণ্ডীদাস, এবং তিনি বাসুলী দেবীর উপাসক ছিলেন।

📝 ৪০। জন্মখণ্ডের দ্বিতীয় পদের চরণসংখ্যা ও প্রতিটি চরণের মাত্রা কত?
✅ উত্তর: দ্বিতীয় পদে চরণ সংখ্যা ১৬টি; প্রতিটি চরণের মাত্রা ১৪টি।

📝 ৪১। জন্মখণ্ডের তৃতীয় পদের চরণসংখ্যা ও মাত্রা-বিন্যাস কেমন?
✅ উত্তর: তৃতীয় পদে চরণ সংখ্যা ১৮টি; প্রতিটি চরণে ৬+৫ মাত্রার মিশ্রবিন্যাস রয়েছে।

📝 ৪২। প্রবাস বলতে কী বোঝ?
✅ উত্তর: দেশান্তর গমনের কারণে নায়ক-নায়িকার মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটলে যে বিরহ-বেদনার সৃষ্টি হয়, তাকেই প্রবাস বলা হয়।

📝 ৪৩। অভিসার কাকে বলে?
✅ উত্তর: মিলনের উদ্দেশ্যে লোকচক্ষুর আড়ালে, পূর্বনির্দিষ্ট সংকেতে কুঞ্জে নায়ক ও নায়িকার গমনকেই অভিসার বলে।

📝 ৪৪। মাথুর কাকে বলে?
✅ উত্তর: কৃষ্ণের মথুরা গমনের ফলে রাধার মনে যে বিরহ ও তার প্রকাশ দেখা যায়, তাকেই মাথুর বলা হয়।

📝 ৪৫। সম্ভোগ বলতে কী বোঝ?
✅ উত্তর: দর্শন ও আলিঙ্গনাদির অনুকূলে নায়ক-নায়িকার মনে যে আনন্দময় ভাব জাগে, তাকেই সম্ভোগ বলে।

📝 ৪৬। ভাবসম্মিলন কাকে বলে?
✅ উত্তর: কৃষ্ণবিরহে উন্মাদ রাধা কল্পনায় কৃষ্ণের সঙ্গে মিলিত হয়ে যে ভাবলোকে বিভোর হন, তাকেই ভাবসম্মিলন বলা হয়।

📝 ৪৭। পদাবলী সাহিত্যের নায়ক শ্রীকৃষ্ণকে সচ্চিদানন্দময় পুরুষ বলা হয় কেন?
✅ উত্তর: শ্রীকৃষ্ণের তিন স্বরূপ শক্তি—সৎ, চিৎ ও আনন্দ। এই তিনের আধার বলেই তাঁকে সচ্চিদানন্দময় পুরুষ বলা হয়।

📝 ৪৮। কীর্তন কাকে বলে?
✅ উত্তর: উচ্চৈস্বরে ভগবানের নাম ও গুণগান করাকেই কীর্তন বলে।

📝 ৪৯। গৌড়ীয় বৈষ্ণব ধর্মের প্রাণপুরুষ কে?
✅ উত্তর: গৌড়ীয় বৈষ্ণব ধর্মের প্রাণপুরুষ মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্যদেব।

📝 ৫০। গৌড়ীয় বৈষ্ণব ধর্মের পথিকৃৎ কে?
✅ উত্তর: গৌড়ীয় বৈষ্ণব ধর্মের পথিকৃৎ মাধবেন্দ্রপুরী।

📝 ৫১। কাদের বৈষ্ণব বলা হয়?
✅ উত্তর: যাঁরা বিষ্ণু তথা কৃষ্ণের উপাসক, তাঁদেরই বৈষ্ণব বলা হয়।

📝 ৫২। বৈষ্ণব পদকর্তাদের কী বলা হয়?
✅ উত্তর: বৈষ্ণব পদকর্তাদের মহাজন বলা হয়।

📝 ৫৩। ব্রজবুলি কী?
✅ উত্তর: বৈষ্ণব পদাবলী রচনার জন্য সৃষ্ট কৃত্রিম ভাষা ব্রজবুলি নামে পরিচিত।

📝 ৫৪। চণ্ডীদাস কোন সময়ের কবি ছিলেন?
✅ উত্তর: চণ্ডীদাস প্রাক্‌চৈতন্য যুগের, অর্থাৎ পঞ্চদশ শতাব্দীর কবি।

📝 ৫৫। চণ্ডীদাস কোন রসপর্যায়ের শ্রেষ্ঠ কবি?
✅ উত্তর: চণ্ডীদাস পূর্বরাগ পর্যায়ের শ্রেষ্ঠ কবি।

📝 ৫৬। চণ্ডীদাস কোন দেবীর উপাসক ছিলেন?
✅ উত্তর: চণ্ডীদাস বাসুলী (বা বাসলী) দেবীর উপাসক ছিলেন।

📝 ৫৭। চৈতন্যোত্তর যুগের শ্রেষ্ঠ কবি কে?
✅ উত্তর: চৈতন্যোত্তর যুগের শ্রেষ্ঠ কবি গোবিন্দদাস।

📝 ৫৮। ‘দ্বিতীয় বিদ্যাপতি’ বলা হয় কোন কবিকে?
✅ উত্তর: গোবিন্দদাসকে ‘দ্বিতীয় বিদ্যাপতি’ বলা হয়।

📝 ৫৯। গোবিন্দদাস কোন উপাধিতে ভূষিত হয়েছিলেন?
✅ উত্তর: গোবিন্দদাসকে ‘কবিরাজ’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়েছিল।

📝 ৬০। গোবিন্দদাস কোন শতাব্দীর কবি ছিলেন?
✅ উত্তর: গোবিন্দদাস ষোড়শ শতাব্দীর কবি ছিলেন।

---

📝 ৬১। গোবিন্দদাস কোন রসপর্যায়ের শ্রেষ্ঠ কবি?
✅ উত্তর: গোবিন্দদাস সম্ভোগ রসপর্যায়ের শ্রেষ্ঠ কবি।

📝 ৬২। ‘রাধা-গোবিন্দ প্রেমলীলা’ কোন কবির পদাবলির মূলভাব?
✅ উত্তর: গোবিন্দদাসের পদাবলির মূলভাব রাধা-গোবিন্দ প্রেমলীলা।

📝 ৬৩। বিদ্যাপতি কোন ভাষার কবি ছিলেন?
✅ উত্তর: বিদ্যাপতি মৈথিলী ভাষার কবি ছিলেন।

📝 ৬৪। ‘চৈতন্যচরিতামৃত’ কে রচনা করেন?
✅ উত্তর: কৃষ্ণদাস কবিরাজ গোস্বামী ‘চৈতন্যচরিতামৃত’ রচনা করেন।

📝 ৬৫। ‘চৈতন্যভাগবত’ কার রচনা?
✅ উত্তর: ‘চৈতন্যভাগবত’ রচনা করেন বৃন্দাবনদাস ঠাকুর।

📝 ৬৬। চণ্ডীদাস ও গোবিন্দদাসের মধ্যে প্রধান পার্থক্য কী?
✅ উত্তর: চণ্ডীদাসের পদে বিরহরস প্রধান, আর গোবিন্দদাসের পদে সম্ভোগরস প্রধান।

📝 ৬৭। বৈষ্ণব পদাবলির মূল উদ্দেশ্য কী ছিল?
✅ উত্তর: বৈষ্ণব পদাবলির মূল উদ্দেশ্য ছিল ভক্তির মাধ্যমে ঈশ্বরপ্রেমের প্রকাশ।

📝 ৬৮। রাধার মান কাকে বলে?
✅ উত্তর: কৃষ্ণের প্রতি অভিমান বা অল্প রাগের ভাবকেই রাধার মান বলা হয়।

📝 ৬৯। মানভঞ্জন কাকে বলে?
✅ উত্তর: কৃষ্ণের প্রচেষ্টায় রাধার মান ভাঙলে যে প্রেমময় ভাব প্রকাশ পায়, তাকেই মানভঞ্জন বলে।

📝 ৭০। বৈষ্ণব পদাবলির মূল কেন্দ্রবিন্দু কে?
✅ উত্তর: বৈষ্ণব পদাবলির মূল কেন্দ্রবিন্দু হলেন রাধা।

📝 ৭১। পদাবলী কাব্যের ভাষার বৈশিষ্ট্য কী?
✅ উত্তর: পদাবলীর ভাষা সরল, মাধুর্যপূর্ণ ও ভক্তিভাবাপন্ন, প্রায়শই ব্রজবুলি।

📝 ৭২। চৈতন্যোত্তর যুগের পদকাব্যে কোন বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা যায়?
✅ উত্তর: চৈতন্যোত্তর যুগে পদকাব্যে আধ্যাত্মিক প্রেম ও ভাবসম্মিলনের ভাব প্রধান হয়ে ওঠে।

📝 ৭৩। রাধার প্রেম কেমন প্রেম?
✅ উত্তর: রাধার প্রেম নির্মল, আত্মনিবেদিত ও ঈশ্বরভক্তিস্বরূপ প্রেম।

📝 ৭৪। কৃষ্ণের প্রেম কেমন প্রেম?
✅ উত্তর: কৃষ্ণের প্রেম লীলা-প্রবণ, চপল ও রহস্যময় ঈশ্বরীয় প্রেম।

📝 ৭৫। চণ্ডীদাসের পদে কোন রস প্রধান?
✅ উত্তর: চণ্ডীদাসের পদে বিরহরস প্রধান।

📝 ৭৬। গোবিন্দদাসের পদে কোন রস প্রধান?
✅ উত্তর: গোবিন্দদাসের পদে সম্ভোগরস প্রধান।

📝 ৭৭। রাধাকৃষ্ণ লীলার মাধ্যমে কী শিক্ষা দেওয়া হয়েছে?
✅ উত্তর: রাধাকৃষ্ণ লীলার মাধ্যমে আত্মার সঙ্গে পরমাত্মার মিলন ও ভক্তির শ্রেষ্ঠত্বের শিক্ষা দেওয়া হয়েছে।

📝 ৭৮। বৈষ্ণব পদাবলির মূল ধর্মীয় ভাব কী?
✅ উত্তর: বৈষ্ণব পদাবলির মূল ধর্মীয় ভাব ভক্তিবাদ।

📝 ৭৯। ‘সখী’ কার প্রতীক?
✅ উত্তর: বৈষ্ণব সাহিত্যে ‘সখী’ হলেন ভক্ত ও ঈশ্বরের মধ্যবর্তী যোগসূত্রের প্রতীক।

📝 ৮০। ‘রাধা-কৃষ্ণের লীলা মানবমনের প্রতীক’ — ব্যাখ্যা করো।
✅ উত্তর: রাধা-কৃষ্ণের লীলা মানব আত্মার সঙ্গে ঈশ্বরের প্রেমময় যোগের প্রতীক; এটি শুধু দেহজ নয়, বরং আধ্যাত্মিক মিলনের প্রতিরূপ।

---

📝 ৮১। ওঝার কাছে রাধা কোন বিদ্যা শিক্ষা করেছেন এবং কেন?
✅ উত্তর: রাধা ওঝার কাছে সাপের মুখ বন্ধ করার বিদ্যা শিক্ষা করেছিলেন, যাতে অভিসারে যাওয়ার পথে সর্পদংশনে মারা গেলে কৃষ্ণসান্নিধ্য থেকে বঞ্চিত না হন।

📝 ৮২। “এ সখি হামারি দুখের নাহি ওর।” — এই পদটি কার রচনা, কোন পর্যায়ের পদ এবং কোন ভাষায় লেখা?
✅ উত্তর: “এ সখি হামারি দুখের নাহি ওর।” পদটি বিদ্যাপতির লেখা মাথুর পর্যায়ের পদ, এবং এটি ব্রজবুলি ভাষায় রচিত।

📝 ৮৩। “ঝাম্পি ঘন গরজন্তি সন্ততি ভুবন ভরি বরিখন্তিয়া।” — এই পঙ্ক্তির শব্দগুলির অর্থ কী?
✅ উত্তর: ‘ঝাম্পি’ মানে ঝেঁপে; ‘ঘন’ মানে মেঘ; ‘গরজন্তি’ মানে গর্জন করছে; ‘সন্ততি’ মানে সতত; আর ‘বরিখন্তিয়া’ মানে বর্ষণ করছে।

📝 ৮৪। “কান্ত পাহুন কাম দারুন।” — এখানে ‘পাহুন’ শব্দের অর্থ কী?
✅ উত্তর: “কান্ত পাহুন” পঙ্ক্তিতে ‘পাহুন’ শব্দের অর্থ প্রবাসী বা দূরে অবস্থানকারী প্রিয়জন।

📝 ৮৫। “কুলিশ শত শত পাত মোদিত ময়ুর নাচত মাতিয়া।” — এই পঙ্ক্তির অর্থ কী?
✅ উত্তর: পঙ্ক্তিটির অর্থ — শত শত বজ্রপাতের আনন্দে আমোদিত হয়ে ময়ুর নাচছে।

📝 ৮৬। “মত্ত দাদুরী ডাকে ডাহুকী ফাটি যাওত ছাতিয়া।” — এখানে ‘দাদুরী’ ও ‘ছাতিয়া’ শব্দের অর্থ কী?
✅ উত্তর: এখানে ‘দাদুরী’ মানে ব্যাঙ, আর ‘ছাতিয়া’ মানে হৃদয় বা বুক।

📝 ৮৭। “অথির বিজুরিক পাঁতিয়া।” — শব্দগুলির অর্থ কী?
✅ উত্তর: ‘অথির’ মানে অস্থির, ‘বিজুরিক’ মানে বিদ্যুৎ, এবং ‘পাঁতিয়া’ মানে পাতা বা রেখা— অর্থাৎ বিদ্যুৎ অস্থিরভাবে ছুটে বেড়াচ্ছে।

📝 ৮৮। “কৈছে গোঙায়বি”— কথাটির অর্থ কী?
✅ উত্তর: “কৈছে গোঙায়বি” কথাটির অর্থ কীভাবে জীবন যাপন করবি বা কেমন করে কাটাবি।

📝 ৮৯। “তোহে বিসরি' মন তাহে সমর্পিলু”— এখানে ‘তোহে’ ও ‘তাহে’ বলতে কাকে বোঝানো হয়েছে?
✅ উত্তর: এখানে ‘তোহে’ বলতে **মাধব (কৃষ্ণ)**কে বোঝানো হয়েছে, আর ‘তাহে’ বলতে সুত, মিত, রমণী সমাজকে বোঝানো হয়েছে।

📝 ৯০। “রাধা অভিসারে যাচ্ছেন” — এই কথার অর্থ কী?
✅ উত্তর: “রাধা অভিসারে যাচ্ছেন” মানে রাধা প্রেমিক কৃষ্ণের সঙ্গে গোপনে সাক্ষাতের উদ্দেশ্যে গমন করছেন।

---

📝 ৯১। গৌরচন্দ্রিকা ও গৌরাঙ্গ বিষয়ক পদের মধ্যে পার্থক্য কী?
✅ উত্তর: গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর লীলা ও রূপ-সৌন্দর্য অবলম্বনে রচিত যেকোনো পদই গৌরাঙ্গ বিষয়ক পদ। কিন্তু যে গৌরাঙ্গ বিষয়ক পদগুলি পালাকীর্তনের সূচনায় রসপ্রবেশক পদ হিসেবে গাওয়া হয়, কেবল সেগুলিকেই বলা হয় গৌরচন্দ্রিকা।

📝 ৯২। “সই কেবা শুনাইল শ্যাম নাম”—পদটি কার রচিত ও কোন পর্যায়ের পদ?
✅ উত্তর: “সই কেবা শুনাইল শ্যাম নাম” পদটি চণ্ডীদাসের রচিত পূর্বরাগ পর্যায়ের পদ।

📝 ৯৩। “নাম-পরতাপে যায় ঐছন করল গো”—এখানে ‘পরতাপ’ ও ‘ঐছন’ শব্দ দুটির উৎপত্তি কীভাবে হয়েছে?
✅ উত্তর: ‘পরতাপ’ শব্দটির উৎপত্তি হয়েছে ‘প্রতাপ’ শব্দে মধ্যস্বরাগম প্রক্রিয়ায়, যুক্তাক্ষরের মধ্যে স্বরধ্বনি যোগে। আর ‘ঐছন’ শব্দটির উৎপত্তি হয়েছে মাগধী অপভ্রংশের ‘হেন’ শব্দ থেকে, যা মৈথিলিতে ‘এহেন’, বাংলায় ‘যেহ্ন’, ‘তেহ্ন’ হয়ে ‘ঐছন’ রূপ লাভ করে।

📝 ৯৪। “পাসরিতে করি মনে পাসরা না যায় গো”—এখানে ‘পাসরিতে’ শব্দের অর্থ কী ও এর উৎপত্তি কীভাবে?
✅ উত্তর: ‘পাসরিতে’ শব্দের অর্থ ভুলতে বা বিস্মৃত হতে। এটি সংস্কৃত ‘প্রাস্মরতি’ শব্দের অপভ্রংশ রূপ, যার অর্থও ভুলে যাওয়া।

📝 ৯৫। “রূপ লাগি আঁখি ঝুরে”—এই পদটির রচয়িতা ও পর্যায় উল্লেখ করো।
✅ উত্তর: “রূপ লাগি আঁখি ঝুরে” পদটি জ্ঞানদাসের লেখা এবং এটি অনুরাগ পর্যায়ের পদ।

📝 ৯৬। “রূপলাগি আঁখি ঝুরে”—পদটির বক্তা কে এবং কাকে উদ্দেশ্য করে বলা হয়েছে?
✅ উত্তর: পদটির বক্তা রাধা, এবং তিনি এটি সখীকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন।

📝 ৯৭। “কন্টক গাড়ি কমল সম পদতল”—পদটি কার রচিত ও কোন পর্যায়ের পদ?
✅ উত্তর: “কন্টক গাড়ি কমল সম পদতল” পদটি গোবিন্দদাসের রচিত অভিসার পর্যায়ের পদ।

📝 ৯৮। “মঞ্জীর চীরহি ঝাঁপি”—কথার অর্থ কী?
✅ উত্তর: ‘মঞ্জীর’ মানে নূপুর, ‘চীরহি’ মানে বস্ত্রখণ্ড দ্বারা, আর ‘ঝাঁপি’ মানে আবৃত করা। অর্থাৎ রাধা নূপুরকে কাপড়ে বেঁধে অভিসার যাত্রার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

📝 ৯৯। “দুতর পথ গমন ধ্বনি সাধয়ে”—এখানে ‘দুতর পথ’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
✅ উত্তর: এখানে ‘দুতর পথ’ বলতে অভিসারে যাওয়ার দুর্গম ও বিপদসংকুল পথ বোঝানো হয়েছে।

📝 ১০০। “কর-কঙ্কণ-পণ ফণিমুখ-বন্ধন / শিখই ভুজগ-গুরু-পাশে”—এখানে ‘ভুজগ-গুরু’ বলতে কাকে বোঝানো হয়েছে এবং ফণিমুখ-বন্ধন শেখার অর্থ কী?
✅ উত্তর: এখানে ‘ভুজগ-গুরু’ বলতে সাপের ওঝাকে বোঝানো হয়েছে। ‘ফণিমুখ-বন্ধন শেখা’ মানে সাপের মুখ বন্ধ করার বিদ্যা শিক্ষা করা, যাতে অভিসারের পথে বিপদ এড়ানো যায়।

📝 101. চৈতন্যোত্তর বা চৈতন্য পরবর্তী পদাবলীকে কয়টি উপস্তরে ভাগ করা হয়? সেই উপস্তরগুলির সময়কাল এবং উল্লেখযোগ্য পদকারদের নাম লেখো।
✅ উত্তর : চৈতন্যপরবর্তী পদাবলী সাহিত্যকে সময়কালের ভিত্তিতে তিনটি উপস্তরে ভাগ করা হয়।
প্রথম উপস্তর ষোড়শ শতাব্দীর শেষ ভাগ থেকে সপ্তদশ শতাব্দীর মধ্যভাগ পর্যন্ত—এই সময়ের পদকার নরোত্তম দাস, শ্যামানন্দ, গোবিন্দদাস, যদুনন্দন, রায়শেখর, ঘনশ্যাম দাস প্রমুখ।
দ্বিতীয় উপস্তর সপ্তদশ শতাব্দীর শেষ থেকে অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রথম ভাগ পর্যন্ত—এই সময়ের পদকার বিপ্রদাস, জগদানন্দ, যাদবেন্দ্র, প্রেমদাস, রাধামোহন ঠাকুর প্রমুখ।
তৃতীয় উপস্তর অষ্টাদশ শতাব্দীর মধ্যভাগ থেকে ঊনবিংশ শতাব্দী পর্যন্ত—এই সময়ের পদকার চন্দ্রশেখর ও শশীশেখর প্রমুখ।

📝 102. কীর্তন কাকে বলে? কীর্তন কত রকমের হয়? তাদের নাম ও পরিচয় কী?
✅ উত্তর : ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ও রাধার নাম, গুণ, প্রশংসা ও মহিমা নিয়ে গান বা আলোচনা করাকে কীর্তন বলে।
কীর্তন প্রধানত দুই প্রকার—
(১) পালা কীর্তন বা লীলা কীর্তন—যেখানে বহু মহাজন রচিত পদ সাজিয়ে গল্প বা পালার আকারে গান ও আলোচনা করা হয়।
(২) সংকীর্তন বা নাম কীর্তন—যেখানে কেবল কৃষ্ণের নাম বারবার গাওয়া হয়, যেমন—“হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে, হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে।”
এছাড়া একক পদ অবলম্বন করে গাওয়া হলে তাকে বলে পদ কীর্তন।

📝 103. পালা কীর্তনের প্রবর্তন করেন কে? তিনি কোন শতাব্দীর লোক?
✅ উত্তর : নরোত্তম দাস পালা কীর্তনের প্রবর্তক। তিনি ষোড়শ শতাব্দীর শেষ ভাগের লোক ছিলেন।

📝 104. কীর্তন গানে অপরিহার্য বাদ্যযন্ত্র কী?
✅ উত্তর : কীর্তন গানে অপরিহার্য বাদ্যযন্ত্র হলো মৃদঙ্গ (অথবা খোল) এবং করতাল।

📝 105. কীর্তন গানের পরিপুষ্টি এবং জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি হয় কোন অঞ্চলে? কেন?
✅ উত্তর : কীর্তন গানের পরিপুষ্টি ও জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পায় বর্ধমানের শ্রীখণ্ড অঞ্চলে। কারণ, ঐ অঞ্চলেই অধিকাংশ মহাজন ও ভক্ত বৈষ্ণবের জন্ম ও বসবাস ছিল।

📝 106. কীর্তনগানের 'ঘরানা' বলতে কী বোঝ? সপ্তদশ শতাব্দী পর্যন্ত এই গানের ক'টি ঘরানার উৎপত্তি হয়? তাদের নাম কী?
✅ উত্তর : কোনো শিল্পের পরিবেশনের রীতি ও পদ্ধতিকে বলা হয় ঘরানা। কীর্তনও একটি শিল্পরূপ, তার পরিবেশনের ধরনকেই বলা হয় কীর্তনের ঘরানা।
সপ্তদশ শতাব্দী পর্যন্ত কীর্তন গানের চারটি ঘরানার উৎপত্তি হয়—
(১) গরাণহাটি, (২) ঝারিখণ্ডী, (৩) মনোহরশাহী, এবং (৪) রানীহাটি।

📝 107. “পর কৈনু আপন আপন কৈনু পর।” – কে কী জন্য এমনটা করেছে? চরণটা কোন পর্যায়ের পদের অংশ?
✅ উত্তর : “পর কৈনু আপন...” এই চরণটিতে রাধা কৃষ্ণকে পাবার আকুল আকাঙ্ক্ষায় এমন বলেছেন।
এটি তাঁর হৃদয়ের আক্ষেপ ও আত্মনিন্দা প্রকাশের একটি উদাহরণ।
চরণটি আক্ষেপানুরাগ পর্যায়ের পদের অন্তর্ভুক্ত।

📝 108. “বাশুলী আদেশে দ্বিজ চণ্ডীদাস কয়; পরের লাগিয়ে কি আপন পর হয়।।”—পদকারের পদটি কোন পর্যায়ের পদাংশ? বাশুলী কে?
✅ উত্তর : “বাশুলী আদেশে দ্বিজ চণ্ডীদাস কয়...” এই চরণদুটি চণ্ডীদাসের আক্ষেপানুরাগ পর্যায়ের একটি বিখ্যাত পদের অংশ।
‘বাশুলী’ হলেন বাগীশ্বরী দেবী, যিনি চণ্ডীদাসের ইষ্ট দেবী ছিলেন।
বাশুলী নামটি ‘বাইশলি’ বা ‘বাগীশ্বরী’ থেকে উৎপন্ন।

📝 109. প্রার্থনা পর্যায়ের পদ রচনায় বিদ্যাপতি ও নরোত্তম দাসের পার্থক্য কোথায়?
✅ উত্তর : প্রার্থনাধর্মী পদ রচনায় বিদ্যাপতি ও নরোত্তম দাসের মধ্যে কয়েকটি পার্থক্য রয়েছে—
(১) বিদ্যাপতি পঞ্চদশ শতাব্দীর কবি, আর নরোত্তম দাস ষোড়শ শতাব্দীর শেষভাগের কবি।
(২) বিদ্যাপতি দীক্ষিত বৈষ্ণব ছিলেন না, কিন্তু নরোত্তম দাস দীক্ষিত বৈষ্ণব ছিলেন।
(৩) তাই বিদ্যাপতির ভক্তি স্বতঃস্ফূর্ত, আর নরোত্তমের ভক্তি ধর্মানুগত ও সাধনমূলক।
(৪) বিদ্যাপতির ইষ্টদেব ‘মাধব’, নরোত্তমের ইষ্টদেব ‘রাধাকৃষ্ণ’।
(৫) বিদ্যাপতি চান মোক্ষ, নরোত্তম চান রাধাকৃষ্ণের সান্নিধ্য।
(৬) বিদ্যাপতির ভাষা ব্রজবুলি, নরোত্তমের ভাষা বাংলা।

📝 110. বৈষ্ণব পদাবলীতে কোন রস শ্রেষ্ঠ? সেই রসের স্থায়ী ভাবের নাম কী?
✅ উত্তর : বৈষ্ণব পদাবলীতে মধুর রস শ্রেষ্ঠ রস হিসেবে গণ্য।
এই রসের স্থায়ী ভাবের নাম “মধুরা রতি”, যা কৃষ্ণপ্রেমের সবচেয়ে গভীর ও প্রেমময় রূপ।

📝 111. “মধুরা রতি” কী? তা কয় প্রকার? কী কী?
✅ উত্তর : পদাবলী সাহিত্যের প্রধান স্থায়ী ভাব কৃষ্ণরতি, যার পাঁচটি অবস্থা হলো—শান্ত, দাস্য, সখ্য, বাৎসল্য ও মধুর।
এই মধুরা রতি আবার তিন প্রকার—সাধারণী, সমঞ্জসা ও সমর্থা।
এর মধ্যে সমর্থা মধুরা রতি সর্বোচ্চ ও শ্রেষ্ঠ।

📝 112. সাধারণী মধুরা রতি কাকে বলে? কার মধ্যে এই রতির সার্থক প্রকাশ ঘটেছে?
✅ উত্তর : কৃষ্ণের রূপ, লাবণ্য ও গুণ শুনে যারা ইন্দ্রিয় সুখলাভের আকাঙ্ক্ষা নিয়ে তাঁকে কামনা করে, তাদের ভক্ত হৃদয়ে যে রতি জাগে, সেটি সাধারণী মধুরা রতি।
এর উৎকৃষ্ট উদাহরণ হলো মথুরার কুব্জা, যিনি কৃষ্ণের প্রতি কামনামিশ্রিত প্রেম অনুভব করেছিলেন।

📝 113. সমঞ্জসা মধুরা রতি কাকে বলে? এই মধুরা রতি কাদের মধ্যে প্রকাশ পেয়েছে?
✅ উত্তর : সমঞ্জসা মধুরা রতি হল সেই প্রেম, যেখানে ভক্তরা শাস্ত্রসম্মত বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে কৃষ্ণের প্রতি প্রেম প্রকাশ করে।
এই রতি দেখা যায় কৃষ্ণের পত্নীগণ—রুক্মিণী, সত্যভামা প্রমুখের মধ্যে।

📝 114. “মত্ত দাদুরী ডাকে ডাহুকী / ফাটি যাওত ছাতিয়া।” – এখানে ‘দাদুরী' ও ‘ছাতিয়া’ শব্দের অর্থ কী?
✅ উত্তর: “দাদুরী” শব্দের অর্থ ব্যাঙ; “ছাতিয়া” শব্দের অর্থ হৃদয় বা বুক। এই পঙ্‌ক্তিতে কবি প্রকৃতির আহ্বান ও হৃদয়ের আবেগকে রূপকের মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন।

📝 115. “অথির বিজুরিক পাঁতিয়া।” ইত্যাদি পঙ্ক্তিতে ‘অথির’, ‘বিজুরিক’, ‘পাঁতিয়া’ শব্দগুলির অর্থ কী?
✅ উত্তর: ‘অথির’ অর্থ অস্থির, ‘বিজুরিক’ অর্থ বিদ্যুতের, এবং ‘পাঁতিয়া’ অর্থ পঙ্‌ক্তি বা রেখা। অর্থাৎ, বিদ্যুতের রেখা অস্থিরভাবে আকাশে ছোটাছুটি করছে—এই চিত্র কবির কাব্যমাধুর্য বাড়িয়েছে।

📝 116. “কৈছে গোঙায়বি”—কথাটির অর্থ কী?
✅ উত্তর: “কৈছে গোঙায়বি” কথাটির অর্থ—কিভাবে জীবন যাপন করবি বা কেমন করে কাটাবি। এটি একটি ব্যাকুলতার প্রকাশ, যা ভক্তিমূলক কাব্যে প্রার্থনামূলক ভাব প্রকাশ করে।

📝 117. “মাধব বহুত মিনতি করি তোয়।” — পদটি কার লেখা, কোন্ পর্যায়ের পদ?
✅ উত্তর: “মাধব বহুত মিনতি করি তোয়।” — পদটি বিদ্যাপতির লেখা। এটি প্রার্থনা পর্যায়ের পদ, যেখানে কবি ভক্তি ও বিনয়ের সঙ্গে মাধবের উদ্দেশে নিবেদন করেছেন।

📝 118. “দেই তুলসী তিল এ দেহ সমর্পিলু....” — উক্তিটির তাৎপর্য কী?
✅ উত্তর: হিন্দু ধর্মমতে তুলসী ও তিলসহ কিছু দান করলে তা ফিরিয়ে নেওয়া যায় না। পদকার তিল-তুলসীসহ নিজের দেহ মাধবের চরণে সমর্পণ করেছেন—অর্থাৎ, তিনি চিরদিনের জন্য কৃষ্ণচরণে আত্মসমর্পিত হতে চান।

📝 119. প্রার্থনা পর্যায়ের পদে বিদ্যাপতি কৃষ্ণকে কী নামে সম্বোধন করেছেন?
✅ উত্তর: প্রার্থনা পর্যায়ের পদে বিদ্যাপতি কৃষ্ণকে ‘মাধব’ নামে সম্বোধন করেছেন। এই নামে ভক্তি ও স্নেহের গভীর সংযোগ প্রকাশ পেয়েছে।

📝 120. বৈষ্ণবের কাম্য বস্তু কী?
✅ উত্তর: বৈষ্ণবের কাম্য বস্তু হলো কৃষ্ণভক্তি বা কৃষ্ণপ্রেম। এই প্রেমই মুক্তির পথ, যা আত্মাকে ঈশ্বরের সঙ্গে মিলনের সুযোগ দেয়।

📝 121. পদাবলী সাহিত্যের কোন্ রস পর্যায়ের পদের কাব্যমূল্য সব থেকে বেশি?
✅ উত্তর: পদাবলী সাহিত্যের ‘অভিসার’ পর্যায়ের পদের কাব্যমূল্য সর্বাধিক। এতে প্রেম, বেদনা ও সৌন্দর্যের মিশ্রণে শ্রেষ্ঠ কাব্যিক আবেগ সৃষ্টি হয়েছে।

📝 122. বৈষ্ণব রসশাস্ত্রে অভিসারের কয়টি ভাগের কথা আছে? কী কী?
✅ উত্তর: বৈষ্ণব রসশাস্ত্রে অভিসারের আটটি ভাগের কথা আছে—জ্যোৎস্না, তামসী, বর্ষা, দিবা, কুজ্ঝটিকা, তীর্থযাত্রা, উন্মত্তা ও সরা। প্রতিটি ভাগে প্রেমিক-প্রেমিকার ভিন্ন আবেগ প্রকাশ পায়।

📝 123. কোন্ সময়ের অভিসারের কাব্যমূল্য সবচেয়ে বেশি?
✅ উত্তর: দুর্যোগময় বর্ষার রজনীর অভিসারের কাব্যমূল্য সর্বাধিক। বৃষ্টির ব্যাকুল পরিবেশে প্রেম ও বেদনার মিলনে অনন্য রসের সৃষ্টি হয়।

📝 124. “সহচর অঙ্গে গোরা অঙ্গ হেলাইয়া”—কার লেখা, কোন্ পর্যায়ের পদ?
✅ উত্তর: “সহচর অঙ্গে গোরা অঙ্গ হেলাইয়া”—পদটি জ্ঞানদাসের লেখা। এটি গৌরচন্দ্রিকা পর্যায়ের পদ, যেখানে রাধার ভাবভঙ্গিমায় গৌরাঙ্গের প্রেমচেতনা প্রকাশিত হয়েছে।

📝 125. “অতি দূরবল দেহ ধরণে না যায়। ক্ষিতিতলে পড়ি সহচর মুখ চায়।”— কোন্ পর্যায়ের কোন্ পদের অংশ? চরণ দ্বয়ে কার কথা বলা হয়েছে? সে দুর্বল কেন?
✅ উত্তর: “অতি দুর্বল দেহ…” গৌরচন্দ্রিকা পর্যায়ের ‘সহচর অঙ্গে গোরা অঙ্গ হেলাইয়া’ পদের অংশ। এতে রাধাভাবে ভাবিত গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর কথা বলা হয়েছে, যিনি কৃষ্ণবিরহে কাতর হয়ে দুর্বল হয়েছেন।

📝 126. “কি মোহিনী জান বঁধু কি মোহিনী জান”—কার রচিত? কোন্ পর্যায়ের পদ?
✅ উত্তর: “কি মোহিনী জান বঁধু…” পদটি চণ্ডীদাসের লেখা। এটি আক্ষেপানুরাগ পর্যায়ের পদ, যেখানে বিরহ-বেদনায় আকুল প্রেমিকার আত্মবেদনা প্রকাশিত হয়েছে।

📝 127. “কত চতুরানন মরি মরি যাওত / ন তুয়া আদি অবসানা।” — ‘চতুরানন’ কে? পঙ্ক্তিটির তাৎপর্য কী?
✅ উত্তর: এখানে ‘চতুরানন’ অর্থাৎ চার-মুখওয়ালা ব্রহ্মাকে বোঝানো হয়েছে। পদকার বলতে চেয়েছেন—ব্রহ্মারও জন্ম ও মৃত্যু আছে, কিন্তু মাধব তথা কৃষ্ণের কোনো আদি বা অন্ত নেই। এতে ঈশ্বরের চিরন্তন সত্তা ও অনন্তত্বের ধারণা প্রকাশ পেয়েছে।

📝 128. প্রার্থনা পর্যায়ের পদে বিদ্যাপতি কৃষ্ণকে কী নামে সম্বোধন করেছেন?
✅ উত্তর: প্রার্থনা পর্যায়ের পদে বিদ্যাপতি কৃষ্ণকে ‘মাধব’ নামে সম্বোধন করেছেন। এই নাম ব্যবহারে কবি ভক্তি, স্নেহ ও ঈশ্বরপ্রেমের মধুর সংযোগ প্রকাশ করেছেন।

📝 129. বিদ্যাপতি ‘সুত-মিত-রমণী-সমাজ’-কে কিসের সঙ্গে উপমিত করেছেন?
✅ উত্তর: বিদ্যাপতি ‘সুত-মিত-রমণী-সমাজ’-কে উত্তপ্ত সৈকতে জলবিন্দুর সঙ্গে উপমিত করেছেন। অর্থাৎ, মানবজীবনের সমস্ত সম্পর্ক মহাকালের বুকে ক্ষণস্থায়ী ও নশ্বর।

📝 130. “তোহে বিসরি মন...” — এখানে ‘বিসরি’ শব্দের অর্থ কী?
✅ উত্তর: “তোহে বিসরি মন” বাক্যে ‘বিসরি’ শব্দের অর্থ হলো বিস্মরণ করা, ভুলে যাওয়া বা উপেক্ষা করা। কবি এখানে আত্মার ঈশ্বর-বিস্মৃতির বেদনা প্রকাশ করেছেন।

📝 131. “নিধুবনে রমণী রসরঙ্গে মাতলু...” — উক্তিটি কার? ‘নিধুবন’ কী?
✅ উত্তর: “নিধুবনে রমণী রসরঙ্গে মাতলু...” উক্তিটি বিদ্যাপতির। এখানে ‘নিধুবন’ মানে কুঞ্জবন বা প্রমোদকানন, যেখানে রাধা-কৃষ্ণের মিলন ও প্রেমের লীলা সংঘটিত হয়।

📝 132. বৈষ্ণবের কাম্য বস্তু কী?
✅ উত্তর: বৈষ্ণবের কাম্য বস্তু হলো কৃষ্ণভক্তি বা কৃষ্ণপ্রেম। এই ভক্তিই জীবনের পরম লক্ষ্য, যা মুক্তি ও ঈশ্বরের সঙ্গে ঐক্যের পথ উন্মুক্ত করে।

📝 133. পদাবলী সাহিত্যের কোন্ রস পর্যায়ের পদের কাব্যমূল্য সবচেয়ে বেশি?
✅ উত্তর: পদাবলী সাহিত্যের ‘অভিসার’ পর্যায়ের পদের কাব্যমূল্য সবচেয়ে বেশি। এখানে প্রেমের আকুলতা, ব্যাকুলতা ও ত্যাগের মিশ্রণে সর্বোচ্চ কাব্যরস সঞ্চারিত হয়েছে।

📝 134. বৈষ্ণব রসশাস্ত্রে অভিসারের কয়টি ভাগের কথা আছে? কী কী?
✅ উত্তর: বৈষ্ণব রসশাস্ত্রে অভিসারের আটটি ভাগের কথা আছে—জ্যোৎস্না, তামসী, বর্ষা, দিবা, কুজ্ঝটিকা, তীর্থযাত্রা, উন্মত্তা ও সরা। এই আট রূপে রাধার প্রেমযাত্রা ও অনুভূতির বৈচিত্র্য ফুটে ওঠে।

📝 135. কোন্ সময়ের অভিসারের কাব্যমূল্য সবচেয়ে বেশি?
✅ উত্তর: দুর্যোগময় বর্ষার রজনীর অভিসারের কাব্যমূল্য সর্বাধিক। কারণ, এই প্রেক্ষাপটে প্রেমের আকুলতা ও বিরহের তীব্রতা কবিতাকে পরিপূর্ণ আবেগে ভরিয়ে তোলে।

📝 136. “ঝাম্পি ঘন গর-জন্তি সন্তুতি / ভুবন ভরি বরিখস্তি য়া।” — এই পঙ্ক্তিতে ব্যবহৃত শব্দগুলির অর্থ কী?
✅ উত্তর: ‘ঝাম্পি’ মানে কেঁপে ওঠা, ‘ঘন’ মানে মেঘ, ‘গরজন্তি’ মানে গর্জন করা, ‘সস্তুতি’ মানে সর্বদা, ‘বরিখস্তিয়া’ মানে বর্ষণ করা। পঙ্ক্তিটিতে বর্ষার তীব্র শব্দচিত্র অঙ্কিত হয়েছে।

📝 137. “কান্ত পাহুন কাম দারুন” — এখানে ‘পাহুন’ শব্দের অর্থ কী?
✅ উত্তর: “কান্ত পাহুন” বাক্যে ‘পাহুন’ শব্দের অর্থ প্রবাসী বা দূরে থাকা প্রিয়জন। কবি রাধার বিরহাবেগে কৃষ্ণকে প্রবাসী প্রেমিক রূপে দেখিয়েছেন।

📝 138. “কুলিশ শত শত পাত-মোদিত / ময়ুর নাচত মাতিয়া।” — পঙ্ক্তিটির অর্থ কী?
✅ উত্তর: “কুলিশ শত শত...” অর্থাৎ, শত শত বজ্রপাতের আলোকে ময়ূর আনন্দে নেচে উঠছে। প্রকৃতির এই চিত্র কবির কাব্যিক রূপকল্পে প্রেম ও প্রমোদের প্রতীক হয়ে উঠেছে।

📝 139. মধ্যযুগের শ্রেষ্ঠ আখ্যান কাব্যের কবি কে? তাঁর কাব্যের নাম কী?
✅ উত্তর: মধ্যযুগের শ্রেষ্ঠ আখ্যান কাব্যের কবি হলেন মুকুন্দ চক্রবর্তী। তাঁর কাব্যের নাম ‘অভয়ামঙ্গল’ বা ‘অম্বিকামঙ্গল’। এই কাব্য বাংলা মঙ্গলকাব্যের ধারায় এক অনন্য সৃষ্টি।

📝 140. মুকুন্দ চক্রবর্তী কোথায় ও কীভাবে পিতৃপুরুষের পরিচয় দিয়েছেন? তাঁর পিতামহ ও পিতার নাম কী?
✅ উত্তর: মুকুন্দ চক্রবর্তী তাঁর কাব্যের সূচনায় ‘চৈতন্য বন্দনা’ কবিতার ভণিতায় পিতৃপুরুষের পরিচয় দিয়েছেন। তাঁর পিতামহের নাম জগন্নাথ মিশ্র, পিতার নাম হৃদয় মিশ্র, এবং জ্যেষ্ঠ ভ্রাতার নাম কবিচন্দ্র।

📝 141. আদ্যখণ্ডে মুকুন্দরাম কোন্ কোন্ দেবতার বন্দনা করেছেন? বন্দনা অংশের নতুনত্ব কী?
✅ উত্তর: আদ্যখণ্ডে মুকুন্দরাম গণেশ, শ্রীচৈতন্য, বীণাপাণি, লক্ষ্মী ও চণ্ডীর বন্দনা করেছেন। বন্দনার নতুনত্ব এই যে, তিনি প্রথমবার দেবতাদের মধ্যে শ্রীচৈতন্যকে স্থান দিয়ে তাঁকে ঈশ্বররূপে বন্দনা করেছেন।

📝 142. কবি মুকুন্দের জন্মস্থান কোথায়? সেখানে ডিহিদার কে ছিলেন? ‘ডিহিদার’ শব্দের অর্থ কী?
✅ উত্তর: কবি মুকুন্দের জন্মস্থান দামিন্যা গ্রামে। সেখানে ডিহিদার ছিলেন মামুদ শরীফ। ‘ডিহিদার’ শব্দের অর্থ হলো অঞ্চল প্রধান বা প্রশাসনিক অধিকারী।

📝 143. “মাপে কোণে দিয়া দড়া / পনের কাঠায় কুড়া / নাহি শুনে প্রজার গোহারি।” — ‘কুড়া’ ও ‘গোহারি’ শব্দের অর্থ কী?
✅ উত্তর: এখানে ‘কুড়া’ শব্দের অর্থ বিঘে বা জমির পরিমাপের একক, আর ‘গোহারি’ মানে আবেদন বা অনুনয়-বিনয়। পঙ্ক্তিতে প্রজাদের আর্তির প্রতি জমিদারের অবহেলার চিত্র ফুটে উঠেছে।

📝 144. কবি দামিন্যা ছেড়ে যাবার সময় কে তাঁর বিত্ত হরণ করেছিল? কেই বা সাহায্য করেছিল? কীভাবে?
✅ উত্তর: দামিন্যা ছেড়ে যাবার সময় কবির সম্পদ রূপ রায় নামের দস্যু লুণ্ঠন করেছিল। পরে যদু তেলী কবিকে আশ্রয় ও তিন দিনের খাবার দিয়ে সাহায্য করেছিলেন।

📝 145. দামিন্যা থেকে আরড়ায় পৌঁছবার পথে কবিকে কোন্ কোন্ নদী অতিক্রম করতে হয়েছিল?
✅ উত্তর: দামিন্যা থেকে আরড়ায় যেতে কবিকে মুড়াই, দারুকেশ্বর, নারায়ণ, পরশর ও শিলাই নদী অতিক্রম করতে হয়েছিল।

📝 146. শিব-পার্বতীর বিবাহের ঘটক কে? জামাই দেখে মেনকা খেদ করেন কেন?
✅ উত্তর: শিব-পার্বতীর বিবাহের ঘটক ছিলেন নারদ। জামাই শিবের সাপের অলংকার ও ভয়ঙ্কর বেশ দেখে মেনকার মনে হয় জামাই সভ্য ও সুন্দর নন, তাই তিনি খেদ প্রকাশ করেন।

📝 147. গৌরী পুত্র গণেশের জন্ম কীভাবে হয়?
✅ উত্তর: গৌরীর সখী জয়া-বিজয়া তাঁর গায়ের ময়লা তুললে, সেই ময়লা দিয়ে গৌরী একটি পুতুল তৈরি করেন। মাথা না হওয়ায় শিব সেই পুতুলে গজমুণ্ড যুক্ত করে গণেশের জন্ম দেন।

📝 148. কুমার কার্তিকের জন্ম কীভাবে হয়েছিল?
✅ উত্তর: গৌরী শিবের বীর্য অনলে নিক্ষেপ করেন; অনল থেকে তা গঙ্গায় পড়ে, গঙ্গা তা ধারণ করতে না পেরে শরমূলে নিক্ষেপ করে। সেখানেই ছয় মুখবিশিষ্ট কার্তিক জন্ম নেন এবং কৃত্তিকা দেবীরা তাঁকে লালন করেন।

📝 149. শৈশবে কুমার কার্তিককে কারা স্তন্যপান করিয়েছিলেন?
✅ উত্তর: কুমার কার্তিককে চাঁদের ছয় নারী — কৃত্তিকা, রোহিনী, মৃগশিরা, আর্দ্রা, পূর্ণবসু ও পুষ্যা — স্তন্যপান করিয়েছিলেন।

📝 150. মহেশ্বরকে ভিক্ষা করতে হয় কেন? কোথায় ভিক্ষা করতেন?
✅ উত্তর: বিবাহের পর মেনকার খোটা সহ্য করতে না পেরে গৌরী কৈলাসে ফিরে আসেন। সেখানে অর্থাভাব হওয়ায় মহেশ্বরকে নগরে নগরে ডমরু বাজিয়ে ভিক্ষা করতে হয়েছিল।

📝 151. গৌরী কার পরামর্শে কোন রূপে পূজা প্রচারের উদ্যোগ করেন?
✅ উত্তর: গৌরী সংসারের অনটন দূর করতে সখী পদ্মার পরামর্শে মঙ্গলচণ্ডিকা রূপে পূজা প্রচারের উদ্যোগ নেন।

📝 152. কবি মুকুন্দ কোন কবিতায়, কার জবানীতে কাব্যের ‘নরখণ্ড’-এর পরিকল্পনা ব্যক্ত করেছেন?
✅ উত্তর: কবি মুকুন্দ ‘দেবখণ্ড’-এর ‘পদ্মাকর্তৃক ভবিষ্যৎ পূজার বর্ণন’ কবিতায় পদ্মার জবানীতে নরখণ্ডের পরিকল্পনা ব্যক্ত করেছেন।

📝 153. কে কোথায় চণ্ডীর প্রথম দেউল নির্মাণ করেন? এই নির্মাণে তাঁকে কে সাহায্য করেন?
✅ উত্তর: বিশ্বকর্মা কলিঙ্গনগরে গৌরীর নির্দেশে প্রথম চণ্ডী দেউল নির্মাণ করেন। এই কাজে তাঁকে হনুমান সাহায্য করেছিলেন।

📝 154. পশুরা কোন বনে চণ্ডীর পূজার ব্যবস্থা করে? চণ্ডী কাকে পশুদের রাজা করেন?
✅ উত্তর: পশুরা বিজুবনে দেবী চণ্ডীর পূজার উদ্যোগ নেয়। দেবী তখন সিংহকে পশুদের রাজা করেন।

---

📝 155. দেবী চণ্ডী কী কী রূপ ধারণ করে কালকেতুকে ছলনা করেছেন?
✅ উত্তর: দেবী চণ্ডী গোধিকা, মায়ামৃগ এবং ষোড়শী কন্যা রূপে কালকেতুকে ছলনা করেছেন।

📝 156. কালকেতু শিকার যাত্রায় বেরিয়ে কী বস্তু দেখে হতাশ হয়েছিলেন? কেন?
✅ উত্তর: কালকেতু শিকার যাত্রায় বেরিয়ে গোধিকা দর্শন করে হতাশ হন। কারণ, “গোধিকা যাত্রিক নয় সকল পণ্ডিতে কয়।”

📝 157. চণ্ডীর সঙ্গে প্রথম সাক্ষাতে ফুল্লরার প্রতিক্রিয়া কেমন ছিল?
✅ উত্তর: ষোড়শী রূপিনী চণ্ডী ফুল্লরাকে শ্লেষ বাক্যে যে পরিচয় দেন, তাতে ফুল্লরা মনে করে, ষোড়শী সুন্দরী নিজের বৃদ্ধ ভিখারী স্বামীকে ত্যাগ করে যুবক কালকেতুর সঙ্গে থাকার জন্য এসেছে। তাই তাঁকে সতীন ভেবে আতঙ্কিত হয়ে তাঁকে স্বামীর ঘরে ফিরিয়ে দিতে ব্যাকুল হয়।

📝 158. ফুল্লরার বারমাস্যার বিষয় কী? কেন এই বারমাস্যা?
✅ উত্তর: ফুল্লরার বারমাস্যার বিষয় হল তার বারো মাসের দুঃখ-দুর্দশার অতিরঞ্জিত বর্ণনা করা, যাতে দুঃখের কথা শুনে অভিজাত ঘরের ষোড়শী কন্যা বিদায় নেয়।

📝 159. “শাশুড়ী ননদী নাই নাই তোর সতা। কার মনে দ্বন্দ্ব করি চক্ষু কৈলি রাতা।” — কে কাকে একথা বলেছে? কেন?
✅ উত্তর: এই উক্তিটি কালকেতু ফুল্লরাকে বলেছেন। ষোড়শী ছদ্মবেশে চণ্ডীর কথায় ফুল্লরা আতঙ্কিত হয়ে কাঁদতে কাঁদতে স্বামীর কাছে এসে জবাব চায়, কিন্তু কালকেতু বিষয়টি না জানায় এমন প্রশ্ন করে।

📝 160. দেবী চণ্ডী আত্মপ্রকাশ করে কালকেতুকে প্রথমে কী দিয়েছেন? তার মূল্য কত?
✅ উত্তর: দেবী চণ্ডী কালকেতুকে প্রথমে একটি মাণিক্য অঙ্গুরী দেন, যার মূল্য ‘সপ্ত নৃপতির ধনী’ বা সাত কোটি টাকা।

📝 161. কালকেতুর সন্দেহ ভঞ্জনের জন্য চণ্ডী কোন রূপে তাঁকে দর্শন দেন?
✅ উত্তর: কালকেতুর সন্দেহ ভঞ্জনের জন্য দেবী চণ্ডী তাঁকে মহিষমর্দিনী রূপে দর্শন দেন।

📝 162. দেবী চণ্ডী কালকেতুকে স্বরূপ দর্শন দেবার পর কী উপদেশ দেন?
✅ উত্তর: দেবী চণ্ডী কালকেতুকে উপদেশ দেন—তিনি যেন আর প্রাণীহিংসা না করেন, বন কেটে গুজরাট রাজ্য স্থাপন করে প্রজাদের সন্তানসম ভালোবাসায় পালন করেন।

📝 163. “ফুল্লরা শুনিয়া মূল্য মুখ কৈল বাঁকা।” — ফুল্লরা কিসের মূল্য কার কাছে শুনেছেন? সে মুখ বাঁকা করেছিল কেন?
✅ উত্তর: ফুল্লরা দেবী চণ্ডীর কাছে একটি অঙ্গুরীর মূল্য সাত কোটি টাকা শুনে মুখ বাঁকা করে, কারণ সে অঙ্গুরীর এত মূল্য হতে পারে না—এই অবিশ্বাসে সে মুখ বাঁকা করেছিল।

📝 164. রাজা কালকেতুর পুরী কে নির্মাণ করেন, কার সহায়তায়?
✅ উত্তর: রাজা কালকেতুর পুরী নির্মাণ করেন বিশ্বকর্মা, হনুমানের সহায়তায়। বিশ্বকর্মা ও হনুমান বেরুনিয়া বেশে উপস্থিত হয়ে কাজ শুরু করেন।

📝 165. কালকেতুর নগরে প্রজা বসাবার জন্য চণ্ডী কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেন?
✅ উত্তর: চণ্ডী কলিঙ্গ রাজ্যের প্রজাদের স্বপ্নাদেশ দেন এবং বন্যা বিপর্যয় সৃষ্টি করে গঙ্গা, সমুদ্র ও ইন্দ্রের সহায়তায় প্রজাদের গুজরাট রাজ্যে যেতে বাধ্য করেন।

📝 166. কালকেতুর নতুন প্রজাদের মধ্যে বিখ্যাত দু’জনের নাম বল।
✅ উত্তর: কালকেতুর নতুন প্রজাদের মধ্যে বিখ্যাত ছিলেন বুলন মণ্ডল ও ভাঁড়ু দত্ত।

📝 167. ভাঁড় দত্ত কাকে সঙ্গে নিয়ে কী ভেট নিয়ে কালকেতুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে?
✅ উত্তর: ভাঁড়ু দত্ত শালাকে সঙ্গে নিয়ে কাঁচকলা ভেট নিয়ে কালকেতুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে।

📝 168. কালকেতুর রাজ্যে কোন ধরনের প্রজা বসতি হয়?
✅ উত্তর: ব্রাহ্মণ, কায়স্থ, বৈশ্য, তেলী, কামার, কুম্ভকার, মালাকার, বারুই, নাপিত, মোদক, গন্ধবণিক, শাঁখারি, কাঁসারি, সাপুড়ে, গোপ ও মুসলমান—এদের মধ্যে বহু শ্রেণীর প্রজা সেখানে বসতি স্থাপন করে।

📝 169. “লণ্ডে ভণ্ডে দেই গালি বলে শালা মালা। আমি মহামণ্ডল আমার আগে তোলা।” — বক্তা কে? মহামণ্ডল কী?
✅ উত্তর: এই উক্তির বক্তা ভাঁড়ু দত্ত। ‘মহামণ্ডল’ শব্দের অর্থ হাটের সর্বময় কর্তৃত্ব যার হাতে থাকে।

📝 170. “হরিদত্তের বেটা হ, জয়দত্তের নাতি। হাটে লৈয়া বেচা বীরের ঘোড়া হাতি।” — কার উক্তি? কার সম্পর্কে বলা হয়েছে? কেন?
✅ উত্তর: উক্তিটি ভাঁড়ু দত্তের। এটি কালকেতু সম্পর্কে বলা হয়েছে। কালকেতু তার ওপর রুষ্ট হয়ে নগর থেকে বেরিয়ে যেতে বললে সে তিরস্কারস্বরূপ এই উক্তি করে।

📝 171. ভাঁড়ু কলিঙ্গ রাজার সমীপে উপস্থিত হয়েছিল কী ভেট নিয়ে? তার পোশাক কেমন ছিল?
✅ উত্তর: ভাঁড়ু কলিঙ্গ রাজার কাছে চুবড়ি ভরে কাঁচকলা, পুইশাক, কলার মোচা ভেট নিয়ে হাজির হয়। সে স্ত্রীর কাপড় পরে কোছা দিয়ে ও পাগড়ি বেঁধে ছিল, যাতে চুল ঢাকা পড়েনি।

📝 172. ভাঁড়ু দত্তের ভাইয়ের নাম কী? তার বয়স কত? তার বিবাহ না হবার কারণ কী?
✅ উত্তর: ভাঁড়ু দত্তের ভাইয়ের নাম শিবা। তার বয়স পঞ্চাশ বছর, এবং তার দুই পায়ে গোদ রোগ থাকায় তার বিবাহ হয়নি।

📝 173. চৌতিশা স্তব কী? চণ্ডীমঙ্গলে কে কোথায় চৌতিশা স্তব করেছিলেন?
✅ উত্তর: চৌতিশা স্তব হল চৌত্রিশটি আদ্যক্ষর যুক্ত শব্দে কোনো দেবতার স্তব করা। চণ্ডীমঙ্গলে কালকেতু কলিঙ্গ রাজার কারাগারে বন্দী অবস্থায় দেবী চণ্ডীর উদ্দেশ্যে চৌতিশা স্তব করেছিলেন।

📝 174. চণ্ডীর ভক্ত কালকেতু চণ্ডীর কৃপালাভ সত্ত্বেও কারাগারে দণ্ডভোগ কেন করেছে?
✅ উত্তর: অরণ্য পশু বধের পাপের জন্য কালকেতুকে দণ্ডভোগ করতে হয়েছে। দেবী চণ্ডীর কৃপা থাকলেও সেই পাপের ফল ভোগ এড়ানো যায়নি।

📝 175. কলিঙ্গ রাজের কারাগারে কালকেতুর বন্ধন দশা কে ঘুচিয়েছেন? কীভাবে?
✅ উত্তর: দেবী চণ্ডী স্বয়ং কারাগারে উপস্থিত হয়ে পাথর সরিয়ে দেন এবং হুহুংকারে কালকেতুর বন্ধন ঘুচিয়ে দেন। এভাবেই তিনি ভক্তকে মুক্ত করেন।

📝 176. দেবী চণ্ডী কলিঙ্গরাজকে কোন রূপে স্বপ্নে দেখা দিয়েছেন? কেন?
✅ উত্তর: দেবী চণ্ডী ভয়ংকরী চামুণ্ডা মূর্তিতে কলিঙ্গরাজের স্বপ্নে দেখা দিয়েছিলেন, কারণ রাজা তাঁর ভক্ত কালকেতুকে তুচ্ছ ও নীচ জ্ঞান করে বন্দী করেছিলেন।

📝 177. “ঠক নাবড়ের বোলে চণ্ডীর কিঙ্করে মাল্যে এই হেতু স্বপ্নে দুর্গতি।” — কে কাকে বলেছে? “ঠক নাবড়” কে?
✅ উত্তর: উক্তিটি সভাসদগণ কলিঙ্গরাজকে বলেছেন তাঁর স্বপ্নের ব্যাখ্যার সময়। “ঠক নাবড়” হল প্রতারক ভাঁড় দত্ত।

📝 178. কালকেতু কলিঙ্গরাজ্য থেকে মুক্ত হয়ে সসম্মানে ফেরার সময় কোন মহৎ কর্ম সাধন করেছেন?
✅ উত্তর: তিনি যুদ্ধে নিহত সৈন্যদের স্ত্রীরা অনুমৃতা হতে গেলে তাদের নিষেধ করেন এবং দেবী চণ্ডীর সাহায্যে সকল মৃত সৈন্যকে জীবিত করেন।

📝 179. কালকেতুর অনুরোধে দেবী চণ্ডী কার সহায়তায় মৃতদের জীবিত করেন?
✅ উত্তর: দেবী চণ্ডী ভৃগু সূতা শুক্রাচার্যের সহায়তায় মৃতদের জীবিত করেন, কারণ শুক্রাচার্য সঞ্জীবনী মন্ত্র জানতেন।

📝 180. ঠক, প্রতারক ভাঁড় দত্তকে কালকেতু শেষবারে কেমন শাস্তি বিধান করেন?
✅ উত্তর: কালকেতু ভাঁড় দত্তকে মাথা মুড়িয়ে, গালে চুন-কালি লাগিয়ে, গলায় ওড়মালা পরিয়ে, মুখে অখাদ্য বস্তু ভরে নগর থেকে বের করে দিতে বলেন। পরে আবার তাঁকে ক্ষমা করে দেন।

📝 181. কালকেতু কখন জাতিস্মর হন এবং স্বর্গে ফিরে যাবার জন্য ব্যাকুল হন?
✅ উত্তর: দেবী চণ্ডী স্বপ্নে কালকেতুকে তাঁর প্রকৃত পরিচয় জানালে তিনি জাতিস্মর হন। ইন্দ্রের অনুরোধে শিব তাঁকে স্বর্গে ফিরিয়ে আনতে আদেশ দেন, তখনই তিনি স্বর্গলোকে ফেরার ব্যাকুলতা অনুভব করেন।

📝 182. চণ্ডীমঙ্গল কাব্যের আখেটিক খণ্ডের কোন কবিতায় দশাবতারের বৃত্তান্ত আছে?
✅ উত্তর: আখেটিক খণ্ডের ‘কাঁচুলি নির্মাণে দশাবতার চিত্রণ’ কবিতায় পুরাণভিত্তিক দশাবতারের বৃত্তান্ত বর্ণিত হয়েছে।

📝 183. ফুল্লরা কোন কাজে সইকে তুষ্ট করে দু’কাঠা খুদ ধার করে এনেছিল?
✅ উত্তর: ফুল্লরা সইয়ের মাথায় তেল দিয়ে উকুন দেখে ও কপালে সিন্দুর দিয়ে সইকে তুষ্ট করে দু’কাঠা খুদ ধার করে এনেছিল।

📝 184. “ব্যক্ত করিয়া রামা কহ সত্যভাষা। মিথ্যা হৈলে চিয়াড়ে কাটি তোর নাসা।” — উক্তিটি কার? কাকে লক্ষ্য করে? কোন প্রসঙ্গে?
✅ উত্তর: উক্তিটি কালকেতুর, লক্ষ্য ফুল্লরা। ষোড়শী কন্যাকে ঘরে বসে থাকতে দেখে ফুল্লরা প্রশ্ন করলে বিরক্ত হয়ে কালকেতু এই উক্তি করেন।

📝 185. কালকেতু দেবী চণ্ডীর নিকট থেকে কী কী সম্পদ লাভ করেন?
✅ উত্তর: কালকেতু দেবী চণ্ডীর নিকট থেকে একটি মণিমুক্তাখচিত অঙ্গুরী ও সাত ঘড়া ধন লাভ করেন। অঙ্গুরীটির মূল্য ছিল সাত কোটি টাকা।

📝 186. নগর বসানোর উদ্দেশ্যে বন কর্তনের সময় বিরুনিয়াগণ কোন কোন গাছ না কেটে রেখে দেন?
✅ উত্তর: বিরুনিয়াগণ রেখে দেন কাঁঠাল, কদলী, অশ্বত্থ, বট, বেল, তাল, নারিকেল, মালতী, চম্পা, করবী, কদম্ব প্রভৃতি গাছ।

📝 187. কে কার নির্দেশে গুজরাজ নগরের পুরী নির্মাণ করেন? কে তাঁকে সহায়তা করেন?
✅ উত্তর: বিশ্বকর্মা দেবী চণ্ডীর নির্দেশে গুজরাজ নগরের পুরী নির্মাণ করেন। তাঁকে সহায়তা করেন হনুমান ও বিশ্বকর্মাপুত্র দারুবর্মা।

📝 188. গঙ্গা ও চণ্ডীর সম্পর্ক কী? কবি কঙ্কন চণ্ডীতে উভয়ের মধ্যে কলহের কারণ কী?
✅ উত্তর: গঙ্গা ও চণ্ডী উভয়েই শিবের পত্নী—তাই সতীন সম্পর্ক। গঙ্গা কলিঙ্গরাজ্য ডুবিয়ে দেবার চণ্ডীর পরিকল্পনা মানতে না চাওয়ায় তাঁদের মধ্যে কলহ হয়।

📝 189. “সাত দিবসের তরে দেহ চারি মেঘে। নীলাম্বরে সাধি কার্য আন্যা দিব বেগে।” — কে কাকে বলেছেন? চারি মেঘের নাম কী?
✅ উত্তর: দেবী চণ্ডী ইন্দ্রকে বলেছেন। চারি মেঘের নাম—দ্রোণ, পুষ্কর, আবর্ত এবং সংবত।

📝 190. শাক্ত পদাবলী কোন শতাব্দীর সাহিত্য?
✅ উত্তর: শাক্ত পদাবলী অষ্টাদশ ও উনবিংশ শতাব্দীর সাহিত্য।

📝 191. শাক্ত পদাবলী বা শাক্ত সাহিত্য কাকে বলে?
✅ উত্তর: শক্তির দেবী ও শক্তি সাধনাকে অবলম্বন করে রচিত সাহিত্যকেই শাক্ত পদাবলী বা শাক্ত সাহিত্য বলা হয়।

📝 192. কে শাক্ত পদাবলীর সূচনা করেন?
✅ উত্তর: শক্তি সাধক কবি রামপ্রসাদ সেন শাক্ত পদাবলীর সূচনা করেন।

📝 193. রামপ্রসাদ সেন কোন শতাব্দীর মানুষ?
✅ উত্তর: রামপ্রসাদ সেন অষ্টাদশ শতাব্দীর মধ্যভাগের মানুষ।

📝 194. রামপ্রসাদ সেন কোন তাগিদে পদ রচনা করেন?
✅ উত্তর: রামপ্রসাদ তাঁর ইষ্টদেবী মা কালীকে আহ্বান করার তাগিদে পদ তথা গান রচনা করেন।

📝 195. রামপ্রসাদ ছাড়া অষ্টাদশ শতাব্দীর আর কোন কবি শাক্ত পদাবলী রচনায় কৃতিত্ব দেখিয়েছেন?
✅ উত্তর: কমলাকান্ত ভট্টাচার্য অষ্টাদশ শতাব্দীর আরেকজন সাধক কবি, যিনি শাক্ত পদাবলী রচনায় বিশেষ কৃতিত্ব দেখিয়েছেন।

📝 196. কার কার পৃষ্ঠপোষকতা লাভ করে রামপ্রসাদের সাধনা ও পদ রচনার সুযোগ হয়েছিল?
✅ উত্তর: রামপ্রসাদ প্রথমে জমিদার রাজকিশোরের ও পরে মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্রের পৃষ্ঠপোষকতা লাভ করে পদ রচনায় নিবিষ্ট হন।

📝 197. কে রামপ্রসাদকে কী উপাধি দিয়েছিলেন?
✅ উত্তর: মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র রামপ্রসাদকে ‘কবিরঞ্জন’ উপাধি দিয়েছিলেন।

📝 198. শাক্ত পদ ছাড়া রামপ্রসাদ সেন আর কোন গ্রন্থ রচনা করেন?
✅ উত্তর: রামপ্রসাদ সেন শাক্ত পদ ছাড়াও বিদ্যাসুন্দর কাব্য রচনা করেন।

📝 199. রামপ্রসাদের গানের সুরকে কী নাম দেওয়া হয়েছে?
✅ উত্তর: রামপ্রসাদের গানের সুরকে ‘রামপ্রসাদী’ বা ‘প্রসাদী’ সুর বলা হয়।

📝 200. কমলাকান্ত ভট্টাচার্য কার পৃষ্ঠপোষকতা লাভ করেন?
✅ উত্তর: কমলাকান্ত ভট্টাচার্য বর্ধমানের রাজা তেজচন্দ্রের পৃষ্ঠপোষকতা লাভ করেন।

📝 201. “গিরি, এবার আমার উমা এলে আর উমা পাঠাব না।” — কোন পর্যায়ের পদ? কার লেখা? উমার কোথা থেকে আসবার কথা বলা হয়েছে?
✅ উত্তর: এটি রামপ্রসাদ সেনের রচিত আগমনী পর্যায়ের পদ। এখানে উমার স্বামীর ঘর থেকে পিতৃগৃহে আসার কথা বলা হয়েছে।

📝 202. “এবার মায়ে-ঝিয়ে করব ঝগড়া জামাই বলে মানবো না।” — মা আর ঝি কে? জামাই কে? ঝগড়ার কারণ কী?
✅ উত্তর: এখানে ‘মা’ মেনকা, ‘ঝি’ উমা (দুর্গা), আর ‘জামাই’ মৃত্যুঞ্জয় অর্থাৎ শিব। শিবের শ্মশানবাসী আচরণে মেনকার ক্ষোভ থেকেই ঝগড়ার সূচনা।

📝 203. “কামিনী করিল বিধি, তেই হে তোমারে সাধি”— কার উক্তি? এই উক্তির তাৎপর্য কী?
✅ উত্তর: এটি কমলাকান্ত ভট্টাচার্যের আগমনী পর্যায়ের পদ। বক্তা মা মেনকা। সমাজে নারীর সীমাবদ্ধ অবস্থার প্রতিফলনই এই উক্তিতে ফুটে উঠেছে।

📝 204. “সতিনী সরলা নহে, স্বামী সে শ্মশানে রহে।” — কে কার সম্পর্কে একথা বলেছে?
✅ উত্তর: এটি মেনকার উক্তি, কমলাকান্ত ভট্টাচার্যের আগমনী পদের। তিনি কন্যা উমার সতিনী গঙ্গার সম্পর্কে এই কথা বলেছেন।

📝 205. ‘বিজয়া’ বলতে কী বোঝায়? বিজয়ায় কোন চরিত্রের গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি?
✅ উত্তর: উমার পিতৃগৃহ থেকে স্বামীর গৃহে প্রত্যাবর্তনকেই ‘বিজয়া’ বলা হয়। এ পর্যায়ে মা মেনকার কন্যাবিরহই মুখ্য, তাই তাঁর চরিত্রই প্রধান।

📝 206. “ওরে নবমী নিশি, না হইওরে অবসান।” — পদটি কার লেখা? কোন পর্যায়ের পদ? বক্তা কে?
✅ উত্তর: এটি কমলাকান্ত ভট্টাচার্যের লেখা বিজয়া পর্যায়ের পদ। বক্তা মা মেনকা।

📝 207. “খলের প্রধান যত, কে আছে তোমার মত”— ‘খল’ কাকে বলে? এখানে কাকে ‘খল’ বলা হয়েছে? কেন?
✅ উত্তর: ‘খল’ অর্থে যে অন্যের অকারণ ক্ষতি করে। এখানে নবমী নিশিকে ‘খল’ বলা হয়েছে, কারণ তার অবসানেই উমার বিদায় ও মেনকার বিরহ শুরু হয়।

📝 208. বৈয়ব পদাবলী ও শাক্ত পদাবলীর মধ্যে কয়েকটি প্রধান পার্থক্য নির্দেশ করো।
✅ উত্তর: বৈয়ব পদাবলীর আরাধ্য রাধা-কৃষ্ণ, শাক্ত পদাবলীর আরাধ্য কালী।
বৈয়ব পদাবলী বৈয়বীয় রসশাস্ত্র অনুসারী, শাক্ত পদাবলী কোনো সাম্প্রদায়িক রসশাস্ত্রের প্রভাবমুক্ত।
বৈয়ব পদাবলীর প্রধান রস মধুর রস, শাক্ত পদাবলীর প্রধান রস বাৎসল্য রস।
বৈয়ব পদাবলীর বাৎসল্য একমুখী, শাক্ত পদাবলীর বাৎসল্য দ্বিমুখী।

📝 209. শাক্ত পদাবলীর উপর লেখা একটি মূল্যবান গ্রন্থ ও তার লেখকের নাম লেখো।
✅ উত্তর: ‘ভারতের শক্তিসাধনা ও শাক্ত সাহিত্য’ গ্রন্থটি শশিভূষণ দাশগুপ্ত রচিত।

📝 210. শাক্ত পদাবলীর কোন কোন পর্যায়ে কন্যা সন্তানের জন্য মাতৃ-হৃদয়ের ব্যাকুলতা ফুটে উঠেছে?
✅ উত্তর: শাক্ত পদাবলীর আগমনী ও বিজয়া পর্যায়ের পদে কন্যা সন্তানের জন্য মাতৃ-হৃদয়ের ব্যাকুলতা ফুটে উঠেছে।

📝 211. শাক্ত পদাবলীর কোন কোন পর্যায়ে অষ্টাদশ শতাব্দীর সমাজচিত্র স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে? সমাজের কোন বিষয়টি বেশি গুরুত্ব পেয়েছে?
✅ উত্তর: আগমনী ও বিজয়া পর্যায়ের পদে সমাজচিত্র ফুটে উঠেছে। বিশেষত, কুলীন মেয়েদের অল্প বয়সে পাত্রস্থ করার সংস্কার বেশি গুরুত্ব পেয়েছে।

📝 212. আগমনী ও বিজয়া পর্যায়ের পদে মেনকা কার কার প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন?
✅ উত্তর: স্বামী গিরিরাজ, জামাতা শঙ্কর, অদৃষ্ট ও নবমীর নিশি প্রভৃতির উপর মেনকার ক্ষোভ প্রকাশিত হয়েছে।

📝 213. শাক্তদের ঈশ্বরোপাসনার দু'টি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো।
✅ উত্তর: শাক্তরা ঈশ্বরকে মাতৃজ্ঞানে উপাসনা করেন।
শাক্তরা কখনো কখনো জগজ্জননী ঈশ্বরীকে কন্যা রূপেও আরাধনা করেন।
শাক্তরা কথ্যভাষায়, অন্তরের আবেগ দিয়ে ঈশ্বরের অনুগ্রহ প্রার্থনা করেন।

📝 214. শাক্ত পদাবলী আর কোন কোন নামে পরিচিত হয়?
✅ উত্তর: ‘শ্যামা সংগীত’, ‘মায়ের গান’, ‘কালীকীর্তন’।

📝 215. কে প্রথম রাধা-কৃষ্ণের গানের পাশে মায়ের গানকেও জনপ্রিয় করে তোলেন? কোন শতাব্দীতে ছিলেন?
✅ উত্তর: রামপ্রসাদ সেন প্রথম রাধা-কৃষ্ণের প্রণয়-সঙ্গীতের পাশে মায়ের গান জনপ্রিয় করেন। তিনি অষ্টাদশ শতাব্দীর মধ্যভাগের মানুষ।

📝 216. “সাধকানাং হিতার্থায় ব্রহ্মনো রূপকল্পনা।” — তন্ত্রের এই উক্তির তাৎপর্য কী?
✅ উত্তর: ঈশ্বর নিরাকার ও নির্গুণ, সরাসরি উপলব্ধ নয়। তাই সাধনার সুবিধার্থে নিরাকার ব্রহ্মের নানা রূপ কল্পনা করা হয়েছে।

📝 217. কমলাকান্ত কত পদ রচনা করেছেন? কোন পর্যায়ের পদ বেশি রচনা করেছেন?
✅ উত্তর: প্রায় তিনশত শাক্ত পদ। আগমনী ও বিজয়া পর্যায়ের পদে বেশি রচনা করেছেন।

📝 218. পদটিতে কে কাকে কী বলতে চেয়েছেন?
✅ উত্তর: মা মেনকা গিরিরাজকে বা স্বামীকে উমাকে গৃহে আনবার জন্য আবেদন করেছেন। পদে উমার বিরহের কাতরতা ফুটে উঠেছে।

📝 219. পাঠ্য পদটি কোন ছন্দে, কয় চরণে রচিত?
✅ উত্তর: ছয় মাত্রার কলাবৃত্ত ছন্দে রচিত। চরণ সংখ্যা ৮ (আট)।

📝 220. ‘সোনার মৈনাক’ কে? তার কী হয়েছে?
✅ উত্তর: ‘সোনার মৈনাক’ হল হিমালয় ও মেনকার পুত্র। মা মেনকা আদর বশত তাকে ‘সোনার মৈনাক’ বলেছেন। তিনি আগেই মৃত্যু বরণ করেছেন।

📝 221. পদটির মধ্যে দিয়ে পদকার কোন সামাজিক সত্যকে আভাসিত করেছেন?
✅ উত্তর: মেনকার আকুতির মাধ্যমে অষ্টাদশ শতাব্দীর মেয়েদের পুরুষনির্ভরতা ও সন্তানের জন্য মর্মবেদনা ফুটে উঠেছে।

📝 222. “আমার গৌরীরে লয়ে যায় হর...” — পদটি কার রচনা? পদের বক্তা কে? কাকে উদ্দেশ্য করে বলেছে?
✅ উত্তর: কমলাকান্ত ভট্টাচার্যের রচনা। বক্তা মেনকা। স্বামী গিরিরাজকে উদ্দেশ্য করে বলেছে।

📝 223. মেনকা তার জামাতাকে কেন ‘অসম্ভব’ বা অস্বাভাবিক মনে করেছেন?
✅ উত্তর: অলংকার কণিহার খসে পড়া ও পোশাক বাঘ-ছালা ভেঙে যাওয়ায়।

📝 224. “আমি হে রাজার নারী, ইহা কি সহিতে পারি?” — বক্তা কে? তিনি ‘রাজার নারী’ বলতে কী বুঝিয়েছেন?
✅ উত্তর: মেনকা। তিনি গিরিরাজ হিমালয়ের স্ত্রী, তাই ‘রাজার নারী’।

📝 225. ‘সোনার পুতলী দিলে পাথারে ভাসায়ে’ — সোনার পুতলী কাকে বোঝানো হয়েছে? তাকে পাথারে কিভাবে ভাসানো হয়েছে?
✅ উত্তর: গৌরীকে বোঝানো হয়েছে। কপর্দকশূন্য, ভিখারি শিবের সঙ্গে বিবাহ দেওয়া হওয়ায় পাথারে বা জলে ভাসানো হয়েছে।

---

<<<<<<<<<<<<<<<<🌹সমাপ্ত🌹>>>>>>>>>>> 

👉For pdf whatsapp-8250978714

---