🌹বি.এ বাংলা মেজর(পেপার-১):: সেমিষ্টার-৪:: সাজেশন(PART-1)🌹

 

 

✍️প্রশ্নের মান-২:

১। ‘শ্রীকৃষ্ণ কীর্তন’ কী ধরনের কাব্য? এর কবির নাম কী?

উত্তর – ‘শ্রীকৃষ্ণ কীর্তন’ একটি আখ্যান কাব্য। এর রচয়িতা বড়ু চন্ডীদাস।

২। বড়ু চন্ডীদাস কোন সময়ে এবং কোন স্থানে জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর – বড়ু চন্ডীদাসের জন্মস্থান ও জন্মসাল নির্দিষ্টভাবে জানা যায় না, তবে অনুমান করা হয় তিনি প্রাকচৈতন্য যুগে মধ্যবঙ্গের কোনো স্থানে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।

৩। ‘শ্রীকৃষ্ণ কীর্তন’ কাব্যে মোট কতটি খণ্ড আছে? তোমাদের পাঠ্য খণ্ডের নাম কী?
উত্তর – কাব্যটিতে মোট ১৩টি খণ্ড রয়েছে। পাঠ্য খণ্ডটির নাম ‘জন্মখণ্ড’।

৪। ‘শ্রীকৃষ্ণ কীর্তন’ কাব্যের খণ্ডগুলির নাম লেখো।
উত্তর – খণ্ডগুলির নাম:
(১) জন্মখণ্ড, (২) তাম্বুল খণ্ড, (৩) দান খণ্ড, (৪) নৌকা খণ্ড,
(৫) ভার খণ্ড, (৬) ছত্র খণ্ড, (৭) কালীয়দমন খণ্ড, (৮) যমুনা খণ্ড,
(৯) হার খণ্ড, (১০) কর্ণ খণ্ড, (১১) বৃন্দাবন খণ্ড, (১২) বংশী খণ্ড, (১৩) রাধাবিরহ খণ্ড।

৫। ‘জন্মখণ্ডে’ কতটি পদ বা কবিতা রয়েছে?
উত্তর – জন্মখণ্ডে মাত্র ১টি পদ বা কবিতা রয়েছে।

৬। ‘শ্রীকৃষ্ণ কীর্তন’ কাব্যটি কে ও কখন আবিষ্কার করেন?
উত্তর – কাব্যটি আবিষ্কার করেন বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভ ১৩১৬ বঙ্গাব্দ বা ১৯০৯ খ্রিষ্টাব্দে।

৭। কাব্যটির পুঁথি কোথা থেকে উদ্ধার করা হয়?
উত্তর – কাব্যের পুঁথি বাঁকুড়া জেলার কাকিল্যা গ্রামের এক গৃহস্থের গোয়ালঘরের মাচান থেকে আবিষ্কৃত হয়।

৮। ‘শ্রীকৃষ্ণ কীর্তন’ কাব্যটি কবে এবং কার সম্পাদনায় প্রথম প্রকাশিত হয়?
উত্তর – কাব্যটি ১৯১৬ খ্রিষ্টাব্দে বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভের সম্পাদনায় প্রথম প্রকাশিত হয়।

৯। ‘শ্রীকৃষ্ণ কীর্তন’ কাব্যের প্রধান চরিত্র কয়টি? তারা কারা?
উত্তর – কাব্যের প্রধান চরিত্র তিনজন—রাধা, কৃষ্ণ এবং বড়াঈ।

১০। কাব্যে বিষয়বস্তুর উপস্থাপনা কেমন এবং কে প্রধান চরিত্র?
উত্তর – বিষয়বস্তু নাটকীয় সংলাপাকারে উপস্থাপিত হয়েছে এবং প্রধান চরিত্র হলেন রাধা।

১১। দেবতাদের সুমন্ত্রণা শুনে কে কার সামনে যান? তাকে দেখতে কেমন ছিল?

উত্তর – দেবতাদের সুমন্ত্রণা শুনে নারদ মুনি কংসের সামনে যান। তার পোশাক-আশাক দেখে তাকে মর্কটের মতো দেখাত।

১২। নারদকে দেখে সকলের মনে রঙ্গ ও হাসির উদ্রেক হয় কেন?
উত্তর – নারদের শরীর, চাল-চলন ও পোশাক-আশাক ছিল অদ্ভুত ও হাস্যকর। তাই তাকে দেখে সকলের মনে হাসি ও রসিকতার উদ্রেক হয়। এমনকি কংসও হাসতে বাধ্য হয়।

১৩। ‘মাকড়’ শব্দের অর্থ কী? কোন শব্দ থেকে এর উৎপত্তি?
উত্তর – ‘মাকড়’ শব্দের অর্থ হলো মর্কট বা কুৎসিত চেহারার ব্যক্তি। এই শব্দটি ‘মর্কট’ শব্দ থেকেই উৎপন্ন হয়েছে। রূপান্তর ধারা: মর্কট > মক্কড় > মাকড়।

১৪। “হেন সব শুনী কংস হৈল সচকীত।” — কংস কার মুখে কী শুনে সচকিত হয়েছে?
উত্তর – কংস নারদের মুখে দৈবকীর অষ্টম গর্ভের সন্তান সম্পর্কে শুনে সচকিত হয়। কারণ, সেই সন্তান কংসের বিনাশ করবে।

১৫। নারদের মুখে নিজের মৃত্যুর ভবিষ্যৎ শুনে কংস আত্মরক্ষার জন্য কী করে?
উত্তর – নারদের মুখে অষ্টম গর্ভজাত সন্তানের হাতে নিজের মৃত্যুর ভবিষ্যৎ শুনে কংস আত্মরক্ষার জন্য দেবকীর গর্ভজাত সব সন্তানকে হত্যা করতে থাকে।

১৬। কংস দেবকীর কতজন সন্তানকে হত্যা করতে পারে? কারা বেঁচে যায়?
উত্তর – কংস দেবকীর প্রথম ছয়টি সন্তানকে হত্যা করতে সমর্থ হয়। তবে সপ্তম সন্তান বলরাম ও অষ্টম সন্তান কৃষ্ণকে হত্যা করতে পারে না।

১৭। দেবকীর সপ্তম গর্ভের সন্তান কে? কিভাবে কংসের হাত থেকে রক্ষা পান?
উত্তর – সপ্তম সন্তান হলেন বলরাম। গর্ভপাতের ছলে দেবকীর গর্ভ থেকে তাঁকে রোহিনী দেবীর গর্ভে স্থানান্তর করা হয়। এভাবে তিনি কংসের হাত থেকে রক্ষা পান।

১৮। দেবকীর অষ্টম গর্ভজাত কৃষ্ণ কংসের হাত থেকে কিভাবে রক্ষা পান?
উত্তর – কৃষ্ণ জন্মের পর পিতা বসুদেব তাঁকে যমুনা পার করে নন্দের গৃহে নিয়ে যান এবং যশোদার সদ্যজাত কন্যাকে এনে দেবকীর পাশে রাখেন। তাই কংস দেবকীর অষ্টম সন্তানকে হত্যা করতে পারেনি।

১৯। বৈষ্ণব পদাবলী কী?

উত্তর: রাধা-কৃষ্ণের প্রণয় কথা, লীলা ও চৈতন্যদেবের কথা অবলম্বনে মধ্যযুগের কবিদের লেখা পদের সংকলনই হল বৈষ্ণব পদাবলী।

২০। বৈষ্ণব পদাবলী রচনার সময়কাল নির্দেশ কর।
উত্তর: বৈষ্ণব পদাবলী রচনার সময়কাল হল পঞ্চদশ শতাব্দী থেকে অষ্টাদশ শতাব্দী পর্যন্ত।

২১। কে ‘পদাবলী’ শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেন?
উত্তর: পদ বা গানের সংকলন অর্থে ‘পদাবলী’ শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেন কবি জয়দেব, তাঁর গীতগোবিন্দ কাব্যে “মধুরকোমলকান্ত পদাবলীং” শ্লোকে।

২২। বৈষ্ণব পদাবলী সাহিত্যের ধারাকে কয়টি যুগে ভাগ করা হয়? কী কী?
উত্তর: বৈষ্ণব পদাবলী সাহিত্যের ধারাকে তিনটি যুগে ভাগ করা হয়। যথা—
১. প্রাক্-চৈতন্য যুগ
২. চৈতন্য যুগ
৩. চৈতন্যোত্তর যুগ।

২৩। প্রাক্-চৈতন্য যুগের দু'জন পদকর্তার নাম লেখ।
উত্তর: প্রাক্-চৈতন্য যুগের দু’জন পদকর্তা হলেন বিদ্যাপতি ও চণ্ডীদাস।

২৪। চৈতন্য যুগের দু'জন পদকারের নাম লেখ।
উত্তর: চৈতন্য যুগের দু’জন পদকার হলেন বাসু ঘোষ ও গোবিন্দ ঘোষ।

২৫। চৈতন্যোত্তর যুগের দু'জন পদকারের নাম লেখ।
উত্তর: চৈতন্যোত্তর যুগের দু’জন পদকার হলেন গোবিন্দ দাস ও জ্ঞানদাস।

২৬। বিদ্যাপতি কোথাকার মানুষ ছিলেন?
উত্তর: বিদ্যাপতি মিথিলার মানুষ ছিলেন।

২৭। বিদ্যাপতি কোন ভাষায় পদ লিখতেন?
উত্তর: বিদ্যাপতি মৈথিলি ভাষায় পদ লিখতেন।

২৮। বিদ্যাপতির ধর্মমত কী ছিল?
উত্তর: বিদ্যাপতির ধর্মমত ছিল শৈব।

২৯। বিদ্যাপতিকে কোন কোন বিশেষণে ভূষিত করা হয়েছে?
উত্তর: বিদ্যাপতিকে ‘অভিনব জয়দেব’ ও ‘মৈথিল কোকিল’ অভিধায় ভূষিত করা হয়েছে।

৩০। কাকে ‘অভিনব জয়দেব’ বলা হয়?
উত্তর: বিদ্যাপতিকে ‘অভিনব জয়দেব’ বলা হয়।

৩১। কাকে ‘মৈথিল কোকিল’ বলা হয়?
উত্তর: বিদ্যাপতিকে ‘মৈথিল কোকিল’ বলা হয়।

৩২। বিদ্যাপতি কোন পর্যায়ের শ্রেষ্ঠ কবি?
উত্তর: বিদ্যাপতি মাথুর পর্যায়ের শ্রেষ্ঠ কবি।

---