✍️রচনাধর্মী প্রশ্নগুলির উত্তর দাও(প্রশ্নের মান-৫):
📝 1. ভারতের জলবায়ুর প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি আলোচনা করো।
✅ উত্তর:
1.ঋতুপরিবর্তন : ভারতে শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা ও শরৎ ঋতু নিয়মিতভাবে আবর্তিত হয়। এর ফলে জলবায়ু বৈচিত্র্যময় রূপ পায়।
2.বিপরীতধর্মী বায়ুপ্রবাহ : শীতে উত্তর-পূর্ব দিক থেকে বাতাস আসে এবং গ্রীষ্মে দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে মৌসুমি বায়ু প্রবাহিত হয়। এই বিপরীত প্রবাহ মৌসুমি জলবায়ুর বিশেষ বৈশিষ্ট্য।
3.আর্দ্র গ্রীষ্ম ও শুষ্ক শীত : গ্রীষ্মকালে মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে প্রবল বৃষ্টিপাত হয়। কিন্তু শীতকালে অধিকাংশ স্থানে আবহাওয়া শুষ্ক থাকে।
4.শৈলৌৎক্ষেপ বৃষ্টিপাত : মৌসুমি বায়ু পর্বতে বাধা পেয়ে প্রচুর বৃষ্টিপাত ঘটায়। পশ্চিমঘাট, হিমালয়ের পাদদেশ ও উত্তর-পূর্বাঞ্চল এই ধরনের বৃষ্টির জন্য পরিচিত।
5.মৌসুমি বৃষ্টির অনিয়মিতা : ভারতের বৃষ্টিপাত প্রতি বছর সমান হয় না। কখনও খরা আবার কখনও অতিবৃষ্টি দেশের বিভিন্ন অংশে দেখা যায়।
6.আঞ্চলিক বৈষম্য : উত্তর ভারতে জলবায়ু চরম প্রকৃতির হলেও দক্ষিণ ভারতে তা সমভাবাপন্ন। কারণ দক্ষিণ তিনদিক থেকে সমুদ্রবেষ্টিত হওয়ায় সমুদ্রবায়ুর প্রভাব সেখানে বেশি।
📝 2. ভারতে ধান চাষের অনুকূল প্রাকৃতিক পরিবেশের বিবরণ দাও।
✅ উত্তর:
1.উষ্ণ জলবায়ু : ধান একটি উষ্ণমণ্ডলীয় ফসল। এর জন্য প্রায় 20°–30° সেলসিয়াস তাপমাত্রা প্রয়োজন।
2.প্রচুর বৃষ্টিপাত : ধান চাষে 150–200 সেন্টিমিটার বৃষ্টিপাত দরকার। মৌসুমি বায়ু ভারতের ধানচাষকে সহায়তা করে।
3.সমতল ভূমি : সমতল বা অববাহিকার জমি ধান চাষের জন্য উপযোগী। এতে সহজে সেচ ও বন্যাজল ধরে রাখা যায়।
4.আর্দ্র মাটি : ধান জলাবদ্ধ পরিবেশে ভালো জন্মায়। দোআঁশ ও কাদামাটি ধান চাষের জন্য বিশেষভাবে উপযোগী।
5.সেচব্যবস্থা : যেখানে বৃষ্টিপাত কম, সেখানে কৃত্রিম সেচ ব্যবস্থার প্রয়োজন হয়। যেমন পাঞ্জাব ও হরিয়ানা রাজ্যে সেচের মাধ্যমে ধান চাষ হয়।
6.দীর্ঘ বৃদ্ধিকাল : ধান গাছ পরিপক্ক হতে দীর্ঘ সময় নেয়। ফলে আর্দ্র ও দীর্ঘ গ্রীষ্মকাল ধান চাষের জন্য সহায়ক।
📝 3. পূর্ব ভারতে লৌহ-ইস্পাত শিল্পের কেন্দ্রীভবনের কারণগুলি ব্যাখ্যা করো।
✅ উত্তর:
1.প্রচুর লৌহ আকরিক : ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা ও ছত্তিশগড়ে উচ্চমানের লৌহ আকরিক পাওয়া যায়। এই আকরিক শিল্পের প্রধান কাঁচামাল।
2.কয়লার প্রাচুর্য : দমোদর উপত্যকায় প্রচুর কয়লা পাওয়া যায়। এটি ইস্পাত শিল্পের জ্বালানি হিসাবে ব্যবহৃত হয়।
3.সস্তা শ্রমশক্তি : পূর্ব ভারতের ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চলে প্রচুর সস্তা শ্রমিক পাওয়া যায়। এতে উৎপাদন খরচ কম হয়।
4.জল সরবরাহ : সুবর্ণরেখা, দমোদর ও মহানদীর মতো নদীগুলি শিল্পে পর্যাপ্ত জল সরবরাহ করে। ফলে শিল্পের প্রয়োজনীয়তা সহজে মেটে।
5.পরিবহন সুবিধা : কলকাতা বন্দর ও ঘন রেলপথের কারণে কাঁচামাল আনা ও পণ্য বাইরে পাঠানো সহজ হয়। এর ফলে শিল্পের বৃদ্ধি ঘটে।
6.বাজারের সুবিধা : পূর্ব ভারতের শিল্পাঞ্চল, পাশাপাশি দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলোও ইস্পাতের বড় বাজার। তাই শিল্প দ্রুত প্রসারিত হয়।
📝 4. বায়ুর ক্ষয়কার্যের ফলে তিনটি ভূমিরূপের সচিত্র বর্ণনা দাও।
✅ উত্তর:
1.গৌর(Mushroom Rock):
উৎপত্তি: মরুভূমিতে বৃহদায়তন শিলাখণ্ডের নীচের অংশ বেশি ক্ষয়প্রাপ্ত হয়, উপরের অংশ কম ক্ষয়প্রাপ্ত থাকে। কোমল শিলাস্থর নীচে থাকলে বায়ু ও বালি শিলা ঘষে নীচের অংশ দ্রুত ক্ষয়প্রাপ্ত হয়। এর ফলে পুরো শিলাখণ্ডটি ব্যাঙের ছাতার মতো আকৃতি ধারণ করে।
বৈশিষ্ট্য:
১. দেখতে ব্যাঙের ছাতার মতো, চওড়া উপরের অংশ এবং সংকীর্ণ নিচের অংশ।
২.মরুভূমির মাঝখানে টিলার মতো দাঁড়িয়ে থাকে।
৩.বায়ু ও বালির দীর্ঘমেয়াদি ঘষার প্রক্রিয়ায় গঠিত।
৪.শক্ত এবং কোমল শিলার সংমিশ্রণ থাকে।
উদাহরণ: সাহারা মরুভূমিতে অনেক গৌর(Mushroom Rock) দেখা যায়।
2.ইয়ারদাং (Yardang / Cock’s Comb Ridge):
উৎপত্তি: কঠিন ও কোমল শিলাস্থর পাশাপাশি থাকলে কোমল অংশ দ্রুত ক্ষয়প্রাপ্ত হয়। শক্ত অংশগুলো খাড়াভাবে দাঁড়িয়ে থাকে, ফলে দীর্ঘ, সরু এবং সুচালো শৈলশিরার মতো আকার তৈরি হয়।
বৈশিষ্ট্য:
১. গড় উচ্চতা 6 মিটার, প্রস্থ 8–40 মিটার পর্যন্ত।
২.দেখতে মোরগের ঝুঁটির মতো।
৩.শীর্ষদেশ সুচালো ও ধারালো।
৪.প্রায়শই সমান্তরাল বা একদিকনির্দেশিত শৃঙ্খলে দেখা যায়।
উদাহরণ: সৌদি আরবের মরুভূমিতে ইয়ারদাং লক্ষ্য করা যায়।
3.ইনসেলবার্জ (Inselberg):
উৎপত্তি: বায়ু ও জলধারার ক্ষয়কার্যে সমগ্র মরুভূমি কমে যায়, তবে কিছু কঠিন শিলার অংশ ক্ষয় প্রতিরোধ করে। ফলে একক বা বিচ্ছিন্ন উঁচু টিলা বা পাহাড়ের মতো আকার গঠন হয়।
বৈশিষ্ট্য:
১. সাধারণত আগ্নেয় ও রূপান্তরিত শিলায় (গ্রানাইট, নিস) গঠিত।
২.উচ্চতা 30–300 মিটার, দৈর্ঘ্য অনেক কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে।
৩.একাকী বা ছোট গ্রুপ আকারে দেখা যায়।
৪.মরুভূমির পরিবেশে নাটকীয় ও প্রভাবশালী উপস্থিতি।
উদাহরণ: দক্ষিণ আফ্রিকার কালাহারি মরু, অস্ট্রেলিয়ার মরুভূমি।
📝 5.হিমবাহের সঞ্চয়ের ফলে সৃষ্টি তিনটি ভূমিরূপের সচিত্র বর্ণনা
✅ উত্তর:
1.গ্ৰাবরেখা(Moraine):
উৎপত্তি: হিমবাহ বরফের সঙ্গে পাহাড়ি পাথর, বালি ও কাদা বহন করে। হিমবাহ গললে এই পদার্থ নদী বা সমভূমিতে জমে উঁচু জমি বা ঢিবি তৈরি করে। গ্ৰাবরেখা মূলত পাশে (পার্শ্বিক), মাঝখানে (কেন্দ্রীয়) এবং শেষ অংশে (প্রান্ত গ্ৰাবরেখা) বিভক্ত।
বৈশিষ্ট্য:
১. উঁচু, ঢিবির মতো বা পাহাড়ের আকৃতির।
২.হিমবাহের গতিপথ নির্দেশ করে।
৩.পাথর ও বালি একসাথে মিশ্রিত থাকে।
৪.কখনও লম্বালম্বি, কখনও অনিয়মিত আকৃতির।
উদাহরণ: হিমালয়, আলপস পর্বত, সিন্ধু ও কংগা নদীর উপত্যকা।
2.ড্রামলিন (Drumlin):
উৎপত্তি: হিমবাহের সঞ্চিত পদার্থ হিমবাহের চাপ ও গলনের কারণে ডিম্বাকৃতি আকার ধারণ করে। হিমবাহের প্রবাহের দিক অনুসারে সামনের অংশ সরু ও পেছনের অংশ প্রশস্ত হয়।
বৈশিষ্ট্য:
১. ডিম্বাকৃতি বা আয়তাকার ঢিবি।
২.গ্রুপ বা শৃঙ্খল আকারে দেখা যায়।
৩.হিমবাহের প্রবাহদিক নির্দেশ করে।
৪.উচ্চতা সাধারণত 15–50 মিটার, দৈর্ঘ্য কয়েকশ মিটার পর্যন্ত হতে পারে।
উদাহরণ: উত্তর ইউরোপ, ক্যানাডা এবং উত্তর আমেরিকার হিমবাহভিত্তিক সমভূমি।
3.এস্কার (Esker):
উৎপত্তি: হিমবাহের গলিতজলে বহিত বালি, কাদা ও ছোট পাথর নদীর মতো সরল বা বাঁকানো রেখায় জমে। হিমবাহ গলে গেলে এটি দৃশ্যমান হয়।
বৈশিষ্ট্য:
১. লম্বা, সরু, কখনও বাঁকানো।
২.হিমবাহের গলিত জল ও সঞ্চয় প্রক্রিয়ার চিহ্ন বহন করে।
৩.দৈর্ঘ্য কয়েক কিলোমিটার হতে পারে, প্রস্থ কয়েক দশ মিটার।
৪.পাহাড় বা সমভূমিতে দেখা যায়।
উদাহরণ: কানাডা, আয়ারল্যান্ড, স্ক্যান্ডিনেভিয়া।
📝 6. মধ্যগতিতে নদীর সঞ্চয়কার্যের ফলে গঠিত তিনটি ভূমিরূপের সচিত্র বর্ণনা দাও।
✅ উত্তর:
1.প্লাবনভূমি (Flood Plain):
উৎপত্তি: নদী সমভূমিতে প্রবাহিত হলে তার ঢাল কম থাকে, ফলে ধীরগতিতে প্রবাহ ঘটে। বর্ষাকালে নদীর জল উপত্যকা পার হয়ে নদীর দুই তীরে ছড়িয়ে পড়ে। নদীর সঙ্গে বহিত কাদা, পলি ও বালি জমে সমতলভূমি গঠন করে, যা বন্যা বা প্লাবনের সময় পানিতে ডুবে যায়। এই জমি পরে উর্বর হয়ে ধানচাষ ও অন্যান্য ফসলের জন্য ব্যবহার হয়।
উদাহরণ: বিহারের গঙ্গা নদীর উপত্যকা, উত্তরপ্রদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের নদীর তীরবর্তী সমভূমি।
2.স্বাভাবিক বাঁধ (Natural Levee):
উৎপত্তি: নদীর ধীরগতিতে জলে বহিত পলি, বালি ও কাদা নদী বহন করতে পারে না। নদীর দুপাশে ক্রমশ সঞ্চিত হয় এবং প্রাকৃতিকভাবে উঁচু বাঁধের মতো আকার নেয়। এই বাঁধ নদীকে তার মূল গতিপথে ধরে রাখে এবং কখনও কখনও নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
উদাহরণ: গঙ্গা নদীর দুই তীরে ভারতে এবং নীল নদে মিশরে স্বাভাবিক বাঁধ লক্ষ্য করা যায়।
3.অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ (Ox-bow Lake):
উৎপত্তি: নদী মধ্যগতির শেষের দিকে ধীরগতিতে প্রবাহিত হয়। নদী যখন বাঁক নেয়, তখন বহিঃবাঁকে ক্ষয় ও অন্তঃবাঁকে সঞ্চয় ঘটে। নদী দুই বাঁক সংযুক্ত হয়ে সরল পথে প্রবাহিত হলে পূর্বের বাঁকা অংশ বিচ্ছিন্ন হয়ে হ্রদে পরিণত হয়। এই হ্রদ দেখতে ঘোড়ার খুরের মতো হয়, তাই নাম অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ।
উদাহরণ: নিম্নগতিতে গঙ্গা ও তার শাখানদীতে এ ধরনের হ্রদ দেখা যায়, যেমন গঙ্গার কিছু শাখা নদীর বাঁক অংশে।
📝 7. ভারতের পূর্ব ও পশ্চিম উপকূলীয় সমভূমির প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যের পার্থক্য নিরূপণ করো।
✅ উত্তর:
1.প্রস্থ ও বিস্তার : পূর্ব উপকূলীয় সমভূমি প্রশস্ত এবং সমতল, যা বঙ্গোপসাগরের তীরে বিস্তৃত। পশ্চিম উপকূলীয় সমভূমি সংকীর্ণ ও সরু, আরব সাগরের তীরবর্তী অঞ্চলে অবস্থিত।
2.নদী অববাহিকা : পূর্ব উপকূলে গঙ্গা, গোদাবরী, কৃষ্ণা ও কাবেরী নদীর বদ্বীপ গঠন করে। পশ্চিম উপকূলে ছোট নদী ও সরল উপত্যকাই দেখা যায়।
3.তটরেখা : পূর্ব উপকূল তুলনামূলকভাবে সোজা ও সমতল। পশ্চিম উপকূলে খাঁজকাটা, পাহাড়ী ও দুর্গম তটরেখা লক্ষ্য করা যায়।
4.বৃষ্টিপাত : পূর্ব উপকূল বর্ষাকালে আর্দ্র, বিশেষ করে উত্তর-পূর্ব মৌসুমে। পশ্চিম উপকূল দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমীর বৃষ্টিপাতে সমৃদ্ধ।
5.ভূমিরূপ : পূর্ব উপকূল পলি ও কাদামাটিতে সমভূমি গঠন করে। পশ্চিম উপকূল শৈলপ্রধান এবং পাহাড়ের সন্নিকটে ক্ষয়ীভূমি দেখা যায়।
6.অর্থনৈতিক গুরুত্ব : পূর্ব উপকূল ধান চাষের জন্য অনুকূল। পশ্চিম উপকূল বন্দর ও মাছ ধরার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
📝 8. শুষ্ক অঞ্চলে বায়ু ও জলধারার মিলিত কার্যের ফলে গঠিত ভূমিরূপের সচিত্র বর্ণনা করো।
✅ উত্তর:
1.ওয়াদি (Wadi):
উৎপত্তি: আরবি শব্দ ‘ওয়াদি’ অর্থ শুষ্ক উপত্যকা। মরুভূমিতে বৃষ্টি হলে অস্থায়ী নদী বা জলধারা তৈরি হয়, যা বৃষ্টির পরে শুষ্ক নদীখাত হিসেবে রয়ে যায়।
বৈশিষ্ট্য:
১. শুষ্ক নদীখাতের মতো।
২.বৃষ্টির সময় হঠাৎ বন্যা সৃষ্টি করতে পারে।
৩.সাধারণত মরুভূমির মাঝখানে দীর্ঘ ও সরু।
৪.স্থায়ী নদী না থাকায় জল অল্প সময়ের জন্য থাকে।
উদাহরণ: উত্তর আফ্রিকার মরুভূমি ও আরব মরুভূমিতে ওয়াদি দেখা যায়।
2.পেডিমেন্ট (Pediment):
উৎপত্তি: বায়ু ও জলধারার ক্ষয়কার্যে উচ্চভূমি বা ইনসেলবার্গের পাদদেশে প্রায় সমতল ও মৃদু ঢালবিশিষ্ট ভূমি গঠিত হয়।
বৈশিষ্ট্য:
১. ঢাল সাধারণত 1–10°।
২.পেডিমেন্টের উপর ছোট ছোট শিলাখণ্ড, বালি ও পলি থাকতে পারে।
৩.পেডিমেন্ট সম্পূর্ণ উন্মুক্ত থাকতে পারে।
৪.নীচে বাজাদা বা পললভূমি গঠিত হয়।
উদাহরণ: উত্তর আফ্রিকার অ্যাটলাস পর্বতের পাদদেশে বিস্তৃত পেডিমেন্ট।
3.বাজাদা (Bajada / Bahada):
উৎপত্তি: পেডিমেন্টের ঢাল বরাবর নুড়ি, কাকর, বালি ও পলি সঞ্চিত হয়ে ত্রিকোণাকার পললভূমি গঠন করে। একাধিক বাজাদা একত্রিত হয়ে বড় আকারের পললভূমি তৈরি করে।
বৈশিষ্ট্য:
১. পেডিমেন্টের সামনে বিস্তৃত, সম্পূর্ণরূপে সঞ্জয়জাত।
২.পেডিমেন্টের দিকে ঢাল খাড়া, প্লায়ার দিকে ঢাল কম বা শূন্য।
৩.বৃষ্টির সময় জলগতি দ্বারা সঞ্চিত পদার্থে গঠিত।
৪.একাধিক বাজাদা যুক্ত হলে বড় পললভূমি তৈরি হয়।
উদাহরণ: সাহারা মরুভূমি ও অন্যান্য মরুভূমি।
4.প্লায়া (Playa):
উৎপত্তি: চারপাশের উচ্চভূমি থেকে আসা জলধারা নিম্নভূমিতে মিলিত হলে অগভীর লবণাক্ত হ্রদ তৈরি হয়। বাজাদা পৃষ্ঠের ওপর গড়ে ওঠা এই মরুভূমিকে প্লায়া বলা হয়।
বৈশিষ্ট্য:
১. অস্থায়ী, আয়তন কয়েক বর্গমিটার থেকে কয়েক বর্গকিলোমিটার।
১.লবণাক্ত ও জল-সংগ্রহশীল।
২.মরুভূমির ক্ষয়কার্যের নিম্নসীমা নির্দেশ করে।
৩.সাধারণত সমতল বা অল্প ঢালবিশিষ্ট।
উদাহরণ: সাহারা মরুভূমি, দক্ষিণ পশ্চিম আমেরিকার মরুভূমি।